রহমত প্রকাশনী

রহমত প্রকাশনী বিশুদ্ধ ইলম ও বিশুদ্ধ চেতনা বিকাশের লক্ষে?

16/02/2025
16/02/2025

টিমওয়ার্ক মূলত কী?
মনে করুন, কোথাও বেশ কিছু উর্বর জমি আছে, চাষ করার জন্য আছে শক্ত-সমর্থ শ্রমিক এবং প্রয়োজনীয় উপায়-উপকরণ। কিন্তু এগুলোকে যথাযথ ব্যবহার করার জন্য একজন যোগ্য চাষী নেই। তাহলে জমিতে কী চাষ করবে, কখন লাঙল দেবে, বীজ কখন বুনবে, সার কখন দেবে, এসব কে নির্ধারণ করবে? কে সমন্বয় করবে সবগুলো কাজ? এই সমন্বয়ের নামই ম্যানেজমেন্ট তথা ব্যবস্থাপনা। এরই আরেক নাম টিমওয়ার্ক।
টিমওয়ার্ক কোনো আলোচনার টেবিল নয়, নয় গালগল্প ও আড্ডাবাজির নাম। এটা নিছক রাজতন্ত্র নয়, আবার নিরেট গণতন্ত্রও নয়। রাজতন্ত্রের মতো এখানে স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয় না। আবার গণতন্ত্রের মতো মাথাও গোনা হয় না। বরং যে-কোনো উপায়ে চেষ্টা করা হয় ঐকমত্যে পৌঁছার। যেন পরস্পর মহব্বত-ভালোবাসা ও সৌহার্দ-সম্প্রীতি বজায় থাকে। ইসলামের শুরায়ি নেযাম আধুনিক ম্যানেজমেন্টের অনেকটা কাছাকাছি।
টিমওয়ার্ক হয় মূলত স্বাধীন কর্মক্ষেত্রে; যেখানে বহু মানুষের সমাবেশ ঘটে, আবার প্রত্যেকে নিজের মতামত ব্যক্ত করতে পারে। সুনির্দিষ্ট গÐির ভেতরে টিমওয়ার্ক তেমন ফলপ্রসূ নয়। যেমন : র‌্যাকেট, টেবিল টেনিস ইত্যাদি খেলা। পক্ষান্তরে স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা, অফিস-আদালত, কল-কারখানা, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনএসব একান্তভাবে টিমওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল।

16/02/2025

সাফল্যের মূলমন্ত্র
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, وَ اَنَّ سَعْیَهٗ سَوْفَ یُرٰی ‘নিশ্চয়ই তার কর্ম মূল্যায়ন করা হবে।’ তাছাড়া আল্লাহ তাআলার একটি নাম হলো ‘শাকুর’ তথা গুণগ্রাহী। তিনি মানুষের শ্রমের বিনিময় দেন, সাধনার মূল্যায়ন করেন; চাই মুমিন হোক বা কাফির।
এ কারণে দেখা যায়, অনেক কাফিরও দুনিয়াতে লাভ করে ঈর্ষণীয় সফলতা। আসলে সাফল্যের জন্য রয়েছে মৌলিক কিছু নীতিমালা। সেই নীতিমালা অবলম্বন করে আল্লাহর ইচ্ছায় যে-কেউ সফল হতে পারে। এমনকি একজন কাফিরও পারে পার্থিব পরম সাফলতা লাভ করতে। তেমনি একজন সফল শিল্পপতি হলেন জি. ডি বিড়লা। শোনো তার ঘটনা।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের বিশিষ্ট শিল্পপতি জি. ডি. বিড়লা। বৃটিশ আমলেই তিনি বিরাট ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। মালিক হয়েছেন অঢেল ধনসম্পদ আর অর্থবিত্তের। ভারতের স্বাধীনতা-আন্দোলনে তাঁর অবদান বিরাট। স্বাধীনতাকামীদের পেছনে তিনি প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছেন। কংগ্রেসকে সহায়তা করেছেন ১ কোটিরও অধিক রুপি দিয়ে। অন্যান্য নেতারা হয়তো আন্দোলন করেছেন, জেল খেটেছেন; কিন্তু দলকে তিনি চাঙা রেখেছেন অর্থকড়ি দিয়ে। বহু নেতার জীবন নির্বাহ হতো তার অর্থে। ছিলেন মহাত্মা গান্ধীর অন্যতম সহকর্মী। ১৯৪৭ সালের পূর্বে দিল্লির বিড়লা হাউজ ছিল কংগ্রেসের অঘোষিত অফিস।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট। রাত সাড়ে ১০টায় ইংরেজ ভাইসরয় রেডিয়োতে ভাষণ দেবেন। তাতে নির্ধারিত হবে ভারতের ভ‚ত-ভবিষ্যৎ। স্বাধীনতার বিষয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে এই ভাষণে। আবার পরাধীনতার শিকল মজবুতও হতে পারে।
তেমনই এক সময়-সন্ধিক্ষণে কংগ্রেসের বড় বড় নেতা উপস্থিত বিড়লা হাউজে। সবার মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা―কী আছে ভারতবাসীর ভাগ্যে! স্বাধীনতার মুক্ত বাতাস, না পরাধীনতার শেকল! সবাই অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে, কখন ঘড়ির কাটা সাড়ে ১০টার ঘর ছোঁবে। ভাইসরয়ের ভাষণ শুনতে নেতারা সব উৎকর্ণ হয়ে আছেন। জি. ডি. বিড়লাও আছেন সবার সঙ্গে।
এদিকে বিড়লার অভ্যাস ছিল, ঠিক আটটার সময় ঘুমের জন্য বাসায় চলে যেতেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সময়নিষ্ঠ ও নিয়মানুবর্তী। জীবন ছিল তাঁর ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে বাঁধা। সব কাজ করতেন ঘড়ি ধরে। ঘড়িতে যেই আটটা বাজল, অমনি তিনি উঠে পড়লেন। সবাইকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘আমাকে মাফ করবেন, আমাকে উঠতে হয়; আমার ঘুমের সময় হয়ে গেছে। ভাইসরয়ের ভাষণ সকালে পত্রিকায় পড়ে নেব।’
দেখো, যে স্বাধীনতার জন্য সুদীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন, কোটি কোটি রুপি খরচ করেছেন, সে স্বাধীনতার ঘোষণা শোনার জন্য নিজের রুটিনের ব্যত্যয় ঘটাতে তিনি ইচ্ছুক নন।
এটিই মূলত সাফল্যের মূলমন্ত্র―সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতি। সবার উচিত সাফল্যের এই মূলমন্ত্র মেনে চলা। জীবনের উদ্দেশ্য ও সমস্যার মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করা। সমস্যা নিয়ে ততক্ষণ ভাবা, সমাধানের চিন্তা ততক্ষণ করা, যতক্ষণ-না উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়। যখনই সাংঘর্ষিক হয়, তখন সমস্যা ছেড়ে উদ্দেশ্যের দিকে যাত্রা করা। আর সমস্যাকে ন্যস্ত করা তাকদিরের ওপর।
জি. ডি. বিড়লা কী করেছেন; রাত আটটা পর্যন্ত সমস্যার সমাধান খুঁজেছেন। আটটা বাজতেই সমস্যাকে ছেড়ে দিয়েছেন তাকদিরের ওপর। তারপর ঘুমাতে চলে গেছেন। মেনে নিয়েছেন অমোঘ তাকদির।

স্বপ্নজয়ের গল্প বই থেকে

15/02/2025

সফল মানুষ সফল বক্তা
পৃথিবীর সফল মানুষদের একটা সাধারণ গুণ হলো, কথা বলার যোগ্যতা। নিজ মতাদর্শ ও পেশার মাহাত্ম্য ফুটিয়ে তুলতে তাঁরা বাগ্মিতার শরণ নেন। শ্রোতাদের করে রাখেন মন্ত্রমুগ্ধ। স্ব স্ব কাজে তাঁরা যেমন দক্ষ তেমনি অধীনস্থদের উদ্বুদ্ধও করতে পারেন দারুণভাবে। জীবনে সফল হতে চাইলে কথা বলা জানতে হয়; অন্যকে কনভিন্স ও প্রভাবিত করার তরিকা রপ্ত করতে হয়। এ ছাড়া কর্মজীবনে সাফল্যের দেখা পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
অনেকে আছেন, রীতিমতো বক্তব্য দিতে পারেন না, কিন্তু সহকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে পারেন, অধীনস্থদের রাখতে পারেন বশীভূত। একদমই নিশ্চুপ কোনো পরিচালক আপনি খুঁজে পাবেন না। জীবনের প্রতিটি অঙ্গনের সফল মানুষদের দেখুন, স্ব স্ব কাজ ও মিশন সম্পর্কে তাঁরা কী চমৎকার কথা বলেন! একেকজন যেন কথার জাদুকর!
মূলত সফল মানুষদের মনে থাকে নানা পরিকল্পনা ও স্বপ্ন-আকাক্সক্ষা। হৃদয়ের জমিনে তাঁরা চিন্তার চাষাবাদ করেন। সেই চাষাবাদের ফল-ফসল ক্রমে বাড়তে থাকে, স্তূপাকার হতে থাকে। তাই বলতে শুরু করলে তাঁরা যেন থামতে চান না। কথার মোড়কে বেরিয়ে আসে চিন্তা ও পরিকল্পনার নির্যাস। নিজেদের স্বপ্নের কথা, পরিকল্পনার কথা বলে যেন তাঁরা মুক্তি পান, হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।

বক্তৃতা তৈরির কলাকৌশল থেকে

15/02/2025

টিম ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত উপকারী ও ফলপ্রসূ একটি জ্ঞান। এর মাধ্যমে যেকোনো দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা যায় অনায়াসে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যেকোনো সংস্থা ও কোম্পানি পরিচালনা করা যায় অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে। যত বড় প্রতিষ্ঠানই হোক আর যত কর্মীই থাকুক, ম্যানেজমেন্ট-জ্ঞান থাকলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। অথচ এর অভাবে দল ভাঙে, প্রতিষ্ঠান ভাঙে এবং ভাঙে মানুষের কপাল। দল ও প্রতিষ্ঠানের মতো দেশ ও জাতির ভাগ্যও জড়িত এর সঙ্গে। কারণ, নেতৃবৃন্দ যত সার্থকভাবে জাতিকে পরিচালনা করবে, জাতি তত সমৃদ্ধ ও সুসংহত হবে। অন্যথায় জাতি রাখালবিহীন বকরির পালের মতো বিশৃঙ্খল হয়ে পড়বে। অথচ বিচ্ছিন্নতা নিষেধ করে আল্লাহ তায়ালা বলেন :
وَلَا تَنَازَعُوْا فَتَفْشَلُوْا وَتَذْهَبَ رِیْحُكُمْ وَاصْبِرُوْا ؕ
‘তোমরা ঝগড়া করো না; তাহলে তোমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। ফলে তোমাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি কমে যাবে। বরং তোমরা ধৈর্যধারণ করো।’
মাসলাক ও মাযহাবের নামে আমরা আজ শতধাবিভক্ত। অথচ মাযহাবের ঊর্ধ্বে উঠে তাওহিদের ভিত্তিতে গড়ে তোলা যায় বৃহত্তর ঐক্য। যার জন্য প্রয়োজন গভীর ম্যানেজমেন্ট-জ্ঞান। অন্যরা যেখানে কয়েক মহাদেশজুড়ে সংগঠন করছে, এক মহাদেশের সবাই এক পতাকাতলে সমবেত হচ্ছে, পরস্পর একীভ‚ত হয়ে যাচ্ছে বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানি, সেখানে আমরা ক্ষুদ্র স্বার্থে পরস্পর কাদা ছোড়াছুড়ি করছি এবং এক দেশ, এক জাতি ও একই আদর্শ হওয়া সত্তে¡ও করছি পরস্পর শত্রæতা। অথচ রাসুল সা. আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন :
لَا تَحَاسَدُوْا وَلَا تَنَاجَشُوْا وَلَا تَبَاغَضُوْا وَلَا تَدَابَرُوْا وَلَا يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ، وَكُوْنُوْا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا.
‘তোমরা পরস্পর হিংসা করো না, পরস্পর ধোঁকা দিয়ো না, পরস্পর বিদ্বেষ পোষণ করো না। একে অপরের পশ্চাতে শত্রæতা করো না এবং একের বেচাকেনার ওপর অন্যে বেচাকেনার চেষ্টা করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দারূপে ভাই ভাই হয়ে থাকো।’
বহু দেশ, বহু ভাষা ও বহু জাতির লোকদের একসুতোয় গেঁথে রাখা সত্যি কঠিন; বিশেষত বিচিত্র সভ্যতা ও বহুমুখী আদর্শের লোকদের। এই কঠিন কাজটি অনায়াসে করা যায় ইসলামি ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে।
এই ম্যানেজমেন্ট-জ্ঞানের অভাবে আমরা দল হিসেবে যেমন বিচ্ছিন্ন, তেমনই জাতি হিসেবেও ছন্নছাড়া। বিশ^মঞ্চে নেই মুসলিমদের শক্তিশালী ও কার্যকর কোনো সংগঠন। আমাদের সংগঠনগুলো মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়, আমাদের নেতৃবৃন্দেরও নেই ইসলামি মূল্যবোধ ও চারিত্রিক দৃঢ়তা। আমরা সততই নেতৃত্ব নিয়ে টানাটানি করি এবং নেতা হওয়ার খাহেশে আলাদা সংগঠন গড়ে তুলি। সংঘবদ্ধ থাকার যে সূত্র, সে সম্পর্কে আমরা নিতান্তই বেখবর।
টিম ম্যানেজমেন্ট : নেতৃত্ব, উদ্যোগ, পরিচালনা বই থেকে

03/10/2023

ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তার মধ্যে পার্থক্য কি?

03/10/2023

বক্তৃতা তৈরির কলাকৌশল

04/08/2022

জীবনটা কি আসলেই ছোট?
একজন মাধ্যম মেধার ছাত্র মাত্র তিন বছরে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে ফেলে। আর মেধাবী হলে তো কথাই নেই, ছয় মাসে মুখস্থ করে ফেলে পবিত্র কুরআন।
আচ্ছা, তিন বছরে যদি এত বড় কুরআন মুখস্থ করা যায় তাহলে সমগ্র জীবনে কত কিছু মুখস্থ করার কথা? অথচ দেখা যায়, অনেক হাফেজ আলেম পর্যন্ত হতে পারে না। কারণ, হেফজখানার জীবনটা থাকে রুটিনের কঠিন নিয়মে বাঁধা। গদবাঁধা ছককাটা জীবন। রুটিনের ব্যত্যয় হয় না কখনও। তাই অনায়াসে মুখস্থ করা যায় এত বড় কুরআন।
আচ্ছা, একটা ছাত্রের সমগ্র জীবন যদি হয় এমন―রুটিনের কঠিন নিগড়ে বাঁধা। তাহলে কোথায় হতে পারে তার অবস্থান? জ্ঞানের কোন সুউচ্চ স্তরে পৌঁছে যাবে সে?
আসলে আমাদের জীবনটা ছোট নয়। ষাট সত্তর বছরের জীবন যথেষ্ট বড়। এতটুকু হায়াত পেয়ে অনেকে বিরাট কর্ম ও কীর্তির স্বাক্ষর রেখেছেন। মাত্র ঊনচল্লিশ বছর হায়াত পেয়েছেন আল্লামা আব্দুল হাই লখনবী রহ.। অথচ বহু কালজয়ী গ্রন্থ তিনি রচনা করে গেছেন। কলেবর যেমন বিরাট তেমনি ভাষা-সাহিত্যেও অনন্য। আবার গবেষণা ও চুলচেরা বিশ্লেষণে অতুলনীয়। তার ব্যাপারে শোনা যায়, সত্তর বছর হায়াত পেলে তিনি হয়ত নিজেকে মুজতাহিদ দাবী করে বসতেন।
দেখুন, মাত্রই ঊনচল্লিশ বছর হায়াত! এ বয়সে আমরা কতটুকু যোগ্যতা অর্জন করি? অনেকে হয়ত নির্ভুল এক পৃষ্ঠা লিখতেও পারি না। অথচ তিনি এ বয়সে রচনা করে গেছেন বহু কালজয়ী গ্রন্থ।
জীবন ছোট বলে যারা হাপিত্যেশ করেন তারা মূলত বিভ্রান্তিতে পড়ে আছেন। মাত্র তিন বছরের রুটিন মাফিক জীবনে যদি কুরআন মুখস্থ করা যায়, আর দশ বছর নিয়মিত পড়াশোনা করে আলেম হওয়া যায়, তাহলে জীবন ছোট কোথায়? আবার দশ বছরের ছাত্রজীবনেও থাকে কত ফাঁক, কত ফাঁকি। ঘুম-বিশ্রাম ও অবসর বিনোদনে কতটা সময় নষ্ট হয়। ছাত্রজীবনের সবটা সময় কি কাজে লাগে, না লাগানো যায়? তবুও যারা মোটামুটি মেহনত করে, তারা অন্তত পনেরটা শাস্ত্রে দক্ষতা অর্জন করে। সেই একই নিয়মে যদি কেউ মেহনত করে পঞ্চাশ বছর! তাহলে কোথায় হতে পারে তার মাকাম? ইলমের কোন সুউচ্চ স্তরে হতে পারে তার অবস্থান!
আসলে জীবন ছোট নয়। একজীবনে অনেক কাজ করা যায়, অনেক কিছু অর্জন করা যায়। কিন্তু জীবনটা বাঁধতে হবে রুটিনের কঠিন নিয়মে। টাইম ম্যানেক করে চলতে হবে। সময় নেই বলে যারা আফসোস করেন তারা মূলত নিজেদের ধোঁকা দেন। সময় থাকবে না কেন? দৈনিক চব্বিশ ঘণ্টা তো কম নয়! সময়টা হিসাব করে ব্যয় করুন টাকা খরচের মত। দেখবেন সময়ে কত বরকত হচ্ছে। আমরা টাকার ক্ষেত্রে হিসাবী হলেও সময়ের ক্ষেত্রে বেহিসাবী। তাই আমাদের কাছে জীবনটা মনে হয় ছোট। (মহাজীবনের সোপান, প্রকাশিতব্য)

Address

মাহমুদ নগর, সাইনবোর্ড, জামিয়াতু ইবরাহীম সংলগ্ন, ডেমরা
Dhaka

Telephone

+8801632607298

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রহমত প্রকাশনী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to রহমত প্রকাশনী:

Share

Category