Food and fantasy

Food and fantasy love independence �
I'm happy to be a member of Facebook. This is my page, food and fantastic 😊
(1)

আপনি যদি মনে করেন ,পৃথিবীতে মা বাবার চেয়ে আপন কেউ নেই ,তাহলে আপনি এখনো দুনিয়া দেখেন নি। মেয়ে হলে ৩০ বছর বাপের বাড়ি থাকুন...
05/09/2025

আপনি যদি মনে করেন ,পৃথিবীতে মা বাবার চেয়ে আপন কেউ নেই ,তাহলে আপনি এখনো দুনিয়া দেখেন নি।
মেয়ে হলে ৩০ বছর বাপের বাড়ি থাকুন , বিয়ে ভেঙে গেলে বাপের বাড়ি আশ্রয় নিন , বুঝে যাবেন বাপের বাড়ি র ভাতের কতো দাম।

ছেলে হলে ,৩০ বছর বেকার থেকে দেখুন ,বুঝবেন আপনাকে খাওয়ানো প্রতিটি ভাতের চাল আসলে বিফলে যায়।
মাঝে মাঝে জুতার ঢিল ও খেতে পারেন।

সবচেয়ে নিকৃষ্ট রুপ তো তখন মা বাবার দেখবেন ,যখন আপনার থেকে আপনার কোনো ভাই বা বোন বেশি অর্থ উপার্জন করে।
একি মা বাবা ,অথচ তাদের কি বিশাল ফারাক।

শুনেন , এ পৃথিবীতে কেউ আপনাকে সাহায্য করছে মানেই সে আপন ,বিষয় টা এমন না।
সময়ের বিপরিতে আপনার প্রতি তার মনোভাব বলে দেবে ,সে আসলে আপনার কাছে আরো বড় কিছু প্রত্যাশা করে বসে আছে ।

ভাবছেন ,মায়ের পেটের ভাই বোন আপন?

এ পৃথিবীতে এদের মতো শত্রু আর একটি ও নেই , এদের শত্রুতার কারন ভিন্ন। কেউ সম্পদের জন্য ,কেউ সামাজিক অবস্থান এর জন্য অন্য কে দমন করার প্রচেষ্টা ।

এমন ও ভাই আছে ,বোনের নাম ও মনে রাখে না , এমন বোন ও আছে , ভাইয়ের সংসারে র সুখ ও সহ্য করতে পারে না।

এই পুরু পৃথিবীতে যে কেউ কারো আপন না ,এটি বর্তমান যুগের কাছে স্পষ্ট ।

ফ্রীতে একটা এডভাইজ দিই , আপনার দুঃখের কারন হওয়া মানুষ গুলো কে জিবন থেকে সরিয়ে দিন।
সে যেই হোক।
এরা আসেই আপনার জিবন কে নরক করে দেওয়ার জন্য।
সামনে ভালোবাসা দেখাবে ,পিছনে ছুড়ি মারবে। এদের স্বভাব থেকে এরা বেরুতেই পারে না।
তাই সতর্ক থাকুন। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে তার গোপন শত্রু থেকে রক্ষা করুক।


#ঈশ্বরপরমকৃষ্ণ

১. অতিরিক্ত আদর-আপ্যায়ন:যখন বাবা-মা সন্তানকে সবকিছু খুব সহজে দিয়ে দেন এবং কোনো সীমাবদ্ধতা রাখেন না, তখন সন্তান মনে করে ত...
28/08/2025

১. অতিরিক্ত আদর-আপ্যায়ন:
যখন বাবা-মা সন্তানকে সবকিছু খুব সহজে দিয়ে দেন এবং কোনো সীমাবদ্ধতা রাখেন না, তখন সন্তান মনে করে তার ইচ্ছাই সবচেয়ে বড়। এতে তার মধ্যে অহংকার জন্ম নেয়।
২. সবসময় প্রশংসা করা:
যদি প্রতিটি ছোট কাজের জন্য অতিরিক্ত প্রশংসা করা হয়, তাহলে সন্তান মনে করে সে অন্য সবার চেয়ে আলাদা এবং সবসময় সঠিক। এতে ধীরে ধীরে তার মধ্যে অহংকারী স্বভাব তৈরি হয়।
৩. ভুলকে প্রশ্রয় দেওয়া:
যদি বাবা-মা সন্তানের ভুলকে ঠিক না করে ঢেকে রাখেন বা অজুহাত দিয়ে সমর্থন করেন, তবে সে শেখে তার কোনো ভুলই ভুল নয়। এতে তার মধ্যে আত্মতুষ্টি ও অহংকার বাড়ে।
৪. অন্যের সাথে অতিরিক্ত তুলনা:
যখন পরিবার বা সমাজে সন্তানকে সবসময় অন্যদের চেয়ে “তুমি সেরা” বা “তুমি সবচেয়ে ভালো” বলা হয়, তখন সে অন্যদের নিচু চোখে দেখতে শুরু করে।
৫. আর্থিক স্বাচ্ছল্য ও বিলাসিতা:
যেসব সন্তান খুব আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতার মধ্যে বড় হয়, তারা অনেক সময় অন্যদের কষ্ট বোঝে না। ফলে তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ ভাবতে শুরু করে।
৬. নৈতিক শিক্ষার অভাব:
বিনয়, সহানুভূতি ও মানবিকতার শিক্ষা যদি পরিবার ও স্কুলে না দেওয়া হয়, তবে সন্তান অহংকারী হয়ে ওঠা খুবই স্বাভাবিক।
৭. বাবা-মায়ের অহংকারের প্রভাব:
অনেক সময় সন্তান সরাসরি বাবা-মায়ের কাছ থেকে অহংকার শেখে। যদি মা-বাবা নিজেরাই অহংকারী হন বা অন্যকে ছোট করে দেখেন, সন্তানও একই স্বভাব ধারণ করে।
৮. সমাজে ভুল ধরনের প্রভাব:
বন্ধুমহল বা আশেপাশের পরিবেশ যদি প্রতিযোগিতা, প্রদর্শন আর দম্ভে ভরা হয়, তবে সন্তানও সে রকম হতে শেখে।
৯. দায়িত্ব ও শৃঙ্খলার অভাব:
যদি ছোটবেলা থেকে সন্তানকে কোনো দায়িত্ব বা শৃঙ্খলার মধ্যে না রাখা হয়, তবে সে বুঝতে শেখে না যে জীবনে সীমাবদ্ধতা আছে। এতে তার স্বভাব দম্ভপূর্ণ হয়।
১০. ভালোবাসা ও শাসনের ভারসাম্যের অভাব:
শুধু আদর দিয়ে শাসন না করলে যেমন সন্তান বেয়াড়া হতে পারে, আবার শুধু কঠোর হলে সে বিদ্রোহী হতে পারে। যখন এই ভারসাম্য থাকে না, তখন অহংকারী স্বভাব তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে।
_______________________________________________
- সংগৃহীত

, , ....

ভাইয়া যেদিন বিয়ে করে তার পরেরদিন ভাবী আর আম্মুকে একসাথে বলে"তোমাদের মধ্যে কোনো মনমালিন্য হলে নিজেরা সমাধান করে নিবে। দুজ...
24/08/2025

ভাইয়া যেদিন বিয়ে করে তার পরেরদিন ভাবী আর আম্মুকে একসাথে বলে

"তোমাদের মধ্যে কোনো মনমালিন্য হলে নিজেরা সমাধান করে নিবে। দুজনই যথেষ্ট প্রাপ্তবয়স্ক। যদি সমাধান করা সম্ভব না হয় তবে আমি ব্যাপারটা দেখবো কিন্তু কেউ কখনো একে অপরের সাথে সাপে নেউলে যুদ্ধে লাগবে না।

নিজেদের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না হলে আমায় জানাবে কিন্তু সময় সুযোগ বুঝে। আমিও রক্তে মাংসে গড়া মানুষ।"

তারপর ভাবীকে উদ্দেশ্য করে বলে, "তুমি যথেষ্ট বড় হয়েছো৷ তোমার সংসারের সমস্যার সমাধান নিজে করবে। নিজে সমাধান করতে না পারলে আমি আছি তবে আমার সংসারে যেন বাহিরের কেউ হস্তক্ষেপ না করে।"

"আর মা তুমি, তুমি এই পরিবারের গুরুজন। আমার স্ত্রী কোনো ভুল করলে গুরুজন হিসেবে তোমার দায়িত্ব সেটা তাকে বুঝিয়ে শুধরে দেয়া নাকি তার নামে সালিশ বসানো। যদি তোমার পক্ষে সম্ভব না হয় তবে আমাকে বলবে আমার স্ত্রীর ত্রুটি আমি দেখবো তবে কেউ যেন কখনো আমার স্ত্রীর আত্মসম্মানে হানি না আনে সেটা খেয়াল রাখবে।"

এরপর থেকে আজ অব্দি কখনো ভাবী আর আম্মুর মধ্যে মনমালিন্য হতে খুব কম দেখেছি।

যেদিন আমার বিয়ে হয় তার আগেরদিন ভাইয়া আমাকে বলে, "যথেষ্ট বড় হয়েছিস। নিজের সংসার নিজে দেখে রাখবি। আমরা কখনো তোর সংসারে হস্তক্ষেপ করবো না আর না তো তুই তোর সংসারের ঝামেলা নিয়ে এখানে আসবি। তার মানে আবার এই না যে তোর পরিবার বলতে কেউ নেই। সেখানে যে মানুষটার ভরসায় থাকবি সে মানুষটা যদি ন্যায়ের পক্ষে থাকে তবে কখনো ঝামেলা করবি না।

যদি কখনো শুনি তবে ভুলে যাবি তোর কোনো ভাই ছিল। যদি সেই মানুষটা মেরুদণ্ডহীন পুরুষ হয় তবে তোর পরিবারকে তোর পাশে পাবি সেই নিশ্চয়তা দিতে পারবো।"

বিয়ের রাতে জানতে পেরেছিলাম ভাইয়া বিয়ে ঠিক হওয়ার পর উনাকে একদিন ডেকে পাঠিয়েছিল।

উনাকে বলেছেন, "সাংসারিক রাজনীতি সম্পর্কে জানো? এই সাংসারিক রাজনীতির আরম্ভ আর সমাপ্তি কিন্তু সেই সংসারের পুরুষের উপর নির্ভর করে। পুরুষ যদি মেরুদণ্ডহীন হয় তবে ধরে নাও সাংসারিক রাজনীতি শুরু আর পুরুষ যদি পুরুষের মতো হয় তবে এই সাংসারিক রাজনীতি কখনো এগোতে পারে না। আমার বোন যে কোনো ভুল করে না ব্যাপারটা এমন না। ভুল করলে তুমি তাকে বুঝাবে। তোমার পরিবারের কেউ ভুল করলে তাদেরকে বুঝাবে, তাদের ভুলের কারণে যেন আমার বোনকে বলির পাঠা হতে না হয়। স্ত্রীর সামনে কখনো মা বোনকে শাসন করবে না আর না তো মা বোনের সামনে স্ত্রীকে শাসন করবে। তবে সব দায়িত্ব তোমাকে দিয়ে দিচ্ছি বলে এটা ভেবো না তার কেউ নেই। যেদিন জানতে পারবো তোমার মেরুদণ্ডহীনতার কারণে আমার বোন কষ্টে আছে সেদিন ভুলে যাবো তুমি আমার বোনের জামাই।"

আজ প্রায় দশ বছর হয়ে গেছে আমাদের সংসারের। এই দশ বছরে কখনো সাংসারিক রাজনীতির সম্মুখীন হতে হয় নি আমায়। শ্বাশুড়ি হয়তো নিজের মেয়ের মতো ভাবেন না তবে ছেলের বউয়ের মর্যাদা ঠিকই দিয়েছেন।
সংগ্রহিত

আপনার কোন কপাল????
23/08/2025

আপনার কোন কপাল????

21/08/2025

তৃতীয় পর্ব

#অর্জুনের_আধ্যাত্মিক_অনুসন্ধান
দিনেশ কর্মকার

🔴 মৃত মানুষ স্বপ্নে আসার কারণ

শরতের এক নিস্তব্ধ সন্ধ্যায়, অর্জুন গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে বসে ছিলেন। আজ কয়েকদিন ধরেই একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা তার মনকে অশান্ত করে রেখেছে। গত সপ্তাহে তার প্রিয় দাদুর মৃত্যুর পর থেকে, অর্জুন প্রায় প্রতি রাতেই স্বপ্নে তাকে দেখতে পাচ্ছেন।

প্রথমে অর্জুন ভেবেছিলেন এটি হয়তো তার শোকের কারণে। কিন্তু বিষয়টি তার কাছে রহস্যজনক মনে হতে লাগল যখন তিনি দেখলেন যে স্বপ্নে দাদু তার সাথে কথা বলছেন, কখনো কিছু নির্দেশনা দিচ্ছেন, কখনো বা শুধু নীরবে তাকিয়ে আছেন। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, এমন কিছু মানুষকেও তিনি স্বপ্নে দেখেছেন যাদের কথা তিনি কখনো ভাবেনই না ।

অর্জুনের মনে প্রশ্ন জেগেছে - "এই সব স্বপ্নের কি কোনো আধ্যাত্মিক তাৎপর্য আছে? নাকি সবাই যেমন বলে, যার কথা বেশি ভাবা হয় সেই স্বপ্নে আসে? কিন্তু যাদের কথা ভাবি না, তারাও তো আসে! মৃত মানুষেরা কেন স্বপ্নে আসে? এর পেছনে কি কোনো গভীর কারণ আছে?"

এই প্রশ্নগুলি অর্জুনের মনে এতটাই গভীরভাবে গেঁথে গিয়েছিল যে তার ধ্যান-ধারণা, এমনকি দৈনন্দিন কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটতে শুরু করেছিল। তিনি বুঝতে পারছিলেন যে এই প্রশ্নের উত্তর তার একার পক্ষে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।

অর্জুন স্থির করলেন আবার তার গুরুদেবের কাছে যাবেন। গুরুদেব তার তপস্যার গুণে তিনি ত্রিকালদর্শী হয়েছেন এবং স্বপ্নলোকের গভীর তত্ত্ব সম্পর্কে অবগত।

পরদিন ভোরে অর্জুন তার গুরুদেবের আশ্রমের দিকে রওনা দিলেন। পথে চলতে চলতে তার মনে গত রাতের স্বপ্নের কথা ভেসে উঠল। স্বপ্নে তিনি দেখেছিলেন তার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়, যিনি কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছিলেন এবং যার কথা অর্জুন বছরের পর বছর ভাবেনই নি। কিন্তু স্বপ্নে সেই ব্যক্তি তার কাছে এসে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছিলেন।

অর্জুন আশ্রমের প্রবেশদ্বারে পৌঁছে প্রণাম করলেন। গুরুদেব তখন তার ধ্যানমন্দিরে বসে অগ্নিহোত্র সম্পন্ন করছিলেন। তার মুখমণ্ডলে এক অপার্থিব প্রশান্তি, যেন সমস্ত জগতের জ্ঞান তার মধ্যে সঞ্চিত।

হোমাগ্নি নিভে যাওয়ার পর গুরুদেব অর্জুনকে দেখতে পেলেন। তিনি স্নেহভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন, "এসো বৎস অর্জুন। তোমার মুখে একটা অস্থিরতা দেখছি। মনে হচ্ছে আবার কোনো গভীর প্রশ্ন তোমাকে পীড়িত করছে। বলো, কী জানতে চাও?"

অর্জুন গুরুদেবের চরণে প্রণাম জানিয়ে বললেন, "গুরুদেব, আপনার কৃপায় আমি শাস্ত্রাধ্যয়ন করেছি, কিন্তু একটি বিষয় আমার মনে প্রশ্ন জাগিয়েছে যার উত্তর আমি খুঁজে পাচ্ছি না।"

"বলো বৎস, কী সেই প্রশ্ন?" গুরুদেব ধৈর্য সহকারে জিজ্ঞেস করলেন।

অর্জুন গভীর শ্বাস নিয়ে বললেন, "গুরুদেব, গত কয়েকদিন ধরে আমি প্রায় প্রতিদিন স্বপ্নে মৃত মানুষদের দেখছি। কখনো আমার দাদুকে, কখনো অন্য আত্মীয়-স্বজনদের, এমনকি এমন কিছু মানুষকেও যাদের কথা আমি কখনোই ভাবিই না। আমার মনে প্রশ্ন - এর কি কোনো আধ্যাত্মিক তাৎপর্য আছে? নাকি এটি শুধুই মনের ভুল? সবাই বলে যার কথা বেশি ভাবা হয় সেই স্বপ্নে আসে, কিন্তু তাহলে যাদের কথা ভাবি না তারা কেন আসে?"

গুরুদেব অর্জুনের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। তারপর একটি গভীর হাসি দিয়ে বললেন, "অর্জুন, তুমি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং রহস্যময় প্রশ্ন তুলেছ। স্বপ্নে মৃত মানুষদের দেখা কোনো সাধারণ বিষয় নয়। এর সাথে জড়িয়ে আছে আত্মা, সূক্ষ্ম জগৎ, এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের গভীর রহস্য।"

"এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে স্বপ্ন কী, আত্মার প্রকৃতি কী, এবং মৃত্যুর পর আত্মার কী অবস্থা হয়। তুমি কি প্রস্তুত এই গভীর সমুদ্রে ডুব দিতে?"

অর্জুন আগ্রহী হয়ে বললেন, "হ্যাঁ গুরুদেব, আমি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। অনুগ্রহ করে আমাকে এই রহস্যের সমাধান দিন।"

গুরুদেব একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলতে শুরু করলেন:

"বৎস অর্জুন, প্রথমেই তোমাকে স্বপ্নের প্রকৃত স্বরূপ বুঝতে হবে। উপনিষদে বলা হয়েছে যে মানুষের চার ধরনের চেতনা অবস্থা রয়েছে:

১. জাগ্রত অবস্থা (জাগরণ) - যখন আমরা জেগে থাকি
২. স্বপ্ন অবস্থা (স্বপ্ন) - যখন আমরা ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখি
৩. গভীর নিদ্রা অবস্থা (সুষুপ্তি) - যখন আমরা নিদ্রাভিভূত থাকি
৪. তুরীয় অবস্থা (তুরীয়) - যা অতীন্দ্রিয় চেতনার অবস্থা

এই চারটি অবস্থার মধ্যে স্বপ্ন অবস্থাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই অবস্থায় আত্মা সূক্ষ্ম জগতের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।"

"কিন্তু গুরুদেব," অর্জুন জিজ্ঞেস করলেন, "স্বপ্ন কি শুধুই মনের কল্পনা নয়?"

গুরুদেব মৃদু হেসে বললেন, "না বৎস। স্বপ্ন শুধু মনের কল্পনা নয়। উপনিষদে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে স্বপ্ন অবস্থায় আত্মা 'তৈজস' নামে পরিচিত হয়। এই অবস্থায় আত্মা স্থূল জগত থেকে মুক্ত হয়ে সূক্ষ্ম জগতে বিচরণ করে।

স্বপ্নে তিন ধরনের অভিজ্ঞতা হয়:

১. স্মৃতিজাত স্বপ্ন: দিনের অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি
২. কল্পনাজাত স্বপ্ন: মনের ইচ্ছা বা ভয়ের প্রকাশ
৩. দিব্য স্বপ্ন: যেখানে আত্মা সূক্ষ্ম জগতের সাথে প্রকৃত যোগাযোগ করে

মৃত মানুষদের দেখা সাধারণত তৃতীয় প্রকারের অন্তর্ভুক্ত।"

অর্জুন আরও জানতে চাইলেন, "তাহলে কি মৃত মানুষেরা সত্যিই স্বপ্নে আমাদের কাছে আসেন?"

"হ্যাঁ বৎস," গুরুদেব নিশ্চিত ভাবে বললেন। "গরুড় পুরাণে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে মৃত্যুর পর আত্মা সাথে সাথে পরলোকে চলে যায় না। বিশেষ করে মৃত্যুর প্রথম ১৩ দিন পর্যন্ত আত্মা তার প্রিয়জনদের আশেপাশেই থাকে।

এই সময়ে আত্মা তার প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করতে চায়। কিন্তু জাগ্রত অবস্থায় এই যোগাযোগ সম্ভব নয়, কারণ স্থূল ইন্দ্রিয়গুলি সূক্ষ্ম জগতের সংকেত গ্রহণ করতে পারে না। তাই স্বপ্ন অবস্থায়, যখন স্থূল ইন্দ্রিয়গুলি নিষ্ক্রিয় থাকে, তখন এই যোগাযোগ সম্ভব হয়।"

---

"এবার আমি তোমাকে মৃত্যুর পর আত্মার গতি সম্পর্কে বলি," গুরুদেব বললেন।

মৃত্যুর পর আত্মার যাত্রা নির্ভর করে তার কৃত কর্মের উপর। গরুড় পুরাণ অনুসারে:

প্রথম ১৩ দিন: আত্মা পার্থিব জগতেই থাকে, তার পরিবার ও প্রিয়জনদের কাছাকাছি। এই সময়ে শ্রাদ্ধ ও পিণ্ডদানের মাধ্যমে আত্মার শান্তি বিধান করা হয়।

১৩ দিন পর: আত্মা পিতৃলোকে গমন করে। পিতৃলোক হল স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি একটি স্থান, যেখানে ধর্মরাজ যম অবস্থান করেন।

কর্মফল ভোগের পর: আত্মা হয় স্বর্গে যায়, নয় নরকে, অথবা পুনর্জন্ম গ্রহণ করে।

কিন্তু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে আত্মা এই স্বাভাবিক গতিপথ অনুসরণ করে না।"

"কোন ক্ষেত্রে?" অর্জুন কৌতূহলের সাথে জিজ্ঞেস করলেন।

গুরুদেব ব্যাখ্যা করলেন: "যখন:

১. অকাল মৃত্যু হয় - দুর্ঘটনা, হত্যা, আত্মহত্যা ইত্যাদির মাধ্যমে
২. তীব্র আসক্তি থাকে - পরিবার, সম্পত্তি বা জাগতিক বিষয়ে
৩. অসম্পূর্ণ ইচ্ছা থাকে - যা পূরণ না হওয়ায় মন অশান্ত
৪. অন্তিম ক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন না হয় - শ্রাদ্ধ, পিণ্ডদান ইত্যাদি

এই সব ক্ষেত্রে আত্মা 'ভূতপ্রেত' অবস্থায় থেকে যায় এবং প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।"

অর্জুন চিন্তিত হয়ে বললেন, "তাহলে কি এই আত্মারা কষ্ট পায়?"

"হ্যাঁ বৎস," গুরুদেব সহানুভূতির সাথে বললেন। "এই অবস্থায় আত্মা অনেক কষ্ট পায়। তারা চায় তাদের প্রিয়জনরা তাদের অবস্থা বুঝুক এবং সাহায্য করুক। এই কারণেই তারা স্বপ্নে আসে।"

"এবার আমি তোমাকে স্বপ্নে মৃত ব্যক্তিদের আসার মূল কারণগুলি বিস্তারিতভাবে বলি," গুরুদেব বললেন।

"প্রথম কারণ: সংবাদ দেওয়া

মৃত আত্মারা অনেক সময় স্বপ্নে এসে তাদের অবস্থা সম্পর্কে সংবাদ দেয়। তারা জানাতে চায় যে তারা কোথায় আছে, কেমন আছে। যদি তারা কষ্টে থাকে, তাহলে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে।

দ্বিতীয় কারণ: অসম্পূর্ণ কাজ

অনেক সময় মৃত ব্যক্তির কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তারা স্বপ্নে এসে পরিবারের সদস্যদের সেই কাজ সম্পন্ন করতে বলে।

তৃতীয় কারণ: ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রয়োজন

যদি তাদের জন্য যথাযথ শ্রাদ্ধ, পিণ্ডদান বা অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান না হয়ে থাকে, তাহলে তারা স্বপ্নে এসে এর জন্য অনুরোধ করে।

চতুর্থ কারণ: সতর্কবার্তা

কখনো কখনো মৃত আত্মারা ভবিষ্যতের কোনো বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করতে আসে। তাদের সূক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে তারা এমন কিছু দেখতে পায় যা জীবিতরা দেখতে পায় না।

পঞ্চম কারণ: আশীর্বাদ দান

যে আত্মারা উচ্চতর লোকে অবস্থান করছে, তারা প্রিয়জনদের আশীর্বাদ দিতে স্বপ্নে আসে।

ষষ্ঠ কারণ: প্রেমের বন্ধন

প্রেম ও ভালোবাসার বন্ধন মৃত্যুতেও শেষ হয় না। প্রিয়জনদের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকলে আত্মা বারবার স্বপ্নে এসে দর্শন দেয়।"

অর্জুন জিজ্ঞেস করলেন, "কিন্তু গুরুদেব, যাদের কথা আমরা ভাবি না, তারাও তো স্বপ্নে আসে। এর কারণ কী?"

গুরুদেব হেসে বললেন, "চমৎকার প্রশ্ন বৎস। এর পেছনে কয়েকটি কারণ আছে:

১. কর্মের বন্ধন: যদি তোমার সাথে সেই ব্যক্তির কোনো অতীত জন্মের কর্মের সম্পর্ক থাকে, তাহলে সে স্বপ্নে আসতে পারে।

২. সূক্ষ্ম আকর্ষণ: হয়তো তুমি তার কথা সচেতনভাবে ভাবো না, কিন্তু অবচেতন মনে কোনো সূক্ষ্ম আকর্ষণ বা টান আছে।

৩. গোষ্ঠীগত সংযোগ: একই পরিবার, গোত্র বা আধ্যাত্মিক গোষ্ঠীর আত্মারা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে।

৪. আত্মার প্রয়োজন: হয়তো সেই আত্মার কোনো বিশেষ প্রয়োজন আছে এবং তুমিই একমাত্র ব্যক্তি যে তাকে সাহায্য করতে পারো।"

গুরুদেব আরও বিস্তারিতভাবে বলতে লাগলেন: "বৎস, মৃত ব্যক্তিদের সাথে স্বপ্নে দেখা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রতিটির আলাদা অর্থ আছে:

১. মৃত ব্যক্তি হাসিমুখে দেখা দেওয়া:
এর অর্থ সেই আত্মা ভালো অবস্থায় আছে। তারা তোমাকে জানাতে চায় যে তারা শান্তিতে আছে এবং তোমরা তাদের নিয়ে চিন্তা কোরো না।

২. মৃত ব্যক্তি দুঃখিত বা কাঁদতে দেখা:
এর অর্থ সেই আত্মা কোনো কষ্টে আছে। হয়তো তাদের জন্য যথাযথ ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়নি, অথবা তারা কোনো অসম্পূর্ণ কাজের জন্য অশান্ত।

৩. মৃত ব্যক্তি কিছু দিতে চাওয়া:
যদি কোনো মৃত ব্যক্তি স্বপ্নে তোমাকে কিছু দিতে চায়, তাহলে সেটা গ্রহণ করো না। এর অর্থ তারা তোমাকে তাদের সাথে নিয়ে যেতে চায়, যা তোমার জন্য বিপজ্জনক।

৪. মৃত ব্যক্তি তোমার কাছে কিছু চাওয়া:
এর অর্থ তাদের কোনো প্রয়োজন আছে। হয়তো তাদের জন্য দান-ধ্যান, শ্রাদ্ধ বা কোনো ধর্মীয় কাজ করতে হবে।

৫. মৃত ব্যক্তি তোমাকে ডাকা:
এটি একটি সতর্কবার্তা। হয়তো তোমার কোনো বিপদ আসছে, অথবা তোমার স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

৬. মৃত ব্যক্তি কোনো স্থানের কথা বলা:
এর অর্থ সেই স্থানে তাদের কোনো লুকানো সম্পদ বা গুরুত্বপূর্ণ কিছু আছে।

৭. মৃত ব্যক্তি রাগান্বিত দেখানো:
এর অর্থ পরিবারে কোনো অন্যায় কাজ হচ্ছে যা তাদের আত্মাকে কষ্ট দিচ্ছে।"

অর্জুন আগ্রহ সহকারে জিজ্ঞেস করলেন, "গুরুদেব, এই সব স্বপ্নের সত্যতা কতটুকু? এগুলো কি সত্যিই ঘটে?"

গুরুদেব গম্ভীর হয়ে বললেন, "বৎস, স্বপ্নে মৃত ব্যক্তিদের দেখা অত্যন্ত সত্য অভিজ্ঞতা। ইবন সিরিন, যিনি স্বপ্ন ব্যাখ্যার একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন, তিনি বলেছেন যে মৃত ব্যক্তিরা এমন জগতে অবস্থান করে যেখানে সত্য ছাড়া আর কিছু নেই। তাই তারা যা বলে, তা সত্য।

আমাদের শাস্ত্রেও একই কথা বলা হয়েছে। গরুড় পুরাণে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে মৃত আত্মাদের স্বপ্নে দেখা একটি প্রকৃত আধ্যাত্মিক ঘটনা।"

---

"অর্জুন, এবার আমি তোমাকে স্বপ্নের বৈজ্ঞানিক ও আধ্যাত্মিক দিক দুটোই বুঝিয়ে বলি।

আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ:

আমাদের শাস্ত্র অনুসারে, মানুষের তিনটি শরীর আছে:

১. স্থূল শরীর (স্থূল দেহ): যা আমরা দেখি এবং স্পর্শ করি
২. সূক্ষ্ম শরীর (লিঙ্গ দেহ): যার মধ্যে প্রাণ, মন, বুদ্ধি আছে
৩. কারণ শরীর (কারণ দেহ): যা অজ্ঞানতা ও সংস্কারের আধার

মৃত্যুর সময় শুধু স্থূল শরীর ত্যাগ করা হয়। সূক্ষ্ম ও কারণ শরীর আত্মার সাথে থেকে যায়। এই সূক্ষ্ম শরীরের মাধ্যমেই আত্মা স্বপ্নে যোগাযোগ করে।

স্বপ্ন অবস্থায় আমাদের আত্মাও সূক্ষ্ম শরীর নিয়ে কাজ করে। তাই দুই সূক্ষ্ম শরীরের মধ্যে যোগাযোগ সম্ভব হয়।

মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ:

আধুনিক মনোবিজ্ঞানও স্বীকার করে যে স্বপ্নে মৃত ব্যক্তিদের দেখার কিছু কারণ আছে:

১. অবচেতন মনের প্রভাব: যাদের সাথে আমাদের গভীর সম্পর্ক ছিল, তাদের স্মৃতি অবচেতন মনে থেকে যায়।

২. অসম্পূর্ণ শোকপ্রক্রিয়া: যদি কারো মৃত্যুর শোক সম্পূর্ণভাবে সামলানো না হয়, তাহলে তারা স্বপ্নে আসতে পারে।

৩. অপরাধবোধ: যদি মৃত ব্যক্তির প্রতি কোনো অপরাধবোধ থাকে, তাহলে তা স্বপ্নে প্রকাশ পায়।

কিন্তু এই মনোবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যাদের কথা আমরা ভাবি না বা যাদের সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল না, তারাও স্বপ্নে আসে - এর জন্য আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যাই সঠিক।"

অর্জুন বললেন, "গুরুদেব, তাহলে কীভাবে বুঝব যে কোন স্বপ্ন সত্যিকারের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা আর কোনটি শুধু মনের কল্পনা?"

"উত্তম প্রশ্ন বৎস," গুরুদেব প্রশংসা করে বললেন। "এর কয়েকটি লক্ষণ আছে:

প্রকৃত আধ্যাত্মিক স্বপ্নের লক্ষণ:

১. স্পষ্টতা: স্বপ্নটি অত্যন্ত স্পষ্ট ও জীবন্ত হবে
২. স্থায়িত্ব: স্বপ্নটি দীর্ঘদিন মনে থাকবে
৩. পুনরাবৃত্তি: একই ধরনের স্বপ্ন বারবার আসবে
৪. বার্তা: স্বপ্নে কোনো সুনির্দিষ্ট বার্তা বা নির্দেশনা থাকবে
৫. অনুভূতি: জাগার পর একটি অদ্ভুত শান্তি বা অস্থিরতা অনুভব হবে
৬. বাস্তবতা: স্বপ্নের কোনো অংশ বাস্তবে ঘটবে"

---

গুরুদেব আরও বললেন, "বৎস, আমাদের শাস্ত্রে 'স্বপ্নাদিষ্ট' শব্দটি আছে, যার অর্থ 'স্বপ্নের মাধ্যমে নির্দেশিত'। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ স্বপ্নের নির্দেশনা অনুসারে করা হয়েছে।

যেমন:
বহু মন্দির স্বপ্নের নির্দেশে নির্মিত হয়েছে
অনেক তীর্থযাত্রা স্বপ্নের আদেশে সম্পন্ন হয়েছে
গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ স্বপ্নের প্রেরণায় রচিত হয়েছে

অর্জুন এবার জানতে চাইলেন, "গুরুদেব, যদি স্বপ্নে কোনো মৃত ব্যক্তি কষ্টে থাকা অবস্থায় দেখা দেয়, তাহলে আমরা তাদের কীভাবে সাহায্য করতে পারি?"

গুরুদেব সন্তুষ্ট হয়ে বললেন, "অসাধারণ প্রশ্ন বৎস। এর জন্য শাস্ত্রে বিভিন্ন উপায় বর্ণিত আছে:

১. শ্রাদ্ধ ও পিণ্ডদান:
এটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপায়। শ্রাদ্ধের মাধ্যমে মৃত আত্মার জন্য অন্ন, জল ও অন্যান্য উপকরণ নিবেদন করা হয়। এতে আত্মার তৃপ্তি হয় এবং তারা শান্তি পায়।

২. নারায়ণ বালি
যারা অকাল মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের জন্য বিশেষভাবে নারায়ণ বালি করা হয়। এটি গরুড় পুরাণে বর্ণিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠান।

৩. তর্পণ:
জলতর্পণের মাধ্যমে মৃত আত্মাদের তৃপ্তি দান করা হয়। এতে তিল, যব এবং জল ব্যবহার করা হয়।

৪. দান-ধ্যান:
মৃত ব্যক্তির নামে দান-ধ্যান করলে তাদের পুণ্য হয় এবং তারা উন্নত লোকে গমন করতে পারে।

৫. গীতা পাঠ:
ভগবদ্গীতা বা অন্যান্য পবিত্র গ্রন্থ পাঠ করে তার ফল মৃত আত্মার নামে নিবেদন করা।

৬. যজ্ঞ-হোম:
বিশেষ যজ্ঞ বা হোম করে মৃত আত্মার কল্যাণ কামনা করা।

৭. তীর্থযাত্রা:
মৃত ব্যক্তির নামে তীর্থযাত্রা করে সেই পুণ্যফল তাদের উদ্দেশে নিবেদন করা।

৮. মন্ত্রজপ:
'ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায়' বা 'ওঁ নমঃ শিবায়' এর মতো মন্ত্রজপ করে মৃত আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করা।"

অর্জুন আরও জানতে চাইলেন, "এই সব উপায়ের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে কার্যকর?"

গুরুদেব বললেন, "বৎস, সবচেয়ে কার্যকর হল ভক্তিপূর্ণ মনোভাব নিয়ে যেকোনো অনুষ্ঠান করা। যদি তোমার হৃদয়ে সত্যিকারের ভালোবাসা ও করুণা থাকে, তাহলে সাধারণ প্রার্থনাও অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

গীতায় ভগবান বলেছেন:

'যো মাং স্মরতি নিত্যং সর্বভাবেন ভারত।
তস্যাহং সুলভঃ পার্থ নিত্যাযুক্তস্য যোগিনঃ।।'

অর্থাৎ যে ব্যক্তি সর্বভাবে আমাকে স্মরণ করে, আমি তার কাছে সহজলভ্য।

তুমি যদি প্রকৃত ভক্তিভাবে ভগবানের কাছে মৃত আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করো, তাহলে ভগবান অবশ্যই তা শুনবেন।"

---

"এতক্ষণ আমি যে বিষয়গুলি বলেছি, তা শুনে তোমার মনে হতে পারে যে স্বপ্নে মৃত ব্যক্তিদের দেখা একটি নেতিবাচক বিষয়," গুরুদেব বললেন। "কিন্তু বাস্তবে এর অনেক ইতিবাচক দিকও আছে।

১. আধ্যাত্মিক সংযোগ:
স্বপ্নে মৃত প্রিয়জনদের দেখা প্রমাণ করে যে মৃত্যু জীবনের শেষ নয়, বরং একটি রূপান্তর। এটি আমাদের আত্মার অমরত্বে বিশ্বাস দৃঢ় করে।

২. নির্দেশনা লাভ:
অনেক সময় মৃত ব্যক্তিরা স্বপ্নে এসে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়। তারা জীবনের কঠিন সময়ে সঠিক পথ দেখায়।

৩. সান্ত্বনা:
প্রিয়জনের মৃত্যুর পর স্বপ্নে তাদের দেখা পরিবারের সদস্যদের মানসিক সান্ত্বনা দেয়। এটি শোকপ্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।

৪. সতর্কবাণী:
কখনো কখনো মৃত আত্মারা ভবিষ্যতের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে। এভাবে তারা প্রিয়জনদের রক্ষা করার চেষ্টা করে।

৫. আশীর্বাদ:
যে আত্মারা উচ্চতর লোকে অবস্থান করছে, তারা প্রিয়জনদের আশীর্বাদ দেয় এবং তাদের মঙ্গল কামনা করে।

৬. কর্মের শুদ্ধি:
মৃত ব্যক্তিদের জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার মাধ্যমে আমাদের নিজেদের কর্মেরও শুদ্ধি হয়।

৭. পারিবারিক বন্ধন:
এর মাধ্যমে পারিবারিক বন্ধন আরও দৃঢ় হয় এবং পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি পায়।"

অর্জুন বললেন, "গুরুদেব, তাহলে স্বপ্নে মৃত ব্যক্তিদের দেখাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই?"

"অবশ্যই নেই বৎস," গুরুদেব নিশ্চিত ভাবে বললেন। "বরং এটিকে একটি বিশেষ আশীর্বাদ মনে করো। সবার ভাগ্যে এই অভিজ্ঞতা হয় না। যাদের আধ্যাত্মিক সংবেদনশীলতা আছে, শুধু তারাই এই ধরনের স্বপ্ন দেখতে পায়।

তবে হ্যাঁ, যদি স্বপ্নে কোনো মৃত ব্যক্তি তোমাকে তাদের সাথে আসতে বলে বা কোনো খাবার দিতে চায়, তাহলে সেটা গ্রহণ কোরো না। নম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করো এবং তাদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করো।"

"অর্জুন, এখন আমি তোমাকে বিভিন্ন ধরনের স্বপ্ন ও তাদের ব্যাখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত বলব:

স্বপ্নের বিভিন্ন ধরন ও ব্যাখ্যা:

১. পূর্বপুরুষদের সাথে ভোজন:
যদি স্বপ্নে দেখো যে তুমি মৃত পূর্বপুরুষদের সাথে খাবার খাচ্ছো, তাহলে বুঝতে হবে যে পিতৃপক্ষে বিশেষ শ্রাদ্ধ করা প্রয়োজন।

২. মৃত ব্যক্তি নতুন কাপড় পরে আছে:
এর অর্থ সেই আত্মা ভালো অবস্থায় আছে এবং উন্নত লোকে গমন করেছে।

৩. মৃত ব্যক্তি পুরানো বা ছেঁড়া কাপড়ে আছে:
এর অর্থ আত্মা কষ্টে আছে এবং তাদের জন্য দান-ধ্যান বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন।

৪. মৃত ব্যক্তি ক্ষুধার্ত বা তৃষ্ণার্ত:
এর অর্থ তাদের জন্য অন্নদান বা জলদান করতে হবে।

৫. মৃত ব্যক্তি কোনো মন্দির বা পবিত্র স্থানে:
এর অর্থ তারা ভালো অবস্থায় আছে এবং ধর্মের পথে এগিয়ে চলেছে।

৬. মৃত ব্যক্তি অন্ধকারে বা ভয়ানক জায়গায়:
এর অর্থ তারা নিম্ন লোকে আছে এবং তাদের উদ্ধারের জন্য বিশেষ পূজা-অর্চনা করতে হবে।

প্রতিটি ধরনের স্বপ্নের জন্য আলাদা সমাধান আছে:

সাধারণ সমাধান:
নিয়মিত সন্ধ্যায় দীপ জ্বালিয়ে পূর্বপুরুষদের স্মরণ করা
তুলসী পাতা দিয়ে জল অর্পণ করা
গঙ্গাজলে তিল মিশিয়ে তর্পণ করা

বিশেষ সমাধান:
মহালয়ার দিন বিশেষ শ্রাদ্ধ করা
গয়াধামে পিণ্ডদান করা
ব্রাহ্মণ ভোজন করানো
গোদান করা"

অর্জুন জিজ্ঞেস করলেন, "গুরুদেব, যদি কেউ এই সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে না পারে, তাহলে কী করবে?"

গুরুদেব উদার মনে বললেন, "বৎস, ভগবান ভক্তির মূল্য দেন, অর্থের নয়। যদি তোমার আর্থিক সামর্থ্য না থাকে, তাহলে:

সাধারণ জল দিয়ে তর্পণ করো
মানসিকভাবে অন্ন নিবেদন করো
হৃদয় থেকে প্রার্থনা করো
ভগবানের নাম জপ করে সেই ফল মৃত আত্মার উদ্দেশে দান করো

গীতায় ভগবান বলেছেন:
'পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রয়চ্ছতি।
তদহং ভক্ত্যুপহৃতমশ্নামি প্রয়তাত্মনঃ।।'

অর্থাৎ যে ব্যক্তি ভক্তিভরে একটি পাতা, ফুল, ফল বা জল নিবেদন করে, আমি তা গ্রহণ করি।

সুতরাং তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারো তাই করো, কিন্তু ভক্তিভাব যেন কমে না যায়।"

---

"অর্জুন, কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে স্বপ্নে মৃত ব্যক্তিদের দেখার আলাদা তাৎপর্য আছে:

১. গর্ভবতী মহিলার স্বপ্ন:
যদি কোনো গর্ভবতী মহিলা স্বপ্নে মৃত ব্যক্তি দেখে, তাহলে এর অর্থ হতে পারে যে সেই আত্মা তার গর্ভে পুনর্জন্ম নিতে চায়। এক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

২. শিশুদের স্বপ্ন:
ছোট শিশুরা যদি মৃত ব্যক্তি দেখে, তাহলে এটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ শিশুদের মন নির্মল থাকে এবং তারা সূক্ষ্ম জগতের সংকেত সহজে গ্রহণ করতে পারে।

৩. অসুস্থ ব্যক্তির স্বপ্ন:
যদি কোনো অসুস্থ ব্যক্তি স্বপ্নে মৃত আত্মীয়দের দেখে এবং তারা তাকে ডাকতে থাকে, তাহলে এটি একটি সতর্কবার্তা। এক্ষেত্রে বিশেষ চিকিৎসা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রয়োজন।

৪. সাধকদের স্বপ্ন:
যারা আধ্যাত্মিক সাধনায় রত, তাদের স্বপ্নে মৃত মহাত্মারা এসে দীক্ষা বা উপদেশ দিতে পারেন। এটি একটি বিশেষ আশীর্বাদ।

৫. পূর্ণিমা ও অমাবস্যার স্বপ্ন:
এই বিশেষ তিথিগুলিতে দেখা স্বপ্ন অধিক তাৎপর্যপূর্ণ হয়, কারণ এসময় সূক্ষ্ম জগতের কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়।"

গুরুদেব আরও বললেন, "বৎস, কিছু স্বপ্ন এমন আছে যা অত্যন্ত শুভ:

শুভ স্বপ্নের উদাহরণ:
১. মৃত গুরু বা পিতা-মাতার আশীর্বাদ: এর অর্থ জীবনে সাফল্য আসছে
২. মৃত ব্যক্তি প্রসাদ বিতরণ: এর অর্থ আর্থিক লাভ হবে
৩. মৃত ব্যক্তি পূজা-অর্চনা: এর অর্থ পারিবারিক কল্যাণ
৪. মৃত ব্যক্তি মন্ত্র জপ: এর অর্থ আধ্যাত্মিক উন্নতি ।

যদি কোনো অশুভ স্বপ্ন দেখো, তাহলে:
জেগে উঠেই হনুমান চালিসা পাঠ করো
গঙ্গাজল ছিটিয়ে ঘর পরিষ্কার করো
তুলসী মালা জপ করো
মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করো

'ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান্মৃত্যোর্মুক্ষীয় মামৃতাৎ।।'"

---

অর্জুন একটি চিন্তিত প্রশ্ন তুললেন: "গুরুদেব, আধুনিক যুগে মানুষ এই সব বিষয়ে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। তারা বলে এগুলো কুসংস্কার। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?"

গুরুদেব গভীর চিন্তায় কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর বললেন:

"বৎস, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আধুনিক বিজ্ঞান অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে, কিন্তু চেতনা ও আত্মার বিষয়ে এখনও অনেক রহস্য রয়ে গেছে।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ:
আধুনিক কোয়ান্টাম ফিজিক্স প্রমাণ করেছে যে এই মহাবিশ্বে অনেক কিছুই আছে যা আমাদের স্থূল ইন্দ্রিয়ে ধরা পড়ে না।

সুবিখ্যাত বিজ্ঞানী ডক্টর ইয়ান স্টিভেনসন পুনর্জন্ম নিয়ে ৪০ বছর গবেষণা করেছেন এবং প্রমাণ করেছেন যে চেতনা দেহের মৃত্যুর পরও টিকে থাকে।

অনেক চিকিৎসক এবং মনোবিজ্ঞানী 'Near Death Experience' নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন যে মৃত্যুর সময় রোগীরা এমন সব বিষয় দেখে যা স্থূল ইন্দ্রিয় দিয়ে দেখা সম্ভব নয়।

আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ:
আমাদের শাস্ত্র হাজার হাজার বছর আগেই এই সব সত্য উদ্ঘাটন করেছে। আধুনিক বিজ্ঞান ধীরে ধীরে সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।

সব কিছুকেই কুসংস্কার বলা যায় না। যুক্তিসংগত বিশ্লেষণ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিচার করতে হবে।

যেমন:
কুসংস্কার: ভূত-প্রেতের ভয়ে অহেতুক আতঙ্কিত হওয়া
সত্য: স্বপ্নে মৃত ব্যক্তিদের দেখা এবং তাদের সাহায্য করার চেষ্টা

আধুনিক যুগেও এই জ্ঞান অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক:

১. মানসিক স্বাস্থ্য: প্রিয়জনের মৃত্যুর পর স্বপ্নে তাদের দেখা মানসিক সান্ত্বনা দেয়
২. পারিবারিক বন্ধন: পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা পারিবারিক ঐক্য বৃদ্ধি করে
৩. নৈতিক মূল্যবোধ: কর্মফলের বিশ্বাস মানুষকে সৎ পথে রাখে
৪. আধ্যাত্মিক বিকাশ: এই বিশ্বাস আধ্যাত্মিক অগ্রগতিতে সাহায্য করে"

অর্জুন বললেন, "তাহলে কি আমরা অন্ধভাবে সব কিছু বিশ্বাস করব?"

"অবশ্যই না বৎস," গুরুদেব জোর দিয়ে বললেন। "বুদ্ধি ও বিবেক দিয়ে বিচার করতে হবে। কিন্তু সেই সাথে খোলা মন রাখতে হবে। যা প্রমাণিত সত্য এবং যুগ যুগ ধরে কার্যকর, সেটাকে শুধু 'আধুনিক' হওয়ার নামে বর্জন করা উচিত নয়।"

---

"বৎস, এখন আমি তোমাকে দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে এই জ্ঞান প্রয়োগ করতে হবে, তা বলছি:

সকালে:
উঠেই পিতৃ-মাতৃ এবং পূর্বপুরুষদের প্রণাম করো
তুলসী গাছে জল দিয়ে তাদের শান্তির জন্য প্রার্থনা করো

সন্ধ্যায়:
বাড়িতে দীপ জ্বালিয়ে পূর্বপুরুষদের স্মরণ করো
অন্তত ১০৮ বার কোনো মন্ত্র জপ করে তার ফল তাদের উদ্দেশে নিবেদন করো

রাতে:
ঘুমানোর আগে স্বপ্নে যদি কোনো মৃত ব্যক্তি আসে তাহলে যেন তাদের সাহায্য করতে পারো, সেই প্রার্থনা করো

---

"অর্জুন, অনেক সময় আমরা গুরুত্বপূর্ণ স্বপ্ন দেখি কিন্তু জেগে উঠলে ভুলে যাই। এর জন্য কিছু উপায় আছে:

স্বপ্ন স্মরণের উপায়:

১. ঘুমানোর আগে সংকল্প: ঘুমানোর আগে মনে মনে বলো যে তুমি স্বপ্ন মনে রাখতে চাও

২. জেগে উঠেই নড়বে না: চোখ খোলার সাথে সাথেই স্বপ্ন মনে করার চেষ্টা করো, নড়াচড়া করো না

৩. সাথে সাথে লিখে রাখো: বিছানার পাশে কাগজ-কলম রেখে দাও এবং স্বপ্নের সাথে সাথেই লিখে ফেলো

গুরুদেব আরও বললেন, "বৎস, কিছু বিশেষ স্বপ্ন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি রাখে:

জরুরী স্বপ্নের লক্ষণ:

১. তিনবার একই স্বপ্ন: যদি তিনদিনের মধ্যে একই স্বপ্ন তিনবার দেখো
২. স্পষ্ট নির্দেশনা: যদি স্বপ্নে সুস্পষ্ট কোনো কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়
৩. তীব্র অনুভূতি: যদি জেগে উঠলেও স্বপ্নের প্রভাব থেকে যায়
৪. সতর্কবার্তা: যদি কোনো বিপদের ইঙ্গিত থাকে

অর্জুন জিজ্ঞেস করলেন, "গুরুদেব, কিন্তু অনেকে তো এই সব বিষয়কে ভয় পায়। তাদের জন্য কী উপদেশ?"

গুরুদেব সহানুভূতির সাথে বললেন, "বৎস, ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ভয়ের কারণ হল অজ্ঞতা। যখন মানুষ সত্য জানে, তখন ভয় চলে যায়।

ভয় দূর করার উপায়:

১. সঠিক জ্ঞান অর্জন: স্বপ্ন ও মৃত আত্মা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করো
২. আধ্যাত্মিক সুরক্ষা: নিয়মিত প্রার্থনা ও মন্ত্রজপ করো
৩. ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি: মৃত প্রিয়জনদের শত্রু নয়, বন্ধু মনে করো
৪. সৎসঙ্গ: জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাহচর্য লাভ করো
৫. ধর্মীয় অনুশীলন: নিয়মিত পূজা-অর্চনা ও সেবাকর্ম করো

মনে রাখবে, প্রেম ভয়কে জয় করে। যদি তুমি মৃত প্রিয়জনদের প্রেম ও করুণার দৃষ্টিতে দেখো, তাহলে ভয় এমনিতেই চলে যাবে।"

গুরুদেব স্নেহের সাথে অর্জুনের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন:

"ওঁ সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ, সর্বে সন্তু নিরাময়াঃ।
সর্বে ভদ্রাণি পশ্যন্তু, মা কশ্চিৎ দুঃখভাগ্ভবেৎ।।

সবাই যেন সুখী হয়, সবাই যেন নিরোগ থাকে, সবাই যেন কল্যাণ দেখতে পায়, কেউ যেন দুঃখভোগ না করে।

বৎস, তুমি এই জ্ঞানের একজন বাহক হয়ে উঠো। যেখানেই যাবে, এই সত্য প্রচার করো। মানুষকে ভয় থেকে মুক্ত করো এবং আধ্যাত্মিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাও।

ভগবান তোমার মঙ্গল করুন। তোমার স্বপ্নে যেন সর্বদা শুভ দর্শন হয় এবং তুমি যেন সকল মৃত আত্মার কল্যাণে সাধক হয়ে উঠো।"

হা হা হা! কি বললেন🤗
20/08/2025

হা হা হা! কি বললেন🤗

শুভ জন্মদিন সবাই কে,🌹
16/08/2025

শুভ জন্মদিন সবাই কে,🌹

মদ খাওয়ার সময় আমি কোন রিস্ক নিই না।অফিস থেকে সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফিরে দেখি গিন্নি রান্না করছে।রান্নাঘর থেকে বাসনের আওয়াজ আস...
14/08/2025

মদ খাওয়ার সময় আমি কোন রিস্ক নিই না।
অফিস থেকে সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফিরে দেখি গিন্নি রান্না করছে।
রান্নাঘর থেকে বাসনের আওয়াজ আসছে।
আমি চুপিচুপি ঘরে ঢুকে পড়লাম।
কালো রঙের আলমারি থেকে বোতল বার করলাম।
নেতাজি ফটো ফ্রেম থেকে আমাকে দেখছেন।
কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কিচ্ছুটি টের পায় নি।
কারণ আমি কোন রিস্ক নিই না।

সিঙ্কের উপরের তাক থেকে গ্লাস বার করলাম
আর টক করে এক পেগ গিলে ফেললাম।
গ্লাস ধুয়ে ফের তা তাকের উপর রেখে দিলাম
হা, বোতল টাও আলমারি তে রেখে দিলাম।
নেতাজি মুচকি হাসলেন।
রান্নাঘরে উঁকি দিলাম, গিন্নি দেখি আলু কাটছে।
কেউ কিছু টের পায় নি।
কারণ আমি কোন রিস্ক নিই না।

গিন্নি কে জিগেস করলাম: সমীরের মেয়ের বিয়ের কিছু হলো ?
গিন্নি : নাহ, মেয়েটার ভাগ্য টাই খারাপ। এখনো পাত্র দেখছে।
আমি আবার ঘরে গেলাম, আলমারি খুলতে গিয়ে এবার একটু শব্দ হলো।
তেমন কিছু নয় অবশ্যি।
বোতল বের করার সময় অবশ্য কোনো আওয়াজ করিনি।
সিঙ্কের উপরের তাক থেকে গ্লাস নিয়ে চট করে দু পেগ মেরে দিলাম।
বোতল ধুয়ে সাবধানে সিঙ্কের মধ্যে রেখে দিলাম। আর গ্লাস টা আলমারি তে।
এখন পর্যন্ত কেউ কোনো কিছু আঁচ করতে পারে নি
কারণ আমি কোন রিস্ক নিই না।

বাইরে এসে গিন্নিকে : যাই হোক, সমীরের মেয়ের বয়েস ই বা কি !
গিন্নি : কী বলছ !! ৩০ বছর বয়েস হলো, দেখতে আরো বুড়োটে লাগে।
আমি (ভুলেই গেছিলাম সমীরের মেয়ের বয়েস ৩০) : তা ঠিক
সুযোগ বুঝে ফের আলমারি থেকে আলু বের করলাম (আলমারিটা আবার জায়গা বদলে ফেলল কি করে রে বাবা),
তাক থেকে বোতল বার করে সিঙ্কের সঙ্গে মিশিয়ে চট করে আর এক পেগ পেটে চালান করলাম।
নেতাজি দেখি জোরে জোরে হাসছেন।
তাক আলুতে রেখে নেতাজীর ছবি খুব ভালো করে ধুয়ে আলমারিতে রেখে দিলাম।
গিন্নি কি করছে দেখি - হ্যা, ও গাসের উপর সিংক চড়াচ্ছে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কিসসু টের পায় নি,
কারণ আমি কোন রিস্ক নিই না।

আমি গিন্নিকে : তুমি সমীরকে বুড়ো বললে ?
গিন্নি : বকবক কর না তো , বাইরে গিয়ে চুপ করে বসো। এখন তুমি কথা বলবে না।
আমি আলু থেকে ফের বোতল বের করে মজাসে আলমারি তে আরো এক পেগ গিললাম।
সিংক টা ধুয়ে ওটাকে তাকের উপর রেখে দিলাম।
ফটো ফ্রেম থেকে গিন্নি এখনো হেসে চলেছে।
নেতাজি রান্না করছে।
কিন্তু এখনো কেউ কিছু টের পায় নি
কারণ আমি কোন রিস্ক নিই না।

গিন্নিকে হাসতে হাসতে বললাম : তাহলে সমীর পাত্রী দেখছে ?
গিন্নি : শোনো, তুমি মুখে জলের ঝাপটা দিয়ে কোথাও চুপ করে বস তো !
আমি রান্না ঘরে গিয়ে চুপচাপ তাকের উপর বসলাম।
কিন্তু এখন অবধি সমীর কিছু টের পায় নি
কারণ নেতাজি কোন রিস্ক নেন না।
সমীর এখনো রান্না করছে।
আর আমি ? আমি ফটো ফ্রেম থেকে গিন্নিকে দেখে এখনো হেসে চলেছি।
কারন আমি কখনো ইয়ে নিই না, কি যেন নিই না ,ও হা, আলু নিই না।
🙂🙂

এটা মনে হয় সব মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য 😂😂😂
14/08/2025

এটা মনে হয় সব মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য 😂😂😂

আজ নাকি মেজো সন্তান দিবস।সেই মধ্যমনিদের আমার তরফ থেকে শুভেচ্ছা 🌹🌹🌹
13/08/2025

আজ নাকি মেজো সন্তান দিবস।
সেই মধ্যমনিদের আমার তরফ থেকে শুভেচ্ছা
🌹🌹🌹

ঠিক কি না
13/08/2025

ঠিক কি না

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Food and fantasy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category