25/08/2025
ফ্যাসিবাদ-বিরোধী আন্দোলন হইলো, ফ্যাসিস্ট সরকারও বিদায় হইলো, কিন্তু উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীরা এখনও যে ফ্যাসিবাদী কাজ চালায়ে যাইতেছে, এইগুলা কি দেখার কেউ নাই?
হেযবুত তওহীদ জেলায় জেলায় মতবিনিময় সভা কইরা তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতেছে। আজকে রাজশাহীতে তেমনই একটা মতবিনিময় সভার কথা ছিল। কিন্তু সেই প্রোগ্রাম হইতে দিলো না উগ্রবাদী নব্য-ফ্যাসিস্টরা। তারা মব তৈরি কইরা ও প্রশাসনকে হুমকি দিয়া অনুষ্ঠানটা স্থগিত করতে বাধ্য করলো।
এই দেশে হেযবুত তওহীদই একমাত্র সংগঠন যারা গর্ব কইরা বলতে পারে- তারা রাষ্ট্রের সমস্ত আইন কানুন মাইনা চলে। একটাও আইন ভঙ্গের রেকর্ড যাদের নাই। ছোট্ট হলরুমের মধ্যে প্রোগ্রাম করলেও আমরা প্রশাসনের সবগুলা অফিস থাইকা অনুমোদন নিয়া আসি। এই যে এত অনুমোদন পাই, তারা কি চেহারা দেইখা অনুমোদন দেয়? আমাদের বই-পুস্তক, বক্তব্য, কার্যক্রম তাদের কাছে পরিষ্কার। সরকার ভালোভাবেই জানে আমরা কোনো আইনবিরোধী কথা বলি না কিংবা মানুষের ক্ষতি হয় এমন কিছু কখনও করি না। সেজন্যই অনুমোদন দেয়। কিন্তু প্রোগ্রাম আয়োজন করার পর নব্য-ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী শুরু করে আরেক নাটক। এই ফ্যাসিস্টরা হুমকি দিতে থাকে- “হেযবুত তওহীদ প্রোগ্রাম করতে পারবে না, করলে আমরা হামলা করব।” বাহ! মনে হয় তাদের বাপ-দাদার ভিটায় গিয়া প্রোগ্রাম করতেছি আমরা, আর রাষ্ট্রটাও বোধহয় মগের মুল্লুক পাইছে যে, ইচ্ছা হইলেই কারো উপর হামলা করা যায়! এদের এই বেআইনী হুমকিতেই যদি প্রশাসন ভয়ে চুপসে যায়, তাইলে সরকারি অনুমোদনের কী দাম রইলো?
হেযবুত তওহীদকে নিয়া নব্য-ফ্যাসিস্টদের এত ভয় কিসের আমার বুঝে আসে না। আমরা কুফরি সংগঠন নাকি ঈমানদার সংগঠন তা বক্তব্য শুনলেই তো জনগণ বুঝতে পারবে। তোমরা বক্তব্য শুনতে দিতে চাও না কেন? এতদিন তারা বলত- হেযবুত তওহীদের প্রোগ্রামে নাকি সব চাষাভুষা, গণ্ডমূর্খরা আসে। এজন্য তারা কিছু বুঝে না, যা বুঝাই তাই বুঝে। কিন্তু আজকে রাজশাহীতে যে অনুষ্ঠানটা হবার কথা ছিল, সেখানে তো অতিথি হিসেবে আসার কথা ছিল বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ— শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, আইনজীবী, ইসলামী চিন্তাবিদ ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ। তারা তো সমাজের উচ্চশিক্ষিত শ্রেণি। তাদেরকে কেন আসতে দিলা না? তারা কি এতটাই অজ্ঞ-মূর্খ যে সত্য ও মিথ্যা চিহ্নিত করতে পারবে না?
এই যে তোমরা ফ্যাসিস্ট ও উগ্রবাদী আচরণ কইরা, মব তৈরি কইরা, প্রশাসনের উপর চাপ দিয়া আমাদের প্রোগ্রাম বানচাল কইরা দিলা, নিজেদের স্বৈরাচার প্রমাণ করলা, এতেই বোঝা যায় হেযবুত তওহীদের কাছে তোমাদের আদর্শিক পরাজয় ঘটছে এবং যখন মানুষ আদর্শিকভাবে পরাজিত হয়, তখনই ফ্যাসিস্ট আচরণ শুরু করে তা অতীতের ইতিহাস থেকেও প্রমাণিত।
নিচে কয়েকটা ছবি দিলাম-
১. হেযবুত তওহীদের প্রোগ্রামস্থলের সামনে ফ্যাসিস্টদের মানববন্ধনের নামে মব তৈরি কইরা হুমকি-ধামকি দেওয়ার ছবি;
২. এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজশাহী জেলা হেযবুত তওহীদ কার্যালয়ে আমাদের সংবাদ সম্মেলনের ছবি;
৩. রাজশাহীতে হেযবুত তওহীদের শান্তিপূর্ণ গণসংযোগ কর্মসূচির ছবি।