24/10/2025
তওহীদভিত্তিক সমাজের বাস্তব উদাহরণ- নোয়াখালীর চাষীরহাট গ্রাম।
একটা গ্রামকে ইসলামের আদর্শ দিয়ে বদলে দেয়া যায়- এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিলো হেযবুত তওহীদ। দশ বছর আগে এই চাষীরহাট গ্রামটা কী ছিল, আর এখন কী হয়েছে! এই সেই গ্রাম, যেখানে আমাদের ইমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তিনি তাঁর নিজের গ্রামকেই বেছে নিয়েছেন তাঁর তওহীদভিত্তিক সমাজব্যবস্থার মডেল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। অন্তত ৪০টার বেশি উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে এই গ্রামে।
এই গ্রামেই ১০ বছর আগে মানুষ ভয়ে রাস্তায় পথ চলতে পারত না। অথচ এখন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ইভ টিজিং, ধর্ষণ ও মাদকের কোনো অস্তিত্বই নেই। জীবনধারণের জন্য খাঁটি পণ্য সামগ্রী ও মাছ-মাংস এখানেই উৎপাদন হচ্ছে। কর্মসংস্থানের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে শিল্প-কারখানা। শ্রমিকদের থাকার জন্য বহুতল ভাবন। চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। শিক্ষার জন্য স্কুল। ধর্মীয় শিক্ষার জন্য চার তলা মসজিদ ও বিনা বেতনে কুরআন শেখার ব্যবস্থা। বিনোদনের জন্য ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডির টুর্নামেন্ট। বছরে একবার বাণিজ্য মেলা। সপ্তাহে একদিন মসজিদের খতিব নিজেই খোঁজ নেন মুসল্লিদের কার ঘরে খাবার নাই, কে চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে, কার থাকার জায়গা নেই ইত্যাদি।
একটা সমাজের মানুষ যদি আল্লাহর হুকুম বিধান মেনে জীবনযাপন করে এবং জান-মাল আল্লাহর রাস্তায় উৎসর্গ করে, তাহলে কত সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা যায়, সেটাই তিনি দেখাতে চেয়েছেন। শুধুই একদল মো’মেনের ত্যাগ কুরবানির মাধ্যমে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন এই আদর্শ তওহীদভিত্তিক গ্রাম।
[ছবি: গ্রামের প্রধান রাস্তাটা গত দুই বছরের বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার অন্তত রাস্তাটা মেরামত করে দিতে পারত। সেটাও করেনি। মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছিল গ্রামবাসী। তাই নিজ উদ্যোগে রাস্তার সংস্কারকাজে হাত দিয়েছেন মহিউদ্দিন ভাই। তিনি চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের কর্ণধার। তার আরেকটা পরিচয় হলো- তিনি মাননীয় ইমামের ছোট ভাই। আল্লাহ যেন তাকে উত্তম জাজা দান করেন।]