28/07/2025
মধুপুর জাতীয় উদ্যান
মধুপুর জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের অন্যতম আকর্ষণ। মধুপুর জাতীয় উদ্যান (Madhupur National Park) ঢাকা থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার দূরত্বে টাঙ্গাইলে মধুপুর উপজেলায় অবস্থিত। টাঙ্গাইল জেলা থেকে মধুপুর উদ্যানের দূরত্ব প্রায় ৪৭ কিলোমিটার। শাল গাছ এই বনের প্রধান আকর্ষণ এবং ধারণা করা হয় এই বনাঞ্চল কয়েক’শ বছরের পুরাতন। মধুপুর জাতীয় উদ্যানটি ১৯৬২ সালে বন বিভাগের আওতাধীন আসে এবং ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী আইনের অধীনে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮২ সালে মধুপুর বনকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। জাতীয় মধুপুর উদ্যানের আয়তন প্রায় ৮৪,৩৬৬ হেক্টর। উদ্যানের পাশ দিয়ে প্রবাহমান বংশী নদী উদ্যানকে দিয়েছে ভিন্নমাত্র। জাতীয় এ উদ্যানের ভেতরে এবং বাইরে দেখা মিলে গারো, কোচ, বামনসহ বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের।
মধুপুর জাতীয় উদ্যানে আছে নানান প্রজাতির লতাগুল্ম ও বৃক্ষরাজি, যার মধ্যে শাল, বহেড়া, আমলকি, হলুদ, আমড়া, জিগা, ভাদি, অশ্বথ, বট সর্পগন্ধা, শতমূলী, জয়না, বিধা, আজুকি/হারগাজা, বেহুলা ইত্যাদি অন্যতম। সবুজ অরণ্যের প্রাকৃতিক দৃশ্যের পাশাপাশি মধুপুর জাতীয় উদ্যানে আছে প্রায় ১১ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৭ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪ প্রজাতির উভচর এবং ৩৮ প্রজাতির পাখি। এর মধ্যে মুখপোড়া হনুমান, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, পেঁচা, কাঠ ময়ূর, বন মোরগ, লাল মুখ বানর, বন্য শুকর ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
মধুপুর উদ্যানে লহরিয়া বন বিট কার্যালয় সংলগ্ন একটি হরিণ প্রজনন কেন্দ্রে আছে এবং এর পাশে রয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার আছে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের চূড়ায় উঠে বনের পুরোটা সৌন্দর্য একনজরে উপভোগ করা যায়।
আরো যা যা রয়েছে মধুপুর জাতীয় উদ্যানে
জাতীয় মধুপুর উদ্যানে রয়েছে জুই ও চামেলী বাগান, দোখলা রেস্ট হাউজ, বকুল কটেজ, চুনিয়া কটেজ এবং দুটি পিকনিক স্পট। আরো আছে একটি ছোট্ট বাজার ও বেশকিছু আদিবাসী পল্লী। এছাড়াও এখানে আদিবাসীদের নিজস্ব তাঁতে তৈরী বিভিন্ন ধরণের রেশম বস্ত্রের কারিতাস নামে একটি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে।