09/08/2025
বর্তমান পরিস্থিতি দেখে ধরা যায় বাংলাদেশ এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ মহিলা এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ইতোমধ্যেই কোয়ালিফাই করে ফেলেছে। বর্তমান ফর্মে বাংলাদেশের একটি ড্র অথবা দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, তবে যদি বাংলাদেশ একটি বড় ব্যবধানে হারে, তবুও তারা কীভাবে পরবর্তী রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে পারে — তার একটি হিসাব নিচে দেওয়া হলো:
গ্রুপ A এবং D থেকে কোনো দল এখন আর সেরা তিনটি দ্বিতীয় স্থানের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না।
গ্রুপ C (চাইনিজ তাইপে) এবং গ্রুপ G থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলগুলো বর্তমানে পরিস্থিতি অনুযায়ী ধরাই যায় তারা কোয়ালিফাই করে ফেলবে।
গ্রুপ E-তে লেবাননের goal difference +2 এবং তারা চীনের মুখোমুখি হবে — সেই ম্যাচে তাদের goal difference কমে যাবে।
এখন গ্রুপ B (হংকং), গ্রুপ G (ইরান) এবং গ্রুপ H (বাংলাদেশ) — এই তিনটি দল তৃতীয় সেরা দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াই করছে।
এখন যদি বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৫-০ ব্যবধানে হারে, তাহলে বাংলাদেশের goal difference হবে +5।
ইরান, যাদের goal difference এখন +5, তারা জাপানের মুখোমুখি হবে এবং যদি তারা মাত্র ১ গোল ব্যবধানে হারে, তাহলে তাদের goal difference হয়ে যাবে +4।
হংকংয়ের বর্তমান goal difference -5, তাদের বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতে হলে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অন্তত ১১টি গোল করতে হবে। সুতরাং, হংকং যদি ১০ গোলের কম ব্যবধানে জয় পায়, তাহলে বাংলাদেশ কোয়ালিফাই করবে।
এমনকি goal difference ইরান বা হংকংয়ের সঙ্গে সমান হলেও, বাংলাদেশের গোল সংখ্যা বেশি থাকার কারণে তারাই এগিয়ে থাকবে। ধরে নেওয়া যায়, ইরান জাপানের বিপক্ষে বেশি গোল হজম করবে এবং হংকং সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অতটা গোল করতে পারবে না — তাহলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬-০ বা ৭-০ ব্যবধানে হারলেও বাংলাদেশ কোয়ালিফাই করতে পারবে।
সুতরাং, ধরা যায় বাংলাদেশ এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে কোয়ালিফাই করেই ফেলেছে — কারণ এত বড় ব্যবধানে হারার চেয়ে, বর্তমান ফর্মে তাদের জয় কিংবা অন্তত একটি ড্র করার সম্ভাবনাই বেশি।