07/08/2025
বঙ্গোপসাগরের বুকে থাকা বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন করার উদ্যোগ নিয়ে গ্যাজেট প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত, পাহাড় দিয়ে ঘেরা অপূর্ব সুন্দর একটি দ্বীপ।
এখানে বনের মধ্যে আছে Critically Endangered অনেকগুলো প্রাণী, পাখি, সামুদ্রিক কচ্ছপ।
যেগুলো বিলুপ্ত প্রায় হিসেবে চিহ্নিত কিন্তু মহেশখালীতে আছে।
এমন একটি দ্বীপকে শিল্পাঞ্চলে রূপান্তরিত করতে গ্যাজেট পাশ করেছে সরকার।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, এটি আওয়ামীলীগ সরকার নয়, মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার।
এখানে আছে Olive Ridley Turtle, যা মহেশখালীর উপকূলের বালুতে এসে ডিম দেয়। ভলনারেবল একটি প্রজাতি।
এখানে Green Turtle, Hawksbill Turtle যা বিলুপ্ত প্রায়।
কিন্তু মহেশখালীতে দেখা যায়। বিলুপ্ত হতে যাওয়া গোলাপী ডলফিনের দেখা পাওয়া যায় এর তীরে।
এমনকি Godwit এর মত ঈগলের দেখা পাওয়া যায় এখানে।
বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে এবং বিলুপ্ত প্রায় এমন কয়েক ডজন প্রাণীর আবাসস্থল মহেশখালী দ্বীপটি।
এই এরিয়াকে যেখানে বাংলাদেশ সরকারের যেখানে প্রটেক্ট করা উচিৎ, তারা সেখানে নিয়েছে ধ্বংসের উদ্যোগ।
দেশী বিদেশী কিছু ব্যবসায়ী এবং কোম্পানীকে খুশী করতে দেশের এই ইউনিক প্রাকৃতিক সম্পদকে ধ্বংসের সরকারী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপটিকে রক্ষার জন্য এটিকে কোস্টাল এন্ড মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করতে হবে।
শিল্পাঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার রক্ষে গঠিত MIDAকে স্থগিত করতে হবে।
মহেশখালীর উন্নয়ন করতে চাইলে একে ইকো ট্যুরিজম এর জন্য গড়ে তুলতে হবে।
Moheshkhali Integrated Development Authority কে বিলুপ্ত করে Moheshkhali Integrated Eco-tourism Development Authority বা Moheshkhali Marine Protected Area and Sustainable Eco-Tourism Development Zone করতে হবে।
দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ, বিলুপ্ত প্রায় জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে হবে।
দেশের এই ইউনিক প্রাকৃতিক সম্পদকে ধ্বংস করা হচ্ছে কার স্বার্থে?
©তাহমিদুল ইসলাম