30/10/2025
আমি গত কয়েকদিন ধরে ট্রমার মধ্য দিয় যাচ্ছি। আমার সাথে একটার পর একটা ইন্সিডেন্ট ঘটছে।
১. গত ১৪-১০-২০২৫ ইং তারিখ মঙ্গলবার দুপুর ২:১৫ টায় আমার স্ত্রী বাথরুমে গেলে ( দরজা খোলা রেখেই) আমাদের একমাত্র ছেলে (বয়স ২ বছর ৪ মাস) দরজার ছিটকিনি ধরে খেলতে খেলতে লাগিয়ে দেয়।আমার স্ত্রী বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে ( ছেলেকে) খুলতে বললে, সে ( ছেলে) খুলতে পারেনা।আমার স্ত্রী দরজা ধাক্কা দিলে ছেলে ভয় পেয়ে কান্না শুরু করে।বাসায় আমার স্ত্রী আর ছেলে ব্যতিত আর কেউ ছিলনা।এদিকে তখন চুলায় রান্না করতে ছিল।আমার স্ত্রী বাথরুমের কমোডের উপর দাড়িয়ে চিৎকার করে পাশের বাসার একজনকে বলে যে, সে বাথরুমে আটকা পড়েছে।সে যেন আমাদের গার্ড এবং বাড়িওয়ালাকে বিষয়টা জানায়।বাড়িওয়ালা ফোনে আমাকে বিষয়টা জানালে আমি তৎক্ষনাৎ অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বের হয়ে পরি।আমার মাথা তখন কোন কাজ করছিলনা।চুলায় রান্না করতে ছিল,সে গুলো পুড়ে ধোঁয়ায় ঘর অন্ধকার হয়ে যাচ্ছিল।এদিকে আমার ছেলে ভয়ে আরো বেশি কান্না করতে থাকে।আমার স্ত্রী ফ্লোর পরিষ্কার করার ব্রাশ দিয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙে প্রায় ৪০ মিনিট পর বের হয়।দরজা ভাঙতে আমার স্ত্রী হাতে অনেক ব্যাথা পায়।আমার স্ত্রী বের হবার পরপরই আমি বাসায় চলে আসি।
২. এই ঘটনার ট্রমা কাটতে না কাটতেই গত ১৮-১০-২০২৫ ইং তারিখ সকাল ১০:৩০ টায় আমার স্ত্রী বুকে ব্যাথা করে সেন্সলেস হয়ে পরে যায়।আমি তখন অন্য রুমে ছিলাম।আমার ছেলে কান্না করতে করতে আমাকে ডেকে নিয়ে আসে।সে ( ছেলে) আমার হাত ধরে টেনে বলতে থাকে বাবা বাবা মা পরে,বাবা মা পরে,তখন আমি রুমে এসে দেখি আমার স্ত্রী পরে আছে,কাছে গিয়ে দেখি সেন্সলেস।তাকে (স্ত্রী) ধরে শুইয়ে মাথায় পানি দেই আমি আর আমাদের বাসার হেল্পিং হ্যান্ড মিলে।এরপর আমার কাজিন ও হেল্পিং হ্যান্ড মিলে বাসার কাছে একটা ক্লিনিকে নেই।সেখানে ইসিজি রিপোর্ট একটু খারাপ আসায়,হার্ট ফাউন্ডেশন এ নিতে বলে।হার্ট ফাউন্ডেশনের ইসিজি রিপোর্ট ভালো না আসায় আর সীট না থাকায় তারা জাতীয় হৃদ রোগে পাঠায়।সেখানে ২ দিন থেকে বাসায় আসি।আলহামদুলিল্লাহ, আমার স্ত্রী এখন ভালো আছে।
৩. বাসায় আসার পর রাতে ৯:৩০ টায় ছেলেকে ঘুমাতে নিবো, সে হঠাৎ করে কান্না করতে করতে বলছে বাবা ব্যাথা বাবা ব্যাথা। তার প্যান্ট খুলে দেখি পেনিস ফুলে আছে।তৎক্ষনাৎ তাকে ( ছেলেকে) যে ডাক্তার নিয়মিত দেখাই, তাকে ফোন দিলে ডাক্তার জানায়, সে চেম্বারে আছে দ্রুত যেন নিয়ে যাই।ডাক্তার দেখে বলেন ইনফেকশন হয়ে গিয়েছে,মেডিসিন লিখে দেয়। আলহামদুলিল্লাহ,আমার ছেলে এখন সুস্থ।
৪. এতগুলো ঘটনার পর আজকে ঘটনা হলো, আমি অফিসে যাচ্ছি টেসলাতে করে।আজকে রাস্তায় অনেক জ্যাম কারণ মেট্রোরেল বন্ধ।টেসলাতে আমার সাথে আমার সুপারিন্টেন্ডেন্ট স্যার আছেন।আমাদের টেসলাটা অন্য একটার সাথে লাগলো আমি আমার ডান হাতে অনেক ব্যাথা পেলাম। একটু পর আমার হাত অনেক জ্বালা করতেছিল।শার্টের হাতা সরিয়ে দেখি কয়েক জায়গায় কেটে গিয়েছে।
আল্লাহ্ তাআ'লা হয়তো আমার পরীক্ষা নিচ্ছেন।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
আমিন।