#প্রশ্ন: কীভাবে বুঝব আমার করোনা সংক্রমণ হয়েছে এবং কখন হাসপাতালে যাব? আর হলে মৃত্যুর আশঙ্কাই-বা কতটুকু?
এই তিনটি লক্ষণ যদি আপনার থাকে তাহলে এখনই সতর্ক হোন৷ এবং বাড়িতে কমপক্ষে ৩ ফিট দূরত্ব বজায় রেখে হোম কোয়ারেন্টাইন করুন ১৪ দিন। আপনি আক্রান্ত হয়ে থাকলে এর মধ্যেই তিনটি লক্ষণ ধীরেধীরে বাড়তে থাকবে। বাড়তে থাকলে ঠিক তখনই সরাসরি হাসপাতালে রেফার হবেন।
সাধারণ সর্দি-জ্বর ও কাশিতে ভয় পাবেন না। কারণ এমনিতেই এখন সিজনাল চেঞ্জিং টাইম। শীত থেকে গরম আসছে। এসময় নরমাল সর্দি-জ্বর ও কাশি অনেকেরই হয়।
তাই অহেতুক হাসপাতালে ভীড় জমাবেন না। সাধারণ সর্দি-জ্বর ও কাশিতে এবং নিজে নিজে হোম কোয়ারেন্টাইন করার সময় সর্দি-জ্বর ও কাশি থাকলেঃ-
১। জ্বরের জন্য Tab. Napa/Ace (500mg) ৬ ঘণ্টা পরপর একটা করে ভরাপেটে খাবেন৷ দিনে ৪ টা।
২। সর্দিকাশি হলে Tab. Fenadin (120mg)/Alatrol (10mg) রাতে একটি করে ভরাপেটে খাবেন। সাথে একটি কাশির সিরাপ খেতে পারেন।
৩। কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকলে Tab. Montair (10mg) রাতে ১টা করে খেতে পারেন।
৪। গ্যাস হলে খেতে পারেন Cap. Proceptin/Seclo (20mg) সকালে এবং রাতে ১ টি করে। খাবারের ৩০ মিনিট আগে।
৪। শরীরে ব্যথা বেশী থাকলে Tab. Napa Extend (665mg) খেতে পারেন।
তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক সচেতন হন। তাদের কোন প্রকার অসুস্থের লক্ষণ দেখা মাত্র পদক্ষেপ নিন।
এই হলো প্রাথমিক চিকিৎসা। এরসাথে গরম পানি খাবেন, আদা দিয়ে লাল চা খাবেন, লেবু খাবেন, ভিটামিন-সি জাতিয় খাবার বেশি খাবেন, পানি বেশি খাবেন, সকালের রোদ গায়ে মাখবেন, ঠাণ্ডা সবকিছু এড়িয়ে চলবেন। এগুলোতে যদি না সারে, এবং উপরের তিনটি লক্ষণ যদি বাড়তে থাকে তাহলে দ্রুত হাসপাতালে যাবেন।
আপনি যদি প্রবাসী না হোন কিংবা প্রবাসী কারো সংস্পর্শে ১৪ দিনের মধ্যে না গিয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনেকটা নিরাপদ। করোনা প্রতিরোধে এই পর্যন্ত যেসকল টিপস শেয়ার করেছি এগুলো ফলো করলে আপনি আরো বেশি নিরাপদ।
এতকিছুর পরও যদি আক্রান্ত হয়েই পড়েন, এবং আপনার বয়স যদি ৪০ এর নিচে হয়— আপনি এখানেও অনেকটা নিরাপদ। আবার আপনি যদি নারী হোন, সেক্ষেত্রে আপনি আরও বেশি নিরাপদ। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক সচেতন হন। তাদের কোন প্রকার অসুস্থের লক্ষণ দেখা মাত্র পদক্ষেপ নিন।
শুধুমাত্র বয়স্করা এবং যাদের অন্যান্য বড় ধরণের রোগ আছে তারা একটু ঝুঁকিতে আছে। বাকিদের মৃত্যু ঝুঁকি তুলনামূলক খুবই কম।
সবচেয়ে বড় কথা হলো— এই পর্যন্ত আক্রান্তদের অধিকাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। বাকিরা এখনও চিকিৎসাধীন। এর মাঝে কিছু কিছু মারা যাচ্ছে— যাদের অধিকাংশই বয়স্ক পুরুষ এবং অন্যান্য বড় বড় রোগে ভুগছেন। নারীদের আক্রান্ত এবং মৃত্যু হার পুরুষদের তুলনায় অনেক কম।
কাজেই—করোনা হলেই আপনি শেষ, এই ধারণা ছুড়ে ফেলুন। মানসিকভাবে শক্ত থাকুন। এবং আমার টাইমলাইনে বিগত পোষ্টগুলোতে দেয়া টিপসগুলো ফলো করুন। আল্লাহ ভরসা।
শুধু শুধু আতঙ্কিত হয়ে ব্যবসায়ীদের পকেট গরম করবেন না। নিজের পকেটও খালি করবেন না। আর দেশেরও ১২টা বাজাবেন না।
সবশেষে এটাই বলবঃ আমরা চিন্তিত হব, সতর্ক হব; কিন্তু আতঙ্কিত হব না।
#CoronaVirus #Bangladesh #বাংলাদেশ #করোনাভাইরাস #ভূবার্তা #BhuBarta