সুফিবাদের পথ - Way of Sufism

সুফিবাদের পথ - Way of Sufism Four principles of sufism...
- Repentance
- Sincerity
- Remembrance
- Love Sufism is a path of joy, love, and humanity, and we are ready to tread this path.

"সুফিজমের পথে

আমাদের 'সুফিজমের পথ' পৃষ্ঠার স্বাগতম। এই পৃষ্ঠার মাধ্যমে আমরা সুফি তত্ত্ব, সুফি সাধনা, এবং মানবিক উন্নতির দিকে একটি আলোকপথ প্রদান করতে চেষ্টা করছি। সুফিজম একটি আনন্দের, ভালোবাসার এবং মানবিকতার পথ, এবং আমরা এই পথে চলতে প্রস্তুত। আসুন এই সান্ত্বনার জগতে আমরা সহজেই ভ্রমণ করি এবং আপনাদের সঙ্গে সুফিজমের অদ্ভুত প্রহরগুলি ভাগ করি। ধন্যবাদ।"

"Way of Sufism

Welcome to our 'Way of Sufism' p

age. Through this page, we aim to shed light on the principles of Sufism, Sufi practices, and a path towards human development. Join us in this world of inspiration, easily explore, and share the wonderful moments of Sufism with you. Thank you."

[(হযরত উসমান হারুনী (রা.)] হুজুর এরশাদ করলেন আখেরী (শেষ) জামানার (কালের) আলেম ও আমির সম্বন্ধে হযরত রাসূলে মকবুল (সা.) বল...
12/07/2025

[(হযরত উসমান হারুনী (রা.)] হুজুর এরশাদ করলেন আখেরী (শেষ) জামানার (কালের) আলেম ও আমির সম্বন্ধে হযরত রাসূলে মকবুল (সা.) বলেছেন যে, শেষ জামানার দলপতি (আমির)-গণ স্বেচ্ছাচারী হবে এবং আলেমগণ দুনিয়াকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে এবং ফেতনা (বিশৃঙ্খলা) সৃষ্টি করবে সুতরাং সে সময় জীবিত থাকার চেয়ে যে মৃত্যুই উত্তম হবে। কেননা মুমেনগণ তখন বিলাসে নিমজ্জিত হবে অর্থাৎ আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকবে। এরপর এরশাদ করলেন, যখন আমির হবে স্বেচ্ছাচারী এবং আলেম হবে দুনিয়ার বন্ধু তখন আল্লাহতা'আলা দুনিয়ার বুক থেকে বরকত তুলে নিবেন। রোগ, ব্যাধি ও অন্যায় করার প্রবণতা মানুষকে গ্রাস করবে। শহর বিরানা (বিজন) হবে এবং পৃথিবীর বুকে ঝগড়া-বিবাদ ছড়িয়ে পড়বে। এরপর এরশাদ করলেন, আখেরী জামানার অধিকাংশ আলেম মদ্যপায়ী ও সমকামী হবে। সুতরাং অবশ্যই জানবে যে তারা দোজখের কাষ্ঠখণ্ড।

[তথ্যসূত্র:- আনিসুল আরওয়াহ্ (রুহের বন্ধু) পৃ. ৩৫ — হযরত খাজা সৈয়দ মঈনুদ্দিন হাসান সাঞ্জরী চিশতী সুম্মা আজমেরী (রা.) অনুবাদ —মুফতী মোঃ রফিকুল ইসলাম চিশতী।]

 #মা_ফাতেমার_কোরবাণীএকদিন হুজুর আকরাম (সা.) ঘর থেকে বের হয়ে কোথায় যেন চলে গেলেন। প্রিয় নবীজী (সা.) কোন খবর না পেয়ে স...
05/07/2025

#মা_ফাতেমার_কোরবাণী

একদিন হুজুর আকরাম (সা.) ঘর থেকে বের হয়ে কোথায় যেন চলে গেলেন। প্রিয় নবীজী (সা.) কোন খবর না পেয়ে সাহাবী ও আহলে বাইতগন অস্থির হয়ে চতুর্দিক খুঁজতে লাগলেন। অবশেষে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাহাড়ের উপর নবীজী (সা.)-কে পাওয়া গেল। সবাই গিয়ে দেখলেন তিনি সিজদায় পড়ে ‘ইয়া উম্মতি, ইয়া উম্মতি’ বলে বেহুঁশ বেকারর হয়ে কাঁদছেন। সাহাবীগণ অনেক চেষ্টা করলেন হুজুর (সা.) কে সিজদা থেকে তুলে বাড়ি নিয়ে আসতে। কিন্তু না, সরকারে কায়েনাত কিছুতেই মাথা উঠালেন না, কেবলই ‘ইয়া উম্মতি, ইয়া উম্মতি’ বলে কাঁদছেন আর কাঁদছেন। সাহাবীরা অপারগ হয়ে চিন্তা করলেন মা ফাতেমার (সা.) কথা। একমাত্র মা ফাতেমাই (সা.) পারেন দয়াল নবী (সা.) কে বাড়ী ফেরাতে। তৎক্ষণাৎ মা ফাতেমা (সা.)-কে খবর দিয়ে আনলেন। পিতার এ অবস্থা দেখে তিনিও সিজদায় পড়ে কাঁদতে লাগলেন। তবুও প্রিয় নবীজী (সা.) মাথা তুলছেন না দেখে মা ফাতেমা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বললেন, ওগো, দয়াময়, দয়াল নবী (সা.)’র উম্মতের নাজাতের বদলে আমার নয়নমণি হাসান ও হোসাইনকে তোমার রাহে সদকা হিসাবে কোরবাণ করে দিলেও যদি তুমি রাজি হও তবুও আমার কোন আপত্তি নেই। দয়া করে আমার এ কোরবাণী তুমি কবুল কর, তবুও নবীজী (সা.)’র উম্মতকে তুমি মুক্তি দাও।’ অতঃপর দয়াল নবী মাথা তুললেন। এ সদকা দেওয়ার কারণেই আওলাদে রাসুল ( সা.)-এর সদকা হিসাবে কিছু খাওয়া কেয়ামত পর্যন্ত নিষেধ হয়ে গেল। আর একদিন দয়াল নবী ফজরের নামায আদায় করে ‘ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি’ বলে কাঁদতে লাগলেন। জিবরাঈল (আ.) এসে নবীজী (সা.)-কে বললেন, ‘হে হাবীবে খোদা (সা.) পরওয়ার দেগার আপনার কাছে জানতে চেয়েছেন, আপনি কি উম্মত চান, নাকি আপনার দুই নয়নের মণি হাসান-হোসাইনকে চান? যদি উম্মতের নাজাত চান তাহলে হাসান-হোসাইনের কোরবাণী কবুল করে নিন। কারণ আপনার মেয়ে খাতুনে জান্নাত আপনার উম্মতের বদলে আপনার নাতিদ্বয়কে আল্লাহর রাহে কোরবাণ করে দিয়েছেন।
[দেখুনঃ- তাবারী, ওফেদী, ইবনে খলদুন, শিররুশ শাহাদাতাইন ( শাহ আঃ আযীম মুহাদ্দেস দেহলভী) ইত্যাদি অনেক কিতাব। ]

বিশ্ব দুলালী নবী নন্দিনী
খাতুনে জান্নাত ফাতেমাজননী।
হাসান, হোসাইন তব উম্মত তরে মাগো,
কারবালা প্রান্তরে দিলে বলিদান।
বদলাতে তার রোজ হাশরে,
চাহিবে মা মোর মত পাপীদের ত্রাণ।
#নজরুল

মেশকাত শরীফে ( কেতাবুল আদাব) উল্লেখ আছে, ‘মা-খাতুনে-জান্নাত যখন নবী করীম (সা.)-এর খিদমতে উপস্থিত হতেন তখন প্রিয় নবীজী ( সা.) দাঁড়িয়ে যেতেন এবং তাঁর হাত ধরে চুম্বন দিয়ে নিজ আসনে বসাতেন।’ -এ হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর হাবিবের কাছে মা খাতুনে আতহারের মর্যাদা।

‘হায়দারী হাঁক হাঁকি দুলদুল আসওয়ার,
শমসের চমকায় দুশমন ত্রাসবার।
খসে পড়ে হাত হতে শক্রর তরবার,
ভাসে চোখে কেয়ামতে আল্লাহর দরবার।’

“নিঃশেষ দুশমন, ওকেরণ শান্ত,
ফোরাতের নীরে নেমে মোছে আঁখি প্রান্ত।
কোথা বাবা আসগর? শোকে বুক ঝাঁঝরা,
পানি দেখে হোসাইনের ফেটে যায় পাঁজরা।
ধুকে ম’লো, আহা তবু পানি এক কাৎরা,
দেয় নিরে বাছাদের মুখে কমজাতরা।
( নজরুল )

[ সূত্রঃ- কারবালা ও মুয়াবিয়া, সৈয়দ গোলাম মোরশেদ ]

কোথা সে শক্তি সিদ্ধ ইমাম, প্রতিপদাঘাতে যারআবে যম্ যম্ শক্তি উৎস বহিরায় আনিবার?আপন শক্তি লভেনি যেজন, হায় সে শক্তি হীনহয...
28/06/2025

কোথা সে শক্তি সিদ্ধ ইমাম, প্রতিপদাঘাতে যার
আবে যম্ যম্ শক্তি উৎস বহিরায় আনিবার?
আপন শক্তি লভেনি যেজন, হায় সে শক্তি হীন
হয়েছে ইমাম তাহারাই খুতবা শুনিতেছি নিশিদিন।

—কাজী নজরুল ইসলাম

কেবলমাত্র মূর্তীপূজাই শিরক কার্য তা নয়, বরং প্রবৃত্তির অনুসরণ করা, দুনিয়া ও আখেরাতে এবং এতদুভয়ের কোন বস্তুকে অন্তরে স...
19/06/2025

কেবলমাত্র মূর্তীপূজাই শিরক কার্য তা নয়, বরং প্রবৃত্তির অনুসরণ করা, দুনিয়া ও আখেরাতে এবং এতদুভয়ের কোন বস্তুকে অন্তরে স্থান দান করাও শিরকের অন্তর্গত।

[সূত্র:- ফতহুল গয়ব পৃ.১১৪
গাউসুল আজম (রহ.)]

ঈদে গাদীর এ খুম দিন ঈদ পালন করা ফরজ। ঈদ মানে খুশি। কাজী সানাউল্লাহ পানিপথি (রহ.) বলেন, والعيد السرور بعد الغم وقيل يوم ا...
11/06/2025

ঈদে গাদীর এ খুম দিন ঈদ পালন করা ফরজ। ঈদ মানে খুশি। কাজী সানাউল্লাহ পানিপথি (রহ.) বলেন,

والعيد السرور بعد الغم وقيل يوم السرور سمى به للعود من الترح الى الفرح

অর্থাৎ আনন্দ উৎসব বুঝাতে ঈদ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, ঈদকে খুশির দিন বলা হয় এ কারণে যে ওই দিন মানুষ সকল বিষন্নতা পরিহার করে আনন্দ মগ্ন হয়। (তাফসীরে মাযহারী, ৩য় খন্ড পৃষ্টা নং ২০৫)।

সুতরাং ঈদ হলো বিষন্নতামুক্ত অর্থ চিন্তামুক্ত দিন। যেদিন মানুষ খুশি থাকে, আনন্দ করে। অর্থাৎ কোনো খুশি বা আনন্দের দিনকেই ঈদের দিন হিসেবে অভিহিত করা হয়।

কাজী সানাউল্লাহ পানিপথি আরও (রহ.) বলেন,
وقيل عيدا اى عائدة من الله حجة وبرهانا
অর্থাৎ ঈদ অর্থ আঈদাহ। তথা আল্লাহর পক্ষ থেকে দলিল বা প্রমাণ (হুজ্জাত বা বুরহান)। (তাফসীরে মাযহারী, ৩য় খন্ড পৃষ্ঠা নং ২০৫)।

শরিয়তের আহকাম সম্পর্কিত ঈদ দুটি যথাঃ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। কিন্তু আভিধানিক অর্থেও খুশি বা আনন্দ প্রকাশার্থে শরিয়তে অনেক ঈদ বা খুশি রয়েছে, তার মধ্যে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) এবং ঈদে গাদীরে খুম অন্যতম। গাদীরে খুমের দিন কয়েকটি কারণে ঈদ বা খুশির দিন।

প্রথমতঃ ঈদে গাদীরে খুম কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। কেননা আল্লাহ তায়ালা অনুগ্রহ এবং রহমতপ্রাপ্তিতে খুশি উদযাপন করতে বলেছেন।

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ

অর্থাৎ “হে হাবীব! আপনি বলুন, আল্লাহর অনুগ্রহ (ফজল) ও রহমত প্রাপ্তিতে তারা যেন আনন্দ (ঈদ) প্রকাশ করে। এটা তাদের সমস্ত ধন দৌলত সঞ্চয় করা অপেক্ষা শ্রেয়।” (সূরা ইউনুস-আয়াত নং ৫৮।

উক্ত আয়াতে আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি (ঈদ) উদযাপন করার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং যেকোনো রহমতপ্রাপ্তিতে খুশি বা ঈদ উদযাপন করা কুরআন দ্বারা প্রমাণিত।

এখন আয়াতে কারীমার তাফসীরের দিকে লক্ষ্য করি। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি (রহ.) স্বীয় গ্রন্থ তাফসীরে দুররে মনসুরে বলেন,
وَأخرج الْخَطِيب وَابْن عَسَاكِر عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا {قل بِفضل الله} قَالَ: النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم {وبرحمته} قَالَ: عَليّ بن أبي طَالب رَضِي الله عَنهُ

অর্থাৎ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, উক্ত আয়াতের অনুগ্রহ (ফজল) বলতে মাওলা আলীকে বোঝানো হয়েছে এবং রহমত বলতে রাসূলে খোদাকে বোঝানো হয়েছে।

উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম আলুসী বাগদাদীর (রহ.) স্বীয় গ্রন্থ তাফসীরে রূহুল মাআনী-তে উল্লেখ করেন,
وأخرج الخطيب، وابن عساكر عنه تفسير الفضل بالنبي عليه الصلاة والسلام والرحمة بعلي كرم الله تعالى وجهه

অর্থাৎ ইবনে আসাকীর বলেন, উক্ত আয়াতের অনুগ্রহ (ফজল) বলতে মাওলা আলী এবং রহমত বলতে রাসূলে খোদাকে বোঝানো হয়েছে।

যেহেতু আল্লাহ তায়ালা অনুগ্রহ এবং রহমতপ্রাপ্তিতে খুশি উদযাপন করতে বলেছেন আর ইবনে আব্বাসের মতে অনুগ্রহ এবং রহমত দ্বারা মাওলা আলী (আ.) এবং রাসূলে খোদাকে বোঝানো হয়েছে। তাই মাওলা আলীর স্মরণে খুশি অর্থাৎ ঈদ উদযাপন করা বৈধ ও ফরজ। আর যেহেতু গাদীরে খুমের মূল্য উদ্দেশ্য হলো মাওলা আলীর মাওলায়াত, ইমামত, খেলাফত এবং বেলায়াত ঘোষণা। আল্লামা আলুসী বাগদাদী (রহ.), জালাল উদ্দিন সুয়ুতি, কাজী সানাউল্লাহ পানিপথি বলেন, গাদীরে খুমের দিন মাওলা আলীর মাওলায়াত, ইমামত, খেলাফত এবং বেলায়াত ঘোষণার উদ্দেশ্যে সূরা মায়েদার ৬৭ নং আয়াতটি নাযিল হয়। আর মাওলা আলীর মাওলায়াত, ইমামত ও বেলায়াত উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য রহমতও বটে। তাই মাওলা আলীর (আ.) এর মাওলায়াত, ইমামত ও বেলায়াত প্রকাশের এই দিন গাদীরে খুমকে ঈদ বা খুশির দিন বলা বৈধ এবং ফরজ।

দ্বিতীয়তঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো দলিল বা প্রমাণ বা নির্দশন নাজিল হওয়ার দিন হলো ঈদ বা খুশির দিন। যেমন কাজী সানাউল্লাহ পানিপথি আরও (রহ.) বলেন,
وقيل عيدا اى عائدة من الله حجة وبرهانا
অর্থাৎ ঈদ অর্থ আঈদাহ। তথা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রমাণ বা দলিল (হুজ্জাত বা বুরহান)। (তাফসীরে মাযহারী, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা নং ২০৫)।

এই দৃষ্টিকোণ হতে ১৮ জিলহজ্ব ঈদে গাদীরে খুম এই জন্য যে, এই দিনে মাওলা আলীকে উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য মাওলা ঘোষণা করা হয়েছে, যা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য দলিল বা প্রমাণ। আরও লক্ষ্যণীয় যে, হযরত মাওলা আলী (আ.) এর উপাধীগুলোর মধ্যে একটি হলো হুজ্জাতুল্লাহ (আল্লাহর দলিল/প্রমাণ) ও অপরটি হলো বুরহানুল্লাহ (আল্লাহর দলিল/প্রমাণ)। যেমন হাদিস শরীফে উল্লেখ রয়েছে রাসূলে খোদা এরশাদ করেন,
أَنَا وَ عَلِيٌّ حُجَّةٌ عَلَي أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ
অর্থাৎ কিয়ামতের দিন আমি এবং আলী আমার অনুসারীদের জন্য হুজ্জাত (দলিল)।

তৃতীয়তঃ আরবী অভিধান ‘আল মুনজিদ’-এ ঈদের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘কোনো মর্যাদাবান ব্যক্তি অথবা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমবেত হওয়ার দিন বা স্মৃতিচারণের দিবসই ঈদ। (আল-মুন্জিদ, পৃ. ৫৩৯) যেহেতু ১৮ই জিলহজ্বে হযরত আলীকে মাওলা ঘোষণা করার জন্য সমবেত হয়েছিল। অর্থাৎ গাদীরে খুমে সকলেই সমবেত হয়েছে মাওলা আলীকে কেন্দ্র করে। তাই আরবী অভিধান ‘আল মুনজিদ’ এর ঈদের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৮ই জিলহজ্ব ঈদের দিন তথা ঈদে গাদীরে খুম।

চতুর্থতঃ গাদীরে খুমের দিন রাসূলে খোদা হযরত মাওলা আলী (আ.) এর হাত তুলে বলেছিলেন, আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা। তখন সাহাবীরা খুশি হয়ে হযরত আলী (আ.) কে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। সাহাবীদের মধ্যে প্রথমে হযরত আবু বকর ও হযরত উমর খুশি (ঈদ) প্রকাশ করেছিলেন। যেমন হযরত উমর খুশি বা ঈদ প্রকাশ করেছিলেন এভাবে-

بَخٍ بَخٍ لَكَ يَا ابْنَ أَبِي طَالِبٍ، أَصْبَحْتَ مَوْلَاهُ وَمَوْلَى كُلِّ مُؤْمِنٍ،

অর্থাৎ মারহাবা! মারহাবা! হে আবু তালিবের পুত্র। আপনি আমার মাওলা এবং প্রত্যেক মুসলিমের মাওলা।

যেহেতু গাদীরে খুমে সর্বপ্রথম খুশি বা ঈদ পালন করেছিলেন হযরত আবু বকর ও উমর। সুতরাং ঈদে গাদীর পালন করা সাহাবীদের আদর্শ। তাই ১৮ই জিলহজ্বকে ঈদে গাদীরে খুম বলাতে কোনো সমস্যা নেই বরং পালন করা ফরজ।

পঞ্চমতঃ গাদীরে খুমে মাওলা আলীর বেলায়াত ঘোষণা তথা মাওলা ঘোষণার পর সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ আয়াত নাজিল হয়। যথাঃ

الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا

অর্থাৎ আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়েদা-৩)

উক্ত আয়াতে কারীমা নাযিলের ব্যাপারে ইবনে কাসীর বলেন, যখন রাসূলে খোদা হযরত আলী (আ.) এর হাত ধরলেন তখন বললেন, “আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা এ আয়াত নায়িল করলেন الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا

আবূ হুরায়রা বলেন, সে দিনটি ছিল গাদীরে খুমের দিন। উক্ত আয়াতে কারীমা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, গাদীরে খুমের দিন হযরত আলীর মাওলায়াত, ইমামত এবং বেলায়াত প্রকাশ পায়। রাসূলে খোদা আলীকে মাওলা তথা অভিভাবক ঘোষণা করেন। রাসূলে খোদাও মাওলা এবং আলীও মাওলা। রাসূলে খোদা নবুওয়াতের দিক হতে উম্মতের মাওলা আর আলী হলেন বেলায়াতের দিক হতে উম্মতের মাওলা। যেদিন হযরত আলীর মাওলায়াত, ইমামত এবং বেলায়াত প্রকাশ পেল সেই দিন মুমিনদের নিকট অবশ্যই খুশি বা ঈদের দিন।

গাদীরে খুমের দিন মোহাম্মদী ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণতার দিন। যেদিন ইসলাম পূর্ণতা পেল সেদিন মুমিনের নিকট অবশ্যই খুশি বা ঈদের দিন।

গাদীরে খুমের দিন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে নিয়ামত সম্পূর্ণ হলো। যেদিন নিয়ামতে পূর্ণতা হলো সেদিন মুমিনের নিকট অবশ্যই খুশি বা ঈদের দিন।

গাদীরে খুমের দিন আল্লাহ তায়ালা ধর্ম হিসেবে ইসলামকে মনোনিত করলেন। যেদিন আল্লাহ তায়ালা ধর্ম হিসেবে ইসলামকে মনোনিত করলেন সেই দিন মুমিনের নিকট অবশ্যই খুশি বা ঈদের দিন।

সুতরাং সূরা মায়েদা ০৩ নং আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ১৮ জিলহজ্ব বা গাদীরে খুমের দিন খুশির দিন তথা ঈদের দিন। অর্থাৎ আনন্দ প্রকাশের দিন।

ষষ্ঠতঃ যেদিনে নেকের আমল করা হয় তা মুমিনের জন্য ঈদের দিন। আর হাসান বসীর বলেন,
كل يوم يقضيه المؤمن في طاعة مولاه وذكره وشكره فهو له عيد
অর্থাৎ মুমিন যেদিন তার মাওলা পাকের ইবাদত, জিকির ও কৃতজ্ঞতায় অতিবাহিত করে, সে দিন তার জন্য ঈদের দিন।
গাদীরে খুমের দিন বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যমে পালন করা হয় এবং মাওলা আলীর (আ.) এর আলোচনা করা হয়, তাই এই দিন মুমিনের নিকট ঈদের দিন বা খুশির দিন।

১৮ই জিলহজ্ব ঈদে গাদীর মাওলা আলীর অভিষেক দিবসে অধম পাগল আনন্দে উল্লাসে নৃত্য করে। অধম পাপী বিনা দলিলে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) এবং ঈদে গাদীরে খুম দিবস পালন করবে। প্রেমিকের জন্য কোনো দলিল প্রয়োজন হয় না। মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা মায়েদার ৬৭ নং আয়াতে বলছেন, হযরত আলীকে মাওলা ঘোষণা না করা পর্যন্ত রেসালাতের কোনো কিছুই পৌঁছানো হয়নি এবং ইসলাম অপরিপূর্ণ ছিলো। গাদীরে খুমে যখন রাসূলে খোদা আল্লাহর নির্দেশে হযরত আলীকে মাওলা ঘোষণা করা হলো, তখন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরীফের সর্বশেষ আয়াত নাজিল করে বললেন, আজ আমি আপনার ধর্মকে নেয়মত দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিলাম। তার মানে মাওলা আলী হলেন, আল্লাহর নেয়ামত। এখন কি আমরা আল্লাহর নেয়ামত পেয়ে খুশি অর্থাৎ ঈদ উৎসব পালন করতে পারবো না ভাই। যেদিনে ইসলাম ধর্ম পরিপূর্ণতা পেলো, সেদিন আনন্দ করবো না তো কোনদিন করবো ভাই। এখন বিধর্মীরা মাওলা আলীর অভিষেক দিবসে আনন্দ করবে না বরং বিরোধিতা করবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। এই ঈদ তো শুধুমাত্র মুমিনদের জন্য।

ঈদে গাদীরে খুম দিবস না মানার অর্থ হলো, আল্লাহ এবং রাসূলে খোদার মনোনীত মাওলা আলী, নেয়ামত এবং সরাসরি ইসলামকে কটাক্ষ এবং অস্বীকার করার নামান্তর। তাই খারেজী এবং বিধর্মীরা ঈদে গাদীরে খুম দিবসের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং ফতোয়া দেয়। অধম পাগল খারেজীদের ফতোয়া ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে অনেক দিন আগেই। ঈদে গাদীরে খুম আসলেই খারেজী, বিধর্মী এবং মোনাফেকদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন হয়ে পড়ে। অধম পাপী বিনয় করে, মাওলা আলীর অভিষেক দিবস উপলক্ষে সবাই বাড়ীতে মিলাদ মাহফিল এবং আনন্দ উৎসব পালন করুন।

মুমিনদের জন্য ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) এবং ঈদে গাদীরে খুম অর্থাৎ মাওলা আলীর অভিষেক দিবস সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ। একটা সময় আসবে তখন দেখবেন, এইসব ফতোয়াবাজ খারেজীরা বন্যার জলে ভেসে যাবে। বিশ্বাস না হলে আজকের তারিখটা লিখে রাখুন। আহলে বাইত গোলামদের বিজয় সুনিশ্চিত। আমাদেরকে আর শিয়া ও ভ"ন্ড উপাধি দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা যাবে না। দিন দিন ঈদে গাদীরে খুম দিবসের অনুষ্ঠান বেড়েই যাবে এবং কেয়ামত পর্যন্ত চলবে।

জয় মাওলা আলীর জয়। জয় মোহাম্মদী ইসলামের জয়।

প্রচারেঃ মুক্তবিশ্বাসী ও সৎকর্মশীলদের দরবার
বিশ্ব জ্ঞান বিজ্ঞান যোগ ধ্যান সাধনা ও চর্চা কেন্দ্র।

প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তির সর্বাবস্থায় তিনটি গুণ থাকা একান্ত আবশ্যক। তার প্রথমটি হলো, আল্লাহ্ পাকের আদেশ পালন, দ্বিতীয়টি ...
10/06/2025

প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তির সর্বাবস্থায় তিনটি গুণ থাকা একান্ত আবশ্যক। তার প্রথমটি হলো, আল্লাহ্ পাকের আদেশ পালন, দ্বিতীয়টি হলো তাঁর নিষিদ্ধ বিষয় বর্জন এবং তৃতীয়টি হলো, তৎকর্তৃক নির্ধারিত তাকদীর বা অদৃষ্টে সন্তুষ্টি প্রকাশকরণ।

[সূত্রঃ- ফতহুল গয়ব, পৃ. ১০৩,
— হযরত গাউসুল আজম (রহ.)]

পার্থিব জীবনের সম্পদ মূল্যহীন জীবনোপকরণ,  সে গাফেল যে এর ওপর ভিত্তি করে জীবন কাটিয়ে দেয়।—দিওয়ান-এ-খাজা মঈনুদ্দীন চিশত...
08/06/2025

পার্থিব জীবনের সম্পদ মূল্যহীন জীবনোপকরণ,
সে গাফেল যে এর ওপর ভিত্তি করে জীবন কাটিয়ে দেয়।

—দিওয়ান-এ-খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রা.)

দান খয়রাত গোপনে কর, কারণ এর দ্বারা পাপ মোচন হয় এবং মহান আল্লাহর রোষ নির্বাপিত হয়। #মাওলা_আলী (আ.)[সূত্র:- আল-বিদায়া ...
06/06/2025

দান খয়রাত গোপনে কর, কারণ এর দ্বারা পাপ মোচন হয় এবং মহান আল্লাহর রোষ নির্বাপিত হয়।

#মাওলা_আলী (আ.)

[সূত্র:- আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭ম খণ্ড পৃঃ ৫৪৯]

হাজেব একজন মস্তবড় ও বিখ্যাত কবি ছিলেন; চমৎকার কবিতা রচনা করতেন, মানুষের চাহিদা ও মনোবাসনা লক্ষ্য করে কবিতা রচনা করতো, এ...
04/06/2025

হাজেব একজন মস্তবড় ও বিখ্যাত কবি ছিলেন; চমৎকার কবিতা রচনা করতেন, মানুষের চাহিদা ও মনোবাসনা লক্ষ্য করে কবিতা রচনা করতো, একদা আলী (আ.)-এঁর গুণকীর্তন নিয়ে নিম্নোক্ত কবিতাটি রচনা করলেন:

এই হাজেব যদি হাশরের হিসাব নিকাশ আলীর সাথে হয় তবে যতখুশি গুনাহ করো, আমি তার জামিনদার।
অর্থাৎ যদি আলীর ভালোবাসা ও মহব্বত থাকে তাহলে নাজাত পাওয়ার জন্য তাই যথেষ্ট তখন যত ইচ্ছা গুনাহ করো কোন অসুবিধা নেই। আর এ কবিতা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে গুনাহগার ব্যক্তিদের জন্য তা একটা সবুজ নিশানা।

সে কবি এক রাতে আলী (আ.)-কে স্বপ্নে দেখলো আলী (আ.) তাকে বললো এটা আবার কেমন কবিতা বললে? হাজেব বললো তাহলে কিভাবে বলবো?
আলী (আ.) তার কবিতা সংশোধন করে বললেন: এই হাজেব যদি আখেরাতে আলীর সাথে লেনদেন থাকে তাহলে আলীর প্রতি লজ্জাশীল থেকো ও কম গুনাহ করো।
অতএব কাউকে ভালোবাসার অর্থ হলো তাকে অনুসরণ ও আনুগত্য করা এবং গুনাহ খাতা থেকে বিরত থাকা।

[সূত্র: বেলায়েত সম্পর্কিত আয়াতসমূহের তাফসীর, পৃ. ১৫০। —আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী। অনুবাদ - মোহাম্মদ সামিউল হক।]

পশুর গলায় মালা না দিলে কোরবানী হয় না।_____________________________ #ক্বালায়েদাকোরবানীর পশুর গলায় মালা দেওয়াকে ক্বাল...
29/05/2025

পশুর গলায় মালা না দিলে কোরবানী হয় না।
_____________________________

#ক্বালায়েদা

কোরবানীর পশুর গলায় মালা দেওয়াকে ক্বালায়েদা বলে। পশুর গলায় অবিরামভাবে মালা দেওয়া একটি রূপক কথা। মালা না দিলে অর্থাৎ উহাদের প্রত্যেকটিকে চিহ্নিত না করিলে সেইগুলি উৎসর্গিত হয় না। চিহ্নিত করা বিষয়টি মুক্তি সাধনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। ইহা সম্যক গুরু হইতে শিক্ষণীয়।
‘মালা দেওয়া’ ইহা একটি রূপক কথা। ইহার অর্থ চিহ্নিত করা, পরিজ্ঞাত করা, মনের নিকট পরিচিত করা, মনকে স্পষ্টভাবে জানাইয়া দেওয়া। To identify a thing exactly and precisely.
#দৃশ্য, #শব্দ, #গন্ধ, #স্পর্শ ইত্যাদিরূপে ইন্দ্রিয় দ্বার দিয়া যাহা কিছু মস্তিষ্কে প্রবেশ করে তাহার বিষয় অবগত থাকিতে হয়। সঠিক অবগতি লাভের জন্য তাহার প্রত্যেকটির উপর মালা পরাইতে হয়। অর্থাৎ উহাদিগকে চিহ্নিত করিতে হয়— দৃশ্যকে দৃশ্যরূপে, শব্দকে শব্দরূপে, গন্ধকে গন্ধরূপে ইত্যাদি নামকরণ করিয়া চিহ্নিত করিতে হয়। মনের ভাষায় চিহ্নিত না করিলে এইগুলি বদ্ধমূল সংস্কাররূপে মস্তিষ্কে স্থান লাভ করে এবং পুনর্জন্মের উপাদানরূপে থাকিয়া বা জমা হইয়া জীবনকে দুঃখময় করিয়া তুলে।

সূত্রঃ- কোরবানী,
— সদর উদ্দিন আহমেদ চিশতী (রহ.)।

সত্য বাদীর সাথেই আল্লাহ থাকেন। মিথ্যা বর্জন কর, কেননা মিথ্যা মানুষকে ঈমান থেকে দূরে নিয়ে যায়।ও #মাওলা_আলী (আ.)[সূত্র:-...
29/05/2025

সত্য বাদীর সাথেই আল্লাহ থাকেন। মিথ্যা বর্জন কর, কেননা মিথ্যা মানুষকে ঈমান থেকে দূরে নিয়ে যায়।

#মাওলা_আলী (আ.)

[সূত্র:- আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭ম খণ্ড পৃ:-৫৫০]

24/05/2025

প্রয়োজনাতিরিক্ত ইবাদত আল্লাহর নৈকট্য দিতে পারে না যদি তা আবশ্যকীয় ইবাদতের ব্যাঘাত ঘটায়।

—মাওলা আলী (আ.)

Address

Dhaka
1230

Telephone

+8801610764791

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সুফিবাদের পথ - Way of Sufism posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সুফিবাদের পথ - Way of Sufism:

Share