সুফিবাদের পথ - Way of Sufism

সুফিবাদের পথ - Way of Sufism Four principles of sufism...
- Repentance
- Sincerity
- Remembrance
- Love Sufism is a path of joy, love, and humanity, and we are ready to tread this path.

"সুফিজমের পথে

আমাদের 'সুফিজমের পথ' পৃষ্ঠার স্বাগতম। এই পৃষ্ঠার মাধ্যমে আমরা সুফি তত্ত্ব, সুফি সাধনা, এবং মানবিক উন্নতির দিকে একটি আলোকপথ প্রদান করতে চেষ্টা করছি। সুফিজম একটি আনন্দের, ভালোবাসার এবং মানবিকতার পথ, এবং আমরা এই পথে চলতে প্রস্তুত। আসুন এই সান্ত্বনার জগতে আমরা সহজেই ভ্রমণ করি এবং আপনাদের সঙ্গে সুফিজমের অদ্ভুত প্রহরগুলি ভাগ করি। ধন্যবাদ।"

"Way of Sufism

Welcome to our 'Way of Sufism' p

age. Through this page, we aim to shed light on the principles of Sufism, Sufi practices, and a path towards human development. Join us in this world of inspiration, easily explore, and share the wonderful moments of Sufism with you. Thank you."

কোনো  #খারেজী_ওহাবী ই*ব*লি*শের অনুসারীদের মাজার হয় না। মাজার কাদের হয়? মাজার হয় নবী-রাসুল ও আল্লাহর ওলীদের। ইবলিশ যেম...
26/09/2025

কোনো #খারেজী_ওহাবী ই*ব*লি*শের অনুসারীদের মাজার হয় না। মাজার কাদের হয়? মাজার হয় নবী-রাসুল ও আল্লাহর ওলীদের। ইবলিশ যেমন নবী রাসুল ও আল্লাহর ওলীদের বা তাদের মাজার মানে না তার অনুসারী খারেজী ওহাবীরাও একই কাজ করে থাকে। মাজার নেই ইবলিশের, মাজার আছে আদম (আ.)-এঁর। মাজার নেই নমরুদের, মাজার আছে ইব্রাহিম (আ.)-এঁর। মাজার নেই ফেরাউনের, মাজার আছে মুসা (আ.)-এঁর। মাজার নেই আবু জাহেলের, মাজার আছে হযরত মুহম্মদ (সা.)-এঁর। মাজার নেই এজিদের, মাজার আছে ইমাম হোসাইন (আ.)-এঁর। মাজার হবে না কোনো ইবলিশের অনুসারীদের, মাজার হবে তাদের যারা ইবলিশ বা খান্নাসের কুমন্ত্রণা হইতে নিজেকে মুক্ত করে মোমিন হতে পেরেছেন বা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পেরেছেন। কোনো ওহাবী খারেজী ইবলিশের অনুসারীদের মাজার হবে না। বিধায় তারা রওজা বা মাজার দেখলে বা সেই মাজারে কাউকে মাথা নত করে সম্মান করতে দেখলে জ্বলে ওঠে, যেমন জ্বলে উঠেছিল ইবলিশ আদম (আ.)-কে সেজদা করতে।

 #ইমাম_গাজ্জালি (রহ.) তাঁর  #মুকাশশাফাতুল_কুলুব কিতাবে এভাবে বর্ণনা করেছেন, একদিন পাপিষ্ঠ শয়তান হযরত মূসা (আ.)-এর নিকট ...
18/09/2025

#ইমাম_গাজ্জালি (রহ.) তাঁর #মুকাশশাফাতুল_কুলুব কিতাবে এভাবে বর্ণনা করেছেন, একদিন পাপিষ্ঠ শয়তান হযরত মূসা (আ.)-এর নিকট হাজির হয়ে বলতে লাগলো, ‘হে মুসা! আপনাকে আল্লাহ তা‘আলা রেসালাত ও নবুওয়তের সম্মানে ভূষিত করেছেন, আপনার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন।’ হযরত মুসা (আ.) বললেন, ‘তা অবশ্যই, কিন্তু তোমার উদ্দেশ্য কি? তুমি আমার কাছে কি চাও? তুমি কে? ইবলিস বলল, ‘হে মুসা! আপনি আপনার রবের নিকট বলুন, আপনার এক মাখলুক তওবা করতে চায়।’ তখন আল্লাহ তা'আলা হযরত মুসা (আ.)-এর কাছে ওহী পাঠালেন, ‘হে মুসা! তুমি তাকে বলে দাও, আল্লাহ তা‘আলা তোমার দরখাস্ত শুনেছেন। অনন্তর তাকে আদেশ করো, সে যেন আদমের (আ.) কবর সামনে রেখে সেজদা করে। সে এভাবে সেজদা করে নিলেও আমি তার তওবা কবুল করব এবং তার সব অপরাধ ক্ষমা করে দেব। হযরত মুসা (আ.) শয়তানকে আল্লাহর নির্দেশের কথা বললে সে ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে দম্ভের সাথে বলতে লাগলো, ‘হে মুসা! আমি আদমকে জান্নাতে সেজদা করিনি, এখন তার মৃত্যুর পর তাকে সেজদা করব? আমি তা করতে পারি না।’

সুতরাং যেই শ*য়*তা*ন জান্নাতে আদম (আ.)-কে সেজদা করেনি সেই শ*য়*তা*ন পরবর্তীতে আদম (আ.)-এর কবরেও সেজদা করতে পারে না বা তার অনুসারীরাও ঠিক একই কাজ করে থাকে, তারা কোনো নবী-রাসুল ও আল্লাহর ওলীদের মাজারে মাথা নত করে না বরং তারা বেয়াদবি করে থাকে। শুধু তাই নয় শ*য়*তা*নে*র বা*চ্চা*রা মাজার ভা*ঙ*চু*র ও মাজার থেকে লাশ তুলে জ্বালিয়ে দেয়ার মতো জঘন্য কাজও করে থাকে। এই কারণেই বেয়াদবদের হাসর তাদের উস্তাদ ইবলিশের সাথেই হবে। অবশেষে বলি এই শয়তানের বা*চ্চা*দের ভুলেও কেউ মুসলিম ভাববেন না। এরা সব নামধারী মুসলিম। দাড়ি টুপি ওয়ালা এরা প্রকাশ্য শ*য়*তা*ন। এদের দেখলেই “আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম” পড়বেন।

[বিঃদ্রঃ লেখাটি সকলের কপি করার অনুমতি রইল]

12/09/2025
 #রসূল (সা.)-এঁর শুভাগমনের সময়  #ইবলিসের_গগন_বিদারী_কান্না:যখন নূরে মোহাম্মদী (সা.) হযরত আব্দুল্লাহর (রা.) মাধ্যমে হযরত...
04/09/2025

#রসূল (সা.)-এঁর শুভাগমনের সময়
#ইবলিসের_গগন_বিদারী_কান্না:

যখন নূরে মোহাম্মদী (সা.) হযরত আব্দুল্লাহর (রা.) মাধ্যমে হযরত আমেনার (রা.) রেহেম (গর্ভে) পাকে স্থানান্তরিত হলো, তখন গোটা পৃথিবীর সকল মূর্তি তাদের মাথা নত করে নিল এবং শয়তানেরা তাদের প্রতারণার হাতকে গুটিয়ে নিল। ফেরেশতারা ইবলিসের আসনকে ভেঙে সমুদ্রে নিক্ষেপ করে দিল এবং চল্লিশদিন পর্যন্ত তাকে শাস্তি দিল। সর্বশেষ সে সেখান থেকে পালিয়ে জাবালে আবি কুবাইসে এসে এমন ভাবে চিল্লাচিল্লি, আহাজারি ও ফরিয়াদ করতে লাগলো যে, তার বংশধরেরা এসে একত্রিত হয়ে গেল। বলতে লাগলো: তোমাদের উপর আমার বড়ই আফসোস হচ্ছে যে, মোহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ (সা.) -এঁর বেলাদত (জন্ম) হয়ে গেছে। মনে রেখো! তাঁর আগমনের পর লাত-উয্যা এবং সকল প্রকার মূর্তির পূজা বন্ধ হয়ে যাবে এবং গোটা পৃথিবী তাওহীদের নূর দ্বারা সজ্জিত হয়ে যাবে, এমনিভাবে আরবের সকল গোত্র, কুরাইশদের প্রতি লজ্জিত হয়ে যাবে এবং জ্যোতিষ বিদ্যার জ্ঞান তাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে। ঐ রাত জমিন ও আসমান থেকে এই ধ্বনী আসতে লাগলো যে, এই আখেরী জামানার নবীর আগমনের সময় অতি নিকটে চলে এসেছে; যিনি বরকত দিয়ে আমেনার (রা.) পেট মোবারককে নূরানী করেছেন এবং তাঁকে কোনো প্রকারের কষ্ট-ক্লেষ দেননি। রসূলের (সা.) বেলাদাত ১২ই রবিউল আউয়াল, সোমবার হস্তীবাহিনীর ঘটনার পঞ্চাশদিন পরে হয়েছিল।

[শাওয়াহেদুন নবুওয়াত পৃ.৭৭। উয়ূনুল আসার, ১:৩৪। বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২:১৬৬‌। হুজ্জাতুল্লাহে আলাল আলামীন, ১৩১ পৃ.।]

দান খয়রাত গোপনে কর, কারণ এর দ্বারা পাপ মোচন হয় এবং মহান আল্লাহর রোষ নির্বাপিত হয়। #মাওলা_আলী (আ.)[সূত্র:- আল-বিদায়া ...
26/08/2025

দান খয়রাত গোপনে কর, কারণ এর দ্বারা পাপ মোচন হয় এবং মহান আল্লাহর রোষ নির্বাপিত হয়।

#মাওলা_আলী (আ.)

[সূত্র:- আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭ম খণ্ড পৃঃ ৫৪৯]

25/08/2025
 #ইসরাইল_গঠনে_ওহাবী_বাদশাহ_সউদের_ভূমিকাওহাবী বাদশাহ আব্দুল আযিয ইবনে সউদ যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন ব্রিটিশ সরকার তার ক্ষমতা...
13/08/2025

#ইসরাইল_গঠনে_ওহাবী_বাদশাহ_সউদের_ভূমিকা

ওহাবী বাদশাহ আব্দুল আযিয ইবনে সউদ যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন ব্রিটিশ সরকার তার ক্ষমতা গ্রহণের উৎসবে পাঠিয়েছিল স্যার কুকাসকে প্রতিনিধি হিসেবে। রাজা উপাধিতে বিভুষিত করে কুকাস তাকে বলেছিল, “হে আব্দুল আযিয! আপনি শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী।” উত্তরে রাজা বলেছিল, “আপনারাই আমার এ ব্যক্তিত্ব সৃষ্টি করেছেন ও এ সম্মান দান করেছেন। যদি মহান ব্রিটিশ সাম্রাজ্য না থাকতো তাহলে এখানে আব্দুল আযিয আল সউদ নামে কেউ আছে বলেই জানত না। আমি তো আপনাদের (ব্রিটিশদের) মাধ্যমেই “আমির আব্দুল আযিয ইবনে সউদ শীর্ষক খেতাবটি অর্জন করতে পেরেছি। আমি আপনাদের এই মহানুভবতা আজীবন ভুলবো না। আর আমার বিগত আচরণ ছিল আপনাদের সেবক ও ফরমানবরদার (গোলাম) হিসেবে আপনাদের ইচ্ছাগুলো বাস্তবায়ন করা।” ওই উৎসবে কুকাস ব্রিটিশ সরকারের দেয়া শাহী তামগা বা মেডেল বাদশাহ আব্দুল আযিযের গলায় পরিয়ে দেয়। কুকাস বলে যায়: “অচিরেই আমরা আপনাকে হিজাজ ও তার আশেপাশের অঞ্চলগুলোর বাদশাহ বলেও ঘোষণা করবো এবং তখন হিজাজকে ‘সউদি সাম্রাজ্য’ বলে ঘোষণা করা হবে।” এ কথা শুনে বাদশাহ আব্দুল আযিয স্যার কুকাস এর কপালে চুমু খায় ও বলে, “আল্লাহ যেন আমাদেরকে (সউদিদেরকে) আপনাদের খেদমত (দাসত্ব) করার ও ব্রিটিশ সরকারের সেবা (গোলামি) করার তৌফিক দেন।” (সূত্রঃ- মুহাম্মদ আলী সাইদ লিখিত ‘ব্রিটিশ ও ইবনে সউদ’ পৃঃ-২৬)

১৯১৪ সালে স্বাক্ষরিত আল-আকির চুক্তি অনুযায়ী আব্দুল আযিয (আধুনিক ইবনে সউদ) তুরস্কের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য দেয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হন। আর বাহরাইন ব্রিটিশ সরকারের কর্তৃত্বে থাকবে বলেও সউদ কথা দেয় এবং উপসাগরীয় এলাকায় ব্রিটিশ নাগরিক ও ইংরেজদের ব্যবসা বাণিজ্যের রক্ষণাবেক্ষণ করবে বলেও ওই চুক্তিতে অঙ্গীকার করে। বিনিময়ে ব্রিটিশ সরকার ইবনে সউদকে সমর্থন দেওয়ার ও যে কোন পক্ষ থেকে তার ওপর আক্রমণ করা হলে তা প্রতিহত করবে বলে ওয়াদা দেয়। (‘সরওয়াতুস সৌদিয়া’, পৃ-৩৯ এবং ‘ব্রিটিশ ও ইবনে সউদ’, পৃ-২০)

১৯১৭ সালের ০২ নভেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যালফোর ফিলিস্তিনে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই ঘোষণা ব্যালফোর ঘোষণা নামে ইতিহাসে খ্যাত। এ ঘোষণা দেয়ার আগে ব্রিটিশরা সউদি রাজা আব্দুল আযিযের কাছ থেকে লিখিত সম্পত্তিপত্র আদায় করেছিল। ওই চিঠিতে লেখা ছিলঃ “আমি বাদশাহ আব্দুল আযিয ইবনে আব্দুর রহমান ও সউদের বংশধর হাজার বার স্বীকার করছি ও জেনেশুনে বলছি যে, মহান ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি স্যার কুকাস-এর সামনে স্বীকারোক্তি করছি এই মর্মে যে, গরীব ইহুদিদেরকে বা অন্য কাউকে ব্রিটিশ সরকার যদি ‘ফিলিস্তিন’ দান করে দেন তাহলে এতে আমার কোনো ধরনের আপত্তি নেই। বস্তুত: আমি কিয়ামত পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকারের অভিমতের বাইরে যাব না।” (সূত্রঃ নাসিরুস সাইদ প্রণীত ‘আলে সউদের ইতিহাস)

একবার (১৯৪৫ সালে) বাদশাহ আব্দুল আযিয সউদ ইহুদিবাদী ইসরাইল গঠনের বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে বসে। তৎক্ষণাৎ ব্রিটিশ সরকার ও ইহুদিবাদীদের পক্ষে দু'জন প্রতিনিধি এসে বাদশাহ আব্দুল আযিযের সঙ্গে দেখা করে এবং বাদশাহকে তার সম্পাদিত সম্পত্তি-পত্রটির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তখন বাদশাহ তাদের বলেছিল: “আমি ইহুদিদের স্বার্থে কার্যত যা করে যাব তার ওপর বিশ্বাস রাখবেন। কি বলছি তার দিকে লক্ষ্য করবেন না। কারণ, এ ধরনের কথা না বললে আমি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবো না।” বাদশাহর এই কথা শুনে ব্রিটিশ সরকারের ও ইহুদিবাদীদের প্রতিনিধি খুশি হয়ে ফিরে যায়। (সূত্রঃ নাসিরুস সাইদ লিখিত ‘আলে সউদের ইতিহাস’, পৃ-৯৫৩)

এভাবে সে যুগে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের প্রতীক ও শেষ ভরসাস্থল হিসেবে বিবেচিত তুর্কি খেলাফতের ধ্বংস সাধনে সউদি রাজা আব্দুল আযিয ও ব্রিটেনের যৌথ ষড়যন্ত্রটি বাস্তবায়িত হয়েছিল। সউদের অনুগত ওহাবী সেনারা তুর্কি মুসলমানদের গুলি করে হত্যা করেছিল এবং রক্ষা করেছিল ব্রিটিশ নাগরিকদের ও তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যকে। তাই এটা স্পষ্ট যে সউদি আরব নামক রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সৃষ্টিতে ব্রিটেনের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ। অথচ ইসলাম রাজতন্ত্র সমর্থন করে না বলে ইসলাম বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন।

[তথ্য সূত্রঃ- ওহাবীদের আসল পরিচয়, পৃঃ- ১১৫-১১৭
— সাজ্জাদ হোসেন রনি]

[(হযরত উসমান হারুনী (রা.)] হুজুর এরশাদ করলেন আখেরী (শেষ) জামানার (কালের) আলেম ও আমির সম্বন্ধে হযরত রাসূলে মকবুল (সা.) বল...
12/07/2025

[(হযরত উসমান হারুনী (রা.)] হুজুর এরশাদ করলেন আখেরী (শেষ) জামানার (কালের) আলেম ও আমির সম্বন্ধে হযরত রাসূলে মকবুল (সা.) বলেছেন যে, শেষ জামানার দলপতি (আমির)-গণ স্বেচ্ছাচারী হবে এবং আলেমগণ দুনিয়াকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে এবং ফেতনা (বিশৃঙ্খলা) সৃষ্টি করবে সুতরাং সে সময় জীবিত থাকার চেয়ে যে মৃত্যুই উত্তম হবে। কেননা মুমেনগণ তখন বিলাসে নিমজ্জিত হবে অর্থাৎ আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকবে। এরপর এরশাদ করলেন, যখন আমির হবে স্বেচ্ছাচারী এবং আলেম হবে দুনিয়ার বন্ধু তখন আল্লাহতা'আলা দুনিয়ার বুক থেকে বরকত তুলে নিবেন। রোগ, ব্যাধি ও অন্যায় করার প্রবণতা মানুষকে গ্রাস করবে। শহর বিরানা (বিজন) হবে এবং পৃথিবীর বুকে ঝগড়া-বিবাদ ছড়িয়ে পড়বে। এরপর এরশাদ করলেন, আখেরী জামানার অধিকাংশ আলেম মদ্যপায়ী ও সমকামী হবে। সুতরাং অবশ্যই জানবে যে তারা দোজখের কাষ্ঠখণ্ড।

[তথ্যসূত্র:- আনিসুল আরওয়াহ্ (রুহের বন্ধু) পৃ. ৩৫ — হযরত খাজা সৈয়দ মঈনুদ্দিন হাসান সাঞ্জরী চিশতী সুম্মা আজমেরী (রা.) অনুবাদ —মুফতী মোঃ রফিকুল ইসলাম চিশতী।]

 #মা_ফাতেমার_কোরবাণীএকদিন হুজুর আকরাম (সা.) ঘর থেকে বের হয়ে কোথায় যেন চলে গেলেন। প্রিয় নবীজী (সা.) কোন খবর না পেয়ে স...
05/07/2025

#মা_ফাতেমার_কোরবাণী

একদিন হুজুর আকরাম (সা.) ঘর থেকে বের হয়ে কোথায় যেন চলে গেলেন। প্রিয় নবীজী (সা.) কোন খবর না পেয়ে সাহাবী ও আহলে বাইতগন অস্থির হয়ে চতুর্দিক খুঁজতে লাগলেন। অবশেষে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাহাড়ের উপর নবীজী (সা.)-কে পাওয়া গেল। সবাই গিয়ে দেখলেন তিনি সিজদায় পড়ে ‘ইয়া উম্মতি, ইয়া উম্মতি’ বলে বেহুঁশ বেকারর হয়ে কাঁদছেন। সাহাবীগণ অনেক চেষ্টা করলেন হুজুর (সা.) কে সিজদা থেকে তুলে বাড়ি নিয়ে আসতে। কিন্তু না, সরকারে কায়েনাত কিছুতেই মাথা উঠালেন না, কেবলই ‘ইয়া উম্মতি, ইয়া উম্মতি’ বলে কাঁদছেন আর কাঁদছেন। সাহাবীরা অপারগ হয়ে চিন্তা করলেন মা ফাতেমার (সা.) কথা। একমাত্র মা ফাতেমাই (সা.) পারেন দয়াল নবী (সা.) কে বাড়ী ফেরাতে। তৎক্ষণাৎ মা ফাতেমা (সা.)-কে খবর দিয়ে আনলেন। পিতার এ অবস্থা দেখে তিনিও সিজদায় পড়ে কাঁদতে লাগলেন। তবুও প্রিয় নবীজী (সা.) মাথা তুলছেন না দেখে মা ফাতেমা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বললেন, ওগো, দয়াময়, দয়াল নবী (সা.)’র উম্মতের নাজাতের বদলে আমার নয়নমণি হাসান ও হোসাইনকে তোমার রাহে সদকা হিসাবে কোরবাণ করে দিলেও যদি তুমি রাজি হও তবুও আমার কোন আপত্তি নেই। দয়া করে আমার এ কোরবাণী তুমি কবুল কর, তবুও নবীজী (সা.)’র উম্মতকে তুমি মুক্তি দাও।’ অতঃপর দয়াল নবী মাথা তুললেন। এ সদকা দেওয়ার কারণেই আওলাদে রাসুল ( সা.)-এর সদকা হিসাবে কিছু খাওয়া কেয়ামত পর্যন্ত নিষেধ হয়ে গেল। আর একদিন দয়াল নবী ফজরের নামায আদায় করে ‘ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি’ বলে কাঁদতে লাগলেন। জিবরাঈল (আ.) এসে নবীজী (সা.)-কে বললেন, ‘হে হাবীবে খোদা (সা.) পরওয়ার দেগার আপনার কাছে জানতে চেয়েছেন, আপনি কি উম্মত চান, নাকি আপনার দুই নয়নের মণি হাসান-হোসাইনকে চান? যদি উম্মতের নাজাত চান তাহলে হাসান-হোসাইনের কোরবাণী কবুল করে নিন। কারণ আপনার মেয়ে খাতুনে জান্নাত আপনার উম্মতের বদলে আপনার নাতিদ্বয়কে আল্লাহর রাহে কোরবাণ করে দিয়েছেন।
[দেখুনঃ- তাবারী, ওফেদী, ইবনে খলদুন, শিররুশ শাহাদাতাইন ( শাহ আঃ আযীম মুহাদ্দেস দেহলভী) ইত্যাদি অনেক কিতাব। ]

বিশ্ব দুলালী নবী নন্দিনী
খাতুনে জান্নাত ফাতেমাজননী।
হাসান, হোসাইন তব উম্মত তরে মাগো,
কারবালা প্রান্তরে দিলে বলিদান।
বদলাতে তার রোজ হাশরে,
চাহিবে মা মোর মত পাপীদের ত্রাণ।
#নজরুল

মেশকাত শরীফে ( কেতাবুল আদাব) উল্লেখ আছে, ‘মা-খাতুনে-জান্নাত যখন নবী করীম (সা.)-এর খিদমতে উপস্থিত হতেন তখন প্রিয় নবীজী ( সা.) দাঁড়িয়ে যেতেন এবং তাঁর হাত ধরে চুম্বন দিয়ে নিজ আসনে বসাতেন।’ -এ হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর হাবিবের কাছে মা খাতুনে আতহারের মর্যাদা।

‘হায়দারী হাঁক হাঁকি দুলদুল আসওয়ার,
শমসের চমকায় দুশমন ত্রাসবার।
খসে পড়ে হাত হতে শক্রর তরবার,
ভাসে চোখে কেয়ামতে আল্লাহর দরবার।’

“নিঃশেষ দুশমন, ওকেরণ শান্ত,
ফোরাতের নীরে নেমে মোছে আঁখি প্রান্ত।
কোথা বাবা আসগর? শোকে বুক ঝাঁঝরা,
পানি দেখে হোসাইনের ফেটে যায় পাঁজরা।
ধুকে ম’লো, আহা তবু পানি এক কাৎরা,
দেয় নিরে বাছাদের মুখে কমজাতরা।
( নজরুল )

[ সূত্রঃ- কারবালা ও মুয়াবিয়া, সৈয়দ গোলাম মোরশেদ ]

কোথা সে শক্তি সিদ্ধ ইমাম, প্রতিপদাঘাতে যারআবে যম্ যম্ শক্তি উৎস বহিরায় আনিবার?আপন শক্তি লভেনি যেজন, হায় সে শক্তি হীনহয...
28/06/2025

কোথা সে শক্তি সিদ্ধ ইমাম, প্রতিপদাঘাতে যার
আবে যম্ যম্ শক্তি উৎস বহিরায় আনিবার?
আপন শক্তি লভেনি যেজন, হায় সে শক্তি হীন
হয়েছে ইমাম তাহারাই খুতবা শুনিতেছি নিশিদিন।

—কাজী নজরুল ইসলাম

কেবলমাত্র মূর্তীপূজাই শিরক কার্য তা নয়, বরং প্রবৃত্তির অনুসরণ করা, দুনিয়া ও আখেরাতে এবং এতদুভয়ের কোন বস্তুকে অন্তরে স...
19/06/2025

কেবলমাত্র মূর্তীপূজাই শিরক কার্য তা নয়, বরং প্রবৃত্তির অনুসরণ করা, দুনিয়া ও আখেরাতে এবং এতদুভয়ের কোন বস্তুকে অন্তরে স্থান দান করাও শিরকের অন্তর্গত।

[সূত্র:- ফতহুল গয়ব পৃ.১১৪
গাউসুল আজম (রহ.)]

Address

Dhaka
1230

Telephone

+8801610764791

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সুফিবাদের পথ - Way of Sufism posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সুফিবাদের পথ - Way of Sufism:

Share