11/06/2025
ঈদে গাদীর এ খুম দিন ঈদ পালন করা ফরজ। ঈদ মানে খুশি। কাজী সানাউল্লাহ পানিপথি (রহ.) বলেন,
والعيد السرور بعد الغم وقيل يوم السرور سمى به للعود من الترح الى الفرح
অর্থাৎ আনন্দ উৎসব বুঝাতে ঈদ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, ঈদকে খুশির দিন বলা হয় এ কারণে যে ওই দিন মানুষ সকল বিষন্নতা পরিহার করে আনন্দ মগ্ন হয়। (তাফসীরে মাযহারী, ৩য় খন্ড পৃষ্টা নং ২০৫)।
সুতরাং ঈদ হলো বিষন্নতামুক্ত অর্থ চিন্তামুক্ত দিন। যেদিন মানুষ খুশি থাকে, আনন্দ করে। অর্থাৎ কোনো খুশি বা আনন্দের দিনকেই ঈদের দিন হিসেবে অভিহিত করা হয়।
কাজী সানাউল্লাহ পানিপথি আরও (রহ.) বলেন,
وقيل عيدا اى عائدة من الله حجة وبرهانا
অর্থাৎ ঈদ অর্থ আঈদাহ। তথা আল্লাহর পক্ষ থেকে দলিল বা প্রমাণ (হুজ্জাত বা বুরহান)। (তাফসীরে মাযহারী, ৩য় খন্ড পৃষ্ঠা নং ২০৫)।
শরিয়তের আহকাম সম্পর্কিত ঈদ দুটি যথাঃ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। কিন্তু আভিধানিক অর্থেও খুশি বা আনন্দ প্রকাশার্থে শরিয়তে অনেক ঈদ বা খুশি রয়েছে, তার মধ্যে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) এবং ঈদে গাদীরে খুম অন্যতম। গাদীরে খুমের দিন কয়েকটি কারণে ঈদ বা খুশির দিন।
প্রথমতঃ ঈদে গাদীরে খুম কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। কেননা আল্লাহ তায়ালা অনুগ্রহ এবং রহমতপ্রাপ্তিতে খুশি উদযাপন করতে বলেছেন।
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ
অর্থাৎ “হে হাবীব! আপনি বলুন, আল্লাহর অনুগ্রহ (ফজল) ও রহমত প্রাপ্তিতে তারা যেন আনন্দ (ঈদ) প্রকাশ করে। এটা তাদের সমস্ত ধন দৌলত সঞ্চয় করা অপেক্ষা শ্রেয়।” (সূরা ইউনুস-আয়াত নং ৫৮।
উক্ত আয়াতে আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি (ঈদ) উদযাপন করার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং যেকোনো রহমতপ্রাপ্তিতে খুশি বা ঈদ উদযাপন করা কুরআন দ্বারা প্রমাণিত।
এখন আয়াতে কারীমার তাফসীরের দিকে লক্ষ্য করি। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি (রহ.) স্বীয় গ্রন্থ তাফসীরে দুররে মনসুরে বলেন,
وَأخرج الْخَطِيب وَابْن عَسَاكِر عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا {قل بِفضل الله} قَالَ: النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم {وبرحمته} قَالَ: عَليّ بن أبي طَالب رَضِي الله عَنهُ
অর্থাৎ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, উক্ত আয়াতের অনুগ্রহ (ফজল) বলতে মাওলা আলীকে বোঝানো হয়েছে এবং রহমত বলতে রাসূলে খোদাকে বোঝানো হয়েছে।
উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম আলুসী বাগদাদীর (রহ.) স্বীয় গ্রন্থ তাফসীরে রূহুল মাআনী-তে উল্লেখ করেন,
وأخرج الخطيب، وابن عساكر عنه تفسير الفضل بالنبي عليه الصلاة والسلام والرحمة بعلي كرم الله تعالى وجهه
অর্থাৎ ইবনে আসাকীর বলেন, উক্ত আয়াতের অনুগ্রহ (ফজল) বলতে মাওলা আলী এবং রহমত বলতে রাসূলে খোদাকে বোঝানো হয়েছে।
যেহেতু আল্লাহ তায়ালা অনুগ্রহ এবং রহমতপ্রাপ্তিতে খুশি উদযাপন করতে বলেছেন আর ইবনে আব্বাসের মতে অনুগ্রহ এবং রহমত দ্বারা মাওলা আলী (আ.) এবং রাসূলে খোদাকে বোঝানো হয়েছে। তাই মাওলা আলীর স্মরণে খুশি অর্থাৎ ঈদ উদযাপন করা বৈধ ও ফরজ। আর যেহেতু গাদীরে খুমের মূল্য উদ্দেশ্য হলো মাওলা আলীর মাওলায়াত, ইমামত, খেলাফত এবং বেলায়াত ঘোষণা। আল্লামা আলুসী বাগদাদী (রহ.), জালাল উদ্দিন সুয়ুতি, কাজী সানাউল্লাহ পানিপথি বলেন, গাদীরে খুমের দিন মাওলা আলীর মাওলায়াত, ইমামত, খেলাফত এবং বেলায়াত ঘোষণার উদ্দেশ্যে সূরা মায়েদার ৬৭ নং আয়াতটি নাযিল হয়। আর মাওলা আলীর মাওলায়াত, ইমামত ও বেলায়াত উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য রহমতও বটে। তাই মাওলা আলীর (আ.) এর মাওলায়াত, ইমামত ও বেলায়াত প্রকাশের এই দিন গাদীরে খুমকে ঈদ বা খুশির দিন বলা বৈধ এবং ফরজ।
দ্বিতীয়তঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো দলিল বা প্রমাণ বা নির্দশন নাজিল হওয়ার দিন হলো ঈদ বা খুশির দিন। যেমন কাজী সানাউল্লাহ পানিপথি আরও (রহ.) বলেন,
وقيل عيدا اى عائدة من الله حجة وبرهانا
অর্থাৎ ঈদ অর্থ আঈদাহ। তথা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রমাণ বা দলিল (হুজ্জাত বা বুরহান)। (তাফসীরে মাযহারী, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা নং ২০৫)।
এই দৃষ্টিকোণ হতে ১৮ জিলহজ্ব ঈদে গাদীরে খুম এই জন্য যে, এই দিনে মাওলা আলীকে উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য মাওলা ঘোষণা করা হয়েছে, যা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য দলিল বা প্রমাণ। আরও লক্ষ্যণীয় যে, হযরত মাওলা আলী (আ.) এর উপাধীগুলোর মধ্যে একটি হলো হুজ্জাতুল্লাহ (আল্লাহর দলিল/প্রমাণ) ও অপরটি হলো বুরহানুল্লাহ (আল্লাহর দলিল/প্রমাণ)। যেমন হাদিস শরীফে উল্লেখ রয়েছে রাসূলে খোদা এরশাদ করেন,
أَنَا وَ عَلِيٌّ حُجَّةٌ عَلَي أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ
অর্থাৎ কিয়ামতের দিন আমি এবং আলী আমার অনুসারীদের জন্য হুজ্জাত (দলিল)।
তৃতীয়তঃ আরবী অভিধান ‘আল মুনজিদ’-এ ঈদের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘কোনো মর্যাদাবান ব্যক্তি অথবা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমবেত হওয়ার দিন বা স্মৃতিচারণের দিবসই ঈদ। (আল-মুন্জিদ, পৃ. ৫৩৯) যেহেতু ১৮ই জিলহজ্বে হযরত আলীকে মাওলা ঘোষণা করার জন্য সমবেত হয়েছিল। অর্থাৎ গাদীরে খুমে সকলেই সমবেত হয়েছে মাওলা আলীকে কেন্দ্র করে। তাই আরবী অভিধান ‘আল মুনজিদ’ এর ঈদের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৮ই জিলহজ্ব ঈদের দিন তথা ঈদে গাদীরে খুম।
চতুর্থতঃ গাদীরে খুমের দিন রাসূলে খোদা হযরত মাওলা আলী (আ.) এর হাত তুলে বলেছিলেন, আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা। তখন সাহাবীরা খুশি হয়ে হযরত আলী (আ.) কে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। সাহাবীদের মধ্যে প্রথমে হযরত আবু বকর ও হযরত উমর খুশি (ঈদ) প্রকাশ করেছিলেন। যেমন হযরত উমর খুশি বা ঈদ প্রকাশ করেছিলেন এভাবে-
بَخٍ بَخٍ لَكَ يَا ابْنَ أَبِي طَالِبٍ، أَصْبَحْتَ مَوْلَاهُ وَمَوْلَى كُلِّ مُؤْمِنٍ،
অর্থাৎ মারহাবা! মারহাবা! হে আবু তালিবের পুত্র। আপনি আমার মাওলা এবং প্রত্যেক মুসলিমের মাওলা।
যেহেতু গাদীরে খুমে সর্বপ্রথম খুশি বা ঈদ পালন করেছিলেন হযরত আবু বকর ও উমর। সুতরাং ঈদে গাদীর পালন করা সাহাবীদের আদর্শ। তাই ১৮ই জিলহজ্বকে ঈদে গাদীরে খুম বলাতে কোনো সমস্যা নেই বরং পালন করা ফরজ।
পঞ্চমতঃ গাদীরে খুমে মাওলা আলীর বেলায়াত ঘোষণা তথা মাওলা ঘোষণার পর সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ আয়াত নাজিল হয়। যথাঃ
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا
অর্থাৎ আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়েদা-৩)
উক্ত আয়াতে কারীমা নাযিলের ব্যাপারে ইবনে কাসীর বলেন, যখন রাসূলে খোদা হযরত আলী (আ.) এর হাত ধরলেন তখন বললেন, “আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা এ আয়াত নায়িল করলেন الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا
আবূ হুরায়রা বলেন, সে দিনটি ছিল গাদীরে খুমের দিন। উক্ত আয়াতে কারীমা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, গাদীরে খুমের দিন হযরত আলীর মাওলায়াত, ইমামত এবং বেলায়াত প্রকাশ পায়। রাসূলে খোদা আলীকে মাওলা তথা অভিভাবক ঘোষণা করেন। রাসূলে খোদাও মাওলা এবং আলীও মাওলা। রাসূলে খোদা নবুওয়াতের দিক হতে উম্মতের মাওলা আর আলী হলেন বেলায়াতের দিক হতে উম্মতের মাওলা। যেদিন হযরত আলীর মাওলায়াত, ইমামত এবং বেলায়াত প্রকাশ পেল সেই দিন মুমিনদের নিকট অবশ্যই খুশি বা ঈদের দিন।
গাদীরে খুমের দিন মোহাম্মদী ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণতার দিন। যেদিন ইসলাম পূর্ণতা পেল সেদিন মুমিনের নিকট অবশ্যই খুশি বা ঈদের দিন।
গাদীরে খুমের দিন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে নিয়ামত সম্পূর্ণ হলো। যেদিন নিয়ামতে পূর্ণতা হলো সেদিন মুমিনের নিকট অবশ্যই খুশি বা ঈদের দিন।
গাদীরে খুমের দিন আল্লাহ তায়ালা ধর্ম হিসেবে ইসলামকে মনোনিত করলেন। যেদিন আল্লাহ তায়ালা ধর্ম হিসেবে ইসলামকে মনোনিত করলেন সেই দিন মুমিনের নিকট অবশ্যই খুশি বা ঈদের দিন।
সুতরাং সূরা মায়েদা ০৩ নং আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ১৮ জিলহজ্ব বা গাদীরে খুমের দিন খুশির দিন তথা ঈদের দিন। অর্থাৎ আনন্দ প্রকাশের দিন।
ষষ্ঠতঃ যেদিনে নেকের আমল করা হয় তা মুমিনের জন্য ঈদের দিন। আর হাসান বসীর বলেন,
كل يوم يقضيه المؤمن في طاعة مولاه وذكره وشكره فهو له عيد
অর্থাৎ মুমিন যেদিন তার মাওলা পাকের ইবাদত, জিকির ও কৃতজ্ঞতায় অতিবাহিত করে, সে দিন তার জন্য ঈদের দিন।
গাদীরে খুমের দিন বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যমে পালন করা হয় এবং মাওলা আলীর (আ.) এর আলোচনা করা হয়, তাই এই দিন মুমিনের নিকট ঈদের দিন বা খুশির দিন।
১৮ই জিলহজ্ব ঈদে গাদীর মাওলা আলীর অভিষেক দিবসে অধম পাগল আনন্দে উল্লাসে নৃত্য করে। অধম পাপী বিনা দলিলে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) এবং ঈদে গাদীরে খুম দিবস পালন করবে। প্রেমিকের জন্য কোনো দলিল প্রয়োজন হয় না। মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা মায়েদার ৬৭ নং আয়াতে বলছেন, হযরত আলীকে মাওলা ঘোষণা না করা পর্যন্ত রেসালাতের কোনো কিছুই পৌঁছানো হয়নি এবং ইসলাম অপরিপূর্ণ ছিলো। গাদীরে খুমে যখন রাসূলে খোদা আল্লাহর নির্দেশে হযরত আলীকে মাওলা ঘোষণা করা হলো, তখন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরীফের সর্বশেষ আয়াত নাজিল করে বললেন, আজ আমি আপনার ধর্মকে নেয়মত দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিলাম। তার মানে মাওলা আলী হলেন, আল্লাহর নেয়ামত। এখন কি আমরা আল্লাহর নেয়ামত পেয়ে খুশি অর্থাৎ ঈদ উৎসব পালন করতে পারবো না ভাই। যেদিনে ইসলাম ধর্ম পরিপূর্ণতা পেলো, সেদিন আনন্দ করবো না তো কোনদিন করবো ভাই। এখন বিধর্মীরা মাওলা আলীর অভিষেক দিবসে আনন্দ করবে না বরং বিরোধিতা করবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। এই ঈদ তো শুধুমাত্র মুমিনদের জন্য।
ঈদে গাদীরে খুম দিবস না মানার অর্থ হলো, আল্লাহ এবং রাসূলে খোদার মনোনীত মাওলা আলী, নেয়ামত এবং সরাসরি ইসলামকে কটাক্ষ এবং অস্বীকার করার নামান্তর। তাই খারেজী এবং বিধর্মীরা ঈদে গাদীরে খুম দিবসের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং ফতোয়া দেয়। অধম পাগল খারেজীদের ফতোয়া ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে অনেক দিন আগেই। ঈদে গাদীরে খুম আসলেই খারেজী, বিধর্মী এবং মোনাফেকদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন হয়ে পড়ে। অধম পাপী বিনয় করে, মাওলা আলীর অভিষেক দিবস উপলক্ষে সবাই বাড়ীতে মিলাদ মাহফিল এবং আনন্দ উৎসব পালন করুন।
মুমিনদের জন্য ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) এবং ঈদে গাদীরে খুম অর্থাৎ মাওলা আলীর অভিষেক দিবস সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ। একটা সময় আসবে তখন দেখবেন, এইসব ফতোয়াবাজ খারেজীরা বন্যার জলে ভেসে যাবে। বিশ্বাস না হলে আজকের তারিখটা লিখে রাখুন। আহলে বাইত গোলামদের বিজয় সুনিশ্চিত। আমাদেরকে আর শিয়া ও ভ"ন্ড উপাধি দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা যাবে না। দিন দিন ঈদে গাদীরে খুম দিবসের অনুষ্ঠান বেড়েই যাবে এবং কেয়ামত পর্যন্ত চলবে।
জয় মাওলা আলীর জয়। জয় মোহাম্মদী ইসলামের জয়।
প্রচারেঃ মুক্তবিশ্বাসী ও সৎকর্মশীলদের দরবার
বিশ্ব জ্ঞান বিজ্ঞান যোগ ধ্যান সাধনা ও চর্চা কেন্দ্র।