
10/09/2025
অভিশপ্ত অহংকার
______________
সকালে উঠে নামায পড়ে তাড়াতাড়ি ওযীফা শেষ করে রান্নার কাজে চলে গেল সায়মা। তার খুব ইচ্ছে করে- এই সকালে কুরআন তিলাওয়াত করতে।
কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও পড়ার উপায় নেই। কারণ প্রতিদিন সাত সকালে তাকে রান্না ঘরে ঢুকতে হয়। সে এ বাড়ির ছোট বৌ। দেখতে মায়াবী হলেও তার গায়ের রং কালো। এই কালো রংটাই যেন তার শত্রু। গায়ের রংটা কালো বলে এ বাড়িতে সবাই তাকে নিচু চোখে দেখে। যত গুণই থাক, যত মহান চরিত্রের অধিকারীই হোক না কেনো সে তো কালো। এটাই যেন তার মহাদোষ। অবহেলার পাত্রী বলে সব কাজ তার ঘাড়ে চাপে দাসী-বাদীর মত। বাড়ীর অন্যান্যরা নানা বাহানায় কাজকর্ম এড়িয়ে তার উপর ফেলে রাখে।
প্রথম যেদিন সে এ বাড়ীতে এলো কত চমৎকারই না দেখাচ্ছিল তাকে। অথচ তার শাশুড়ী সালেহা চৌধুরী তাকে দেখে আঁতকে উঠেছিল। মুখ দেখে
নাক ছিটকিয়ে বলেছিল- 'ওমা! এ যে দেখছি পেত্নী বিয়ে করে এনেছে। সারা শরীরে যেন আলকাতরা মাখানো'। শাশুড়ীর তিক্ত কথা শুনে লজ্জায় আর দুঃখে মরে যেতে ইচ্ছে করছিল সায়মার। সালেহা চৌধুরী সেদিন সমস্ত রাগ ঝেড়েছিলেন একমাত্র ছোট মেয়ে তাবীয়ার উপর ক্রদ্ধ বাঘিনীর মত। চিৎকার করে বলেছিলেন- মেয়ে দেখার সময় কি চোখ আকাশে তুলেছিলি? এত দেখে শুনে শেষ পর্যন্ত একটা কালো পেত্নী ধরে এনেছিস! মানুষের সামনে এ বউ দেখাব কেমন করে?
তাবীয়া মায়ের চিৎকার শুনে ফিস্ ফিস্ করে বলছিল আহ্ মা আস্তে বল! ভাবী শুনতে পাবেতো! সালেহা চৌধুরী, মেয়ের কথা শুনে আরো তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন- শুনলে শুনুক। ওই আমাবশ্যার চাঁদকে ভয় পাই নাকি আমি? তাবীয়া সেদিন তীব্রভাবে প্রতিবাদ করে বলেছিল- শুধু তুমি রংটাই দেখলে মা! ছোট ভাবীতো কালো হলেও দেখতে সুন্দর। তাছাড়া ছোট ভাবী একজন ধার্মিক মেয়ে। আজ পর্যন্ত কোনো পরপুরুষকে সে মুখ দেখায়নি। মেয়ের কথা ছো মেরে কেড়ে নিলেন সালেহা চৌধুরী। ব্যাঙ্গ করে বললেন- ও মুখ দেখাবে কি?
অমন আমাবশ্যার মত রূপ কাকে দেখাবে? লজ্জা-শরম বলতেও তো একটা কথা আছে। ও যদি রূপ দেখাতো, তাহলে সবাই ওকে "আলকাতরা সুন্দরী" বলতো। মায়ের কথা শুনে রাগ হয় তাবীয়ার। কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলেনা।
সম্পূর্ণ গল্পটি পড়তে বইটি ক্রয় করুন!
বইঃভালবাসার জ্বলন্ত আগুন।