04/11/2025
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগসে ১৮ অক্টোবর, আজ ৪ ঠা নভেম্বর। ১৫ দিনের বেশি পার হয়ে গেসে, আজ পর্যন্ত এই ঘটনার কোন তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসে নাই। অথচ সমগ্র বিমানবন্দরই সিসিটিভির আওতায় থাকার কথা। আপনি ভাবতে পারেন, দেশের প্রধান বিমানবন্দরের আগুন লেগে প্রায় বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়ে যাবার পরও সেটার তদন্ত নিয়ে কোন হেলদোল নাই!
সেই তদন্ত আবার দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যারা দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরের সিকিউরিটির দায়িত্ব পালন করে আসছে, যারা বিমানবন্দরের অলিগলি চিনে তাদের দিয়ে না করিয়ে আনা হয়েছে তুরস্কের প্রতিনিধি দল। দেশের নামটা খেয়াল করেন, তুরস্ক। যে দেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনাকাটা নিয়ে ব্যকগ্রাউন্ডে নানান কাজ চলতেসে। মাহফুজ, ড্যান্স বেবি আশিক সহ অনেককেই আমরা নিয়মিত তুরস্ক যেতে দেখসি, অস্ত্র কারখানায় পোজ দিয়ে ছবিও তুলতে দেখসি। সেই তুরস্ক থেকে তদন্ত দল হায়ার করে আনা হইসে ২৬ অক্টোবর, সেটারও কোন আপডেট নাই।
এরমাঝে বিমানবন্দরের সবচেয়ে সিকিউরড জায়গা হিসেবে বিবেচিত কার্গো ভিলিজের ভল্ট থেকে চুরি হইসে অস্ত্র। ২৪ অক্টোবর প্রথমবার ভল্ট ভাঙ্গা অবস্থায় অস্ত্র চুরির প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও, সেই অস্ত্র সেখানেই আবার রাখা হইসে! তারপর দ্বিতীয় দফা আবার চুরির খবর পাওয়া গেল ২ রা নভেম্বর। চুরি হওয়া অস্ত্রের মাঝে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অটোমেটিক এসল্ট রাইফেল এম-৪ কারবাইন ও ব্রাজিলের তৈরি সেমি অটোমেটিক পিস্তল টাওরাস।
খেয়াল করে দেখেন, এরমাঝেই কিন্তু বিমানবন্দর পরিদর্শন করসে তুরস্কের তদন্তকারী দল! আরেকটু মনে করিয়ে দেই এই কার্গো ভিলেজের আগুনেই কিন্তু পুড়ে গেসে রাশিয়া থেকে আসা রুপপুর আনবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৮ টন সরঞ্জাম। এরপরও যদি আপনাদের মনে হয় এই এই কার্গো ভিলেজে আগুন নিছকই দূর্ঘটনা, এই অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় এটা ঘটে নাই, তাইলে ভাই আপনাদের জাগানো কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব না।
এখন দুইটা প্রশ্ন খুবই রিলেভেন্টঃ
১) এই হাই ক্যালিবার অস্ত্রগুলো কোথায় নেয়া হইসে, সেগুলো কি কাজে ব্যবহৃত হবে?
২) সচিবালয়ের অগ্নিকান্ডের মতো লোক দেখানো প্রতিবেদন তৈরির জন্য হায়ার করে আনা তুরস্কের প্রতিবেদনটা কবে আসবে?
আপনাদের আরেকটু ধরিয়ে দেই,
এয়ারপোর্ট এবং এয়ারলাইন্সের রেঙ্কিং করা সংস্থা SKYTRAX, ২০২৫ সালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে রেটিং করেছেন ২ স্টার। যেটা কোন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বেয়ার মিনিমাম। এদিকে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকান্ডের পর প্রথম সারির এয়ারলাইন্স এবং ডিএইচএল, ফেডেক্স এর মতো প্রথমসারির কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে শিপমেন্ট আনা নেয়া বন্ধ করেছে। ICAO থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও অবাক হবার কিছু নেই। এর কিছুই কিন্তু আপনাদের জানতে দেয়া হয় নাই।
দেশদ্রোহী ইউনুস বলেছিলো, আমরা কারও কাছে যাব না, সবাই আমাদের কাছে আসবে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ বাংলাদেশীদের ভিসা দেয়া তো বন্ধ করসেই, অনেক বাংলাদেশীদের ফেরতও পাঠাচ্ছে। অতএব বাইরে যাবার রাস্তা বন্ধ। এখন বাইরের কারও আসার রাস্তাও বন্ধ করে দেয়া হইসে দেশের প্রধান বিমানবন্দরকে মেটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে ধ্বংসের পথে নিয়ে। বাংলাদেশকে এরা একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত করতে চায়। সেই প্রক্রিয়া অনেকদূর সম্পন্নও করে ফেলসে।
এখনো যদি না জাগেন, নীরব সমর্থনকারী হিসেবে দেশ ধ্বংসের কিছু দায় আপনার কাঁধেও পড়বে। ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে মুখ দেখাতে পারবেন না।