18/05/2022
বাবা-মায়ের জন্য সন্তান পৃথিবীর সেরা সম্পদ, শিশুরা আল্লাহপ্রদত্ত শ্রেষ্ঠ নিয়ামত।
পবিত্র কুরআনে তাদের জীবনের ঐশ্বর্য বলা হয়েছে, তাদের সুশিক্ষা দিয়ে ছোটবেলা থেকে গড়ে তোলা গেলে মৃত্যুর পর ও এর সুফল পাওয়া যায়।
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো মানুষ যখন মারা যায়, তখন তিনটি আমল ছাড়া সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। তাহলো- সাদকায়ে জারিয়াহ, উপকারী ইলম বা জ্ঞান আর সুসন্তান, যে তাদের জন্য দু'আ করে। (মুসলিম)
দুনিয়াতে সুসন্তান রেখে যাওয়ার মানেই হলো বাবা-মায়ের জন্য পরকালের অবিরত সঞ্চয়পত্র খুলে যাওয়া।
ওহে পিতা-মাতা আপনাদের সন্তানরা সবচেয়ে মূল্যবান মানুষ। সুতরাং তাদের তরবিয়ত এবং নির্দেশনা প্রদানে যত্নশীল হোন। তাদের ব্যাপারে অমনোযোগী হবেন না, যদি আপনি তাদের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে যান তাহলে এমন কিছু ঘটবে, যা ধারণাতীত!
ইমাম গাজালি (রহ.) বলেন, 'শিশু যদি তার বেড়ে ওঠার সময় অবহেলিত হয়, তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মন্দ চরিত্রের অধিকারী, মিথ্যুক, হিংসুক, চোর, চোগলখোর ও পরনিন্দাকরী হয়ে থাকে। অনর্থক কথা, হাসি-তামাশায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। তবে এসব থেকে বাঁচা যায় উত্তমভাবে আদব শিক্ষাদানের মাধ্যমে।'
বর্তমানে অনেক সন্তানই বাবা-মায়ের অবাধ্য, সন্তান যাচ্ছেতাই করে চলছে, বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে আছে ইত্যাদি ইত্যাদি নানান পেরেশানি, বিষিয়ে তুলেছে বাবা-মায়ের জীবন। কিন্তু কেন....? কারণ কি...? সহজ উত্তরঃ আমাদের সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই যে সঠিক তরবিয়তে গড়ে তোলা উচিত ছিল তা করা হয়নি যার দরুন এই পেরেশানি।
আমরা আর্দশবান বাবা বা আর্দশবান মা হওয়ার পাশাপাশি আমাদের সন্তানদের যেন ছোটবেলা থেকেই সঠিক তরবিয়তে গড়ে তুলতে পারি, এ শিক্ষাই রয়েছে খ্যাতনামা লেখক 'উসতাজ হাসসান শামসি পাশা' রচিত (সন্তান গড়ার সোনালি পাথেয়) গ্রন্থে। সন্তানদের শারীরিক, মানসিক, নৈতিক ও চারিত্রিক দিকের সামঞ্জস্যপূর্ণ বিকাশে আর্দশমান বাবা-মা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বইটি সকল ধর্মের তরুণ-তরুণী, বাবা-মায়েরা পড়তে পারবে এবং নিজের অবস্থার উন্নতি করে পারবে ইনংশা আল্লাহ।
সব মিলিয়ে বইটি একটি মাস্টারপিস ও অবশ্যপাঠ্য মনে হয়েছে। ইনংশা আল্লাহ এই বইটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
পড়বেন, পড়বেন এবং অবশ্যই পড়বেন।