
19/08/2025
جو ہم دل پہ اس کا کرم دیکھتے ہیں
تو دل کو بہ از جام جم دیکھتے ہیں
[জো হাম দিল পে উসকা করম দেখতে হেঁ
তো দিল কো বে আয ‘জামে জাম্’ দেখতে হেঁ]
এক মৌলবি সাহেব যখন হযরত গাঞ্জমুরাদাবাদী রহ.-কে বললেন, ‘হযরত, আপনি রামপুরে তাশরীফ নিয়ে গেলে সেখানকার শাসক আপনার সমীপে এক লাখ টাকা হাদিয়া হিসেবে পেশ করবেন।’ এই মহান বুযুর্গ তখন আনওয়ারে ইলাহীতে নিমগ্ন ছিলেন। ইশক-মহব্বতের পূর্ণ প্রভাবে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি উচ্চারণ করলেন, ‘মিয়াঁ, লাখ টাকার উপর ছাই ঢালো’। তারপর উল্লিখিত কবিতাটি পাঠ করলেন।
বড় আশ্চর্য এই কবিতার অর্থ। جام (জাম) অর্থ পেয়ালা। আর جم (জাম্) হলো জমশেদের সংক্ষেপ। جام جم দ্বারা উদ্দেশ্য হলো রূপকথার জমশেদের পেয়ালা। বর্ণিত আছে, জমশেদের একটি জাদুর পেয়ালা ছিল। সেই পেয়ালাতে দৃষ্টিপাত করলে জমশেদ দুনিয়ার কোথায় কী হচ্ছে না হচ্ছে, কখন কী হবে না হবে, সব দেখতে পেত।
সুতরাং কবিতার মর্ম হলো : ‘হৃদয়ে যখন আমি তার অনুগ্রহ লক্ষ্য করি, হৃদয়কে আমি জমশেদের পেয়ালার থেকেও উত্তম ও মূল্যবান দেখতে পাই (অর্থাৎ আমার দিলে আল্লাহর মহব্বত ও অনুগ্রহের যে সম্পদ রয়েছে, তা এই লাখ টাকা থেকেও বহুগুণ মূল্যবান)।’
এই ছিল এক আল্লাহওয়ালার সাদামাটা কথার আড়ালে প্রচ্ছন্ন প্রেম-মহব্বতের ঊর্মিমালা।
আমরা যখন বইটির কাজ শুরু করলাম, স্পষ্ট অনুভব করতে পারছিলাম, এর প্রতিটি বাক্যের আড়ালে এমন মর্ম লুকিয়ে আছে, যা সকলের পক্ষে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। এটা এমন কারও কাজ, যিনি সুলূক ও তাসাওউফ এবং তার শব্দ ও সাহিত্যের সাথে গভীর সম্পর্ক রাখেন।
পাণ্ডুলিপিটি সম্পাদনার জন্য প্রেরণ করা হলো। দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রথম দফার সম্পাদনা শেষ হলো এবং আমাদের চেতনা লোপ পাওয়ার উপক্রম হলো। উদাহরণত উপরের কবিতাটির কথা বলা যায়। তারপর পাঠানো হলো নযরে সানির জন্য। তারপর ... অপেক্ষা, সুদীর্ঘ, অনির্দিষ্ট, যেন অনিঃশেষ।
শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দ অনেক দিন যাবৎ আমাদের তাগাদা দিচ্ছেন। কিন্তু ...
خدا کو تھا یہی منظور سمجھے
[খুদা কো থা য়েহি মানযুর সামঝে।]
সকলের নিকট দোয়াপ্রার্থী, যেন দ্রুততম সময়ে বইটি পাঠকের হাতে পৌঁছাতে পারি।