Lakshmipurtv লক্ষ্মীপুর টিভি

Lakshmipurtv লক্ষ্মীপুর টিভি Lakshmipurtv.com.bd is a news media channel working with the aim of highlighting Lakshmipur District lakshmipurtv.com.bd is online news in Bangladesh

23/10/2025
17/10/2025
17/10/2025

সংসদ ভবনের সামনে পুলিশ-জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষ

একটি শোক সংবাদলক্ষীপুরে মান্দারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের  ছানাগাজী পাটওয়ারী বাড়ির মুরহুম নুরুল হক্ পাটওয়ারীর মেঝো ছেলে এবং...
11/10/2025

একটি শোক সংবাদ

লক্ষীপুরে মান্দারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ছানাগাজী পাটওয়ারী বাড়ির মুরহুম নুরুল হক্ পাটওয়ারীর মেঝো ছেলে এবং হেদায়েত উল্ল্যা মুন্সির নাতী কবির পাটওয়ারী পানিতে পড়ে ইন্তেকাল করিয়াছেন।

ম*রে প্রমাণ করা লাগবে আমরা অসুস্থ : আদালতকে দীপু মনি
06/10/2025

ম*রে প্রমাণ করা লাগবে আমরা অসুস্থ : আদালতকে দীপু মনি

দেশের বেসরকারি খাতের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে ২০১৭ সালের পর লুটেরা গোষ্ঠীর মদদে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ...
06/10/2025

দেশের বেসরকারি খাতের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে ২০১৭ সালের পর লুটেরা গোষ্ঠীর মদদে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামভিত্তিক বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলোতে গণহারে অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে। শুধু ২০১৭-২০২৪ সাল পর্যন্ত এসব ব্যাংকে কমপক্ষে ৩১ হাজার কর্মী নিয়োগ করে এস আলম। এর মধ্যে সিংহভাগই তার নিজের উপজেলা পটিয়ার। এ ছাড়া বাঁশখালীসহ চট্টগ্রামের অন্যান্য অঞ্চল থেকে নিয়োগ দেন কয়েক হাজার জনবল। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ছাঁটাই শুরু হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে ব্যাংকগুলো।

তথ্য বলছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি ব্যাংক কর্মকর্তা ছাঁটাই হয়েছেন। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে ৮ শতাধিক কর্মকর্তাকে। প্রায় একই পরিমাণে কর্মী ছাঁটাই হয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে। এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা আরেক ব্যাংক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে (এসআইবিএল) ছাঁটাই হয়েছে ১ হাজার ৩৮ জন, ইউনিয়ন ব্যাংকে ৪০০ এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে সাতজন। এ ছাড়া আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে ৫৪৭ জনকে।

আরও দেখুন
ব্যাংক বিনিয়োগ পরামর্শ
বাংলাদেশ পণ্য
ব্যাংক বীমা কিনতে চাই
চাকরির প্রস্তুতি
ব্যাংক লকার ভাড়া
বেতন স্কেল
ব্যাংক হিসাব খুলতে চাই
ফিক্সড ডিপোজিট

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম ইসলামী ব্যাংকসহ একাধিক শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় গণহারে কর্মী নিয়োগ দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তথ্য বলছে, এস আলমের বাড়ির সামনে একটি বক্স (‘জাদুর বাক্স’) রাখা ছিল। যেখানে ইচ্ছামতো সিভি ফেলতেন তার উপজেলা ও আশপাশের উপজেলার লোকজন। এরপর সেখান থেকে সিভি নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে নিয়োগ দেওয়া হতো তাদের। দেখা হতো না কোনো সনদও। তাদের মূল যোগ্যতাই ছিল চট্টগ্রামের বাসিন্দা। ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকেই ১১ হাজার কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়, যাদের অধিকাংশের নিয়োগে কোনো বিজ্ঞপ্তি, পরীক্ষা বা সনদ যাচাই হয়নি। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ২২৪ জন এস আলমের নিজ উপজেলা পটিয়ার বাসিন্দা। আগে ব্যাংকে চট্টগ্রামের কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৭৭৬ জন। এস আলমের দখলে থাকা ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে আরও প্রায় ২০ হাজার জনকে একইভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। লোক নিয়োগের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্যাংকগুলোতে একক প্রভাব বিস্তার ও অনুগত বাহিনী তৈরি করা। আবার সাবেক এক গভর্নরের সুপারিশে আরও প্রায় ২ হাজার ৯০০ জন নিয়োগ পান এস আলম নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন ব্যাংকে। মূলত সেই গভর্নরই এস আলমের ব্যাংক দখলের অনুমতি, ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুযোগ করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তথ্য বলছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রথমে ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করে এসআইবিএল। প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের মধ্যে প্রভিশনারি পিরিয়ড শেষ না হওয়া ৫৭৯ জনের চাকরি স্থায়ী করেনি ব্যাংকটি। এরপর এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া অফিস সহায়ক, মেসেঞ্জারসহ আরও কয়েকশ কর্মকর্তার নিয়োগে পুনঃচুক্তি করা হয়নি। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন অন্তত ৪০ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে ১ হাজার ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।

অভিযোগ আছে, যাদের ছাঁটাই করা হয়েছে তাদের সিংহভাগই পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগ পেয়েছেন, যা আইনসম্মত ছিল না। বর্তমানে ব্যাংকটির ৪ হাজার ৭০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে প্রায় ২ হাজার জনই চট্টগ্রামের। ২০২৪ সালে ৫৭৯ কর্মকর্তাকে শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব নিয়োগে কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি, পরীক্ষা, সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করা হয়নি।

তথ্য বলছে, বেসরকারি খাতের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এখন পর্যন্ত ৮০০ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করেছে। এদের মধ্যে এস আলম গ্রুপকে নামে-বেনামে ঋণ দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে তদন্ত শেষে তাদের ছাঁটাই করে ব্যাংকটি। এ ছাড়া অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের মেধা যাচাই করতে চলতি বছরের জুনে পরীক্ষা নিয়েছিল ব্যাংকটি। এতে ২ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। সেখানে সিংহভাগ কর্মকর্তা পাস করলেও কিছু কর্মকর্তা ছিটকে পড়েন।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, কর্মকর্তাদের মেধা উন্নয়নে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে তারা যাতে আমাদের স্কিলড কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনে আরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কিন্তু প্রশিক্ষণের পরও যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন না বা প্রতিযোগিতায় টিতে থাকতে পারবেন না, তাদের তো ব্যাংকে রাখার সুযোগ নেই।

গত ১৩ মাসে শরিয়াহভিত্তিক আরেক ব্যাংক আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে ৫৪৭ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হয়। বিশেষ মেধা মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হতে না পারায় এসব কর্মকর্তাকে ছাঁটাইয়ের আওতায় আনা হয় বলে জানা গেছে।

তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন তদারককারী সংস্থার তদন্তে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন অসংগতি ধরা পড়ে। আল-আরাফাহ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, বিষয়টি নিয়মের মধ্যে আনার লক্ষ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এর অংশ হিসেবে চিহ্নিত ১ হাজার ৪১৪ কর্মকর্তার মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে অকৃতকার্য ৫৪৭ জনকে অব্যাহতি দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা একজন কর্মকর্তা বলেন, পরীক্ষায় প্রশ্ন সহজ করা হয়েছিল, যাতে কিছুটা যোগ্যতা থাকলেও পাস করে আসতে পারেন কর্মকর্তারা। কিন্তু অনেকেই এখানে অকৃতকার্য হয়েছেন। যদিও তাদের ছাঁটাই করা ঠিক হয়নি। কারণ, দীর্ঘদিন ব্যাংকে চাকরি করার পরও ব্যাংক তাদের স্কিল ঠিক করতে পারেনি। এই দায় ব্যাংক এড়াতে পারে না।

গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ইউনিয়ন ব্যাংকে মোট ৪০০ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গত ১৭ নভেম্বর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় খরচ কমাতে ২৬২ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত হয়। জানা যায়, চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের সবাই গত ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগ পান। এই নিয়োগ দিতে ব্যাংকটি কারও পরীক্ষা নেয়নি। এস আলম গ্রুপের দেওয়া তালিকা থেকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়। চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের সবাই ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার ও ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশ অফিসার পদের কর্মকর্তা। তাদের অধিকাংশই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ বিষয়ে ব্যাংকটির মানবসম্পদ বিভাগ থেকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘ব্যাংক থেকে আপনার চাকরি সমাপ্ত হলেও কর্মকালে আপনার কর্মকাণ্ড, অবহেলা বা অন্য কোনো দোষের কারণে ভবিষ্যতে ব্যাংকের কোনো ক্ষতি হলে তার জন্য আপনি দায়ী থাকবেন।’ এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে আরও দুই ধাপে মোট ১৩৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

তবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মাত্র সাত কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হয়েছে। জানতে চাইলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, অনেক ব্যাংকেই কর্মকর্তাদের ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পটপরিবর্তনের পর কর্মী ছাঁটাই করছে কিছু ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ। তবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে তেমন ছাঁটাইয়ের ঘটনা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের যে রূপরেখা দিয়েছে, সেখানেও ছাঁটাইয়ের বিষয়ে বলা হয়েছে, একীভূতকরণের তিন বছরের মধ্যে কাউকে চাকরিচ্যুত করা হবে না।’

ছাঁটাইয়ের তালিকায় সবচেয়ে আলোচিত অবস্থানে রয়েছে দেশের বৃহৎ বেসরকারি খাতের ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে ৮ শতাধিক কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করেছে। তাদের মধ্যে ৬০০ জনকে বিভিন্ন কারণে আগেই বাদি দেওয়া হয়। আর গত চার দিনে আরও ২০০ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হয়। তথ্য বলছে, ইসলামী ব্যাংকের মেসেঞ্জার পদের কর্মকর্তাদের প্রতি বছর নিয়োগ নবায়ন করতে হয়। এসব কর্মকর্তার সংখ্যা ছয় শতাধিক। এস আলম ব্যাংকটি দখলের পর নিজ এলাকার এই ছয় শতাধিক কর্মীকে মেসেঞ্জার হিসেবে নিয়োগ দেয়। তবে চলতি বছরের শুরুতে ওই কর্মকর্তাদের মেয়াদ শেষ হলে তা আর নবায়ন করেনি ইসলামী ব্যাংক। এতে চাকরি হারান তারা।

এ ছাড়া কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি পাওয়া ৫ হাজার ৩৮৫ কর্মীর যোগ্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে ইসলামী ব্যাংকে। গত শনিবার অনুষ্ঠিত বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেননি ৪ হাজার ৯৫৩ কর্মী। এ কারণে তাদের ‘ওএসডি’ করা হয়েছে। এ ছাড়া চাকরি বিধি ভঙ্গের দায়ে আরও ২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পর চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিক্ষোভে নামেন একদল কর্মী। রবি ও সোমবারের ওই বিক্ষোভ পুলিশ সরিয়ে দেয়।

ইসলামী ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ২১ হাজার। ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর বেশিরভাগ নিয়োগ হয় বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা ছাড়াই। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রামের কর্মী ৭ হাজার ২২৪ জন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫২৪ জন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের নিজ উপজেলা পটিয়ার বাসিন্দা।

ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. কামাল উদ্দীন জসীম কালবেলাকে বলেন, ‘২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর মাধ্যমে মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। যারা অংশ নেয়নি তাদের ওএসডি করা হয়েছে। আবার যারা সামাজিক মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ লেখা দিয়েছে, তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। অনেক কর্মীর একাডেমিক সনদ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ব্যাংক যাচাই করতে চাইলে বিজিসি ট্রাস্ট ও পোর্টসিটি বিশ্ববিদ্যালয় তা প্রত্যাখ্যান করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মেধা যাচাই পরীক্ষায় যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের ৮৮ শতাংশই উত্তীর্ণ হয়েছে। আর বাকি ১২ শতাংশ যাতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে, সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। এরপর আবারও যাচাই করা হবে। তারপর তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত। আমরা চাই না কেউ চাকরি হারাক।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান কালবেলাকে বলেন, ‘যারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তাদের বিষয়ে ব্যাংক ব্যবস্থা নিতে পারে। আবার কর্মীরা চাইলে আদালতে যেতে পারবেন। তখন ব্যাংক বলতে পারবে যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনেই তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।’

লক্ষ্মীপুরে দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটি নির্মান করেছেন হামদর্দ এর এমডি ড. হাকীম মোহাম্মদ ইউসুফ হারুন ভূঁইয়াwww.Lakshmipurtv.co...
05/10/2025

লক্ষ্মীপুরে দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটি নির্মান করেছেন হামদর্দ এর এমডি ড. হাকীম মোহাম্মদ ইউসুফ হারুন ভূঁইয়া
www.Lakshmipurtv.com.bd

 #পে কমিশনের প্রস্তাবিত নতুন বেতন কাঠামো: ২০ গ্রেড বহাল ও টিফিন ভাতা বাদ, ক্ষোভ বাড়ছে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে​সরকারি কর...
04/10/2025

#পে কমিশনের প্রস্তাবিত নতুন বেতন কাঠামো: ২০ গ্রেড বহাল ও টিফিন ভাতা বাদ, ক্ষোভ বাড়ছে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে

​সরকারি কর্মচারীদের জন্য গঠিত নতুন পে-কমিশনের প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো নিয়ে তীব্র হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক আলোচনা ও প্রস্তাবনার যে তালিকা গণমাধ্যমে এসেছে, তাতে বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় জীবনধারণের উপযোগী বেতন বৃদ্ধি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারি কর্মজীবীরা। বিশেষ করে, গ্রেডের সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা এবং বিতর্কিত টিফিন ভাতা বাতিলের সিদ্ধান্তে হতাশা চরমে পৌঁছেছে।

​২০টি গ্রেড বহাল: বৈষম্য নিরসনে ব্যর্থতা
​সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল গ্রেডের সংখ্যা কমিয়ে বেতন বৈষম্য হ্রাস করা। কিন্তু প্রস্তাবিত কাঠামোতে ১ম থেকে ২০তম—মোট ২০টি গ্রেডই বহাল রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। কর্মচারীরা মনে করছেন, গ্রেড সংখ্যা না কমালে নিম্ন গ্রেডের কর্মজীবীদের মধ্যে বেতন বৈষম্য দূর করা সম্ভব হবে না এবং প্রশাসনের গতিশীলতাও প্রত্যাশিতভাবে বাড়বে না।

​বেতন বৃদ্ধি: 'বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ'
​প্রস্তাবিত নতুন কাঠামোতে মূল বেতন যে হারে বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে, তাতে বর্তমান চড়া বাজার ব্যবস্থায় সংসার চালানো কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন অনেক কর্মচারী। তাদের মতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেতন না বাড়ালে এই নতুন কাঠামো অর্থহীন হয়ে পড়বে।

​চিকিৎসা ও টিফিন ভাতা নিয়ে বিতর্ক
​কমিশনের প্রস্তাবনায় ভাতা সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তন এসেছে, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে:

​চিকিৎসা ভাতা: মাসিক চিকিৎসা ভাতা বর্তমানের ১,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, তবুও কর্মচারীরা মনে করছেন, বর্তমান চিকিৎসা খরচের সঙ্গে তুলনা করলে এই বৃদ্ধি যথেষ্ট নয়।

​টিফিন ভাতা বাতিল: সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হলো মাসিক ২০০ টাকা টিফিন ভাতা বেতন থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া। এর পরিবর্তে অন্য কোনো ধরনের নাস্তা বা লাঞ্চ ভাতা যোগ করার কোনো প্রস্তাব রাখা হয়নি। এ প্রসঙ্গে কর্মচারীরা হতাশা প্রকাশ করে বলছেন, "এর মানে এখন সবাইকে সারাদিন না খেয়ে চাকরি করতে হবে। টিফিন ভাতা সামান্য হলেও তা কর্মচারীদের জন্য জরুরি ছিল।"

​কর্মচারীদের প্রতিক্রিয়া:
​অনেক সরকারি কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "পে-কমিশন যদি গ্রেড সংখ্যা না কমায় এবং মূল বেতনে পর্যাপ্ত বৃদ্ধি না করে, তবে এই নতুন বেতন কাঠামো কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের জন্যই বেতন বৈষম্য ও অপ্রতুল বেতন কাঠামো জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন।"

​জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে প্রাথমিক প্রস্তাবনা নিয়ে তৈরি হওয়া এই তীব্র অসন্তোষ নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের পথে একটি বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Lakshmipurtv লক্ষ্মীপুর টিভি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Lakshmipurtv লক্ষ্মীপুর টিভি:

Share