Jamaat-e-islami Bangladesh

  • Home
  • Jamaat-e-islami Bangladesh

Jamaat-e-islami Bangladesh Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Jamaat-e-islami Bangladesh, Media/News Company, .

09/07/2024

#সংবাদ_সম্মেলন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে গত ২২ জুন ভারতের সঙ্গে ১০ দফা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও তিস্তায় ভারতীয় কারিগরি টিম পাঠানোসহ ১৩টি ঘোষণা প্রদানের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ৯ জুলাই মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর সুস্পষ্ট বক্তব্য জাতির সামনে উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন। সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ-এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জনাব হামিদুর রহমান আযাদ ও মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।

দেশবাসীর উদ্দেশে সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার-এর প্রদত্ত বক্তব্য নিচে তুলে ধরা হলোঃ-
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম”

নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রাসুলিহিল কারীম।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ ও সংগ্রামী দেশবাসী,

আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২১ ও ২২ জুন ভারত সফর করেছেন। এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বাংলাদেশের উপর দিয়ে রেল সংযোগ বৃদ্ধিসহ ১০ দফা সমঝোতা স্মারক সই করেছেন এবং তিস্তায় ভারতীয় কারিগরি টীম পাঠানোসহ ১৩ দফা ঘোষণা প্রদান করেছেন। এ ১০টি সমঝোতা স্মারকের মধ্যে ৭টি নতুন ও তিনটি পুরাতন। এগুলোর মধ্যে আছে রাজনীতি, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, সংযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক সাহায্য সহযোগিতা প্রদান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে নয়াদিল্লির হায়দারাবাদ হাউজে বৈঠককালে ১০ দফা সমঝোতা স্মারক সই ও ১৩ দফা ঘোষণা সম্পর্কে বিবৃতির মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ইতোপূর্বে আমরা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলাম। চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ও গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়েছে মূলত বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারতকে একতরফা সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ চুক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্যই করা হয়েছে। চুক্তি সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত ও সুস্পষ্ট বক্তব্য জাতির সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যেই আজকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

সাংবাদিক বন্ধুগণ,
দেশের নির্যাতিত-নিপীড়িত, শোষিত-বঞ্চিত ১৭ কোটি মানুষ আশা করেছিল যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে বাংলাদেশ ও ভারতের উপর দিয়ে প্রবাহিত গঙ্গা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, সুরমা-কুশিয়ারাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির বাংলাদেশের প্রাপ্য ন্যায্য হিস্যাসহ বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে বিরাজমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা, ট্রানজিট-করিডোরসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা করে বাংলাদেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায় করার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভ‚মিকা পালন করে দেশে ফিরবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ আদায়ের জন্য বলিষ্ঠ ভ‚মিকা পালনের পরিবর্তে ভারতের নিকট নতজানু হয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ ভারতের কাছে বিকিয়ে দিয়ে এসেছেন। ভারতকে তিনি মনপ্রাণ উজাড় করে সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছেন। তিনি ভারতকে শুধু দিয়েই আসেন, কিছুই আনতে পারেন না। তার এ ধরনের ভূমিকায় বাংলাদেশের জনগণ বিক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। প্রধানমন্ত্রীর নতজানু ভ‚মিকা দেশের সচেতন জনগণকে হতাশ করেছে।

সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, বাংলাদেশ ও ভারতের উপর দিয়ে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদী তথা গঙ্গা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, সুরমা-কুশিয়ারা এগুলো সবই আন্তর্জাতিক নদী। এ সব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার বাংলাদেশের অধিকার আন্তর্জাতিক নদী আইন দ্বারা স্বীকৃত।

বাংলাদেশকে অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। ভারতের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার অধিকারও আছে। কিন্তু নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সরকার আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার যেমন সাহস পাচ্ছে না, তেমনি ভারতের সাথে দর কষাকষিতে বাংলাদেশ সরকার বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতেও পারছে না। এর কারণ হলো বাংলাদেশের বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে পাশ কাটিয়ে বর্তমান সরকার বিনা ভোটে প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত ক্ষমতায় টিকে আছে। সে কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেতুমন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের প্রকাশ্যে বহু বার স্বীকার করেছেন। বর্তমান সরকারের প্রতি দেশের জনগণের কোনো সমর্থন ও আস্থা নেই। তার বড় প্রমাণ বিগত ১৫ বছর যাবত ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা। বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার যেমন কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই, তেমনি আইনগত ভিত্তিও নেই। এ ধরনের একটি পরনির্ভরশীল সরকারের পক্ষে ভারতের নিকট থেকে বাংলাদেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায় করা সম্ভব নয়।

ভারতের সাথে বর্তমান সরকারের সই করা সমঝোতা স্মারকে বলা হয়েছে “তিস্তা নদীর পানির সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে যাবে ভারতীয় কারিগরি দল।” বাংলাদেশের তিস্তার পানি সংরক্ষণের জন্য ভারতীয় করিগরি দল পাঠানোর প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর। তিস্তার পানি সংরক্ষণ করার জন্য বাংলাদেশী পানি বিশেষজ্ঞরাই যথেষ্ট। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা না দেয়ার জন্যই ভারত নানা ধরনের অশুভ প্রস্তাব দিচ্ছে। ভারতীয় ঐসব প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।

সাংবাদিক বন্ধুগণ,
ভারত গঙ্গা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশকে না দিয়ে বরং তারা ঐসব নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নিয়ে বাংলাদেশকে শীত ও গ্রীষ্ম মৌসুমে শুকিয়ে মারছে এবং বর্ষা মৌসুমে ডুবিয়ে মারছে। বর্তমানে বৃহত্তর সিলেট ও রংপুর অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্যায় উঠতি ফসল ধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এভাবে প্রতিবছরই হাজার হাজার কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ ভারতের পানি আগ্রাসনে প্রতিবছরই অর্থনৈতিকভাবে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। ভারতের এ পানি আগ্রাসনের মোকাবেলা করার জন্য গঙ্গা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, সুরমা ও কুশিয়ারাসহ সকল অভিন্ন নদীগুলোর উপর ভারতের ভাটিতে ও বাংলাদেশের উজানে বাঁধ নির্মাণ এবং ভরাট হওয়া নদীগুলো খনন করার জন্য বড় ধরনের মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি।

সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আপনারা জানেন যে, প্রধানমন্ত্রী তার ভারত সফরকালে ভারতকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে রাজশাহী পর্যন্ত রেল যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য সমঝোতা স্মারক সই করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতকে ট্রানজিট ও করিডোর দিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের মংলা সামুদ্রিক বন্দর, চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দর ও চট্টগ্রামের মিরসরাইতে ইপিজেড নির্মাণের চুক্তিতে সই করা হয়েছে। দেশের জনগণ মনে করেন যে, প্রধানমন্ত্রীর এসব পদক্ষেপের ফলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে পড়েছে। সরকার বলছে যে, পরীক্ষামূলকভাবে রাজশাহী পর্যন্ত রেল চলাচলের চুক্তি করা হয়েছে। আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, ১৯৭৫ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী মাত্র ৪৫ দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি নিয়েছিল। কিন্তু ভারতের সেই ৪৫ দিনের মেয়াদ আজও শেষ হয়নি। কাজেই রাজশাহী পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে রেল যোগাযোগ চালুর যে কথা বলছে সে ব্যাপারে দেশবাসী মনে করে যে, পরীক্ষামূলকভাবে রাজশাহী পর্যন্ত রেল চালুর কথাটা একটি ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। হয়ত তাদের এ পরীক্ষামূলক রেল যোগাযোগের মেয়াদও কখনো শেষ হবে না। তাই বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ সরকারের ঐ সমঝোতা স্মারক মানতে রাজী নয়।

বাংলাদেশের উপর দিয়ে যে রেল চলবে তাতে কি জিনিস বহন করা হবে তা স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। সেটা যাত্রীবাহী না মালবাহী ট্রেন তা উল্লেখ করা হয়নি। ঐ ট্রেনে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও সামরিক সরঞ্জাম বহন করা হবে কিনা তাও পরিষ্কার করে বলা হয়নি। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত ভারতের ৭টি রাজ্যের ওপারে জনগণকে ধ্বংস করার জন্য, গণহত্যা চালানোর জন্য যদি বাংলাদেশের উপর দিয়ে সামরিক সরঞ্জামসহ ভারতীয় সামরিক বাহিনী ঐ ৭টি রাজ্যে সামরিক অভিযান চালায়, তা হবে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাতে ভারতীয় ট্রেনে ভারতের ৭টি রাজ্যের স্বাধীনতাকামীদের সামরিক হামলার শিকার হয়ে বাংলাদেশ রণক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কাজেই এ ধরনের বিপজ্জনক পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করেছেন যে, ভারতকে ট্রানজিট ও করিডোর দিলে ক্ষতি কি? আমরা তার নিকট পাল্টা প্রশ্ন করতে চাই যে, ভারতকে ট্রানজিট ও করিডোর দিলে বাংলাদেশের লাভ কি? বাংলাদেশের কোনো লাভের কথাই তিনি প্রমাণ করতে পারবেন না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেগুলোর মধ্যকার ট্রানজিট ও করিডোরের কথা উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ব্যাপারে ইউরোপের বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের উদাহরণ মোটেই প্রযোজ্য নয়। কারণ ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীর মত কোনো নদী ইউরোপে নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশের একই মুদ্রা, একই ধর্ম, একই ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মুক্তবাজার অর্থনীতি। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ইউরোপের সকল দেশ একই ধরনের। ঐসব দেশে উন্নতমানের বহু দলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার চালু আছে। ঐ সব দেশের অধিবাসীদের অন্য দেশের বর্ডার গার্ড পাখির মত গুলি করে মানুষ হত্যা করে না। কোনো দেশের বর্ডারে কাঁটা তারের বেড়াও নেই। অথচ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আলাদা আলাদা মুদ্রা চালু, দু’দেশের মানুষের ধর্ম, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ভাষা আলাদা। মুদ্রার মানের মধ্যে রয়েছে বিরাট ব্যবধান। দুই দেশের মধ্যে কাঁটা তারের বেড়া রয়েছে। ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশী মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে। বাংলাদেশ সরকার তার প্রতিবাদ ও প্রতিকার করছে না। বাংলাদেশের বিজিবি কখনো ভারতীয়দের হত্যা করে না। বাংলাদেশে এখন একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। ভারতেও নরেন্দ্র মোদির উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইসলাম বিদ্বেষী শাসন চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে ট্রানজিট ও করিডোর দিয়ে তার সাথে ইউরোপী ইউনিয়নের তুলনা করতে গিয়ে মূলত বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানোর অপচেষ্টা চালিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীসভার সদস্যগণ ভারতকে করিডোর এবং ট্রানজিট দেয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন যে, ভারতকে ট্রানজিট ও করিডোর দিয়ে চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দিলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের মত উন্নত দেশ হবে। কিন্তু দেশের মানুষ ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছে যে, ভারতকে ট্রানজিট ও করিডোর ব্যবহার করতে দিয়ে বাংলাদেশের সামান্যতম কোনো উন্নতি হয়নি, বরং শ্রীলঙ্কার মত একটি দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে। সরকার ঋণ নিয়ে দেশ চালাচ্ছে। চারদিকে শুধু নেই আর নেই আওয়াজ শুনা যাচ্ছে। ভারতকে ট্রানজিট ও করিডোর ব্যবহার করতে দিয়ে বাংলাদেশ ভারতের নিকট থেকে প্রতি বছর কত টাকা শুল্ক ও মাশুল আদায় করছে বা আয় করছে, তা আজ পর্যন্ত সরকার জাতির সামনে প্রকাশ করেনি। ট্রানজিট ও করিডোর দিয়ে বাংলাদেশের কোনো লাভ হয়নি বরং ক্ষতিই হয়েছে।

সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আমরা সবাই জানি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে ভারতের নিকট থেকে উন্নতমানের সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য চুক্তি করেছে। আমরা সকলেই জানি যে, বাংলাদেশের তিন দিক দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ড বাংলাদেশকে বেষ্টন করে আছে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের বিভিন্ন সমস্যা বিরাজমান। সুতরাং বাংলাদেশের উপর যদি কোনো দেশ থেকে আঘাত আসে, তাহলে তা ভারতের দিক থেকেই আসার আশঙ্কা রয়েছে। সেই ভারতের নিকট থেকে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ও পুলিশের প্রশিক্ষণ গ্রহণ কী বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী না আনুকূল সে বিষয়টি অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণকে গভীরভাবে চিন্তা করে দেখতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী, গ্রেট ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নত সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব ভারতীয়দের উপর অর্পণ করে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীকে ভারতের মুখাপেক্ষী ও অনুগত বাহিনীতে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দেশবাসী মনে করে। ভারতীয় প্রশিক্ষণের নাম করে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর মগজ ধোলাই করে তাদের ভারতের সেবাদাসে পরিণত করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এটা মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের উপর মারাত্মক আঘাতেরই শামিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ও রাশিয়া থেকে অস্ত্র ক্রয় করার কথাও বলেছেন। সরকারের এ ধরনের রহস্যজনক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের জনগণ শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।

প্রিয় দেশবাসী
বাংলাদেশের মালিক বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিয়ে যাদেরকে নির্বাচিত করবে তারাই রাষ্ট্র পরিচালনার অধিকারী। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এ সরকারের কোনো অধিকার নেই জনগণের ও দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কোনো চুক্তি সম্পন্ন করার। বাংলাদেশের জনগণ এ অনির্বাচিত সরকার কর্তৃক জাতীয় স্বার্থবিরোধী সকল সমঝোতা স্মারক, ঘোষণা এবং চুক্তি প্রত্যাখ্যান করছে। বর্তমান অবৈধ সরকারেরে বেআইনী, অগণতান্ত্রিক ও দেশের স্বার্থবিরোধী এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমরা দেশেবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

আল্লাহ হাফেজ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জিন্দাবাদ।

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।”

ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান-Mawlana ATM Masumওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে গভীর উদ্বেগ প্...
25/01/2024

ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান
-Mawlana ATM Masum

ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ২৫ জানুয়ারি প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেশের দরিদ্র জনগণের জন্য ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’এর শামিল।

তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে জনগণের নাভিশ্বাস। তার উপরে আবার ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দরিদ্র জনগণের জন্য অসহনীয়। জানা গিয়েছে যে, শ্রেণিভেদে ওয়াসার পানির দাম ২৫ থেকে ১৪৯ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, সরকার গত ১৪ বছরে ১৪ বার ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধি করেছে। সরকার যদি ওয়াসার দুর্নীতি বন্ধ করতে পারেন, তাহলে আরো কমমূল্যে ওয়াসার পানি সরবরাহ করা সম্ভব। কিন্তু সরকার দুর্নীতি বহাল রেখে ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধি করে দেশের দরিদ্র জনগণকে একদিকে পানিতে মারার ব্যবস্থা করেছে, অপরপক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করে মানুষকে ভাতে মারার ব্যবস্থা করেছে। জনগণের দুঃখ-কষ্ট সরকার দেখেও না দেখার ভান করছে। অবৈধ সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিল করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

দেশের সকল মহানগরীগুলোতে আগামী ২৮ জানুয়ারি  #বিক্ষোভ_মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা- Mawlana ATM Masumনিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য...
24/01/2024

দেশের সকল মহানগরীগুলোতে আগামী ২৮ জানুয়ারি #বিক্ষোভ_মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা- Mawlana ATM Masum

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রহসনের ডামি নির্বাচন বাতিল করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে দেশের সকল মহানগরীগুলোতে আগামী ২৮ জানুয়ারি রোববার বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ২৪ জানুয়ারি নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।

“বর্তমানে দেশে মহাসংকট চলছে। সেই সাথে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি জনগণের মাঝে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। চাল, আটা, ডাল, তৈল, মাছ, গোশত, গোল আলুসহ সকল প্রকার শাক-সব্জির অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে জনগণ অতিষ্ঠ। দরিদ্র জনগণ দিনে এক বেলাও পেট ভরে খেতে পারছে না। সরকার ট্রাকে যে চাল, ডাল, আটা, তেল বিক্রয় করছে তা ক্রয়ের জন্য মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ দ্রব্য-সামগ্রী ক্রয় করতে পারছে না। তার উপর গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যার কারণে জনগণের দুঃখ-কষ্টের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। গ্যাস সংকটের কারণে রাত জেগে জেগে রান্না-বান্না করতে হচ্ছে।

জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় প্রহসনের ডামি নির্বাচন করে সরকার দেশের জনগণ থেকে যেমন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তেমনি আন্তর্জাতিকভাবেও একঘরে হওয়ার মুখে পড়েছে। সরকারের ডামি নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি এবং কোথাও স্বীকৃতি পাচ্ছে না। দেশে বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক মহাসংকট চলছে। সব সংকটের মূল কারণ ভোটারবিহীন ডামি নির্র্বাচন করে শক্তির জোরে সরকারের ক্ষমতায় থাকার অবৈধ খায়েশ। তামাশার ডামি নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া বর্তমান মহাসংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়।

তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান করার জন্য কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ ও অবিলম্বে প্রহসনের ডামি নির্বাচন বাতিল করে দিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে আমি সারাদেশের সকল মহানগরীতে আগামী ২৮ জানুয়ারি রোববার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ঘোষিত এ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য আমি সারা দেশের সকল মহানগরী শাখা জামায়াত এবং মহানগরীবাসীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”

 #বাংলাদেশ_জামায়াতে_ইসলামীর_কেন্দ্রীয়_মজলিসে_শূরার_বৈঠক_অনুষ্ঠিতফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর অব্যাহতভাবে অবৈধ দখলদার ইসরাইল...
22/01/2024

#বাংলাদেশ_জামায়াতে_ইসলামীর_কেন্দ্রীয়_মজলিসে_শূরার_বৈঠক_অনুষ্ঠিত

ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর অব্যাহতভাবে অবৈধ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্মম #হামলা_এবং_গণহত্যাযজ্ঞে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এক বৈঠক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর অব্যাহতভাবে অবৈধ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্মম হামলা এবং গণহত্যাযজ্ঞে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর গত প্রায় ৩ মাস যাবত অবৈধ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্মম হামলা ও গণহত্যাযজ্ঞের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গাজার হাসপাতালগুলো ফিলিস্তিনিদের লাশে ভরে গিয়েছে। বর্বর ইসরাইলি বাহিনী যুদ্ধের কোনো নিয়ম-নীতিই মানছে না। গত তিন মাসে অবৈধ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ২৫ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি মুসলমানকে হত্যা করেছে, যার সিংহ ভাগ শিশু ও নারী এবং প্রায় ৬২ হাজারের অধিক লোককে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। হাজার হাজার বাস্তুহারা ফিলিস্তিনি বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও গির্জায় আশ্রয় নিয়েছে। বর্বর ইসরাইলি বাহিনী এসব আশ্রয় কেন্দ্রেও নির্বিচারে বোমা মেরে ফিলিস্তিনিদের পৈশাচিকভাবে হত্যা করছে। বোমা ফেলে ও বুলডোজার দিয়ে হাজার হাজার বসতভিটা মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে। গাজায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা-সামগ্রী, ঔষধ, খাবার, বিশুদ্ধ পানি কিছুই ঢুকতে দিচ্ছে না। ফিলিস্তিনবাসী অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। বিনা চিকিৎসায় গাজার হাজার হাজার মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরছে। ইসরাইলি বর্বর দস্যুদের এসব গণহত্যার নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা নেই।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, অবৈধ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বিশ্বজনমত এমনকি জাতিসঙ্ঘের কথাও মানছে না। যুদ্ধ বন্ধের জাতিসঙ্ঘের আহ্বান উপেক্ষা করে তারা অব্যাহতভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি মুসলমানদের সমূলে ধ্বংস করছে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের দাবিদার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দস্যু ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। এটা মানবজাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা আরও লক্ষ্য করছে যে, যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দখলদার বাহিনী জাতিসঙ্ঘসহ সকল আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেই যাচ্ছে। বর্বর ইসরাইলিদের একগুঁয়েমির কারণে গোটা আরব বিশ্বে এক সর্বগ্রাসী যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। জাতিসঙ্ঘসহ বিভিন্ন মহল যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা চালালেও দখলদার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কিছুতেই যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হচ্ছে না। বর্বর ইসরাইলিরা গাজাকে কার্যত ধ্বংস স্তুপে পরিণত করেছে। তারপরেও তাদের যুদ্ধের উন্মাদনা কমছে না।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা অবিলম্বে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা বন্ধ, ফিলিস্তিনি সমস্যার স্থায়ী সমাধান এবং আক্রান্ত ফিলিস্তিনি জনগণকে দ্রুত খাদ্য সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জাতিসঙ্ঘ, ওআইসি, আন্তর্জাতিক বিশ্ব ও বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। সেই সাথে মজলুম ফিলিস্তিন ও গাজাবাসীদের পাশে সারা দুনিয়ার মানবতাবাদী সকল সংগঠন ও রাষ্ট্রসমূহকে সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।

ফিলিস্তিনের মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে যারা অকাতরে জীবন দিচ্ছেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা মহান আল্লাহ তাআলার কাছে তাদের শাহাদাতের কবুলিয়াত এবং আহতদের দ্রæত সুস্থতা কামনা করছে। সেই সাথে আহতদের এবং নিহত ও আহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।”

 #বাংলাদেশ_জামায়াতে_ইসলামীর_কেন্দ্রীয়_মজলিসে_শূরার_বৈঠক_অনুষ্ঠিতগ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন হ্রাস ও চরম অ...
21/01/2024

#বাংলাদেশ_জামায়াতে_ইসলামীর_কেন্দ্রীয়_মজলিসে_শূরার_বৈঠক_অনুষ্ঠিত

গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন হ্রাস ও চরম অর্থনৈতিক সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এক বৈঠক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দেশে গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন হ্রাস ও চরম অর্থনৈতিক সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা দেশের গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন হ্রাস ও চরম অর্থনৈতিক সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সারা দেশে বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে তীব্র গ্যাস সংকটে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাসা-বাড়িতে গ্যাসের চুলা জ্বলছে না, কল-কারখানার চাকা ঘুরছে না। গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাবে তিনটি ইউরিয়া সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এলএনজি সরবরাহ শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ কমে গেছে। রাজধানী ঢাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। মহাখালীর দুটি ভাসমান টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৮৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে মাত্র ৩৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে। যা পূর্বের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। এ অবস্থায় শিল্প, কল-কারখানায় উৎপাদনের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এলএনজি টার্মিনালে কারিগরি ত্রæটির কারণে দেশে সাতশত মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের আশু কোনো সম্ভাবনা নেই।

বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। দেশের রপ্তানী বাণিজ্য আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়েছে। ডলার সংকটের কারণে আমদানিও কমে গিয়েছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কয়েকটি ইসলামী ব্যাংকে জবাবদিহিতা ছাড়াই টাকা ছাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ খবরে দেশের অর্থনীতিবিদগণ এবং জনগণ গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

সরকার তড়িঘড়ি করে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও তাতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কার্যকর কোনো পরিবর্তন বা অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দেশের ১০-১৫টি ব্যাংক দুর্বল অবস্থায় পৌঁছে গেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, দুর্বল ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারল্য সংকটের কারণে সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দেশের ব্যাবসা, বাণিজ্য, শিল্পখাতসহ গোটা অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। গত দেড় বছরে ডলার কেনা বাবদ ব্যাংকগুলোর ২ লক্ষ ২৭ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। দেশে বর্তমানে শুধু নাই নাই রব শুনা যাচ্ছে।

সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য গোটা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেশকে দেউলিয়া বানিয়েছে। এ অবস্থার একমাত্র সমাধান হল অবিলম্বে ডামি জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সরকার পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এছাড়া বর্তমান সর্বগ্রাসী সংকট থেকে দেশকে উদ্ধারের আর কোনো পথ নেই। তাই জনগণের দাবি মেনে নিয়ে ডামি জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।”

 #বাংলাদেশ_জামায়াতে_ইসলামীর_কেন্দ্রীয়_মজলিসে_শূরার_বৈঠক_অনুষ্ঠিতঅবিলম্বে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্...
20/01/2024

#বাংলাদেশ_জামায়াতে_ইসলামীর_কেন্দ্রীয়_মজলিসে_শূরার_বৈঠক_অনুষ্ঠিত

অবিলম্বে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করার আহ্বান- Professor Mujibur Rahman

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এক বৈঠক ২০ জানুয়ারি সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত বলেন, “গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে মাত্র। এই নির্বাচনের ফল পূর্বনির্ধারিত ছিল। একদলীয় ডামি নির্বাচন করে মূলত এক ব্যক্তির পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করে আনা হয়েছে। দেশবাসীর পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ইতোপূর্বেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরও বলেন, গত ১৫ বছর যাবত এই সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে। এই সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। বর্তমান সরকার অবৈধ। জনগণ এই সরকারকে ভোট দেয়নি। বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে একটি প্রহসন হয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার সম্পর্কে সরকার যা বলছেন, তা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। জনগণ যেখানে ভোট দিতেই যায়নি, সেখানে সরকারের ব্যক্ত করা ভোট প্রদানের হার মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়, বরং হাস্যকর। জাতিসঙ্ঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে বলেছেন, বাংলাদেশের এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। বিশ্বের ৬টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা বলেছেন, এই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে যায়নি এবং তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে কত ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত বলেন, জামায়াতসহ বিরোধীদলের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে ও ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত কোনো ভোটার ভোটকেন্দ্রে যায়নি। জনগণ ভোট না দিয়ে বিরোধীদলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ নিজেদের পছন্দের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সরকার জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে এবং ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদের কোনো বৈধতা নেই। আমরা এই নির্বাচন বাতিল করে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অবিলম্বে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সরকার দীর্ঘ দিন যাবত আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব সেলিম উদ্দিনকে কারাগারে আটক রেখেছে। নির্বাচনের আগে জামায়াতসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সাজানো মামলায় তাদেরকে দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে বিরোধীদলের সকল মামলা প্রত্যাহার করে আমীরে জামায়াতসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মী এবং আলেম-ওলামার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।”

 #ঢাকা_মহানগরী_দক্ষিণ_জামায়াতের_বিক্ষোভ_মিছিলপ্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুন...
05/01/2024

#ঢাকা_মহানগরী_দক্ষিণ_জামায়াতের_বিক্ষোভ_মিছিল

প্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মাদ দেলাওয়ার হোসেন-এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করে Jamaat Dhaka City South



05/01/2024

প্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ঢাকা জেলা দক্ষিণ শাখা।



05/01/2024

প্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর মহানগর শাখা।



 #জামায়াতের_৩_দিনের_কর্মসূচি_ঘোষণাআগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি টানা ৪৮ ঘন্টার হরতাল- মাওলানা এটিএম মা’ছুমপ্রহসনের নির্বাচন বর্জন...
04/01/2024

#জামায়াতের_৩_দিনের_কর্মসূচি_ঘোষণা

আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি টানা ৪৮ ঘন্টার হরতাল- মাওলানা এটিএম মা’ছুম

প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে এবং ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ৪ জানুয়ারি প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “২০২৪ সালের শুরুতেই আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় রায় ঘোষণার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছে। ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের মধ্যে ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি, গ্রেফতার ও হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে। যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমীর মাস্টার নূরুন্নবী, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার আমীর জনাব আবুল বাশার বসুনিয়া ও নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার আমীর মাওলানা আবুল কালাম আযাদসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের দ্রুত মুক্তি দাবি করছি। আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের তাণ্ডবতায় অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সরকার তার সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে আলাদা করার প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলসমূহ প্রহসনের নির্বাচন বয়কট করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে আসছেন। কিন্তু সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রক্ষেপ নেই। প্রত্যেক নাগরিকেরই ভোট দেয়া বা না দেয়ার অধিকার আছে। আওয়ামী লীগ প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে ও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। ভোটের দিন সরকার পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে মর্মে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। সরকারের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের জন্য আমরা নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করছিঃ-

* ৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী মিছিল ও গণসংযোগ
* ৬ জানুয়ারি ভোর ৬টা থেকে ৮ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল

উপরোক্ত কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি ও আপামর দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

 #ঢাকা_মহানগরী_উত্তর_জামায়াতের_গণসংযোগ_ও_লিফলেট_বিতরণপ্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন...
04/01/2024

#ঢাকা_মহানগরী_উত্তর_জামায়াতের_গণসংযোগ_ও_লিফলেট_বিতরণ

প্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪ জানুয়ারি রাজধানীতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে Jamaat Dhaka City North



 #বরিশাল_মহানগরী_জামায়াতের_গণসংযোগ_ও_লিফলেট_বিতরণপ্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র...
03/01/2024

#বরিশাল_মহানগরী_জামায়াতের_গণসংযোগ_ও_লিফলেট_বিতরণ

প্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩ জানুয়ারি গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে Jamaat Barishal City



Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jamaat-e-islami Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share