20/05/2025
বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়ার ধারাবাহিক ও আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে ১২ (বার) জন বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তারা ত্রিপলীস্থ শারা মাদার এলাকা হতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গত ১৯-১২-২০২৪ ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ০২:০০ ঘটিকার সময় আটক হয়ে দীর্ঘ ০৫ (পাঁচ)মাস ধরে ত্রিপোলির ‘রাধা বাহিনীর’ হেফাজতে ছিলেন। লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট আইন-শৃ্খলা বাহিনী কর্তৃপক্ষ অদ্য ২০ মে ২০২৫ তারিখে তাদেরকে দূতাবাসের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করে। মুক্তিপ্রাপ্ত সকল বাংলাদেশি বর্তমানে শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। দূতাবাস তাদের নিজ নিজ আত্মীয়স্বজনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছে।
বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। লিবিয়ার বিভিন্ন জেল বা ডিটেশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকের মুক্তির জন্য দূতাবাস হতে লিবিয়ার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পরিশেষে এপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ দূতাবাস লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন:
১. সাকিব শেখ (পিতা: সিরাজ শেখ, মাদারীপুর);
২. সুমন মিয়া (পিতা: আলাউদ্দিন মাতুব্বর, মাদারীপুর);
৩. মোঃ শাহীন (পিতা: শহিদ মাতুব্বর, মাদারীপুর);
৪. সজল মিয়া (পিতা: মঈনউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ);
৫. ইমরানুল হক (পিতা: আব্দুস সাত্তার, কিশোরগঞ্জ);
৬. সবুজ (পিতা: শফিউদ্দিন, শরীয়তপুর);
৭. মোঃ হালিম সরদার (পিতা: মহিজউদ্দিন সরদার, শরীয়তপুর);
৮. আরিফ মিয়া (পিতা: আব্দুল মোতালিব মিয়া, নরসিংদী);
৯. সাগর মাঝি (পিতা: আলাউদ্দিন মাঝি, শরীয়তপুর);
১০. রেজাউল হাওলাদার (পিতা: আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, মাদারীপুর)
১১. মো: আলমগীর হোসেন (পিতা: মো: আবুল কালাম সরদার, শরীয়তপুর)এবং
১২. সাগর বেপারী (পিতা:মোঃ শাহাদাত বেপারী, ফরিদপুর)।