23/07/2025
আমি প্রেমকে কঠিন ভেবেছিলাম
এও দেখি সহজ, এখন কী করি!
- জন এলিয়া
আজ এই মুহূর্তে!
সন্ধ্যাটা তখনও কাঁচা। আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশে বিশৃঙ্খলা কিছু মানুষ সবকিছু অগ্রাহ্য করে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করেছে, সবসময় এমনটাই হয়। হয়তো কারো ঘরে ফেরার তাড়া, হয়তো কেউ কারো জন্য অপেক্ষার করছে টংয়ের দোকানে চায়ের ধোঁয়া গিলে, হয়তোবা কেউ দিনমান ক্ষুধার্ত, পেটের ভেতরে নাড়িভুড়ির চিনচিনে ব্যাথা সহ্য করছে, হয়তো কেউ নিরবে খাবারের খোঁজে, হয়তবা কেউ নিম্নতলের বাড়তি তরলটুকু নির্গমনের আশার আড়াল খোঁজে, ওদের সবার ভেতরে দুটো জিনিষের বড্ড মিল, সবাই খোঁজে আর ছুটে। যেমনটি গজনবী বাসটি ছুটে চলার আশায় যাত্রী খোঁজে। দরজায় দাঁড়িয়ে বিরতিহীনভাবে ডেকে যায় হেলপার ছেলেটা,কয়েকজন মানুষ উঠে, এক দুইজন নামে যায়, কেউ কেউ একটু উঁকি দিয়ে দেখে বাসের ভেতরকার অবস্থা, এই উঁকি দেয়া, উঠা নামার মাঝে তাসলিমা গজনবী বাসটিতে উঠে বসে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনে, আয়েশি ভঙ্গিতে বসা মধ্যবয়ষ্ক পুরুষটার পাশে। লোকটাকে দেখে ওর মেজাজ তেলে পানি পড়ার মতো ছ্যাঁত করে ওঠে, ওদিকে বাসে ওঠার সময় হাড্ডিসার হেলপার ছেলেটার সাথেও একটু খিটিরমিটির বেঁধে যায়, আর বাঁধবেই না কেন? আজ ঘর থেকে বের হবার সময় একদলা রাগ ওর শিরা উপশিরায় ছোটাছুটি শুরু করে। আর সেটা চুড়ান্ত রূপ পায় বাসে ওঠার সময়, তাইতো বেশ কষকষে স্বরে হেলপার ছেলেটাকে ঝারি দিয়েছিল তাসলিমা...
'সইরা খাড়াইতে পাড়স না'
হেলপার ছেলেটা অবশ্য সেই কথাটায় গায়ে মাখায় না, উদাস ভঙ্গিতে একবার তাকিয়ে সরে দাঁড়ায়, তারপরে চিরচেনা ভঙ্গি ও সুরে নতুন যাত্রীদের ডেকে যাচ্ছিল বাসের গায়ের মৃদু ও তীব্র চাপ আঘাত করতে করতে।
এই জসিমউদদীন, কুড়িল, কাকলী, এই জসিমউদদীন, কুড়িল ফার্মগেট, নিউমার্কেট। এই...
অবলম্বন গল্পের কিছু অংশ...