Hasanul Kabir Page

  • Home
  • Hasanul Kabir Page

Hasanul Kabir Page “Always be a first rate version of yourself and not a second rate version of someone else.”

22/06/2025

Gemini 2.5 Pro
Chat Prompt
ThinkingThoughts
(experimental)
Auto

গল্পের নাম: অপেক্ষার শেষ

প্রতিদিন সকাল ৯টা ১৫-র বাসটা ধরত আকাশ। আর সেই একই বাসস্টপে রোজ অপেক্ষা করত নীলা। দুজনের কেউই কাউকে চিনত না, কিন্তু মুখ দুটো ছিল ভীষণ চেনা।
আকাশ দেখত, মেয়েটা কানে হেডফোন গুঁজে বইয়ের পাতায় ডুবে থাকত। তার কাজল কালো চোখ দুটো যেন বইয়ের অক্ষরের সাথে কথা বলত। মাঝে মাঝে হাওয়ায় তার খোলা চুল উড়ে এসে মুখে পড়ত, আর সে আলতো করে তা সরিয়ে দিত। এই সামান্য দৃশ্যটা দেখতেই আকাশের ভালো লাগত।
অন্যদিকে নীলাও লক্ষ্য করত ছেলেটাকে। শান্ত, চিন্তামগ্ন একটা মুখ। বাস এলেই হুড়োহুড়ি না করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকত, যেন জগতের কোনো ব্যস্ততাই তাকে ছুঁতে পারে না। তার চোখে একটা অদ্ভুত গভীরতা ছিল, যা নীলার মনে কৌতূহল জাগাত।
এভাবেই চলছিল দিন, মাস। কথা হয়নি কোনোদিন। শুধু চোখে চোখ পড়লে একটা হালকা অস্বস্তি আর অচেনা ভালো লাগা কাজ করত।
একদিন সকালে আকাশ দেখল, নীলা বাসস্টপে নেই। মনটা হঠাৎ করেই খারাপ হয়ে গেল। পরের দিনও সে এলো না। আকাশের চেনা সকালটা কেমন যেন অচেনা হয়ে গেল। সে বুঝতে পারল, এই কয়েক মাসে মেয়েটা তার অভ্যাসের একটা অংশ হয়ে গেছে।
প্রায় এক সপ্তাহ পর, আকাশ দেখল নীলা আবার দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু আজ সে বই পড়ছে না, মুখটা ভীষণ মলিন। পায়ে একটা ব্যান্ডেজ। আকাশ আজ আর নিজেকে আটকাতে পারল না। সাহস করে এগিয়ে গিয়ে বলল, "কিছু মনে না করলে, একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি?"
নীলা অবাক হয়ে তাকাল। তারপর বলল, "হ্যাঁ, বলুন।"
"আপনার পায়ে কী হয়েছে? কয়েকদিন আপনাকে দেখিনি, তাই চিন্তা হচ্ছিল," এক নিঃশ্বাসে বলে ফেলল আকাশ।
নীলার মলিন মুখে একটা হালকা আভা ফুটে উঠল। অবাক হয়ে বলল, "আপনি আমায় লক্ষ্য করেন?"
আকাশ লাজুক হেসে বলল, "রোজকার চেনা মুখ হঠাৎ দেখতে না পেলে চিন্তা তো হয়ই।"
নীলা জানাল, ছোট একটা অ্যাক্সিডেন্টে পা মচকে গেছে, তাই এতদিন আসতে পারেনি। সেদিন বাস আসার আগে পর্যন্ত দুজনের মধ্যে অনেক কথা হলো। তারা জানতে পারল, তাদের পছন্দের লেখকের নাম এক, দুজনেরই বৃষ্টি ভালো লাগে, আর দুজনেই এই সকালের বাসস্টপের নীরবতাকে ভালোবাসে।
বাস এলো। কিন্তু সেদিন তারা একসাথে বাসে উঠল না। আকাশ বলল, "আজ বাসটা ছেড়ে দিই চলুন। সামনের ওই চায়ের দোকানে এক কাপ চা আর একটু গল্প করলে কেমন হয়?"
নীলা হাসিমুখে রাজি হয়ে গেল।
সেদিন বাসটা চলে গেলেও, তাদের দুজনের জন্য এক নতুন যাত্রা শুরু হয়েছিল। অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়ে জন্ম নিয়েছিল এক মিষ্টি ভালোবাসার গল্প।

21/06/2025

গল্পের নাম: শেষ ক্যানভাস
তরুণ সাংবাদিক আকাশ সেন ধূমপাহাড়ের কুয়াশা মোড়া রাস্তায় বাইক চালানোর সময় একটা অদ্ভুত অস্বস্তি অনুভব করছিল। এই নির্জন পাহাড়ি জায়গায় বিখ্যাত চিত্রশিল্পী বীরেন শর্মার নিখোঁজ হওয়ার খবরটা তাকে টেনে এনেছে। পুলিশ প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছে, কিন্তু আকাশের সাংবাদিক মন বলছিল, এর পেছনে কোনো গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে।
বীরেন শর্মার বাংলোটা পাহাড়ের একেবারে কিনারায়, যেন মেঘের সাথে কথা বলছে। বাংলোর কেয়ারটেকার রামুকাকা আকাশকে ভেতরে নিয়ে গেল। লোকটা বয়স্ক, মুখটা সবসময় বিষণ্ণ।
"স্যার তো কাউকে কিছু না বলেই চলে গেলেন," রামুকাকা ভাঙা গলায় বলল। "শেষবার যখন দেখি, তখন উনি ওনার স্টুডিওতে কাজ করছিলেন।"
আকাশ পুরো বাংলো ঘুরে দেখল। সবকিছু পরিপাটি, কিন্তু একটা শীতলতা যেন জমে আছে। বীরেন শর্মার স্টুডিওতে ঢোকার পর আকাশের চোখ আটকে গেল একটা বিশাল ক্যানভাসে, যেটা সাদা কাপড়ে ঢাকা।
"এটা কি ওনার শেষ কাজ?" আকাশ জিজ্ঞেস করল।
রামুকাকা মাথা নেড়ে বলল, "হ্যাঁ বাবু। কিন্তু এটা কাউকে দেখতে বারণ করেছিলেন। বলতেন, এটা শেষ হলে দুনিয়া চমকে যাবে।"
আকাশের কৌতূহল বাড়ল। সে রামুকাকার সাথে কথা বলে জানতে পারল, বীরেন শর্মা শেষ কিছুদিন ধরে খুব চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন। কারো সাথে মিশতেন না, এমনকি নিজের প্রিয় পোষা কুকুরটাকেও কাছে ঘেঁষতে দিতেন না।
রাতে বাংলোতেই থাকার ব্যবস্থা হলো আকাশের। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যেতেই সে শুনতে পেল, স্টুডিওর ভেতর থেকে কেউ যেন কিছু আঁচড়াচ্ছে। আকাশ টর্চ নিয়ে পা টিপে টিপে স্টুডিওর দরজার কাছে গেল। ভেতরটা একেবারে চুপ। হয়তো মনের ভুল।
পরদিন সকালে আকাশ আবার স্টুডিওতে ঢুকল। কাপড়ে ঢাকা ক্যানভাসটা তাকে চুম্বকের মতো টানছিল। নিজেকে আর আটকাতে না পেরে সে কাপড়টা সরিয়ে ফেলল।
ক্যানভাসটা দেখে আকাশের শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। এটা কোনো সাধারণ ছবি নয়। ছবিতে একটা মানুষকে জীবন্ত কবর দেওয়া হচ্ছে। লোকটার মুখে তীব্র আতঙ্ক আর যন্ত্রণা। কিন্তু সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো, কবরে শুয়ে থাকা মানুষটার মুখ হুবহু বীরেন শর্মার মতো! আর যে লোকটা কোদাল দিয়ে মাটি চাপা দিচ্ছে, তার মুখটা অন্ধকারে ঢাকা, শুধু হিংস্র চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে।
ছবিটার নিচে একটা তারিখ লেখা—যেদিন বীরেন শর্মা নিখোঁজ হয়েছিলেন।
হঠাৎ আকাশের মনে হলো, ছবির ওই অন্ধকার মুখটা তার চেনা। সে দ্রুত বাংলোর বসার ঘরে রাখা একটা পুরনো ফ্যামিলি ফটো দেখল। ফটোতে রামুকাকার সাথে তার যুবক বয়সের একটি ছবি ছিল। সেই ছবির যুবক আর ক্যানভাসের খুনি—একই মানুষ!
আকাশ বুঝতে পারল, রামুকাকা আসলে অতটা নিরীহ নয়। সে যখনই ঘর থেকে বের হতে যাবে, দেখল দরজায় রামুকাকা দাঁড়িয়ে আছে। তার হাতে একটা মরিচা ধরা কোদাল, আর মুখে সেই ক্যানভাসের মতোই হিংস্র হাসি।
"ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে, তাই না বাবু?" রামুকাকা শান্ত গলায় বলল। "বীরেন স্যার আমার আঁকার কৌশল চুরি করে বিখ্যাত হয়েছিলেন। তাই আমি তাকে দিয়ে তার জীবনের শেষ ছবিটা আঁকিয়ে নিলাম। নিজের মৃত্যুর ছবি!"
আকাশের গলা শুকিয়ে কাঠ। সে বুঝতে পারল, এই বাংলো থেকে বেরোনোর কোনো রাস্তা খোলা নেই।
রামুকাকা এগিয়ে আসতে আসতে বলল, "গল্পের শেষটা এখনো বাকি। এই ক্যানভাসের পাশে আরও একটা ক্যানভাস রাখার জায়গা আছে। শিরোনাম হবে—'কৌতূহলী সাংবাদিকের শেষ পরিণতি'।"
বাইরে তখন ধূমপাহাড়ের কুয়াশা আরও ঘন হয়ে বাংলোটাকে গ্রাস করে ফেলেছে। আর কোনোদিনও আকাশ সেন বা বীরেন শর্মার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুধু পাহাড়ের গভীরে লুকিয়ে রইল দুটো অসমাপ্ত গল্প আর একটা ভয়ঙ্কর ক্যানভাস।

#আমার #এই #এই

22/05/2021

https://www.facebook.com/hasan4r44/

This is Hasanul Kabir Vlogs page. I love making video whatever happens in my life and around the world. Please like & follow my page and stay my side who loves me.You can follow me in Facebook,Instagram,twitter,YouTube.Thank you so much for being with me.

16/08/2020

Ha ha ha

07/07/2020

This is Hasanul Kabir Vlogs page. I love making video whatever happens in my life and around the world. Please like & follow my page and stay my side who loves me.You can follow me in Facebook,Instagram,twitter,YouTube.Thank you so much for being with me.

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hasanul Kabir Page posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Hasanul Kabir Page:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share