Warisa Rifat

Warisa Rifat Every soul shall taste death…

17/06/2025

আজকাল মেয়েরা খুব যুদ্ধ করছে, নিজেকে প্রমাণ করতে হবে! শিখতে হবে, চলতে হবে, উপার্জনও করতে হবে।
নিজের পরিবার, সমাজ, সব জায়গায় যেন এক প্রতিযোগিতা। আমি কাউকে কম দেখাতে পারি না।
আমিও পারি দেখাতে হবে।

এই ভাবনার ভেতরে আমরা কি একটু ভুলে যাচ্ছি,
আমি মুসলিম নারী। আমার কিছু সীমা আছে, আমার কিছু দায়িত্ব আছে, আমার একটা পরিচয় আছে, যেটা শুধু "মহিলা" না।
আমি আল্লাহর বান্দি।

প্রশ্ন হচ্ছে,
এই নিজেকে প্রমাণের চাপে পড়ে আমরা কী করছি?
অনেকেই পর্দা ছেড়ে দিচ্ছে! বলছে, জবের জন্য একটু মডার্ন হওয়া দরকার।
কেউ আবার খোলা-মেলা পোশাক পরে বলছে- আমার শরীর, আমার ইচ্ছে। আবার কেউ বলছে- ধর্ম পরে, আগে নিজের ক্যারিয়ার।

কিন্তু ভাবুন তো-
ক্যারিয়ার যদি জাহান্নামের রাস্তায় নিয়ে যায়, তাহলে সেটা সফলতা না, ধ্বংস।
ইসলামে নারীর উন্নতি মানে কখনোই সব ছেড়ে পুরুষের মতো জীবন না। নারীর মর্যাদা মানে তার ইমান ঠিক রেখে নিজেকে গড়ে তোলা।

আয়েশা (রাঃ), খাদিজা (রাঃ), ফাতিমা (রাঃ)- তাঁরা তো সমাজেও ছিলেন, জ্ঞানেও ছিলেন, কিন্তু তাঁরা কখনো তাঁদের ইমান হারাননি।

আজ আমরা চাই, সবাই বলুক- 'তুমি সফল' তাই রাত জেগে কাজ করি, মেকআপে নিজেকে বদলাই, ট্রেন্ডে গিয়ে আল্লাহর কথা ভুলে যাই।
কিন্তু যদি আল্লাহই না খুশি হলেন, তাহলে এই সফলতা কাদের জন্য?

জানি, সময় কঠিন। চাপ অনেক।
তবুও আমরা যেন নিজের ঈমানকে সবার আগে রাখি।
জগতের সব ‘সার্টিফিকেট’ একদিন মাটির নিচে মুছে যাবে, শুধু আমাদের পর্দা, হায়া, দয়া আর ইমান
সেই কবরে আলো হয়ে আসবে।

✍️ Warisa Rifat

25/05/2025

ধরেন, আপনি শান্ত স্বভাবের। সবার সাথে এতো বেশি মিশেন না। খুব বেশি কথাও বলেন না।
আবার হয়তো আপনি পর্দা করেন, নিজের মত করে চলেন, কারো সাথে গা ভাসিয়ে চলতে পারেন না।

তখন অনেকেই বলে, “তুমি একটু বেশি বেকওয়ার্ড না?”, সবাই কত এগিয়ে গেছে, তুমি কোথায় আছো?
কিছু কথা বাইরে বলে, কিছু চোখে চোখে বুঝিয়ে দেয়।

কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন—সবাই যেদিকে দৌড়ায়, সেটা সবসময় সঠিক পথ না।
পশ্চিমে তাকিয়ে দেখেন, “মুক্তি”র নামে নারীদের যে জীবন দেওয়া হয়েছে, তাতে সম্মান নেই, স্থিতি নেই, মানসিক শান্তি নেই।

কেউ যদি বলে আপনি পিছিয়ে আছেন, জেনে রাখেন—
আল্লাহর রাস্তা সবসময় মানুষকে “চট করে আধুনিক” বানায় না, বরং স্থায়ীভাবে সম্মানিত করে।

আপনি যদি নিজের ইজ্জত, নিজের নীতি ধরে রাখেন,
আপনি যদি পবিত্রতা নিয়ে জীবন কাটাতে চান—
তাহলে আপনি পিছিয়ে নন, বরং একমাত্র সঠিক রাস্তায় আছেন।

✍️ Warisa Rifat

নারী-পুরুষ সমান অধিকার- ইসলাম কী বলে, আর আমরা কী করছি?আজকাল একটা কথা খুব শোনা যায়— নারী-পুরুষ সমান অধিকার চায়। কিন্তু প্...
23/05/2025

নারী-পুরুষ সমান অধিকার- ইসলাম কী বলে, আর আমরা কী করছি?
আজকাল একটা কথা খুব শোনা যায়— নারী-পুরুষ সমান অধিকার চায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আসলেই কি আমরা সমান হতে চাই? নাকি শুধু সুযোগের জায়গায় সমান হতে চাই, দায়িত্বের জায়গায় না?
দেখেন, ইসলাম কখনো নারীকে পুরুষের নিচে রাখেনি। বরং অনেক জায়গায় নারীকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, কন্যা হিসেবে—প্রতিটা সম্পর্কেই ইসলাম নারীর পাশে থেকেছে।
একবার এক সাহাবি নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, কার হক সবচেয়ে বেশি?
তিনি বললেন, "তোমার মা"।
তিনবারই বললেন, "তোমার মা", তারপর বললেন, "তোমার বাবা"।
এখন আসি ‘সমান অধিকার’-এর কথায়। আজকাল অনেক নারী বলেন, “আমরা পুরুষের মতোই সবকিছু করব”—চমৎকার কথা! কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমরা কি পুরুষের সব দায়িত্বও নিচ্ছি?
যখন ঘরে আয়-রোজগারের কথা আসে, তখন বলি, “স্বামী দায়িত্ব নেবে।”
কিন্তু বাইরে কাজের সুযোগে বলি, আমাদের ঠেকানোর অধিকার কারও নেই।
মানে সুবিধাটা চাই, কিন্তু দায়িত্বটা? সেটা যেন শুধু পুরুষের।
ইসলাম কখনো নারীকে শ্রমিক বানায়নি। বরং বলেছে, স্বামী স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে, আর স্ত্রী যদি ইচ্ছা করে আয় করে—তবে সেটা তারই সম্পদ। কী চমৎকার ভারসাম্য, তাই না?
আর আজকের অনেক তথাকথিত আধুনিকতা নারীকে “মুক্তি” দিয়েছে, কিন্তু সেই মুক্তি এনে দিয়েছে ২৪ ঘণ্টার কাজের বোঝা, নিজের সম্মান হারানোর ভয়, আর একরকম গ্ল্যামার-প্রেশার।
তখন কি সত্যিই নারীর লাভ হচ্ছে, নাকি ওকে শুধু আরেকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে?
এখন একটু বাস্তব কথা বলি—

আমরা যতই বলি “সমান অধিকার”, আসলে নারী-পুরুষ সমান না—বরং আলাদা বা ভিন্ন।
আর এই ভিন্নতাটাই শ্রেষ্ঠত্ব।
একজন পুরুষ অনায়াসে রাতভর কবর খুঁড়তে পারে,
দুর্ঘটনায় লাশ টেনে তুলতে পারে,
নর্দমা পরিষ্কার করতে পারে,
আতঙ্কের মাঝেও রাস্তায় একা হাঁটতে পারে।
আপনি কখনো শুনেছেন, কোনো নারী কয়লার খনিতে নিচে নেমে কাজ করছেন?
বা মাঝরাতে নদীর মাঝখানে নৌকা বেয়ে মালামাল টেনে আনছেন ট্রলার চালিয়ে মৃত ব্যক্তিকে বহন করে কবরস্থানে নেওয়া, জানাজা পড়ানো ও দাফন করা?
→ নারীরা এমন কাজে থাকে না, থাকেও না। ইসলামে এর ব্যাখ্যাও আছে। কারণ এগুলো নারীদের কাজ নয়।
এসব কাজ প্রতিদিন হাজার হাজার পুরুষ করেই যাচ্ছে—কারো চোখে পড়ে, কারো পড়ে না।
তারা করে যাচ্ছেন, কারণ তাদের শরীর, মন, ধৈর্য, শক্তি—সবকিছু সেই কাজের উপযোগী করেই আল্লাহ বানিয়েছেন।
কেউ রাত ৩টায় অ্যাম্বুলেন্স চালায়,
কেউ কনস্ট্রাকশনের কাজ করে ৪০ ডিগ্রি রোদের মধ্যে, কেউ বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপরে উঠে ঝুঁকি নিয়ে তার মেরামত করে।
নারী এইসব কাজ করতে না পারায় সে ছোট না—
বরং তার কাজ অন্যরকম।
সে কোমল, সে মমতাময়ী, সে মায়াবতী।
সে ঘর সাজায়, পরিবার আগলে রাখে, সন্তানকে মানুষ করে। সে চোখে পানি নিয়ে বাবার জন্য দোয়া করে,
স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সাহস দেয়।

একটা পরিবারে শান্তি আসে নারীর হাসিতে, নারীর দোয়ায়, নারীর ভালোবাসায়। এই কাজগুলো পুরুষ পারবে না।
এখন নারী যদি ভাবে, তাকে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে পুরুষের মতো হয়ে—তাহলে সে নিজের নারীসত্তাকেই অস্বীকার করে ফেলছে।
কারণ নারী হওয়াটাই এক গর্ব, এক সৌন্দর্য, এক সম্মান।
পুরুষ যা পারে, তা জেনেই সে পুরুষ। আর নারী যেটা পারে, আল্লাহ তাকেই তো বানিয়েছেন বিশেষ করে।
ইসলাম নারীকে সম্মান দিয়েছে। বলেছে, তুমি বাইরে যেয়ো—যদি প্রয়োজন হয়, নিরাপদভাবে, ইজ্জত রক্ষা করে।
আসলে নারীকে আল্লাহ প্রতিযোগী নয়, পরিপূরক বানিয়েছেন। নারীকে শ্রেষ্ঠ হতে পুরুষের মতো হতে হয় না। তার নিজস্ব একটা সম্মান আছে, মর্যাদা আছে—যেটা তার ভেতরের কোমলতায়।
একটা পরিবারে মা তার জায়গায়, বাবা তার জায়গায়—এটাই ভারসাম্য।
যখন সবাই নিজের জায়গায় থেকে দায়িত্বটা পালন করে, তখনই সমাজ সুন্দর থাকে।
না হলে, একদিকে ভার বেশি হলে যেমন একটা নৌকা উল্টে যায়, সমাজটাও ঠিক সেভাবেই ডুবে যায় বিশৃঙ্খলায়।

✍️ Warisa Rifat

23/05/2025

আল্লাহ জানেন তুমি কতবার ভেঙেছো!
তোমার ভেঙে যাওয়া কাউকে বলা হয়নি—তাই বলে কি আল্লাহ দেখেননি?
তুমি কতবার রাত জেগে নিজের মনকে বোঝাও, কেউ জানে না।
তোমার চোখের পানি, তোমার নীরবতা, তোমার হেরে যাওয়ার ভয়- সবই তিনি জানেন, যিনি তোমার হৃদয়েরও গভীরে আছেন।
আল্লাহ কখনো কাউকে অপমান করেন না।
তাই যতবার ভাঙো, মনে রেখো, তোমার ভাঙা হৃদয়ও আল্লাহর কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
তুমি যদি শুধু তাঁর উপর ভরসা রাখতে পারো, তাহলে তিনি এমনভাবে ফিরিয়ে দেবেন, যেখানে মানুষ হার মেনে নেয়, তুমি জিতে যাবে।

✍️ Warisa Rifat

21/05/2025

ভাগ্য বদলাবে কিনা জানি না,
কিন্তু অভ্যাস বদলালে জীবন বদলায়, এটা নিশ্চিত।

- Warisa Rifat

21/05/2025

অন্যদের তো ক্ষমা করোই,
কিন্তু নিজেকেও করো।
নিজেকে দোষ দিতে দিতেও মানুষ ক্লান্ত হয়ে যায়।

- Warisa Rifat

21/05/2025

নাম, পেশা, শহর—এসব পরিচয় না।
তোমার ব্যবহার, তোমার মানসিকতা— এটাই আসল পরিচয়।

- Warisa Rifat

20/05/2025

নিজের সম্মান আগে।
ভালোবাসা, সম্পর্ক, কাজ—সব ঠিক,
কিন্তু নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে নয়।

- Warisa Rifat

20/05/2025

সম্পর্ক কোনো অ্যাপ না, যেটা ইন্সটল করলেই চলবে।
এটাতে সময় লাগে, মন লাগে, গুরুত্ব লাগে।

14/05/2025

জাতীয় সঙ্গীত যেইটাই হোক আমি তোমায় ভালোবাসি ❤️

Confidence
14/05/2025

Confidence

আট দশ পদের রান্না করেছিলাম সেদিন, সব গুলো রান্না অমৃত হলেও একটাতে লবণ কম হওয়াতে শ্বাশুড়ী যখন মুখ বেকিয়ে বলল, - লবণ দেওয়া...
14/05/2025

আট দশ পদের রান্না করেছিলাম সেদিন, সব গুলো রান্না অমৃত হলেও একটাতে লবণ কম হওয়াতে শ্বাশুড়ী যখন মুখ বেকিয়ে বলল,
- লবণ দেওয়ার সময় মন কোথায় থাকে?
আমি বলেছিলাম, এত গুলো রান্নার মধ্যে একটা তো এদিক ওদিক হবে৷ আমি তো আর রোবট না।

উনি পাত থেকে সে তরকারি ফেলে দিতে দিতে বলেছিলেন, বউ হতে গেলে রোবটের চেয়ে বেশি হতে হয়।
ঘর ভর্তি গেস্টের সামনে আমি পানি দিয়ে ভাত আর রাগ দুইটায় গিলে খেয়েছিলাম।সবাই চুপ ছিলো কেউ কোন উত্তর দেয় নি আমার হয়ে।
রাতের বেলা, শুধু সে তরকারির লবণ ঠিক রেখে অন্য সব তরকারির লবণ বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।

সবাই বুঝে আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়েছিলো, যেন আমি একটা আতংক। আমি নির্বিকারে যে তরকারির জন্য সকালে কথা শুনানো হয়েছিলো সেটা দিয়ে খেয়ে নিলাম।

পরে সবাই বলেছিলো,
-সকালে সব ভালোই ছিলো৷ শুধু শুধু রাগালে মেয়েটাকে, কষ্ট করে রান্না করেছিলো।
কিন্তু সকালে কেউ আমার হয়ে একটা কথা বলে নি।
এরপর থেকে কেউ আমাকে এইভাবে বলার সাহস পেত না৷

এমন না যে আমি সমালোচনা শুনতে ভয় পাই। ব্যাপার টা হলো মূল্যায়নের। আমি যে এত কষ্ট করে এত রান্না করেছি, সেটার মূল্যায়ন তারা করে নি৷ নয় টা রান্নার গুন যখন একটাকে ছাপিয়ে যায় নি, সেখানে আমার মূল্যায়ন হয় নি। আমার কষ্টের মূল্যায়ন হয় নি।

পরবর্তীতে এইরকম কিছু বলার আগে তারা ভেবেছে। এবং ভাববে৷
প্রতিদিন বিকালে নানা রকম নাস্তা বানাই আমি, ঘরের এক সদস্য বলেছিলো, তার খেতে ইচ্ছে না। তবে সে খেত সব। তার যে ইচ্ছে করে না তা সে বাড়িয়ে চড়িয়ে বলত।

পরবর্তীতে আমি তার জন্য ছাড়া সবার জন্য নাস্তা বানিয়েছে৷ বেশ ভালো পদের৷ শুধু তাকেই দেওয়া হলো না।
এক গাল হেসে বলেছিলাম,
- ভালো লাগে না যখন, কষ্ট করে কেন খাবেন রোজ? আপনার ও কষ্ট কমল। আমার ও।
সে এমন দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো, যেন কোন শব্দেই খুঁজে পাচ্ছে না। তার বিরক্তি প্রকাশ করার জন্য।

এমন না যে আমি তাকে অপছন্দ করি বা খাওয়াতে চাই না। কিন্তু সে আমার যত্ন টা দেখতো না। আমি রোজ নাস্তা বানাচ্ছি যত্ন করে নানা বাহারী সাজে, সেটার মূল্য দিতো না। আমার মূল্যায়ন সে করে নি। তাই আমি তাকে বুঝিয়েছি, কেউ যখন আপনার জন্য করছে তার মূল্যায়ন অবশ্যই দরকার৷

ভোর বেলা কেউ বের হচ্ছে, আমি রাতের র্নিঘুমতার শর্তেও ঘুম ঘুম চোখে উঠে কারো জন্য রুটি বানালাম, সে দেখল আমি বানাচ্ছি, নিষেধ করল না৷ সময় সুযোগ থাকার শর্তেও সে না খেয়ে চলে গেল৷

এরপরের বার থেকে আমি ঘুম থেকেই উঠি নি। যতই আমাকে ডাকা হোক।
এমন না যে আমি উঠতে পারব না কারো জন্য। কিন্তু তার জন্য আমার উঠাটা তাকে মূল্যায়ন করতে হবে।

আমার স্বামীর জন্য রাত অবধি ভাত নিয়ে বসে থাকার পর সে যখন আমি রান্না ঘর থেকে আসার আগেই খাওয়া শুরু দিতো, আমি খেয়েছি কিনা দেখতো ও না।
পরের বার থেকে আমি আগেই ভালো পিস টা দিয়ে খেয়ে বসে থাকতাম।

এমন না আমার অপেক্ষা করতে খারাপ লাগে, কিন্তু যে আমার অপেক্ষার মূল্যায়ন করবে না। তার জন্য আমি কেন বসে থাকবো?
তার হাজার দোষ থাকার শর্তেও সে যখন আত্মীয় স্বজনের সামনে আমার ছোট্ট ভুলে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছে।

আমি তার হাজার খানিক দোষ রসিয়ে রসিয়ে শুনিয়েছি সবাইকে।
এমন না যে আমি প্রতিশোধ প্রবণ। কিন্তু তাকে বুঝিয়েছি, প্রিয় মানুষ টার সম্মান রাখা নিজেরেই দায়িত্ব।

আমাকেও মূল্যায়ন করতে হবে, সে আমার একটা দোষ জানলে আমি তার হাজার টা জানি, আমি যখন কাউকে বলছি না সে কেন তা নিয়ে অন্য দের সাথে হাসাহাসি করবে?

এক আত্মীয়ের জন্য স্বেচ্চায় নিজেকে ছোট করেছিলাম, কিন্তু সে আড়ালেও আমাকে একটা ধন্যবাদ দেয় নি, এরপর থেকে আমি তার হাজার ডাকেও ফিরে তাকাই নি।

কারণ সে আমার সম্মানের মূল্যায়ন করে নি। আমার ছোট হওয়াটা তার কাছে কিছুই ছিল না।

যে বন্ধুটার মন খারাপে আমি রাত জেগে ছিলাম, কিন্তু ব্যস্ততার অজুহাতে যখন সে আমার মেসেজ সিন করে ফেলে রেখেছিলো, যখন আমার কাউকে দরকার ছিলো, আমি আবার তার মন খারাপের রাতে অনলাইন থেকেও তার কল রিসিভ করি নি৷
কারণ সে আমাকে ব্যবহার করেছে, মূল্যায়ন না৷
ঘরে হোক বা বাইরে যেকোন কাজে মূল্যায়ন দরকার। সেটা সংসার হোক বা কর্মক্ষেত্র।

আপনি যখন অফিসের র্নিদিষ্ট কাজের বাইরে অন্য কাজ করবেন। যার জন্য আর্থিক মূল্য দেওয়া হবে না। তখন আপনার মূল্যায়ন দরকার।

ঘরে সবাইকে খুশি আপনি করতে পারবেন না৷ কিন্তু যখন আপনি চেষ্টা করছেন তখন থেকেই যদি আপনার মূল্যায়ন না হয় মনে রাখবেন আপনার মূল্যায়ন কখনো হবে না। কোন দিনেই না।

সংসার এইটা এমন একটা জায়গা যেখানে অন্যদের জন্য যখন করবেন তখন চাহিদা, প্রত্যাশা শুধু বাড়বেই। কখনো কমবে না।

আপনি সব ঠিকঠাক করতে করতে সবাই এমন ভাব করবে যেন আপনি মানুষেই নয়, হয় ঈশ্বর নয় কোন যন্ত্র। কিন্তু ঈশ্বরের মূল্য ও আপনাকে দেওয়া হবে না।
অকথ্য ভাষা বলতে দুইবার ভাববে না। সত্যি ভাববে না। বিশ্বাস করুন।
তাই নিজেকে অত টা বিলিয়ে দেবেন না প্লিজ যেখানে সবাই মাড়িয়ে যাবে আর একটা শব্দ ও করবেন না।

এতে যদি আপনি ঝগড়াটে বা বেয়াদব আখ্যা পান, মেনে নেবেন। বিশ্বাস করুন অনেক ফ্রেশ মাইন্ডে থাকবেন। এইসব মানসিক যন্ত্রনা থেকে দূরে থাকবেন৷
বেশি করে কথা শোনার চাইতে, কম করে দেখবেন বেশি সুনাম পাবেন যদি মূল্যায়ন টা দাঁড় করাতে পারেন।

অনেক পরিবারে দেখবেন কিছু মানুষ কে যা ইচ্ছে শোনানো যায়, কারণ তারা আবার ঠিক তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে। আবার কিছু মানুষ কে অন্যরা ভয় পায় কারণ তার মুখে কিছু আটকায় না। বললে রাগ করে ফেলে। ভুলেও কিছু বলে ফেললে রেশ থাকে অনেক দিন।
এরা কিন্তু কম পরিশ্রমে বেশি সুনাম পায়।

মূল্যায়ন চাওয়া মানে আপনাকে ঝামেলা করতে হবে না এমন না৷ স্রেফ নিজেও যে একটা আলাদা মানুষ। ভুল হবে, দোষ থাকবে, আবার ভালোও হবে সেটা বুঝাবেন হেসে৷ সড়ে গিয়ে, চুপ থেকে৷ কিংবা আমার মতো লবণ ঢেলে দিয়ে।
কারণ মূল্যায়ন ব্যাপার টা কেউ এসে এইটা আপনাকে হাতে ধরিয়ে দিয়ে যাবে না। নিজেকেই করতে হবে সে জায়গা। সে মূল্যায়নের মনোভাব।
তাই নিজেকে মাঝেমধ্যে স্বার্থপর ও বানান যাতে আপনি যে স্বার্থপর না সেটা অন্যরা বুঝে।

লেখাঃ দোলনা_বড়ুয়া_তৃষা

Address

Dhaka

Telephone

+8801886561952

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Warisa Rifat posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Warisa Rifat:

Share

Category