24/03/2024
psychology of colour
homework
class 1
মানুষের কল্পনা, চিন্তা, সংস্কৃতি গুণাবলী গতিবিধি এবং মনস্তাত্তিক বিষয়গুলো যেমন আলাদা আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়,তেমনি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং প্রকারভেদে প্রতিটি রং কেউ আলাদা গুণাবলীতে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
প্রতিটা রঙে নিজস্ব কিছু অর্থ আছে। যেমন :
১। লাল :লাল বেশ শক্তিশালী একটি রং। তাই দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এই রংটি।
উষ্ণতা, ক্ষমতা, ভালোবাসা, সাহসিকতা প্রবৃদ্ধি ভাব প্রকাশ করতে ব্যবহার হয়।
২। সাদা :পূর্ণতার, শুদ্ধতা ও শান্তির পথিক হিসেবে সাদা রঙের ব্যবহার বিশ্বজুড়ে। সাদা রং দ্বারা পরিছন্নতা সতেজেতা এবং সরলতা বোঝায়।
৩।কাল : কালো রং সাধারণ কিন্তু কর্তৃত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী একটি রং। মন্দতা, ভয়, মৃত্যু, রহস্য বিচ্ছিন্নতা, বিলাসিকতা, অশুভ ভয় ভীষণভাবে প্রকাশ ঘটায় এই রং।
৪। নীল: লালের সম্পূর্ণ বিপরীত সাইকোলজি এফেক্ট বহন করে নীল রং। নীল রং খুব সহজে মনে শান্ত ভাব জাগিয়ে তোলে। চেতনা ও বুদ্ধিদীপ্তিতীর প্রকাশ বলে মনে করা হয়। নীল রং কে বিশ্বব্যাপী মানুষের প্রিয় রং বলা হয়।
৫।সবুজ : সবুজ রঙে কোন কিছুর উন্নতি বা ক্রমবিকাশ প্রকাশের চিহ্ন হিসাবে ব্যবহার হয়। বেশিরভাগ কোম্পানি ইকো ফ্রেন্ডলি বোঝাতে এই রং ব্যবহার করা হয়।
৬। হলুদ :হলুদ রং সাধারণত রোদ্রউজ্জ্বল এবং কর্মশক্তি ভাব প্রকাশ করে
৭।কমলা : কমলা রং সাধারণত পবিত্রতা, বিশ্বাস, ভরসা, আধ্যাত্মিকতা এবং মনোযোগ আকর্ষণ প্রবৃত্তিভাব প্রকাশের সহায়তা করে।
৮।বেগুনি : বেগুনি রং মূলত শক্তি, শান্তি, উন্নতি, সমৃদ্ধি ও রাজকীয় ভাব প্রকাশ করে।
৯।গোলাপি :গোলাপি রঙ ভালোবাসা, নারীত্ব,
বিশ্বাস এবং নিরাপত্তার ভাব প্রকাশ করে।
আমরা সবাই রঙ চিনি।
এখন যদি প্রশ্ন করা হয় রং কি?
তাহলে উত্তরে বলা যায়,
রং হলো আলোর একটি অংশ যা মানুষ দেখতে পায়। মানুষের চোখে শুধুমাত্র প্রতিফলিত রং গুলোই দেখতে পায়। রংয়ের আবেগ প্রকাশের ক্ষমতা আছে।
প্রধানত তিন ধরনের রং আছে। যথা
১.primary বা প্রাথমিক রং
২.secondary মাধ্যমিক রং
৩.Tertiary বা প্রশাখা রং
প্রাথমিক রং হলো লাল, হলুদ এবং নীল। এই তিনটি মৌলিক রং
সেকেন্ডারির রং হলো ও সবুজ কমলা এবং বেগুনি। এই মাধ্যমিক রংগুলো দুইটি প্রাথমিক রঙের মিশ্রণে তৈরি হয়।
আর টারশিয়ারি রংগুলো হল একটি প্রাথমিক রং এবং একটি মাধ্যমিক রঙ মিলিয়ে এই টারশিয়ারি রং তৈরি করা হয়.
৪।complientary বা পরিপূরক রং :
পরিপূরক রং গুলো হলো কালার হুইলের একে অপরের বিপরীত দিকে অবস্থিত দুটি রং।
উদাহরণস্বরূপ লালের পরিপূরক রং সবুজ এবং হলুদের পরিপূরক রং বেগুনি।
৫। warm & cool বা উষ্ণতা এবং শীতল রং :
উষ্ণ রং :যেমন লাল, হলুদ এবং কমলা এই রংগুলো উষ্ণ অনুভব জাগায়।
শীতল রং : যেমন নীল সবুজ এবং বেগুনি এই রংগুলো এক ধরনের শীতল অনুভূতি জাগায়
*গ্রাফিক ডিজাইনের কালার সাইকোলজি যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে।
#দর্শকরা কিভাবে আপনার ডিজাইন গ্রহণকরবে তা আপনার ব্যবহৃত রংয়ের সংখ্যার উপরে নির্ভর করে।ডিজাইনের রঙের ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী।
#সাইকোলজি শব্দের অর্থ মনোবিজ্ঞান। গ্রাফিক ডিজাইনের বিভিন্ন ধরনের সাইকোলজি রয়েছে। যেমন কালার সাইকোলজি, শপ সাইকোলজি, লাইন সাইকোলজি, এবং ফন্ট সাইকোলজি ইত্যাদি যেগুলো একটি সুন্দর ডিজাইন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গ্রাফিক ডিজাইনের কালার সাইকোলজি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ কেনাকাটার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ৯০% এর বেশি শুধুমাত্র ভিজুয়াল বিবেচনা করা হয়।