Launch Express

Launch Express All Updates News, Pictures And Videos Of The Launch.
(2)

আর এভাবে নদী দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যাবে না এ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চকে
08/07/2025

আর এভাবে নদী দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যাবে না এ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চকে

একসময় ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে জনপ্রিয় ও নিরাপদ নৌযান হিসেবে পরিচিত ছিল এমভি ঈগল-১। চাঁদপুর ছাড়াও নৌযানটি চলাচল করছে টেকনাফ-...
07/07/2025

একসময় ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে জনপ্রিয় ও নিরাপদ নৌযান হিসেবে পরিচিত ছিল এমভি ঈগল-১। চাঁদপুর ছাড়াও নৌযানটি চলাচল করছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে। সার্ভের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৮ সালে নৌযানটিকে পরিত্যাক্ত হিসেবে স্ক্র্যাপ করে ফেলা হয়েছে।

এম খান-৭ লঞ্চের ইঞ্জিনের বিস্তারিত তথ্য :-প্রোপালশন সিস্টেমের মেইন ইঞ্জিনঃ Caterpillarইঞ্জিন প্রস্তুতকারী দেশঃ জার্মানিই...
02/07/2025

এম খান-৭ লঞ্চের ইঞ্জিনের বিস্তারিত তথ্য :-

প্রোপালশন সিস্টেমের মেইন ইঞ্জিনঃ Caterpillar
ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী দেশঃ জার্মানি
ইঞ্জিন ক্ষমতাঃ ২৫০০ x ২৩০০ এইচপি (প্রায়)
ইঞ্জিন স্পিডঃ ১০০০ আরপিএম
সিলিন্ডার সংখ্যাঃ ৬ (ইন-লাইন)
ইঞ্জিন পজিশনঃ ইন-বোর্ড

গিয়ারবক্সঃ Caterpillar
গিয়ারবক্স রিডাকশন রেশিওঃ ৩ঃ১
প্রোপেলার সংখ্যাঃ ২
প্রোপেলার ধরণঃ ৪ ব্লেড ফিক্সড্ পিচ

বাংলাদেশের লঞ্চ ইতিহাসে কিংবদন্তি নৌযান এম ভি সাত্তার খান-১। লঞ্চে যাতায়াত করেন, অথচ সাত্তার খানের নাম শুনেনি এমন মানুষ ...
28/06/2025

বাংলাদেশের লঞ্চ ইতিহাসে কিংবদন্তি নৌযান এম ভি সাত্তার খান-১। লঞ্চে যাতায়াত করেন, অথচ সাত্তার খানের নাম শুনেনি এমন মানুষ বোধহয় খুব কম রয়েছে।

খুব সম্ভবত ১৯৯৩-৯৪ সালের দিকে ফারুক শিপিং লাইন্স নিয়ে আসে তৎকালীন সময়ের সর্ববৃহৎ লঞ্চ সাত্তার খান-১। অল্পদিনেই নৌযানটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে যায়।

সাত্তার খান-১’র ভিতরের ও বাইরের সাজসজ্জা ছিল আগের যে কোনো লঞ্চের তুলনায় ভিন্ন। সমুদ্রগামী জাহাজের আদলে নৌযানটির সম্মুখভাগ তৈরি করা হয়েছিল এবং পুরো বডি ছিল সাদা। মূলত বৃহদাকার সম্মুখভাগ নৌযানটিকে জনপ্রিয় করে তুলে।

বেশ কিছুদিন সুনামের সাথে সার্ভিস দেয়ার পর ২০১১ সালের মাঝামাঝি তে এসে সম্পূর্ণ নতুন রূপ পায় সাত্তার খান-১। মূলত তখনই পরিবর্তন করা হয় তার সেই জনপ্রিয় সম্মুখভাগ। পোস্টের ছবিতে লঞ্চটির সম্মুখভাগের প্রথম রূপ বোঝা যাচ্ছে।

১৯৯৩-৯৪ থেকে শুরু করে এখনো সার্ভিস (অনিয়মিত) দিয়ে যাচ্ছে কিংবদন্তি সাত্তার খান-১। দীর্ঘ ৩০-৩১ বছর সার্ভিস দিয়ে কিংবদন্তি এখন ক্লান্ত, বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে। হয়ত তাকে আর বেশিদিন দেখা যাবে না।

ছবিটি ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর পটুয়াখালী নদী বন্দর থেকে তোলা হয়েছিল।

জুম্মা মোবারক
27/06/2025

জুম্মা মোবারক

শুভ সকাল
26/06/2025

শুভ সকাল

এম ভি কালাম খান-১। ফারুক শিপিং লাইন্সের ঢাকা-বরিশাল রুটের তথা বাংলাদেশের লঞ্চ ইতিহাসের সর্বপ্রথম ৪ তলা লঞ্চ এটি। বর্তমান...
18/06/2025

এম ভি কালাম খান-১। ফারুক শিপিং লাইন্সের ঢাকা-বরিশাল রুটের তথা বাংলাদেশের লঞ্চ ইতিহাসের সর্বপ্রথম ৪ তলা লঞ্চ এটি। বর্তমানের লঞ্চগুলোতে চতুর্থ তলায় মাস্টার ব্রিজ ও কিছু কেবিন স্থাপন করে ৪ তলা বললেও কালাম খান-১ ছিল পুরোপুরি ৪ তলা বিশিষ্ট নৌযান। ওটার চতুর্থ তলায় মাস্টার ব্রিজ, কেবিন ছাড়াও ডেক যাত্রীদের জন্যও বসার বিস্তর জায়গা ছিল এবং তাদের জন্য অন্যান্য তলার মতই টয়লেটের ব্যবস্থা ছিল। এককথায়, কালাম খান-১ ছিল পরিপূর্ণ চারতলা নৌযান। প্রতি তলায় কতজন ডেকযাত্রী বসবে, তা ঐ তলার গায়ে লেখা থাকতো। যদিও আইনি জটিলতার কারণে ২০১৫ সালে চারতলার বর্ধিত অংশ কেটে ফেলতে হয়েছিল। কেটে ফেললেও বর্তমানের অন্যান্য লঞ্চগুলোর চারতলার চেয়েও (সুন্দরবন-১৬ ব্যতীত) বড় ছিল কালাম খানের চারতলা। খুব সম্ভবত ২০০০ সালের শেষের দিকে সার্ভিসে যুক্ত হয় কালাম খান-১। যেহেতু এটা ছিল প্রথম চারতলা নৌযান, স্বভাবতই কৌতূহলবশত অনেকেই লঞ্চটিকে একনজর দেখতে বা পুরো নৌযানটিকে ঘুরে দেখতে ঘাটে ভিড় করতো। ঘাটের কুলি, টিকেট ব্ল্যাকার ও হকাররা বলতো, ‘বরিশালের বড়োডা/ঢাকার বড়োডা’।

কালাম খান-১ অন্যান্য নৌযানের চাকচিক্যের ভিড়ে কিছুটা সেকেলেরই ছিল বটে। তবুও সাইজে বড় ও চারতলা হওয়ায় অনেকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল নৌযানটি। কালাম খান অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকতো না ঠিক; তবে সবার শেষ ভরসা ছিল এই কালাম খানই। কারণ, সুরভী-সুন্দরবন-পারাবতে যাত্রী পরিপূর্ণ হওয়ার পরে জায়গা বা কেবিন না পাওয়া যাত্রীরা কালাম খানে উঠতো। এজন্য সারা মাস জুড়েই ভ্রমণের জন্য নৌযানটিতে বিস্তর জায়গা পাওয়া যেত। ১ জন যাত্রী ৩ জনের জায়গা দখল করে বিছানার চাদর বিছাতো। সারারাত নিজ বাড়ির মত আরাম আয়েশে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ভ্রমণ করতো। এজন্য লঞ্চে অনেকেই কেবিন বা জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রে বলতে শুনেছি, ‘আরে কালাম খান আছে না’। আমিও পরিবার নিয়ে যখন ভ্রমণ করতাম, তখন অন্য লঞ্চে জায়গা না পেলে সোজা চলে যেতাম কালাম খানে। ৩ জন মানুষ কিন্তু জায়গা দখল করতাম ৫ জনের। বেশি জায়গা পাওয়ার লোভে একটা সময় নিজের অজান্তেই কালাম খান আমার প্রিয় হয়ে ওঠে। ঈদ, কোরবানি, চরমোনাই মাহফিলের মত ক্রাইসিস মুহূর্তে আমার মত অনেকের কাছে ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠে কালাম খান-১।

খুব সকালে সাইরেন বাজিয়ে বরিশাল ঘাটে যখন লঞ্চগুলো ভিড়ত, তখন দূর থেকে আলাদা আলাদা সাইরেন শুনেই বোঝা যেত কোন লঞ্চ ঘাটে এলো। তেমনি কালাম খানের সাইরেনটাও একটু বেশি আলাদা হওয়ায় খুব সহজেই বোঝা যেতো ‘খান সাহেবের গর্জন’।

একমাত্র এই কালাম খানই শীতের সময়ে ডেকযাত্রীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে প্রতি তলার ডেকে আরামদায়ক ফোমের ব্যবস্থা করেছিল। বলা যায়, অন্যান্য সব লঞ্চের চেয়ে এই লঞ্চ মালিকই ডেকযাত্রীদের সুবিধা দিয়েছিলেন বেশি। এছাড়াও এই লঞ্চের ইনসাইড ও রিভার সাইডের প্রতিটি কেবিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছিল। যা এখনো কোন লঞ্চ করেনি।

দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় নিরবচ্ছিন্ন সার্ভিস দিয়েছে কালাম খান-১। এরপরে বিভিন্ন কোম্পানির অন্যান্য আধুনিক লঞ্চের চোখ ধাঁধানো ডেকোরেশন ও উন্নত যাত্রীসেবার বিপরীতে আস্তে আস্তে পিছিয়ে পড়তে থাকে ‘বরিশালের বড়োডা’ তথা কালাম খান-১, বার্ধক্যের ছাপ পড়ে তার গায়ে। ক্রমেই হারাতে থাকে তার জৌলুস। ধীরে ধীরে রুটে আসতে থাকে দানবাকৃতির নয়নাভিরাম চারতলা বিশিষ্ট নতুন নতুন লঞ্চ। কে কার চেয়ে বেশি সৌন্দর্য করতে পারে, সাইজে বড় করতে পারে, আধুনিক যাত্রীসেবা দিতে পারে- এমন মৌন প্রতিযোগিতা শুরু হয় লঞ্চমালিকদের মধ্যে। তারই ধারাবাহিকতায় রুটে আবির্ভাব হয়; মানামী, সুরভী-৯, কুয়াকাটা-২, এ‍্যাডভেঞ্চার-৯, কীর্তনখোলা-১০, সুন্দরবন-১০, পারাবত-১২ এর মতো বিলাসবহুল নৌযানের।

এই প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে পুরোপুরি ছিটকে যায় কালাম খান-১। সর্বশেষ ২০১৯ সালের কোরবানির ঈদে সার্ভিস দিতে দেখা গিয়েছিল লঞ্চটিকে। এরই মধ্যে কালাম খানের মালিক মারা যাওয়ায় আর কেউ নজর দেয়নি লঞ্চটির প্রতি। সম্পূর্ণ অবহেলিতভাবে দীর্ঘদিন পড়ে ছিল ফরাশগঞ্জ ঘাটে। বুড়িগঙ্গার কালো, পচা পানিতে থেকে থেকে আস্তে আস্তে জং ধরে দুর্বল হতে থাকে বুড়িগঙ্গা-কীর্তনখোলা দাপিয়ে বেড়ানো একসময়ের কিংবদন্তি কালাম খান-১। এরপরে একদিন শুনলাম, নৌযানটির ইঞ্জিন খুলে বিক্রি করে দিয়েছে। এরপরে মালিকপক্ষ ওটা আর না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ২ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেয়। পরের ঘটনা সবারই জানা। কেটে ফেলা হয়েছে হাজারো মানুষের ভালোবাসার কিংবদন্তিকে।

লঞ্চপ্রেমী ও কালাম খানের ভালোবাসায় আবদ্ধ যাত্রীরা আর শুনবে না ‘খান সাহেবের গর্জন’ খ্যাত সাইরেন। কেউ আর বলবেনা, ঢাকা-বরিশালের বড়োডা। আর কখনও দাপিয়ে বেড়াবেনা বুড়িগঙ্গা-কীর্তনখোলায়। কেউ কোনোদিন বলবেনা ‘আরে, চিন্তা কীসের; আমাগো কালাম খান আছে না’। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কালাম খানের জন্য। এভাবে কিংবদন্তির বিদায় মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে হাজারো কালাম খান প্রেমীদের। কালাম খান’রা কখনও মরে না। লঞ্চ ইতিহাসের প্রথম চারতলা কালাম খান; তাই তার মৃত্যু নেই। ইতিহাস সৃষ্টিকারীরা কখনও মরে না। কালাম খান-১ বেঁচে থাকবে লাখো লঞ্চপ্রেমীদের হৃদয়ের গহিনে।

ছবিটি ২০০৯ সালের ১৯ জুলাই ঢাকা সদরঘাট থেকে তোলা হয়েছিল।

ঈদযাত্রী নিয়ে প্রিন্স কামাল-১ লঞ্চের ছুটে চলা
18/06/2025

ঈদযাত্রী নিয়ে প্রিন্স কামাল-১ লঞ্চের ছুটে চলা

দেশের লঞ্চ সেক্টরে প্রবীনদের একজন এম ভি নিউ মেঘনা রানী (বর্তমান এম ভি নাঈম মীম-৪)।খুব সম্ভবত ১৯৮৯-৯০ সালের দিকে ঢাকা-চাঁ...
17/06/2025

দেশের লঞ্চ সেক্টরে প্রবীনদের একজন এম ভি নিউ মেঘনা রানী (বর্তমান এম ভি নাঈম মীম-৪)।

খুব সম্ভবত ১৯৮৯-৯০ সালের দিকে ঢাকা-চাঁদপুর- ঈদগাঁ ফেরিঘাট রুটে সার্ভিসে আসে নিউ মেঘনা রানী।

দুর্দান্ত গতিতে ছুটে যাচ্ছে চাঁদপুরের লঞ্চ এম ভি রহমত
16/06/2025

দুর্দান্ত গতিতে ছুটে যাচ্ছে চাঁদপুরের লঞ্চ এম ভি রহমত

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Launch Express posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Launch Express:

Share

Category