01/11/2025
#আগামীকাল ২ রা নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি রোববার দূপুর ১ ঘটিকায় বামিংহাম শহরের বাংলাদেশ মাল্টিপারপাস সেন্টারে অর্গানাইজেশন ফর দ্যা রিকগনিশন অফ বাংলা এজ এন অফিশিয়াল ল্যাগুয়েজ অফ দ্যা ইউনাইটেড নেশনস" এর কনফারেন্সে সবাই আমন্ত্রিত,,
"মায়ের গর্ভ থেকে এসেই আমরা প্রথম যে ভাষার সাথে পরিচিত হয়েছিলাম তাহা হলো আমার প্রানের বাংলা।
মানুষের কাছে যেসব বিষয় তার প্রাণের মতোই প্রিয়, মাতৃভাষা তার অন্যতম। মাতৃভাষার মাধ্যমে মানুষ নিজেকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরে, তুলে ধরে তার জাতিসত্তার পরিচয়। মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে কোনো জাতিই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না, পারে না নিজের পরিচয়কে পৃথিবীতে উজ্জ্বল করে প্রকাশ করতে।
মাতৃভাষা বিশেষ কোনো ব্যক্তি-মানুষের যেমন অন্যতম পরিচয়-উৎস, তেমনি তা একটি জাতিসত্তার অস্তিত্বেরও শ্রেষ্ঠ স্মারক। যে জাতির মাতৃভাষা যত উন্নত, সে জাতি সব দিক থেকেই তত উন্নত-এমন ধারণা সর্বজনস্বীকৃত। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা পৃথিবীতে অনন্য ভাষার চেয়ে গর্বের এই জন্য যে, তা একটি রাষ্ট্রের জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশ ছাড়া এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আর নেই। আমাদের দেশই পৃথিবীর একমাত্র ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র। বাঙালির ইতিহাসে মাথা উঁচু করে বলার মত যত ইতিহাস রচিত হয়েছে, তার মধ্যে বাংলা ভাষার ইতিহাস অন্যতম। বাংলাদেশ বিশ্বের প্রধানতম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র।
এ দেশের ৯৮.৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। ভাষাবিকাশের ইতিহাসে ১৩৭২ বছরের ঐতিহ্যসমৃদ্ধ পুরোনো এ ভাষা। পাল এবং সেন সাম্রাজ্যের প্রধান ভাষা ছিল বাংলা। সুলতানি আমলেও এ অঞ্চলের অন্যতম রাজভাষা ছিল বাংলা। মুসলিম সুলতানদের পৃষ্ঠপোষকতায় গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য রচিত হয়েছিল বাংলায়। আরাংকান রাজসভার আনুকুল্যে বাংলা সাহিত্যের প্রভূত সমৃদ্ধি সাধিত হয়েছে। ব্রিটিশ উপনিবেশবিরোধী বাংলার নবজাগরণ উত্থান এবং বাংলার কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক বিকাশকে এক সূত্রে গ্রথিত করেছিল বাংলাভাষা ও সাহিত্য।
ইতিহাসে হার না মানা বাঙালি জাতির পরিচয় যে বাংলা ভাষা, সেটি বিশ্বজয় করতে সময় লেগেছে মাত্র ৫২ বছর। এই ৫২ বছরের ৫২ সালের ইতিহাসের যেমন অবয় ঘটবে না বাঙালি হৃদয় থেকে, তেমনি বিশ্ব মানচিত্রে একমাত্র ভাষার জন্য রক্তদাতা জাতি হিসাবে সমুন্নত থাকবে বাঙালির শির।
মানুষের ভাষা ব্যবহারের সংখ্যাতাত্ত্বিক হিসেবে বাংলা ভাষার অবস্থান সপ্তম। জাতিসংঘের ৬টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে- আরবি, চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, রাশিয়ান ও স্প্যানিশ। পৃথিবীতে চার সহস্রাধিক ভাষার মধ্যে সপ্তম স্থানে থাকা বাংলা ভাষা প্রকৃত অর্থেই দাবি করতে পারে গৌরবের আসন।
বিশ্বের প্রায় ২৫ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এ সংখ্যাতত্ত্বও আমাদের মাতৃভাষায় গৌরবের অন্যতম ভিত্তি-উৎস।
প্রাণের বাংলাকে সারা বিশ্বে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাযা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবীতে বিশ্বময় অর্গানাইজেশন ফর দ্য রিকগনিশন অব বাংলা এ্যাজ এন অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস্-এর ব্যানারে আমরা যে ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছি তাহা অব্যাহত রাখার দীপ্ত শপথ নেওয়ার আহবান সহ আসুন একই সাথে প্রবাসে বাংলা চর্চায় নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে এবং বহির্বিশ্বের বিভিন্ন স্কুলে বাংলা পাঠ্যবই হিসেবে নিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি এবং মাল্টিমিডিয়া.মাল্টিকালচারেল ও মাল্টিন্যাশনালের বৃটেনে সহ বিশ্বময় আমাদের নবপ্রজন্মের সন্তানদের সামনে আমাদের ভাষা. কৃষ্টি. সংস্কৃতি. ঐতিহ্য.সাফল্য সম্ভাবনা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার মানসে ও প্রবাসের নব- প্রজন্মকে বাংলাদেশের সাথে নাড়ীর বন্ধনে আবদ্ধ করতে ও বাংলা ভাষা সম্মন্ধে সম্ম্যক ধারণা এবং বাংলা শেখানোর লক্ষ্যে বাংলা স্কুলগুলোতে ছেলে মেয়েদেরকে পাঠানো সহ আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে বাংলাদেশের প্রতিটি অফিস আদালত
ও আমাদের জীবনের সর্বস্তরে প্রচলন করা সহ প্রাণের বাংলাকে সারা বিশ্বে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাযা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবীর ধারাবাহিক ক্যাম্পেইনকে বিশ্বময় আর ও জোরদার করা লক্ষ্যে এই হোক আগামী ২ রা নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি রোববার দূপুর ১ ঘটিকায় আয়োজিত বামিংহাম শহরের বাংলাদেশ মাল্টিপারপাস সেন্টারে অর্গানাইজেশন ফর দ্যা রিকগনিশন অফ বাংলা এজ এন অফিশিয়াল ল্যাগুয়েজ অফ দ্যা ইউনাইটেড নেশনস" এর কনফারেন্সে আমদের দীপ্ত শপথ,
"বাংলা ভাষা হোক শান্তির, প্রগতির ,একতার, সততার ও মানবিকতার;অমর একুশের সকল শহীদানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি !! প্রাণের বাংলাদেশ চিরজীবী হোক ; মানবতার জয় হোক;
বামিংহাম শহরের বাংলাদেশ মাল্টিপারপাস সেন্টারে অর্গানাইজেশন ফর দ্যা রিকগনিশন অফ বাংলা এজ এন অফিশিয়াল ল্যাগুয়েজ অফ দ্যা ইউনাইটেড নেশনস" এর সম্মেলন ও মধ্যাহ্ন ভোজনে দেখা হবে সবার সাথে,সবাই আসুন, সহযোগিতার হাত প্রসারিত করুন,
নিবেদনে;
মোহাম্মদ মকিস মনসুর,
প্রেসিডেন্ট,
অর্গানাইজেশন ফর দ্যা রিকগনিশন অফ বাংলা এজ এন অফিশিয়াল ল্যাগুয়েজ অফ দ্যা ইউনাইটেড নেশনস" ইউকে,সাউথওয়েলস রিজিওন,