
25/05/2025
সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা কিছু প্রাচীন নিদর্শন আমাদের সামনে তুলে ধরে এক অবিশ্বাস্য প্রশ্ন- কীভাবে একাধিক সভ্যতা, যারা কখনও একে অপরের অস্তিত্ব জানতই না, একই রকম ধাতব ক্ল্যাম্প ব্যবহার করে বিশাল পাথরের ব্লক একসাথে জোড়া লাগিয়েছে? এই রহস্যময় ধাতব ক্ল্যাম্প পাওয়া গেছে মিশর, পেরু, গ্রিস, কম্বোডিয়া, এমনকি বলিভিয়ার তিয়াহুয়ানাকো ও পেরুর ওয়ান্টাইতাম্বোতেও। সবগুলোতেই দেখা যায় একরকমের বিশেষ খাঁজ কাটা পাথর- T-গ্রুভ আকৃতির। দুই পাথরের মাঝে এই খাঁজে ঢালা হতো গলিত ধাতু, যা ঠাণ্ডা হয়ে শক্ত হতো এবং দুটি ব্লককে জোড়া লাগিয়ে রাখত।
ধারণা করা হয়, এই ক্ল্যাম্পগুলোর সেই সময়কার ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে স্থাপনাগুলোকে সুরক্ষা দিত। তবে অনেকে মনে করেন, এর মধ্যে ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক কোনো অর্থ লুকিয়ে থাকতে পারে, যেমন- দুই শক্তিকে একত্রিত করা, বা স্থায়িত্বের প্রতীক। এই ধাতব ক্ল্যাম্পগুলো এমন পাথর জোড়া দিয়েছে, যেগুলোর ফাঁকে ছুরি ঢোকানোও অসম্ভব। কিছু ব্লক এত ভারী যে আধুনিক ক্রেন দিয়েও তোলা কঠিন। আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো- এসব পদ্ধতি হাজার হাজার মাইল দূরের সভ্যতাগুলোতে একই রকমভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, অথচ তারা কখনও একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
স্প্যানিশ উপনিবেশবাদীরা যখন দক্ষিণ আমেরিকা দখল করে, তখন তারা ভাবত এই ক্ল্যাম্পগুলো সোনা বা রূপার তৈরি, তাই অনেকগুলো খুলে নিয়ে গলিয়ে ফেলে দেয়। এর ফলে আমরা হারিয়েছি বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, যা হয়তো আমাদের সাহায্য করতে পারত রহস্যভেদে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাছে এখনো এই ধাঁধার উত্তর নেই। তবে প্রাচীনকালে মিশরীয়রা কীভাবে পিরামিড বানিয়েছিল, সেই ব্যাপারে তারা গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা খুঁজে পেয়েছেন। সেসব জানতে দেখে নিন আমাদের একটি ভিডিও। লিঙ্ক কমেন্টে।