Hasibul Rahman Babul

Hasibul Rahman Babul এক বুক হাহাকার,চোঁখ নামক সমুদ্র শুকিয়ে যাওয়ার পথে,আমি অপরিচিত, অচল মস্তিষ্ক, পরিচিত চরিত্র

ভয়াবহ একুশে জুলাই ২০২৫সময়--১:১২ মিনিটআমার ছেলে মাসনুন রহমান সিনানউত্তরা মাইলস্টোন কলেজের দিয়াবাড়ি শাখার চতুর্থ শ্রেণী...
22/07/2025

ভয়াবহ একুশে জুলাই ২০২৫
সময়--১:১২ মিনিট

আমার ছেলে মাসনুন রহমান সিনান
উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের দিয়াবাড়ি শাখার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।
প্রতিদিনের নিয়ম অনুযায়ী ছুটি হয় দুপুর ১ টায়।।
আজকে আমার পরীক্ষার ডিউটি ছিল চার নং ভবনের 804 নম্বর রুমে। বেলা একটায় পরীক্ষা ডিউটি শেষ করে ছেলের ভবনের সামনে যাব হঠাৎ মনে হল রেস্ট নেই ও নিজেই চলে আসবে আমার টিচার্স রুমেপ্রতিদিনের মতো।
আমি টিচার্স রুমে রেস্ট নিচ্ছি তখন দুপুর ১ টা ১১ মিনিটে আমার ছেলের ফর্ম মাস্টার বাবুল স্যার আমাকে ফোন দিয়ে বললেন -ম্যাডাম আজকের সিনানের ছুটি হবে ১ টা 40 মিনিটে ।আমি বললাম ক্লাস শেষ হলে৭ নং ভবনের দোতালায় পাঠিয়ে দিবেন টিচার্স রুমে। আমি ওকে স্যার বলেই ফোনটা কেটে দিলাম। সাথে সাথে বোম ব্রাস্ট হওয়ার মত একটা সাউন্ড হইল --আমি মাঠের পাশে টিচার্স রুম থেকে দেখতে পেলাম আমার ছেলের ভবনের সামনে আগুন।
আমার টিচার্স রুমে আমার সামনে আমার একজন সিনিয়র সহকর্মী জনাব এজাজ মাসুদ স্যার বসা ছিলেন। আমি এক চিৎকারে বললাম স্যার আমার ছেলের ভবনে তো আগুন লাগছে।
উনার ছেলে ওই ভবনেই পড়ে কোন কারণে সে আজকে আসে নাই।
আমি চিৎকার করে দৌড়াচ্ছি স্যার আমাকে বলছেন দোয়া করেন আল্লাহকে ডাকেন। ৪০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই।
দৌড়াতে দৌড়াতে আমার হাজব্যান্ড কে ফোন দিয়ে বলেছি আমার ছেলের ভবনে আগুন লাগছে।
যেখানে আগুন লাগছে সেখানে গিয়ে দেখি তিনটা গলিত লাশ। শুধু আইডি কার্ড টা পড়ে আছে।
একটা বাচ্চার গায়ে কাপড় নাই পুরো শরীর ঝলসে গেছে।
সামনে গিয়ে দেখি যে ভবনে আমার ছেলে ক্লাস করে যেই রুমে আমার ছেলে ক্লাস করে সেই রুমের চারদিকে ধোঁয়া।
ছেলের ক্লাসরুমে আগুন আমি বাইরে থেকে কি বুঝবো তাই ক্লাসে ঢুকতে চাইলাম। সেনাবাহিনীর দুইজন আর আমার কলেজের বিএনসিসি ছাত্ররা আমাকে ঢুকতে দিলো না ---
আমি বারবার ঢুকতে চাইলাম জোর করে ঢুকতে চাইলাম আমাকে বাধা দিল দুজন আমাকে জোর করে এক পাশে নিয়ে গেল। আমি ডানপাশে ঘুরেই দেখি আমার ছেলের ফোন মাস্টার বাবুল স্যার।
জিজ্ঞেস করলাম স্যার আপনি এখানে আমার ছেলে কই???
শুধু হাতটা ধরে বলল ওরা উপরে দুই তালায়।
বিশ্বাস করলাম না তারপর আমার একজন ছাত্র এসে বলল ম্যাডাম কিছু হয় নাই এই পাশে আসেন। ক্যান্টিনের পাশে উপরে ৭ থেকে আটজন মেয়ে বাচ্চাকে দেখা যাচ্ছিল। আমি আল্লাহর কাছে কি দোয়া পড়ছিলাম আমার কিছুই মনে নাই।
আমার বিভাগের আমার একজন সহকর্মী মুকুল স্যার এর ভাগ্নিও ঐ ভবনে আটকা পড়ছেন। সে পাশ থেকে ওপার দৌড়াচ্ছেন আর চিৎকার করতেছেন।
আমাকে দুইজন সেনাবাহিনী বসায় দিয়ে ধরে রাখলেন একপাশ থেকে। যেন আমি সামনে না যাই।
তারপর দোতলার সামনে গাছ ছিল আম গাছ কেটে ফেলা হলো।
গ্রিলের তালা ভাঙ্গা হলো একপাশ ভেঙে ফেলা হলো।
আমি শুধু দেখতে পাচ্ছি কিছু ছাত্রী গ্রিলের নিচ দিয়ে দিয়ে বের হয়ে আসছে।
৮ থেকে ১০ জন ছাত্রী এবং একজন ম্যাডাম বের হওয়ার পর হঠাৎ আমার ছেলের চেহারা ভেসে উঠলো।
ওই মুহূর্তটা একজন মায়ের জন্য কি মুহূর্ত সেটা বলে বোঝানো যাবে না লিখেও শেষ করা যাবে না।
মুকুল স্যার যদি পারতো তাকে দোতলা থেকেই টেনে বের করত।আমার ছেলেকে দেখার সাথে সাথে সে দৌড়ে গিয়ে জড়ায় ধরছে বাবা রে তুই তাড়াতাড়ি আয়।
আমার মানিককে আমার সন্তানকে আমি জড়াইয়া ধরলাম।

যারা আমার ছেলের ক্লাসে আটকে ছিল তারা কেউ বেঁচে ফিরে নাই। সবাই পুরে কয়লা হয়ে গেছে।

একজন মা বলতেছিল বাবারে তুই আজকে আমার হাতের শেষ খাওয়াটা খাইয়া গেলি বাবা --আমি তো তোরে শেষ দেখা দেখতে পারলাম না।

মূলত বিমান ক্রাশ হয়ে ক্লাসরুমের ভিতরে ঢুকে গেছে।
বিমান ক্রাশ হওয়ার সাথে সাথেই ১৫ মিনিটের মধ্যেই যা ধ্বংস হওয়ার যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।
যাতে শরীর পুড়ে গেছে তাদেরকে বাঁচানো খুবই অসম্ভব খুব খারাপভাবে শরীর পুড়ে গেছে।
এত কাছ থেকে কখনো দেখিনি। এত ভয়ঙ্কর!!

আমি রাত আটটা দশ মিনিটে সেই দুর্ঘটনাস্থলে আবার যাই।আমার ফরমের দুইটা মেয়ে অসুস্থ তাদেরকে দেখার জন্য।
সেই ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম।
রাত ৮ টা ১৫ মিনিটের সময় বিজিবির একজন সদস্য নাম মাসুদ , তিনি ফোনে কাউকে বলছিলেন আরও একটি লাশ পাওয়া গেছে কিন্তু কয়েকটি পুড়ে যাওয়া খন্ড বিখন্ড অংশ।
হে রাব্বুল আলামিন, রাহমানুর রাহিম তুমি উত্তম পরিকল্পনাকারী --শিশুদের এমন মৃত্যু তুমি দিয়েছো বাবা মা তাদের গলে যাওয়া লাশের শেষ চিহ্নটুকু দেখতে পাবেনা।

তাসলিমা আকতার
প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ
মাইলস্টোন কলেজ
২১/০৭/২০২৫, সোমবার
©

19/07/2025
হ'স্ত'মৈ'থু'নে'র শেষ পরিণতিএকটি গ্রামের যুবক ছিল, নাম তার কাসিম। দেখতেসুদর্শন, মায়ের আদরের একমাত্র ছেলে। পাঁচ ওয়াক্তনা...
10/07/2025

হ'স্ত'মৈ'থু'নে'র শেষ পরিণতি
একটি গ্রামের যুবক ছিল, নাম তার কাসিম। দেখতে
সুদর্শন, মায়ের আদরের একমাত্র ছেলে। পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজ পড়ত না, তবে মাঝে মাঝে জুমার দিনে
মসজিদে যেত। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, হাসি-ঠাট্টা আর
মোবাইল-ইন্টারনেটে অ'শ্লী'ল ভিডিও দেখা ছিলো তার
নে'শা।
শয়'তান আস্তে আস্তে তার মনকে দুর্বল করে দেয়।
হস্ত'মৈ'থু'নে'র আসক্তি এমনভাবে গ্রাস করে নেয় যে, দিনে
২-৩ বারও করতে ছাড়ত না। নিজের জানের ক্ষ'তি করছে

• এটা বুঝত, কিন্তু নফসের দাসত্ব আর শ'য়'তা'নে'র
ধোঁকায় আটকে গিয়েছিল।
এক রাতে, যখন সবার ঘুম, কাসিম নিজের ঘরে দরজা বন্ধ
করে মোবাইলে অ'শ্লী'ল ছবি দেখে নিজের নাপাক কাজ
করছিল। হঠাৎ সে বুকে ব্যথা অনুভব করে। দম বন্ধ হয়ে
আসে। তখন সে হাত মুখ ধুয়ে নামাজের নিয়ত করে, কিন্তু
ততক্ষণে মৃত্যু তার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে গেছে।
কেউ জানলো না, সে রাতে তার জান কবজ হয়ে গেছে।
সকালে তার লা'শ পাওয়া গেলো বিছানার উপর, মুখ বিকৃত
হয়ে গেছে, চোখ উপরের দিকে উঠে আছে, আর তার ডান
হাতটি নিজের শরীরে এমনভাবে পড়েছিল যা দেখে সবাই
আঁ'ত'কে উঠে।

-
হুজুর ডেকে এনে গোসল করানোর সময় দেখা গেল -
তার শরীর থেকে অদ্ভুত গন্ধ বের হচ্ছে। কাফন পরানোর
সময় তার মুখ শক্ত করে আটকে ছিল, চোখ বন্ধ করা
যাচ্ছিল না। একজন হুজুর বললেন
-
> "যে ব্যক্তি দিনের পর দিন হা'রা'ম কাজে লিপ্ত হয়, আল্লাহ
তায়ালা তার মৃত্যুকে অপমানজনক করেন। তার কবরে
এমন ভ'য়া'ব'হ আযাব হবে, যা চোখে দেখা সম্ভব নয়।"
কবরে নামানোর পর দেখা গেল মাটি এমনভাবে ডেবে
গেল, যেন সে ভিতর থেকে নিচের দিকে টেনে নিচ্ছে।
অনেকেই বুঝে গেল – সে আল্লাহর গ'জ'বে'র শিকার
হয়েছে।
-
রাসূল বলেছেন: "যে ব্যক্তি নিজের হ'স্ত'মৈ'থু'ন করে,
কি'য়া'ম'তে'র দিন তার হাত গর্হিত অবস্থায় সাক্ষী দেবে এবং
সেই হাতকে আ'গু'নে'র শা'স্তি দে'য়া হবে।
শিক্ষা:
এই দুনিয়া ক্ষ'ণ'স্থা'য়ী। নফসের খেয়াল ও শ'য়'তা'নে'র ধোঁকায়
পড়ে এমন হা'রা'ম কাজ করলে মৃ'ত্যু'র পর ভ'য়া'ন'ক আ'যা'ব
অপেক্ষা করছে। এখনই তওবা করে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
শুরু করো। হা'রা'ম কাজ থেকে ফিরে আসো।
কবরের ভেতর হাত-পা বাঁ'ধা অবস্থায় আ'গু'নে'র খাঁচায়
পুড়'তে হবে না, যদি এখনই আল্লাহর দিকে ফিরে আসো।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hasibul Rahman Babul posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share