রূহানী সংকট মোছন

রূহানী সংকট মোছন "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ �

সূরাঃ নিসা  [4:80]مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ ٱللَّهَ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرْسَلْنَٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا...
26/04/2025

সূরাঃ নিসা [4:80]

مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ ٱللَّهَ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرْسَلْنَٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا

মাইঁ ইউতি‘ইর রাছূলা ফাকাদ আতা‘আল্লা-হা ওয়ামান তাওয়াল্লা-ফামাআরছালনা-কা ‘আলাইহিম হাফীজা-।

যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।

....✍️জগত বিখ্যাত আধ্যাত্মিক মারকায আস্তানা-ই-আলীয়া জাহাঁগীরিয়া☝️পবিত্র ভূমিতে সিলসিলার বর্তমান সাজ্জাদানশীন (৪র্থ শাহ জ...
27/03/2025

....✍️
জগত বিখ্যাত আধ্যাত্মিক মারকায আস্তানা-ই-আলীয়া জাহাঁগীরিয়া☝️

পবিত্র ভূমিতে সিলসিলার বর্তমান সাজ্জাদানশীন (৪র্থ শাহ জাহাঁগীর) জগত পীর নামে পরিচিত, মা’রেফতের গৌরব নামে সুপরিচিত, মহাপুরুষগনের মধ্যকার এক উদীয়মান সূর্য্য, যুগশ্রেষ্ঠ তত্ত্বজ্ঞানী, জ্ঞানরাজ্যের অসাধারণ পন্ডিত, প্রেমরাজ্যের মহান বাদশাহ, ফাতেমী বংশের উজ্জ্বল তারকা হযরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন মৌলানা শাহ সৈয়দ মোহাম্মদ আরেফুল হাই সাহেব কেবলার পবিত্র ঔরসে তিনি দুনিয়ায় শুভ আগমন করেন। এই অসাধারণ পুণ্যাত্মা পরম পূজনীয় মহর্ষি হলেন, সায়্যিদী ওয়া সানাদী ডঃ মৌলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান (কঃ)।

মির্জাখীল দরবার শরীফের পীরানে এযামগণের সম্পর্কে বেশি কিছু বলার নেই। সারা জগত তাঁদের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়। তাঁদের গুণকীর্তনকে নিজেদের সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করেন। তাঁদের গোলামীকে নিজেদের জন্য পূণ্যের কাজ বলে অন্তরে ধারন করেন। নিজ নিজ সময়ের শ্রেষ্ট আধ্যাত্মিক সম্রাট হিসেবে শাহ জাহাঁগীরগণ জাহাঁগীরি শাহী মসনদে আসীন ছিলেন এবং এখনও আছেন।

হযরত ইমামুল আরেফীন (কঃ) সাহেবের পূর্ব পুরুষগণ ফাতেমী বংশোদ্ভূত, সুদূর আরব হতে আগত। ইসলাম প্রচারের মানসে দিল্লীর রাজন্যবর্গ বাংলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে তাঁদের সাথে ফাতেমী বংশোদ্ভুত দুইজন মহাত্মা ‘সৈয়দ’ বাংলায় আগমন করেন। তাঁরা প্রথমে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার দেয়াং গ্রামে অবস্থান গ্রহন করে ইসলাম প্রচারের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। পরবর্তীতে তাঁদের বংশধরগণ সাতকানিয়া থানার মির্জাখীল গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস আরম্ভ করেন।

রাসূল মাক্ববুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই পবিত্র বংশধারাতেই আগমন হয় ভূবন বিখ্যাত আলেম, ফকীহ, বরেন্য মুজতাহিদ, আধ্যাত্মিক জগতের শাহবাজ মৌলানা মোখলেছুর রহমান ছাহেব (কঃ)। রূহানী জগতে যিনি “শেখুল আরেফীন” (আরিফগণের সর্দার) উপাধিতে ভূষিত এবং রাসূল মাক্ববুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক ‘সিলসিলায়ে আলীয়া জাহাঁগীরিয়া’ নামক আযীমুশশান সিলসিলা দ্বারা মহিমান্বিত।

ওফাত শরীফের পূর্বে হযরত শেখুল আরেফীন (কঃ) তাঁর ছোট ছাহেবজাদা হযরত মৌলানা মুহাম্মদ আবদুল হাই (কঃ) কে তাঁর পরবর্তী জাহাঁগীরি মসনদের উত্তরাধিকারী নির্বাচন করে যান। ‘শাহ জাহাঁগীর’ তাঁর মহান পিতা এবং পীর মুর্শিদ হতে প্রাপ্ত খেতাব। আর ‘ফখরুল আরেফীন’ তাঁর লক্বব।

পবিত্র হজ্ব সমাপনের পর ১৮৯২ খ্রীষ্টাব্দে ৪৫ বছর বয়সে জাহাঁগীরিয়া সিলসিলায়ে আলীয়ার পবিত্র মসনদে সমাসীন হয়ে শাহ জাহাঁগীর সানী (দ্বিতীয়) উপাধী গ্রহন করে আনুষ্ঠানিকভাবে দরবারের সাজ্জাদানশীন হিসেবে হযরত ফখরুল আরেফীন (কঃ) সাহেব প্রকাশিত হন।

ওফাত শরীফের পূর্বেই তিনি বিভিন্ন সময়ে তাঁর পরবর্তী সাজ্জাদানশীন সম্বন্ধে যেভাবে বর্ণনা ও ইংগিত করে যান; তারই ধারাবাহিকতায় তাঁর পরবর্তী সাজ্জাদানশীন হন জগতপীর, যুগের গউস, বেলায়ত সম্রাট, রূহানী জগতের মধ্যমণি হযরত শাহ জাহাঁগীর শমছুল আরেফীন মৌলানা মুহাম্মদ মখছুছুর রহমান ছাহেব (কঃ)।

হযরত শাহ জাহাঁগীর শমছুল আরেফীন (কঃ) দুনিয়াবী জীবনেই সিলসিলার পরবর্তী সম্রাট নির্বাচন করে গিয়েছিলেন। তিনি যুগশ্রেষ্ঠ তত্ত্বজ্ঞানী হিসেবে বর্তমানে জাহাঁগীরি শাহী মসনদে অধিষ্ঠিত শাহ জাহাঁগীর রাবে’ (চতুর্থ) হযরত মৌলানা মুহাম্মদ আরেফুল হাই ছাহেব (কঃ) ।

তাঁরই জানশীন, সুযোগ্য শাহজাদা, জাহাঁগীরি দরবারের যুবরাজ, আধ্যাত্মিক জগতের মহারাজ, আস্তানা আলীয়া জাহাঁগীরিয়ার সাহেবে সাজ্জাদাহ শাহ জাহাঁগীর ইমামুল আরেফীন হযরত মৌলানা ডক্টর মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান ছাহেব (কঃ)।

তিনি যেন পুর্ববর্তী মহাত্মাগনেরই বাস্তব প্রতিচ্ছবি। শিক্ষা-দীক্ষা-আধ্যাত্মিক সাধনায় যাঁকে ভারতবর্ষেও গাউসে যমান হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে।

হযরত শাহ জাহাঁগীর ইমামুল আরেফীন ডঃ মৌলানা মকছুদুর রহমান শিক্ষা জীবনেই ওস্তাদগনের নিকট যুগের কুতুব হিসেবে স্বীকৃত। যাঁর প্রতি পদক্ষেপেই পূর্ববর্তী মহাত্মাগনের স্মরণ হয়। প্রতিটি কদমেই প্রমাণিত হয় তিনি একজন সৈয়দজাদা। রাসূল মাক্ববুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হায়াতে যিন্দেগীর পূর্ণাংগ অনুসরনই তাঁর ব্রত।

শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর সাফল্য ঈর্শনীয়। বহুবার স্বর্ণপদক জয়ী, সর্বক্ষেত্রে প্রথম স্থানের বিরল সাফল্যের অধিকারী এই মহান জ্ঞান তাপস তাফসীর, হাদীস, ফিক্বাহ, তাসাউফের উপর বহু কিতাব রচনা করেছেন।

সদা সর্বদা জ্ঞান আহরনে নিজেকে নিয়োজিত রেখে তিনি নিজ ওস্তাদগণের চোখের শীতলতায় পরিনত হয়েছেন। আদব ও আমলে দিন দিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া হযরত ইমামুল আরেফীন ছাহেব (কঃ) আধ্যাত্মিক মারকাযগুলোর মধ্যমণিতে পরিণত হয়েছেন৷ মা'রেফতের গর্ব হিসেবে তাঁকে নিয়ে প্রতিনিয়ত চর্চার মাধ্যম হয়েছেন। রাব্বুল আলামীনের এই মহান দানের কীর্তির গীত গাওয়া এই অধমের পক্ষে কতটুকুই বা সম্ভব!

পরম পূজনীয় পিতার ন্যায় তিনিও দুনিয়াবী শিক্ষা, আধ্যাত্মিক জ্ঞান সাধনার পাশাপাশি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন জনহিতৈষী কর্মকান্ডে। পিতার প্রদত্ত সকল দায়িত্ব নিপুন কর্মে সম্পাদন করে চলেছেন। পবিত্র আস্তানাপাকের দেখভাল, ভক্ত-মুরিদানদের হাল-হাকীকত সামলানো, পীরানপীরগণের ফাতেহা-ওরশ শরীফের এন্তেজাম করা, প্রতিদিনের ফাতেহা শরীফ পরিচালনা করা, মাজার শরীফ হতে আরম্ভ করে একটি ছোট্ট ফুলের পরিচর্যায় নিজেকে ব্যস্ত রেখে তিনি উপরস্তগণের সঁপে দেওয়া দায়িত্বকে নিপুনভাবে সম্পাদন করে চলেছেন। সেই সাথে শিক্ষাক্ষেত্রে বহু স্বর্ণপদকসহ সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী এই মহান ব্যক্তিত্ব সুফি তত্ত্বের চর্চা, শরীয়ত-তরীকতের সুষ্ঠু পরিপালন, সামাজিক দায়িত্বে নিষ্ঠাবান চরিত্র হিসেবে সারা জাহান মাতোয়ারা করে রেখেছেন। যুগশ্রেষ্ঠ ফকীহ হিসেবে শ্রেষ্ঠ মনীষীগন কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছেন। সিলসিলার পীরানপীরগণ তাঁকে আধ্যাত্মিক সাম্রাজ্যের গর্ব-জ্ঞানে মেতে উঠেছেন। রূহানী জগতের মহান নেয়ামতরূপে তাঁকে সম্বোধন করছেন।

দেশ-বিদেশে যেখানেই তিনি সফর করেন, সকলেই তাঁর পবিত্র অস্তিত্ব সম্মুখে মস্তক অবনত করে নেয়। ভাল কি মন্দ, বিশ্বাসী কি অবিশ্বাসী সকলেই তাঁর পবিত্র হাজেরিতে কদমে লুটিয়ে পড়ে। জ্ঞানীগণ তাঁর প্রখর জ্ঞানের প্রভাবে জ্ঞান হারান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র সুন্নতের অনুসরন, পূর্বতন পীরানে এযামগণের অনুসরন, বিনয়-নম্রতায় তাঁর মতন দ্বিতীয় মেলা ভার।

নিঃসন্দেহে কেউ যদি হযরত শাহ জাহাঁগীর মৌলানা শেখুল আরেফীন (কঃ), হযরত মৌলানা ফখরুল আরেফীন (কঃ), হযরত মৌলানা শমছুল আরেফীন (কঃ) এবং হযরত মৌলানা তাজুল আরেফীন (কঃ) কে এক প্রতিকৃতিতে দেখতে চান তবে হযরত শাহ জাহাঁগীর ইমামুল আরেফীন ছাহেবের প্রতি দৃষ্টি প্রদানেই তা সম্ভব। নি:সন্দেহে তিনি এক পরিচ্ছন্ন আয়না স্বরূপ।

এই মহা নক্ষত্রের দুনিয়ায় শুভাগমনের উসিলায় মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন। রাব্বুল আলামীন তাঁর প্রিয় আউলিয়া কেরামগণের অনুসরন এবং তাঁদের ভালোবাসার মাধ্যমে আমাদের উভয় জগতের কামিয়াবী দান করুন।
আমিন।

সারকার কি আমাদ
মারহাবা..
জাহাঁগীর কি আমাদ
মারহাবা..
কদমবুসি পবিএ জাহাঁগীর রাঙা চরনে 🙏

মোঃ সেলিম হাসান 👇
মুরিদ ও গোলাম ই জাহাঁগীরিয়া।

....✍️যে আমলে সহজেই আল্লাহর বন্ধু হবেন মুমিনএমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে আল্লাহ বন্ধু হতে চায় না? আল্লাহ বন্ধু হও...
24/03/2025

....✍️
যে আমলে সহজেই আল্লাহর বন্ধু হবেন মুমিন

এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে আল্লাহ বন্ধু হতে চায় না? আল্লাহ বন্ধু হওয়ার অর্থই হচ্ছে দুনিয়া ও পরকালে তার কোনো ভয় ও হতাশা থাকবে না। আল্লাহ তাআলা নিজেই ঘোষণা করেন-
‘সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় নেই আর নেই কোনো হতাশা। যারা ঈমান এনেছেন এবং যারা আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে আত্মরক্ষা করে চলেন বা তাকওয়ার পথ অনুসরণ করেন। তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা। (সুরা ইউনুছ : আয়াত ৬২-৬৪)

তাহলে আল্লাহর বন্ধু হতে হলে কী করতে হবে? কোন কাজে বান্দাহ আল্লাহর বন্ধুতে পরিণত হবে। এ ব্যাপারে বান্দার করণীয়ই বা কী?

হ্যাঁ’, আল্লাহর বন্ধু হওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা। আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থেকে গোনাহমুক্ত জীবন-যাপন করা। নিজেকে আল্লাহর বন্ধু হিসেবে তৈরি করতে গোনাহমুক্ত জীবনের জন্য তাওবাহ করার বিকল্প নেই। কেননা গোনাহ থেকে ফিরে থাকার মাধ্যমেই মানুষ মহান আল্লাহর বন্ধুতে পরিণত হয়। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘তোমরা যদি গোনাহ না কর, তবে আল্লাহ তোমাদের সরিয়ে দেবেন এবং তোমাদের স্থলে আল্লাহ তাআলা অন্য এক জাতি সৃষ্টি করবেন, যারা গোনাহ করবে এবং আল্লাহর কাছে তওবা করবে। আর আল্লাহও তাদের ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম)

এ হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলা চান বান্দা সব সময় আল্লাহর কাছে তাদের গোনাহের জন্য তাওবাহ করুক, ক্ষমা প্রার্থনা করুক। আর তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার কারণে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার প্রতি খুশী হয়ে যান। ওই বান্দাকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেন।

তাওবাহকারী ব্যক্তি মহান আল্লাহর একান্ত প্রিয়। বান্দা যখন গোনাহ বা অন্যায় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তখনই আল্লাহ খুশি হয়ে বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে তাওবাহকারীদের সম্পর্কে একাধিক আয়াতে তার খুশির কথা এভাবে জানিয়েছেন-
- ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তওবাহকারী এবং পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২২২)
- ‘তোমাদের মনে কী আছে, তা তোমাদের পালনকর্তা ভালোই জানেন। যদি তোমরা সৎ হও, তবে তিনি তওবাকারীদের জন্য ক্ষমাশীল।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৫)
- ‘তারা তওবাকারী, ইবাদতকারী, শোকরগোজার, দুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নকারী, রুকু ও সেজদাকারী, সৎকাজের আদেশ দানকারী ও মন্দ কাজ থেকে নিবৃতকারী এবং আল্লাহর দেয়া সীমাসমূহের হেফাজতকারী। বস্তুত সুসংবাদ দাও ঈমানদারদের।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৬০)

কুরআনুল কারিমের এ সব আয়াত তাওবাহকারীদের জন্য সুসংবাদ স্বরূপ। যারা গোনাহ বা অন্যায় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে তারাই মহান আল্লাহর একান্ত প্রিয় বান্দা হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করবে। আল্লাহ তাআলা সেসব বান্দা তাওবাহ কবুল করবেন বলেও এভাবে ঘোষণা দিয়েছেন-
‘অতপর যে তওবাহ করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবাহ কবুল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।’ (সুরা মায়েদাহ : আয়াত ৩৯)

আল্লাহর বন্ধু হতে বিশ্বনবির নসিহত
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে তাওবাহ ও তাওবাহকারী সম্পর্কে ঘোষণা করেন-
‘আদম সন্তান সবাই অপরাধ করে। অপরাধীদের মধ্যে উত্তম তারাই যারা তওবাহ করে।’ (তিরমিজি)

তাওবাহ এমন এক ইবাদত। যার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর বন্ধুতে পরিণত হয়। আল্লাহর কাছে বান্দার সম্মান ও মর্যাদা বেড়ে যায়। তাওবাহর ফলে বান্দা গোনাহমুক্ত জীবন লাভ করে। এ কারণেই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোনাহমুক্ত জীবনের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ৭০ বার তাওবাহ-ইসতেগফার করতেন।

মুমিন মুসলমানের উচিত, নিয়মিত তাওবাহ-ইসতেগফার অব্যাহত রাখা। গোনাহমুক্ত জীবন লাভে সচেষ্ট হওয়া। সুন্নাতের অনুসরণে প্রতিদিন ন্যূনতম ৭০ থেকে ১০০ বার তাওবাহ-ইসতেগফার পড়া। আল্লাহর নির্দেশ মেনে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। আল্লাহ তাআলা বলেন-
'হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।' (সুরা নুর : আয়াত ৩১)

মুমিন মুসলমানের জন্য নিয়মসহ কয়েকটি তাওবাহর বাক্য তুলে ধরা হলো-
- أَستَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ।’
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
নিয়ম : প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ইসতেগফারটি ৩ বার পড়তেন।' (মিশকাত)

- أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।‘
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।
নিয়ম : এ ইসতেগফারটি প্রতিদিন ৭০/১০০ বার পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবাহ ও ইসতেগফার করতেন।' (বুখারি)

- رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ : 'রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।'
অর্থ : 'হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।'
নিয়ম : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।' (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

- أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : 'আস্‌তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।'
অর্থ : 'আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।'
নিয়ম : দিনের যে কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। হাদিসে এসেছে- এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।' (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)

- সাইয়েদুল ইসতেগফার পড়া
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।'
অর্থ : 'হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নেয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গোনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।'
নিয়ম : সকালে ও সন্ধ্যায় এ ইসতেগফার করা। ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ ইসতেগফার পড়তে ভুল না করা। কেননা হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি এ ইসতেগফার সকালে পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যায় কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে।' (বুখারি)

পরিশেষে আল্লাহর বন্ধু হতে মুমিনদের জন্য সুসংবাদ হলো-
وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللّهَ يَجِدِ اللّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا
'যে গোনাহ করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।' (সুরা নিসা : আয়াত ১১০)

আল্লাহ তাআলা যার প্রতি ক্ষমাশীল ও করুণাময় হয়ে যান। দুনিয়া ও পরকালে তার কোনো ভয় নেই, নেই কোনো হতাশা। সে ব্যক্তিই মহান আল্লাহর বন্ধু ও অভিভাবক।

....✍️"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল মালিকুল হাক্কল মুবিন,মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ, আস সাদিকুল ওয়াদিল আমিন।
23/03/2025

....✍️
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল মালিকুল হাক্কল মুবিন,
মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ, আস সাদিকুল ওয়াদিল আমিন।

...✍️রুকাইয়া চিকিৎসা: হ্যা জিন যাদু সংক্রান্ত সমস্যার কারণেও সন্তান জন্মদানে স্বামী/স্ত্রী অপারগ হয়ে থাকতে পারেন। এসব ...
23/03/2025

...✍️
রুকাইয়া চিকিৎসা: হ্যা জিন যাদু সংক্রান্ত সমস্যার কারণেও সন্তান জন্মদানে স্বামী/স্ত্রী অপারগ হয়ে থাকতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে রুকইয়াহ করা উচিত। সমস্যা স্ত্রীর হলে স্ত্রী করবে রুকইয়াহ, স্বামীর হলে স্বামী করবে রুকইয়াহ। একজন রুকইয়াহ করলে অপরজন ধৈর্য্য ধরে তাকে হেল্প করবে। কিভাবে রুকইয়াহ করতে হবে তা রাব্বির সাথে যোগাযোগ করেলে বুঝতে পারবেন ইন শা আল্লাহ- গর্ভের সন্তান নষ্ট করার যাদুর রুকাইয়া।

প্রাথমিক অবস্থায় যাদূর রুকইয়া শুরু করতে পারেন।

আর যদি জ্বীনের সমস্যা থাকে তাহলে কোন রাক্বীর কাছে গিয়ে সরাসরি রুকইয়া করে জ্বীন তাড়িয়ে তারপর রাব্বি দ্বারা সেল্ফ রুকইয়া করবেন।

১. প্রতিদিন রাক্কি দ্বারা রুকাইয়া করবেন বা অডিও রুকাইয়া শুনবেন।

২. প্রতিদিন হার্কের রুকইয়াহ শুনবেন

৩. প্রতিরাতে ঘুমের আগে ৮ সূরার রুকইয়াহ শুনে শেষ করে তারপর ঘুমাবেন

৪. নিয়মিত ৩০দিন বড়ইপাতার রুকইয়ার গোসল করবেন।
একটা বালতিতে পানি নিবেন, তারপর ৭টা বরই পাতা বেটে পেষ্ট করে ওই পানিতে মিশিয়ে নিবেন এবং কুরআনের যে আয়াত গুলো পড়বেন:

১./ সুরা ফাতিহা ৭ বার

২./ আয়াতুল কুরসি ৩ বার

৩./ সূরা আ'রাফ (আয়াত-১১৭-১২২)

৭/৩বার

وَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ - فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ - فَغْلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ - وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ -رَبِّ مُوسَى وَهَارُونَ ٩/٥

৪./ সূরা ইউনুস (আয়াত-৮১-৮২)

فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَى مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ - وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَه

৭/৩ বার

৫./ সূরা ত্বহা ৭ বার

(আয়াত-৬৯)

وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَى - ٩/٥

৬./ সুরা কাফিরুন ৭ বার

৭./ সুরা ইখলাস ৭ বার
৮./ সূরা ফালাক্ব ৭ বার
৯./ সূরা নাস ৭ বার ..✍️
এবং অবশ্যই একজন রূহানী চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হবে।

13/10/2024

...✍️
ছোট্ট ছেলে তার অমুসলিম বন্ধুকে বুঝিয়ে দিল।
কেন সে দাওয়াতে আসেনি💥

ওহী লিখতেন নবীজির যে সাহাবিরানবীজি হজরত মুহাম্মদ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ কুরআন দ্বারা সম্মানিত করেছেন। কু...
16/07/2024

ওহী লিখতেন নবীজির যে সাহাবিরা

নবীজি হজরত মুহাম্মদ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ কুরআন দ্বারা সম্মানিত করেছেন। কুরআন তার বড় মোজেজা তথা নবুয়তের পক্ষে দলিল। সর্বশেষ গ্রন্থ হিসেবে আল্লাহ তায়ালা নাজিলের প্রথম দিন থেকে তা সংরক্ষণ করেছেন।

ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমি অবশ্যই তা সংরক্ষণ করব।’
(সুরা হিজর, আয়াত : ০৯)

শাস্ত্রবিদদের মতে, তিনভাবে পবিত্র কুরআন সংরক্ষিত হয়েছে। এক. মুখস্থকরণ, দুই. লিপিবদ্ধকরণ, তিন. জীবনে বাস্তবায়ন। জিবরাইল (আঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে কুরআন মুখস্থ করিয়ে দিতেন বা আল্লাহ সরাসরি কুরআন রাসুলুল্লাহর (সাঃ) অন্তরে ঢেলে দিতেন। ফলে তিনি তা আত্মস্থ করে ফেলতেন। অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সাঃ) সাহাবিদের তা শেখাতেন। তারা মুখস্থ করতেন, লিখে রাখতেন এবং জীবনে তার বাস্তবায়ন করতেন কোনো প্রকার সংকোচ ছাড়াই। এভাবেই কুরআন মহানবী (সাঃ) ও তার সাহাবিদের জীবনের অংশে পরিণত হতো।

সাধারণভাবে সব সাহাবিই কুরআন ও তার আয়াতগুলো মুখস্থ করতেন। তার ওপর আমল করতেন। আর লিখে রাখতেন তাদের কয়েকজন মাত্র। সাহাবিদের মধ্যে যারা কুরআন লিপিবদ্ধ করতেন তাদের দুটি শ্রেণি ছিল।

একদল যারা আল্লাহর রাসুল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। অপর দল যারা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়েই তা সংরক্ষণ করতেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত সাহাবিরা খেজুর গাছের ছাল, পাথর, চামড়া, কাগজ ও হাড়ের ওপর কুরআন লিপিবদ্ধ করতেন। এরপর তা রাসুল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরে জমা করতেন।

কুরআন সংরক্ষণে রাসুল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখস্থ করার পাশাপাশি লিপিবদ্ধ করার ওপরও জোর দেন। ওহি নাজিল হওয়ার পর তিনি বলতেন, ‘এসব আয়াতকে সেই সুরার অন্তর্ভুক্ত করো, যাতে এটা ও এটার উল্লেখ আছে।’

(ইবনে হাজার আসকালানি (রহঃ), মুওয়াফাকাতুল খাবারি, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৪৪] রাসুল (সঃ)-এর জীবদ্দশায়ই সম্পূর্ণ কুরআন লিপিবদ্ধ হয়। (আবদুল্লাহ শাহাতা, উলুমুল কোরআন, পৃষ্ঠা : ২১-২২)

জাহেলি যুগে ও ইসলামের সূচনাকালে আরবে লিখতে পারা লোকের সংখ্যা ছিল খুবই সামান্য। ফলে শিক্ষিতজনদের বিশেষ মর্যাদা ছিল সমাজে। রাসুলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরব সমাজে শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ উদ্যোগ নেন। মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি সর্বস্তরের মুসলমানের শিক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। তার প্রচেষ্টায় শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা দুই-তিনজন থেকে বেড়ে পঞ্চাশে উপনীত হয়। এদের ভেতর প্রায় ৪০ জনই কখনো না কখনো ওহি লিপিবদ্ধ করার কাজ করেছেন। আবার কেউ কেউ ওহি না লিখলেও রাষ্ট্রীয় অন্যান্য কাজে অংশগ্রহণ করতেন।

মক্কায় সর্বপ্রথম ওহি লিপিবদ্ধ করেন আবদুল্লাহ বিন আবি সারাহ (রা.)। আর মদিনায় সর্বপ্রথম রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর সামনে ওহি লিপিবদ্ধ করেন উবাই বিন কাব (রাঃ)। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি ওহি লিপিবদ্ধ করেন জায়েদ বিন সাবিত (রাঃ)। কুরআন সংরক্ষণ ও মলাটবদ্ধ করার পেছনে এই মহান সাহাবির অবদান অপরিসীম। ইমাম বোখারি (রহঃ) জায়েদ বিন সাবিত (রাঃ)-কে ‘কাতিবুন নাবি’ বা নবীর লেখক হিসেবে বিশেষায়িত করেছেন। (হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি (রহঃ),
ফাতহুল বারি, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা-২২)

ওহি লেখক হিসেবে সাহাবিদের ভেতর খ্যাতিমান ছিলেন জায়েদ বিন সাবিত (রাঃ), আলী ইবনে আবি তালেব (রা.), উবাই বিন কাব, উসমান বিন আফফান (রাঃ), জোবায়ের ইবনুল আওয়াম প্রমুখ।

এ ছাড়া আবদুল্লাহ ইবনে আরকাম, মুগিরা বনি শোবা, মুআইকিব বিন আবি ফাতিমা, হানজালা বিন রাবি, শুরাহবিল ইবনে হাসনাহ, আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাঃ) রাসুল (সাঃ)-এর লেখক হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

কতজন সাহাবি নিয়মিত ওহি লিপিবদ্ধ করতেন তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মতভিন্নতা রয়েছে। কেউ বলেছেন ১৩ জন। কারো দাবি, তাঁদের সংখ্যা বিশের বেশি ছিল।

আল্লামা ইবনে কাসির (রহঃ) ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থে তাঁদের সংখ্যা ২৩ জন লিখেছেন। তিনি তাদের নাম ও জীবনী লিপিবদ্ধ করেছেন। তারা হলেন—আবু বকর, ওমর, উসমান, আলী, আব্বান বিন সাঈদ, উবাই বিন কাব, জায়েদ বিন সাবিত, মুআজ বিন জাবাল, আরকাম বিন আবিল আরকাম, সাবিত বিন কায়েস, হানজালা বিন রাবি, খালিদ বিন সাঈদ, খালিদ বিন ওয়ালিদ, জোবায়ের ইবনুল আওয়াম, আবদুল্লাহ বিন আবি সারাহ, আমের বিন ফাহিরা, আবদুল্লাহ বিন আরকাম, আবদুল্লাহ বিন জায়েদ, আলা বিন হাদরামি, মুহাম্মদ বিন মাসলামা, মুয়াবিয়া বিন আবি সুফিয়ান, মুগিরা বিন শোবা (রাঃ)।

ইবনে কাসির,আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া'
(খণ্ড-৮, পৃষ্ঠা : ৩২১-৫৬)

ইবনে হাজার আসকালানি (রহঃ) এসব সাহাবির মর্যাদা সম্পর্কে বলেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই তারা ছিলেন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্বাচিত। আল্লাহ তাদের তাঁ কালাম লিপিবদ্ধ করার জন্য মনোনীত করেছেন এবং তার নবী (সা.) তাঁদের প্রতি আস্থা রেখেছেন, যা তাদের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের শক্তিশালী প্রমাণ।’ (হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি (রহঃ),

ফাতহুল বারি, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা ২১)

ইমাম হোসাইন (রাঃ)  হত্যাকারীদের করুণ পরিণতিকারবালার যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসের হাজারো করুণ ও হূদয়বিদারক ঘটনার একটি।৬১ হিজরী...
16/07/2024

ইমাম হোসাইন (রাঃ) হত্যাকারীদের করুণ পরিণতি

কারবালার যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসের হাজারো করুণ ও হূদয়বিদারক ঘটনার একটি।
৬১ হিজরী মোতাবেক ১০ই মহররম কারবালার ময়দানে ইমাম হোসাইন (রাঃ) ও ইয়াজিদ বাহিনীর মধ্যে এ অসম যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
এই ঘটনার নেপথ্যে যারা কাজ করছে তারা ইতিহাসের পাতায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে।

ইমাম হোসাইন (রাঃ) ও তাঁর পরিবারবর্গ শাহাদাতের পরপরই ঐসব নেপথ্য নায়কদের করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে।

ইয়াজিদঃ

ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের ঘটনার মূল নায়ক ইয়াজিদ।
ইয়াজিদের নির্দেশেই কারবালা প্রান্তরে ইমাম হোসেন (রাঃ)কে শহীদ করা হয়-কারবালার যুদ্ধের পর মুসলিম দুনিয়ায় বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠলো।
বিশেষ করে মক্কা-মদীনার অধিবাসীগণ ইয়াজিদের এহেন কুকর্মের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে লাগল। ইতোমধ্যে ইয়াজিদ বাহিনী মক্কা-মদীনা আক্রমণ করে বহুসংখ্যক লোককে শহীদ করল।
ইয়াজিদ এক অজ্ঞাত রোগে মারা যায়।
তার অনুসারীরা রাতের আঁধারে অজ্ঞাত স্থানে কবর দিয়াছিল।
আজ পর্যন্ত কেউ ইয়াজিদের কবরের সন্ধান পায়নি। ইয়াজিদের মৃত্যুর পর তার ছেলের হাতে লোকেরা বাইয়াত গ্রহণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করল।
কিন্তু সে তাতে রাজি হয়নি।
এরপর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ৪০ দিন পর মারা যায়।

ইমাম হোসাইন (রাঃ) মৃত্যুর প্রতিশোধ নিয়েছিলো
👇
"মুখতার ইবনে আল সাকাফী"

ইয়াজিদের মৃত্যুর পর মারওয়ান ক্ষমতা দখল করল। এর পরপরই মক্কা-মদীনা ও কুফাসহ সমগ্র আরব বিশ্বে বিদ্রোহ চরম আকারে দেখা দিল। কুফাবাসীরা বেশি অনুতপ্ত ছিল। কেননা তাদের বিশ্বাস-ঘাতকতার ফলে এহেন হূদয়বিদারক ঘটনা ঘটল। তারা ভাবল, কিভাবে এর প্রায়শ্চিত্ত করা যায়। কুফার গভর্ণর ইবনে যিয়াদ পালিয়ে দামেস্কে চলে যায়। মুখতার সাকাফী কুফার গভর্ণরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মুখতার সাকাফী ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের বদলা নেয়ার জন্য ডাক দিলো। সাথে সাথে সমগ্র কুফাবাসী তার আহবানে সাড়া দিল। শুরু হলো প্রতিশোধ নেয়ার পালা।

১. আমর বিন সাদ ও তার ছেলেঃ

সর্ব প্রথম সেই নরাধম, পাপিষ্ঠ আমর বিন সাদকে তলব করা হলো, যে ইয়াজিদের বর্বর বাহিনীর সেনাপতি ছিল এবং তারই পরিচালনায় কারবালায় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তার ছেলে এসে বলল, আমার পিতা এখন সবকিছু ত্যাগ করে নিঃসঙ্গ জীবন-যাপন করছে। তিনি ঘর থেকে বের হন না। সাকাফী কোন অজুহাত গ্রহণ করলেন না। তারপর তাকে ধরে এনে পিতা-পুত্রের মাথা কেটে মদীনা শরীফে মুহাম্মদ বিন হানাফিয়ার কাছে পাঠিয়েছিল।

২. হাওলা বিন ইয়াজিদঃ

হাওলা বিন ইয়াজিদ ইমাম হাসানের মস্তক দেহ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে তার নিজের ঘরে নিয়ে গিয়েছিল। তাকে ধরে এনে হাত-পা কেটে শূলে চড়ানো হলো। তার লাশ জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল।

৩. শিমারঃ

এই শিমার ইমাম হোসেনের গলায় ছুরি চালিয়েছিল। মুখতার সাকাফী যখন ইমাম হোসেন (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে অস্ত্রধারী এক একজনকে হত্যা করছিল তখন পাপিষ্ঠ শিমার কুফা থেকে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। এ পাপিষ্ঠের শেষ রক্ষা হয়নি। সে মুখতার সাকাফীর বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। তাকে দু’ টুকরা করে মুখতার সাকাফীর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং লাশ কুকুরকে খাওয়ানো হয়েছিল।

৪. হাকিম বিন তোফায়েলঃ

এই নরাধম, যে হযরত আব্বাস (রাঃ)-এর শরীর থেকে পোশাক খুলে নিয়েছিল এবং ইমাম হোসাইনের প্রতি তীর নিক্ষেপ করেছিল, তাকেও হত্যা করা হয়েছিল এবং তার মাথা বর্শার অগ্রভাগে উঠিয়ে মুখতার সাকাফীর সামনে আনা হয়েছিল।

৫. যায়েদ বিন রেকাতঃ

এই জালিম, যে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুসলিম ইবনে আকিল (রাঃ)-এর কপালে তীর নিক্ষেপ করেছিল। তাকে ধরে এনে জীবিত জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল।

৬. আমর বিন সবীঃ

এই আমর বিন সবী, যে গর্ব করে বলে বেড়াত ‘‘আমি হোসাইনের কোন সাহাবীকে হত্যা করার সুযোগ পাইনি বটে, কিন্তু তীর নিক্ষেপ করে অনেককে যখম করতে সক্ষম হয়েছিলাম। একে ধরে সকলের সামনে বর্শার আঘাতে হত্যা করা হয়েছিল।

৭. নরাধম ইবনে জিয়াদের করুণ পরিণতিঃ

ইয়াজিদের পর এই নরাধম ইবনে জিয়াদ সবচেয়ে জঘন্য অপরাধী। কারবালার ঘটনার সময় এই ব্যক্তি কুফার গভর্ণর ছিল।

মুখতার সাকাফী এই নরাধমকে হত্যা না করা পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছিলেন না। সে ইব্রাহিম বিন মালেক আলতাবকে এক বিরাট সৈন্যবাহিনী ইবনে জিয়াদকে পরাস্ত করার জন্য প্রেরণ করল। ‘মুসল’ শহরের নিকটে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ যুদ্ধে ইবনে জিয়াদের বাহিনীর পরাজয় ঘটে। ইবনে জিয়াদ পলায়নকালে ইব্রাহিম মালেকের সৈন্যবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। ইব্রাহিম মালেককে সৈন্যরা ইবনে জিয়াদের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয়। মাথা বর্শার অগ্রভাগে তুলে কুফায় নিয়ে আসে। তখন সাকাফী কুফাবাসীর উদ্দেশ্য করে বলে, ‘‘দেখ আজ থেকে ছয় বছর আগে এই দিনেই এই জায়গায়, এই জালিমের সামনে ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর মস্তক রাখা হয়েছিল। আজ আমার সামনে সেই জালিমের মাথা রাখা হয়েছে’’। এভাবে মুখতার সাকাফী কারবালার শহীদদের পবিত্র রক্তের যথাযথ বদলা নিয়েছিলেন।

মুখতারের জীবন ছিল প্রতারণা ও ধোঁকার।
নিজের মেধাকে সে ব্যয় করেছে প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের কাজে। তবে তার হাতে হজরত হুসাইনের হত্যাকারিদের অনেকে নিহত হয়েছিল।
এই বিষয়টি ছিল ইতিবাচক।
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ পাপাচারিদের দ্বারাও এই দ্বীনের সাহায্য করে থাকেন।
# # # #

Address

Dhaka

Telephone

+966573266906

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রূহানী সংকট মোছন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to রূহানী সংকট মোছন:

Share