Lata & Sayed's Vlog

Lata & Sayed's Vlog Alhamdulillah, All Praise to Almighty Allah. I live a simple life but I like to dream big...
(3)

আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সকলেই আরবি মহররম মাসে এসে পৌঁছেছি। এই মাসের ৯ ও ১০ তারিখে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে নফল সিয়াম...
06/07/2025

আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সকলেই আরবি মহররম মাসে এসে পৌঁছেছি। এই মাসের ৯ ও ১০ তারিখে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে নফল সিয়াম পালন করি।

অনেকেই ভাবি, এই দিনে কারবালার প্রান্তরে প্রিয় নবীজি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রাণপ্রিয় নাতি ইমাম হুসাইন (আঃ) এর নির্মমভাবে শহিদ হওয়ার শোকে মুসলিমরা সিয়াম পালন করে।

কিন্তু অবাক হলেও সত্য এই যে, আশুরার দিন সিয়াম পালন করার পেছনে এই ইতিহাসটি একেবারেই সত্য নয়। তাহলে কেন আমরা আশুরার দিনে সিয়াম পালন করি? কেন এই মাসটিকে “আল্লাহর মাস” বলা হয়? আশুরার সিয়াম পালনের ফজিলতই-বা কি? রাসুল (সাঃ) আমাদেরকে এই বিষয়ে কি বলে গিয়েছেন, চলুন জেনে নিই-

আল্লাহ সুবাহান তায়ালা সুরা তাওবার ৩৬ নাম্বার আয়াতে বলেছেন: “আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন হতেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকট নিশ্চয়ই মাসসমূহের সংখ্যা হল বারো মাস। এর মধ্যে চারটি মাস হল নিষিদ্ধ ( অর্থাৎ পবিত্র)। এটাই সরল বিধান। অতএব তোমরা এ মাসগুলোতে নিজেদের প্রতি জুলুম (ঝগড়া-ফ্যাসাদ) করো না।’’

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তিনটি মাস ক্রমান্বয়ে জিলকদ, জিলহাজ্জ ও মুহাররাম। আর চতুর্থ মাসটি হল রজব।
(বুখারঃ কিতাবুত তাফসীর সূরা তাওবাহ পরিচ্ছেদ, মুসলিম ক্বাসামাহ অধ্যায়)।
আর রমজান মাসের পরে সর্বোত্তম সিয়াম হলো আল্লাহর মাস মুহররম মাস।’’(মুসলিমঃ২/৮২১)

মহররম মাসে সিয়াম পালন সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেন- আশুরার দিনের সিয়াম গত এক বছরের পাপ মার্জনা করে।’’ (মুসলিমঃ২/৮১৯)

এই তথ্যগুলো থেকে আমরা ভালোভাবে বুঝতে পারি এই মাসটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, যদিও এটি কেবল নফল সিয়াম।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এতটা সজাগ ছিলেন যে, আশুরার আগের দিন থেকেই সাহাবা কারিমদের রোজা রাখার ব্যাপারে স্মরণ করিয়ে দিতেন এবং অধিক হারে উৎসাহ দিতেন অতঃপর আশুরার দিন রোজা রাখা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে খবরাখবর নিতেন।(মুসলিমঃ ১১২৮)

“আল্লাহর মাস” হওয়া ছাড়াও সিয়াম পালনের আরো একটি কারণ ছিলো। কি সেই রহস্য?

কোরআন আর সুন্নাহ বাছাই করে দেখলে এ রহস্যের পেছনে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও নির্ভরযোগ্য যে কারণটি উদ্ঘাটন হয় তা হলো-

মহানবী (সাঃ) যখন হিজরত করে মদিনা পৌঁছেন, তখন তিনি দেখলেন যে মদিনার ইয়াহুদি সম্প্রদায় আশুরার দিনে রোজা পালন করছে।

তিনি তাদের জিজ্ঞেস করেন, আশুরার দিনে তোমরা রোজা রেখেছ কেন? তারা উত্তর দিল, এই পবিত্র দিনে মহান আল্লাহ মুসা (আঃ) ও বনি ইসরাইলকে ফিরআউনের কবল থেকে রক্ষা করেছিলেন আর ফিরআউন ও তার বাহিনী কিবতি সম্প্রদায়কে সাগরে (লোহিত) ডুবিয়ে মেরেছিলেন

এর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ হযরত মুসা (আঃ) রোজা রাখতেন, তাই আমরাও আশুরার রোজা পালন করে থাকি।

তাদের উত্তর শুনে নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেন, “হযরত মুসা (আঃ)-এর কৃতজ্ঞতার অনুসরণে আমরা মুসলিমরা তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার।” অতঃপর তিনি নিজে আশুরার রোজা রাখেন এবং উম্মতকে তা পালন করতে নির্দেশ প্রদান করেন। (বুখারি-৩৩৯৭, মুসলিম-১১৩৯)

এই থেকে বুঝা যায় আশুরার দিনে সিয়াম পালনে কারবালার মর্মান্তিক ও নেক্কারজনক ঘটনার কোন যোগসাজস নেই। ইসলামিক গবেষকগণ দাবি করেন, কেউ যদি কারবালার শোকের নিয়তে এইদিন সিয়াম পালন করেন এবং তাজিয়া মিছিলে যোগ দেন তাহলে তার ঈমান থাকবে না। নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক।

এর কারণ হিসেবে সম্মানিত স্কলারগণ জানান, যেহেতু ইসলামে ৩ দিনের বেশি শোক জ্ঞাপন করা, তারসাথে মুখে প্রহার করা, গাল চাপড়ানো, জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলা ও শোকে নিজের মাথার চুল কামিয়ে ফেলা অথবা চুল লম্বা করা একেবারে হারাম সেহেতু কারবালার ঘটনায় তাজিয়া মিছিল বের করে অনুরুপ কাজ করা অবশ্যই বেদায়াত এবং ঈমান হারানোর জন্য যথেষ্ট।

(মুসলিমঃ ৩৫৯১, বুখারীঃ ৪৮৯২, ১২৯৪, বায়হাকী- ৪/৬৪, আবু দাউদঃ ৩১১৯)

অতএব, প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আশুরার এই দিনে মূলত মুসা (আঃ) আল্লাহর কুদরতে বিজয় লাভ করেন, সেই খুশিতেই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর পথ অনুসরণ করে আমরাও আল্লাহ তায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে সিয়াম পালন করবো, আর তা ৯ ও ১০ মহররম তারিখে,
ইন শা আল্লাহ। (মুসলিম-১১৩৪)

সাথে সাথে ইমাম হুসাইন (আঃ) কে হারানোর বেদনারও আমাদের মনে-প্রাণে অবশ্যই কাজ করবে। সে জন্য সিয়ামরত অবস্থায় আমরা আল্লাহর কাছে রোজ হাশরের দিন হ*ত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রার্থনা করবো।

আল্লাহ আমাদেরকে উত্তম আক্বিদার অধিকারী হবার তৌফিক দিক। আল্লাহুম্মা আমিন।

২৮ বছর সংসার করার পর আমার এক পরিচিত আপু ডিভোর্সে যাচ্ছেন কারণ তার মনে হয়েছে সে লাভ বোম্বিং— এর শিকার ছিল। মিষ্টি মোড়কে ...
30/06/2025

২৮ বছর সংসার করার পর আমার এক পরিচিত আপু ডিভোর্সে যাচ্ছেন কারণ তার মনে হয়েছে সে লাভ বোম্বিং— এর শিকার ছিল।

মিষ্টি মোড়কে ভয়ংকর ফাঁদ
লাভ বোম্বিং—শব্দটা শুনতে যতটা রোমান্টিক লাগে, এর পেছনের বাস্তবতা ততটাই অন্ধকারাচ্ছন্ন।

এটি কোনো নিছক ভালোবাসার প্রকাশ নয়, বরং এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক কৌশল (psychological manipulation) যা অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।
যেভাবে কাজ করে লাভ বোম্বিং
ভাবুন তো, আপনার জীবনে এমন একজন মানুষ এলো যে হঠাৎ করেই আপনাকে অঢেল ভালোবাসা, মনোযোগ, প্রশংসা আর উপহারে ভরিয়ে দিল।

আপনার মনে হতে পারে, "আহা! এমন মানুষই তো আমি সারা জীবন খুঁজেছি!" সে আপনার প্রতি এতটাই যত্নশীল আচরণ করবে যে মনে হবে যেন সে আপনার জন্যই তৈরি হয়েছে। রাতারাতি আপনার দুনিয়াটা যেন ভালোবাসার বন্যায় ভেসে যাবে। এটাই হলো লাভ বোম্বিংয়ের প্রথম ধাপ— তীব্র মুগ্ধতা এবং আসক্তি (intense idealization and addiction) তৈরি করা।

যখন মুখোশটা খুলে যায়
কিন্তু এই মধুচন্দ্রিমা চিরস্থায়ী হয় না। যখন আপনি পুরোপুরি তার ওপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল (emotionally dependent) হয়ে পড়বেন এবং তার প্রতি অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন, তখনই খেলাটা পাল্টে যাবে। হঠাৎ করেই সে দূরে সরে যাবে, যোগাযোগ কমিয়ে দেবে, বিরক্তি প্রকাশ করবে, এমনকি আপনাকে দোষারোপ করা শুরু করবে।

আপনি হতবিহ্বল হয়ে ভাববেন, "আমি কি এমন কিছু ভুল করলাম?" এই পর্যায়ে আপনার আত্মবিশ্বাস ভেঙে যায় এবং নিজেকে দোষী মনে হতে থাকে।
এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ কৌশল
আসলে, লাভ বোম্বিং হলো এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ কৌশল (control technique)। যারা এই খেলায় পারদর্শী, তারা জানে কীভাবে একজন মানুষকে দ্রুত তাদের জালে জড়াতে হয়। তাদের উদ্দেশ্য হলো আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল (mentally vulnerable) করে তোলা, যাতে আপনি তাদের কথায় ওঠাবসা করেন।

একবার আপনি তাদের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে পড়লে, তারা আপনার আবেগ, সিদ্ধান্ত এবং এমনকি আপনার জীবনকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে।
নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন
দুঃখজনক হলেও সত্যি, বর্তমানে অনেকেই এই লাভ বোম্বিংয়ের শিকার হচ্ছেন।

মনে রাখবেন, যে ভালোবাসা হঠাৎ করে বিস্ফোরিত হয়, তা হঠাৎ করেই মিলিয়ে যেতে পারে। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা সম্পর্কই (relationships built over time) দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সত্যিকারের গভীরতা পায়। তাই কারও অতিরিক্ত যত্ন বা প্রশংসায় মুগ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সতর্ক হন।

নিজেকে প্রশ্ন করুন, এই যত্ন কি genuine, নাকি এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে? নিজের অনুভূতি আর মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন থাকাটা সবচেয়ে জরুরি।

আপনিও এই লাভবম্বিং এর শিকার হচ্ছেন না তো সামাজিক মাধ্যমে বা এই সমাজের মানুষের মাধ্যমে॥
©️


29/06/2025

আমি দূর থেকে দেখছি কিছু আছে ওই জায়গায় আমি যতই তার কাছে যাই আরো কাছে যাই যেনো সব এক হয়ে যাচ্ছে সাদা হয়ে যাচ্ছে যখন শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেলাম দেখলাম কিছুই নাই শূন্য ।তাহলে আমি কই তাকিয়ে ছিলাম।

সুখ আসলে কী?বিখ্যাত এক তুর্কি কবি তার বিখ্যাত চিত্রশিল্পী বন্ধুকে অনুরোধ করেন, সুখ কী তা যেন এঁকে দেখান। তিনি এই ছবিটা আ...
29/06/2025

সুখ আসলে কী?

বিখ্যাত এক তুর্কি কবি তার বিখ্যাত চিত্রশিল্পী বন্ধুকে অনুরোধ করেন, সুখ কী তা যেন এঁকে দেখান। তিনি এই ছবিটা আঁকেন।

একটা ভাঙা খাটের ছোট বিছানায় শান্তিতে ঘুমাচ্ছে একটি বড়ো পরিবার। খাটের একটা পায়া নাই, সেখানে দুটি ইট রাখা। জরাজীর্ণ বাড়ির ছাদের ফুটো থেকে পানি পড়ছে, ওখানে তাই ছাতা রাখা। বাড়ির কুকুরটিও বিছানায় শান্তিতে ঘুমায়। কপাট বিহীন জানালায় পাখি বসেছে। মুরগি শেয়ালে নেবারও দুর্ভাবনা নেই।

ছবিটা দেখার পর মনে হলো, সুখ মানে সমস্যা না থাকা নয়, কষ্টের পরিস্থিতিকে স্বাচ্ছন্দ্যে মেনে নেওয়ার মধ্যেই সুখ। যা আছে তা নিয়েই খুশি থাকি, শান্তিতে ঘুমায়।
আমাদের দেশে এমন অনেক বাড়িঘর আছে টিনের, বৃষ্টির দিনে রাতে ঘুমাতে পারতাম না বৃষ্টির শব্দে ,আর যখন গ্রীষ্মকাল ছিল রোদের তাপে সারাদিন বাড়িতে থাকতে পারতাম না, রাতে বিছানা গরম হয়ে থাকতো মাটিতে ঘুম আসতে হইত তবুও ওই ঘরে ভাইবোন বাবা মা সবাই মিলে সুখে বসবাস করতাম।কোনো প্রকার অশান্তি ছিল না সবাই অনেক সুখেই ছিলাম টিনের ঘরে ।হায়রে টিনের ঘর কবে যে হারিয়ে গেলো, সুখের দিন গুলো টিনের ঘরের মতোই যেনো,জানি না বুঝে উঠার আগেই সব হারিয়ে গেলো আর ফিরে পাবো না সেই ভালোবাসা হয়তো ছোট ভাই বোন আর হয়তো আপু বলে ডাকবে না নির্দ্বিধায় তবুও শুনতে মন চাই ওদের ভালোবাসার ডাক।হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস ,দম ফুরাইলে ঠুস,তবুতো ভাই কারোরই নাই একটু খানি হুস,রঙিন ফানুস হায়রে মানুষ। এই গানটার কথা মনে পরে গেলো ,ছোট বেলায় বাবা খুব এই গানটা শুনত তখন বুঝি নাই ,কেনো শুনত এই গানের মানেও বুঝতাম না ,এখন বুঝি কেনো বাবা এই গান শুনত।আমি এখন এই বয়সে এসে এই গান শুনি,যখন আমার কিছুই ভালো লাগে না ,,,,,,,,,,
✅❤️🥀

🌙 Hijri New Year 1446 AH 🌙As we welcome the Islamic New Year, let us take this moment to reflect, renew our faith, and m...
26/06/2025

🌙 Hijri New Year 1446 AH 🌙

As we welcome the Islamic New Year, let us take this moment to reflect, renew our faith, and move forward with gratitude and hope. May 1446 AH bring peace to our hearts, strength to our faith, and blessings to our homes.

Let us remember the lessons of the Hijrah—sacrifice, patience, and unwavering trust in Allah.

Happy Islamic New Year!
Wishing you and your family a year of prosperity, protection, and peace.

Muharram Mubarak! 🌙🕌✨

ইনশা আল্লাহ্ বিজয় আসবেই।রাসূল (সাঃ) বলেছেন—"খোরাসান দিক থেকে একদল মানুষ কালো পতাকা নিয়ে আগমন করবে। তারা এমনভাবে এগিয়ে আ...
20/06/2025

ইনশা আল্লাহ্ বিজয় আসবেই।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন—"খোরাসান দিক থেকে একদল মানুষ কালো পতাকা নিয়ে আগমন করবে। তারা এমনভাবে এগিয়ে আসবে যে, কেউ তাদেরকে থামাতে পারবে না। শেষ পর্যন্ত তারা বায়তুল মুকাদ্দাসে (জেরুজালেম) পৌঁছাবে এবং সেখানে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে।"আরেকটি হাদিসে এসেছে—"তোমরা যখন খোরাসান দিক থেকে কালো পতাকা আসতে দেখবে, তখন বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাদের সঙ্গে যোগ দিও, কারণ তাদের মধ্যেই থাকবেন আল্লাহর খলিফা মাহদী...

ইহুদী ধর্মের জাতির পিতা এবং ইসলাম ধর্মের জাতির পিতা একজন ই, হযরত ইবরাহীম(আঃ)।ইবরাহীম(আঃ) এর দুই পুত্র, ইসহাক(আঃ) আর ইসমা...
12/06/2025

ইহুদী ধর্মের জাতির পিতা এবং ইসলাম ধর্মের জাতির পিতা একজন ই, হযরত ইবরাহীম(আঃ)।
ইবরাহীম(আঃ) এর দুই পুত্র, ইসহাক(আঃ) আর ইসমাইল(আঃ)।

হয়রত ইসহাক(আঃ) এর পুত্র ছিলেন হযরত ইয়াকুব(আঃ), উনার আরেক নাম ইস/রা/ইল। এই ইয়াকুব(আঃ) এর বংশকে আল্লাহ্ তা'আলা বনি-ই/সরা/ইল নামে সম্বোধন করেছেন।

হযরত ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১জনের নাম ছিলো ইয়াহুদা। এই ইয়াহুদা এর বংশই পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করে।
তাই, বনি-ই/সরা/ইল এর আরেক নাম ই/হু/দী।

ই/হু/দী ধর্ম আর বংশ দুটো আলাদা।
সব ইহুদী বংশের লোক ইহুদী ধর্মের হলেও সব ইহুদী ধর্মের লোক ই ইয়াহুদার বংশ নয়।
এই ইয়াহুদা ই কিন্তু তার আপন ভাই ইউসুফ(আঃ) কে কূপে ফেলে হত্যা করতে চেয়েছিল!

৪ হাজার বছর আগে ইসহাক(আঃ) এর মৃত্যুর পর ইয়াকুব(আঃ) আল্লাহ্‌'র নির্দেশে শামনগরী (সিরিয়া) থেকে কেনানে হিজরত করেন। এই কেনান ই বর্তমানের ফিলিস্তিন।

এরপর কেনানে (ফিলিস্তিন) দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে ইয়াহুদা তার সব ভাই এর সাথে মিশরে চলে যায় এবং মিশরে বসবাস শুরু করে।

মিশরের তখনকার রাজা ছিলেন ইউসুফ(আঃ), যিনি ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১১তম। সেই কারণে ইয়াহুদা ও তার বংশ মিশরে অনেক দাপটের সাথে থাকতে শুরু করে।

তারপর কালের পরিক্রমায় ক্ষমতা যায় ফারাও রাজাদের হাতে। ফেরাউন এসে বনি-ই/সরা/ইলদের এত অত্যাচার শুরু করে যে এরা সারাদিন 'ইয়া নাফসী' 'ইয়া নফসী' করতো।
তখন আল্লাহ্ তাদের কাছে পাঠালেন মূসা(আঃ) আর তাওরাত কিতাব। মুসা(আঃ) ফেরাউনকে নীলনদে ডুবানোর মাধ্যমে বনি-ই/সরা/ইল মুক্তি পায়।

তারপর মূসা(আঃ) সবাইকে নিয়ে কেনানে (ফিলিস্তিন) ফিরে যান। পরে তারা সেখানে গিয়ে আল্লাহ্‌'র অশেষ রহমত পাওয়া সত্ত্বেও মুসা(আঃ) এর ওফাতের পর আবার আল্লাহ্‌ কে ভুলে যায়, গরুপূজা সহ নানা রকম অনাচার শুরু করে।

তারপর তাদের মধ্যে ক্ষমতার লোভে নিজেদের একতা ভেঙ্গে যায়, ভিনদেশীরা তাদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের আবার গোলাম বানিয়ে অত্যাচার করতে থাকে।
এর ১০০বছর পরে দাউদ(আঃ) আর উনার ছেলে সুলাইমান(আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা আবারও এই অত্যাচার থেকে তাদেরকে মুক্তি দেন।

কিন্তু সুলাইমান(আঃ) এর মৃত্যুর পর ই/হু/দীরা আবার শয়তানের পূজা শুরু করে। তাদের ভিতরে থাকা ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাওরাত কিতাবের মধ্যে নিজেদের সুবিধামত সংযোজন-বিয়োজন করার মতন ধৃষ্টতা দেখায়।
তারা তাওরাতে সংযোজন করে যে, "আল্লাহ্ তায়ালা ইসহাক(আঃ) এর স্বপ্নে কেনানকে ইহুদীদের জন্য প্রমিজ ল্যান্ড হিসেবে দিয়েছেন, এটা তাদের জয় করে নিতে হবে।"
এটাকে তারা 'জেকব লেডার ড্রিম' বলে।

তাদের এমন নির্লজ্জতা ও ধৃষ্টতার কারণে তারা বারবার আল্লাহ্‌'র শা/স্তির মুখে পড়েছে। যেমনঃ
কখনো গৃহহীন হয়ে যাযাবরের মতো ঘুরেছে,
ব্যবিলনীয় সাম্রাজ্যের দ্বারা গণহ/ত্যার শিকার হয়েছে,
রোমান সাম্রাজ্যের দ্বারা সিরিয়া থেকে আরব দেশে বিতাড়িত হয়েছে।
মহানবী(সাঃ) এর সময় তারা আরব দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে চলে যায় ইউরোপে।
আর উমার(রা:) ফিলিস্তিন ও আল-আকসা বিজয় করেন।
আজ ইস/রা/য়েলের এতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইউরোপও তখন তাদেরকে আশ্রয় দেয়নি।

বনি-ইস/রা/ইলের এমন পরিণতির কারণ আল্লাহ তায়ালা এর শা/স্তির পাশাপাশি তাদের ব্যবহার!
তখনকার লোকদের ভাষ্যমতে, তারা অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির মানুষ ছিল।
তাদেরকে যে জায়গায় আশ্রয় দেয়া হতো সেই জায়গাতেই তারা তাদের প্রতিবেশীর জমি দখল করতো!

ই/হু/দীরা বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ছিল আর তাদের ব্যবসা অন্যদের থেকে কৌশলগতভাবে আলাদা ছিলো, যার কারণে যাযাবরের মতো ঘুরলেও তাদের অর্থ-সম্পদ ভালোই ছিল। সেই অর্থ-সম্পদ এর দাপট দেখিয়ে তারা সেইসব এলাকার স্থানীয় লোকদের উপরই ছড়ি ঘুরাতো।
তাই তারা সেইসব এলাকার রাজা ও বাসিন্দাদের দ্বারা বার বার বিতাড়িত হতো।

বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করার পর তারা একসময় বুঝতে পারে যে, যেকোনো সমাজকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে শিক্ষা ও অর্থের বিকল্প নেই।
তাই তারা শিক্ষা অর্জন ও অর্থ উপার্জনের উপর গুরুত্ব দেয়।
তারা বিশ্বাস করে, কেনান তাদের জন্য সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভূমি।
তারা এটাও বিশ্বাস করে যে, একসময় তাদের একজন মসিয়াহ্‌(দাজ্জাল) এসে তাদের এই ভূমিকে উদ্ধার করে দিবে।

১৮ শতাব্দীতে ই/হু/দীরা তাদের ধর্ম-পরিচয় গোপন করে ইউরোপে বসবাস শুরু করে।
তখন থিওডোর হার্জেল নামে তাদেরই একজন ব্যবসায়ী ফিলিস্তিনকে নিজেদের দখলে আনার লক্ষ্যে ১৮৯৭ সালে জিওনিজম আন্দোলন শুরু করে ই/হু/দীদেরকে আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখানো শুরু করে।
এই আন্দোলনকে যারা সমর্থন করে, তাদেরকে জিওনিস্ট বলে।

যেহেতু ই/হু/দীরা অনেক শিক্ষা অর্জন আর অর্থ উপার্জন করেছিলো, তাই তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষ ইউরোপে ধর্ম গোপন করে থাকলেও কেউ কেউ মেধার জোরে ইউরোপে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করতে, বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে শুরু করে।
তখন তারা শুধুমাত্র পদ দখল করেই থেমে থাকেনি, সেই সাথে নিজেদের একটা রাষ্ট্র গঠনেও প্রচুর সমর্থন সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে থাকে।

তখন ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো, তাদেরকে আফ্রিকার উগান্ডায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
ঠিক এমন সময় শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে যুক্তরাজ্য নিজেদের অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য এক ধরনের গ্লিসারিন ইউজ করতো, যেটা আসতো জার্মানি থেকে।
কিন্তু যুদ্ধের সময় জার্মানি যুক্তরাজ্যের বিপক্ষে থাকায় গ্লিসারিন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

তখন যুক্তরাজ্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে চাইম ওয়াইজম্যান নামক একজন ই/হু/দী গবেষক ও ব্যবসায়ী। তিনি গ্লিসারিন এর বদলে এসিটোন দিয়ে অস্ত্র সংরক্ষণের পদ্ধতি শিখিয়ে দেন এবং যুদ্ধে প্রচুর অর্থ সহায়তা দেন।
তার এমন অভুতপূর্ব অবদানের জন্য যুদ্ধের পর যুক্তরাজ্য যখন তাকে পুরস্কৃত করতে চায়, তখন সে জানায় যে তার একমাত্র পুরস্কার হবে তাদের প্রমিজল্যান্ড মানে ফিলিস্তিনে তাদের বসবাসের সুযোগ করে দেয়া!
এখানে উল্লেখ্য, চাইম ছিলেন জিওনিজম আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

ফিলিস্তিন তখন ছিল উসমানী সালতানাতের দখলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর তুরস্কের ক্ষমতা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়। সেই সুযোগে ধাপে ধাপে ই/হু/দীরা ফিলিস্তিনে প্রবেশ করতে থাকে।
প্রথমে তারা ফিলিস্তিনিদের কাছে ঘর ভাড়া করে থাকতে শুরু করে, তারপর বেশি দামের লোভ দেখিয়ে সেগুলো কিনতে থাকে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি পরাজয়ের পর পুরো বিশ্বের ক্ষমতা ইউরোপের হাতে চলে যায়।
ই/হু/দীরা তখন স্থানীয় ফিলিস্তিনিদেরকে অত্যাচার-জোর-জবরদস্তি করা শুরু করলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদ করে।

তখনই ইউরোপ থেকে ঘোষণা আসে, পুরো ফিলিস্তিনের ৫৫ ভাগ থাকবে ফিলিস্তিনিদের দখলে আর বাকি ৪৫ ভাগ হবে ই/হু/দীদের।
৬লাখ ই/হু/দীর জন্য ৪৫% আর ১২কোটি ফিলিস্তিনির জন্য ৫৫% জায়গা!

জাতিসংঘ থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার পর ই/হু/দীরা ইজ/রা/য়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।নবগঠিত এই রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয় চাইম ওয়াইজম্যান।

ইজ/রায়ে/ল রাষ্ট্র গঠন হওয়ার ঠিক ৬ মিনিটের মধ্যে আমেরিকা তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়!

আর এভাবেই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে তারা ইয়াকুব(আঃ) এর সাথে কেনানে আসা যাযাবর থেকে আজকে গাজাকে ধ্বংসকারী দানবে পরিণত হয়েছে!

আর বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানেরা মুখে কুলুপ এঁটে চুপ করে বসে আছেন আর চোখে ঠুঁলি পরে সবকিছুকে না দেখার ভান করছেন!

আজ বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। তাই আমরা ফজিলতপূর্ণ  দিনে নিচের যিকিরগুলো করতে থাকি এবং নিজেদের আমলনামা ভারী করি ইনশাআল্লাহ্। ১.  ...
05/06/2025

আজ বছরের শ্রেষ্ঠ দিন।

তাই আমরা ফজিলতপূর্ণ দিনে নিচের যিকিরগুলো করতে থাকি এবং নিজেদের আমলনামা ভারী করি ইনশাআল্লাহ্।

১. [তাসবিহ] সুবহান-আল্লহ। (৫০০/১০০০ বার)
২. [তাহমিদ] আলহামদুলিল্লাহ। (৫০০/১০০০ বার)
৩. [তাকবির] আল্লহু আকবর। (৫০০/১০০০ বার)
৪. [তাহলিল] লা ইলাহা ইল্লাল্লহ। (৫০০/১০০০ বার)

৫. ছোট ইস্তেগফার অর্থাৎ শুধু আস্তাগফিরুল্লহ কয়েক হাজার বার।
এছাড়া যাদের সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার মুখস্থ আছে তারা,
সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার (১০০ বার)
اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّيْ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِيْ وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلٰى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوْءُ بِذَنْۢبِيْ فَاغْفِرْ لِيْ فَإِنَّهٗ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ.

উচ্চারণঃ আল্লহুম্মা আংতা রব্বী লা ইলাহা ইল্লা আংতা খলাক্বতানী, ওয়া আনা 'আবদুকা, ওয়া আনা 'আলা 'আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাত্বতু, আ'উযুবিকা মিং শাররি মাছ্বনাআতু, আবু'উ লাকা বি'নিমাতিকা 'আলাইয়া, ওয়া আবুউ বিযাম্বী ফাগফিরলীয় ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যূনুবা ইল্লা আংতা।

৬. যেকোনো ছোট দুরুদ
কয়েক হাজার বার।
এবং,
দুরুদে ইবরাহিম কমপক্ষে ১০০ বার।

اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى اٰلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَ إِبْرَاهِيْمَ، وَعَلَى اٰلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ،
اللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى اٰلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى اٰلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
উচ্চারণঃ আল্লহুম্মা ছ্বল্লি 'আলা মুহাম্মদ। ওয়া 'আলা আলি মুহাম্মদ। কামা ছ্বল্লাইতা 'আলা ইবরহিম। ওয়া 'আলা আলি ইবরহিম। ইন্নাকা হামিয়দুম মাজীদ।
আল্লহুম্মা বারিক 'আলা মুহাম্মদ। ওয়া 'আলা আলি মুহাম্মদ। কামা বারকতা 'আলা ইবরহিম। ওয়া 'আলা আলি ইবরহিম। ইন্নাকা হামিয়দুম মাজীদ।

৭. সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি (১০০/২০০ বার)
سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ

৮. সুবহানাল্লহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লহিল আযীম। (১০০/২০০ বার)
سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللّٰهِ الْعَظِيمِ
৯. সূরা ইখলাস -
'ক্বুল হুওয়াল্লহু আহাদ। আল্লহুস ছ্বমাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ (১০০ বার)
قُلْ هُوَ اللّٰهُ أَحَدٌ اللّٰهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُن لَهُۥۤ كُفُوًا أَحَدٌ

১০. লা ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াহদাহু লা শারিয়-কালাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া 'আলা কুল্লি শাইয়্যিং 'ক্বদীর (১০০ বার)
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

১১. জান্নাতের গুপ্তধন-
লা হাওলা ওয়ালা 'ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ (১০০/২০০ বার)
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ

১২. দোয়া ইউনুস-
লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায য্বলিমীন (১০০/২০০ বার)
لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

১৩. ইয়া যালজালালী ওয়াল ইকরম (১০০/২০০ বার)
يَا جل جَلاَله وَالإكْرَامُ

১৪. ইয়া আরহামার রহিমীন (১০০ বার)
يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ

১৫. জান্নাত চাওয়ার জন্য দোয়া-
আল্লহুম্মা আজিরনি মিনান্নার
اللّهُمَّ اجِرْنَا مِنَ النَّارِ

১৬. জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়ার জন্য দোয়া-
আল্লহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ'ঊযুবিকা মিনান্নার
اللّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ

১৭. পিতামাতার জন্য দোয়া-
রব্বির হামহুমা কামা রব্বাইয়ানি ছ্বগীরা
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ رَبِّ ارْحَمْهُما كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

১৮. উত্তম মৃত্যুর দোয়া-
আল্লহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুসনাল খতিমাহ
اللّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ حُسْنَ الْخَاتِمَةِ

১৯. সুস্থতা কামনার জন্য দোয়া-
আল্লহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল 'আফিয়াহ
اللّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ

২০. বিশ্বের সমস্ত মুসলিম নর-নারীর জন্য দোয়া -
আল্লহুম্মাগফিরলি ওয়ালিল মু'মিনিনা ওয়াল মু'মিনাত, ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত।
اللّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ

উক্ত যিকির আযকারগুলো সুবিধামতো বাড়িয়ে কমিয়ে পড়তে পারেন ইনশাআল্লাহ।

৫ এবং ৬ জুন আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত আপনি নিজেকে ঘরে বন্দি করে ফেলেন৷ আরাফার দিন৷ দোয়া কবুলের দিন৷ ইচ্ছা মতো দোয়া করতে থা...
04/06/2025

৫ এবং ৬ জুন আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত আপনি নিজেকে ঘরে বন্দি করে ফেলেন৷ আরাফার দিন৷ দোয়া কবুলের দিন৷ ইচ্ছা মতো দোয়া করতে থাকেন৷ হালাল যা কিছু আছে সব চান আল্লাহর কাছে৷ জুতার ফিতাটা হইলেও চান৷ একটা কথা মনে রাখবেন, আল্লাহ ছাড়া এই দুনিয়াতে আপনার কেউ নাই৷ আপনার কেউ আছে ভাবতেছেন৷ কালকে হয়তো সে নাও থাকতে পারে৷

কাজেই দিল খুলে দোয়া করেন৷
আরাফার দিনের দোয়া হচ্ছে সব থেকে বড় দোয়া৷ দোয়া কবুলের দিন৷ যার যা ইচ্ছা এই দিনে চেয়ে নেন৷ এমনো হতে পারে সামনের আরাফায় আপনি নাও থাকতে পারেন৷

আর বেশি করে পড়বেন, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইইং ক্বদীর৷’

এমন কোনো নবী রাসুল নাই যে এই দোয়াটা পড়ে নাই৷ এটা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দোয়া৷ নিজের প্রয়োজনীয় কিছু চাওয়ার আগে মাস্ট এই দোয়া ২০-৩০ বার পড়ে নিয়েন৷ এর বেশি পড়লে আরো ভালো৷ যত পড়া যায় এই দোয়া৷

বাসে থাকেন, রিক্সায় থাকেন যেখানে খুশি থাকেন ওয়াশরুম ব্যতীত, মনে মনে অই দোয়াটা পড়তে থাকবেন৷

আরাফার দিনের এই কয়েক ঘন্টা কাজে লাগালে আপনার লাইফ চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে৷ আজ থেকে, এখন থেকেই দোয়া শুরু করে দেন...।

“একটা নতুন মা মানে শুধু মা হওয়া না—নিজেকে একটু একটু করে হারিয়ে ফেলা…”একটা সময় সে নিজের জন্য সাজত, আয়নায় হাসত, বন্ধুবান্ধ...
17/04/2025

“একটা নতুন মা মানে শুধু মা হওয়া না—নিজেকে একটু একটু করে হারিয়ে ফেলা…”

একটা সময় সে নিজের জন্য সাজত, আয়নায় হাসত, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিত, নিজের ছোট ছোট ইচ্ছেগুলোতে বাঁচত।

আর এখন?

সে সারা দিন একা—চারদিক নিরব, শুধু কান্নার শব্দ,
নিজের কন্ঠ শোনাও যেন ভুলে গেছে।

বাচ্চার খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো, পাম্পার বদলানো…
দিনে ১০ বার ঘর পরিষ্কার করা,
আর নিজের খাওয়া? ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ভাত, তাও কখনো কখনো খাওয়ার সময়ও হয় না।

ঘুমহীন রাতগুলোতে যখন সারা পৃথিবী ঘুমিয়ে থাকে,
সে জেগে থাকে—বাচ্চার নিঃশ্বাস দেখে দেখে নিশ্চিন্ত হয়।
তার চোখে কালি পড়ে, শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে,
কিন্তু সে থামে না… এক মুহূর্তের জন্যও না।

কেউ ভাবে, ঘরে থাকে তো, খুব আরামেই আছে—
কিন্তু সেই ঘরটাই কখন যেন হয়ে যায় তার একলা যুদ্ধের ময়দান।

একটা নতুন মা—ভিতরে ভেঙে পড়ে, আবার নিজেই নিজেকে শক্ত করে তোলে।
এক ফোঁটা হাসি, একটুখানি স্পর্শেই বেঁচে থাকে।

তাকে কেউ জিজ্ঞেস করে না—“তুই কেমন আছিস?”
কেউ বোঝে না, মা হওয়া মানেই নিজের সমস্ত ভালো লাগাকে সাময়িক বিদায় জানানো।

তবু সে ভালো থাকে—কারণ তার বুকের মাঝে একটা ছোট্ট প্রাণ হাসে।
তবু সে লড়াই করে—কারণ তার ভালবাসার নাম “মা”।



এই লেখা শুধু পড়ার জন্য না, বুঝে শেয়ার করার জন্য।
কারণ, একজন নতুন মা-র ভালোবাসা, কষ্ট আর আত্মত্যাগ—সবকিছুই নিঃশব্দে ঘটে যায়।
তাকে একটু ভালোবাসা দিন, একটু প্রশংসা দিন, একটু সাহস দিন।
কারণ, সেই মা-ই একটা ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছেন।🙏🏻🙏🏻❤️

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Lata & Sayed's Vlog posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Lata & Sayed's Vlog:

Share