12/09/2025
কি মূলে রেকর্ড হয়েছে জানতে চান? খসড়া বা ড্রাফট খতিয়ান সংগ্রহ করলেই পাবেন আসল সত্য!
আমাদের দেশে অনেকেই শুধু খতিয়ান হাতে পেলেই মনে করেন—
“এই তো জমির মালিকানা প্রমাণ হয়ে গেলো!”
কিন্তু আসল সত্য হলো, খতিয়ান মানেই মালিকানা নয়।
👉 খতিয়ান হলো শুধু রেকর্ড, আর এই রেকর্ড কি মূলে হয়েছে তা বোঝার জন্য প্রয়োজন খসড়া খতিয়ান।
🗼 খসড়া বা ড্রাফট খতিয়ান কি!
খসড়া খতিয়ান হলো রেকর্ড প্রস্তুতের সময়কার একটি প্রাথমিক নথি। এটাকে জমির “প্রথম খসড়া ইতিহাস” বলা যায়।
👉 এখানে লেখা থাকে—
১/ জমির রেকর্ড দলিল মূলে হলো, নাকি উত্তরাধিকার সূত্রে হলো।
২/ যদি দলিল মূলে হয়ে থাকে, তাহলে কোন দলিল নম্বর ও সাল অনুযায়ী রেকর্ড হলো।
৩/ জমির পূর্বতন মালিক কে ছিলেন।
৪/ কার নামে কত শতক রেকর্ড হয়েছে।
মানে এক কথায়, খসড়া খতিয়ান ছাড়া কখনোই আপনি জমির আসল ইতিহাস জানতে পারবেন না।
💄 উদাহরণ:
ধরুন, আপনার দাদার নামে সি.এস রেকর্ড আছে। কিন্তু আপনার দাদা জীবনে কখনো জমি কেনেননি।
তাহলে কি মূলে রেকর্ড হলো?
👉 উত্তর আছে কেবল ড্রাফট খতিয়ানে।
এখান থেকে বুঝবেন, রেকর্ডটা কোনো পুরনো দলিলের ভিত্তিতে হলো, নাকি দাদার পৈতৃক সম্পত্তির ভিত্তিতে হলো।
👆 সমস্যা হলো, অনেকেই খসড়া খতিয়ান সংগ্রহ করেন না। শুধু আপডেটেড খতিয়ান হাতে পেয়ে জমির মালিকানা নিশ্চিত হয়ে যান। কিন্তু পরে হঠাৎ দেখা যায়, আরেকজন এসে দাবি করছে—
“এই জমি আমার দাদার দলিল মূলে রেকর্ড, আপনার নামে ভুলে গেছে!”
তখন শুরু হয় লম্বা মামলা আর ঝামেলা।
👉 তাই সচেতন হোন—
🏨 আপনার জমির রেকর্ড দলিল মূলে হয়েছে নাকি উত্তরাধিকার মূলে, তা জানুন।
আজই সংগ্রহ করুন ড্রাফট খতিয়ান।
👉 কোথায় পাবেন?
জেলা বা উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে।
👆 মনে রাখবেন—
খসড়া বা ড্রাফট খতিয়ান হলো জমির জন্মসনদ। এটি ছাড়া জমির প্রকৃত ইতিহাস জানা অসম্ভব।
বিঃ দ্রঃ - নিজে জানুন এবং অন্য কে জানতে সাহায্য করুন।