03/11/2025
প্রথম প্রথম ছোট বেলায় যখন মহানবী স: এর নারীর প্রতি উদ্দেশ্য করে হাদিস টা পড়েছিলাম তখন বুঝিনি,
শুধু জামাই এর প্রতি অকৃতজ্ঞতার কারনে ( অন্যতম কারন) বেশিরভাগ নারী জাহান্নামে কেন যাবে?
তখন মনে হতো, পুরুষ বুঝি নারীর প্রতি অবিচার করে সবসময়।
তখন বুঝতাম না।
নারী, নারী, নারী করতে করতে ভুলেই যাই যে,
পুরুষ মানুষ ঘড়ে বসে পায়ের উপর পা তুলে কামাই করেনা,
কাজ থেকে এসে ওই পায়ের উপর পা তুলে চা খায় না।
সে চেস্টা করে।
টেনশনে থাকে।
বাইরে থেকে এসে যে চুপ চাপ বিশ্রাম নেয় তখন সে যাস্ট বিশ্রাম নেয় না,
সে টেনশন করে কালকে কি করবে,কিভাবে সব মেনেজ করবে।
না করলে কালকে মাথার উপরে ছাদ থাকবেনা,
বাচ্চাদের ভবিষ্যতের বেবস্থা থাকবেনা।
আর কিছু অকৃতজ্ঞ পোলাপাইন আর কিছু সংসারের মানুষ মনে করে চুপ চাপ টেনশন ফ্রি হয়ে বিশ্রাম করছে।
তারা মনে করে সন্ধায় মা কাজ করছে আর বাপ নামক জাহেল সারাদিন ঘুড়া ফেরা করে, বাতাস থেকে টাকার বান্ডিল এনে, বাজার এনে পায়ের উপর পা তুলে বিকেল ইনজয় করছে।
জমিদারের ঘুম ঘুমাচ্ছে।
হাত পাতলেই টাকা আর টাকা।
সে চেস্টা না করলে যে তার বউ বাচ্চা ওই ঘরে বসে না খেয়ে থাকা লাগবে এই টেনশন,এই লজ্জা সে প্রকাশ করেনা।
করে লাভ কি?
সিম্পেথি দিয়ে নারীর গ্রুপ চেটিং এ সিম্পেথি পাইলেও
পুরুষ এর গ্রুপ চেটিং এ সিম্পেথি দিয়ে ঘরের ভাত চলে না।
নারীর মত পুরুষ এর সিম্পেথির চাহিদা নেই।
নাইলে পুরুষ নারীদের মত গ্রুপ করে সামনাসামনি
" স্লেএএএএএএএ, কুইইইইইইইন, বিউটিফুললল," বলতো আর
পিছন পিছন কুটশা রটাইতো,আর ঘৃন্না করতো।
কিন্তু লাভ হইতোনা,ঘরে ভাতের যোগান যে করতে হবে।
তাই টাইম থাকেনা এত চিন্তা করার।
পুরুষ, পুরুষ মিলেমিশে কাজ না করলে কালকে তো আর কাজ পাওয়া যাবে না।
তাই হিংসা বিদ্বেষ এর টাইম থাকেনা নারীদের মত।
আর ওইখানে কিছু নারী জাত মনে করে
"ভালোই তো, আমরা থালাবাসন মাজতে আছি আর এনারা সবাই মিলে মৌজ, মাস্তি করতে আছেন,
রাতের বেলা খালি রাস্তায় হাটসেন,
চা খেয়ে রাজনৈতিক আলোচনা করছেন।
( ওই আলোচনায়ও ভবিষ্যতে, দেশের অবস্থা,নিজের অবস্থার টেনশন এর আলোচনাই থাকে)।
তাই তারা মনে করে পুরুষ মানুষ এর টেনশন নেই।
খালি ইঞ্জয় আর ইঞ্জয়।
পুরুষ নারীর মত হইলে,
কিছু নারী দের মত খালি বাসায় বসে বসে উচ্চশিক্ষা মুখস্থ করে অফিস আদালতে চাকরি পাওয়ার চিন্তা করতো।
কিন্তু চাকরি না পাইলে যে কিভাবে সমাজে টিকবে সেইটার টেনশন থাকতোনা।
এর জন্য কাজ করতে হয়।
বেডি তো জামাই কে গালি দিতে পারে সংসারের খারাপ অবস্থা হইলে, বেডা কাকে গালি দিবে?
তাই মেনে নেয়।
ওই দুই দিনের কিছু বৈরাগিরা নতুন জামানায় পড়ালেখা করে অফিস আদালতের জব পাওয়ার চিন্তা করে মনে করে বেডামানুষ তাদের আটকে রেখে ফ্রি সংসার করাইতে চায়,ভোগ করতে চায়।
কিন্তু হাজার হাজার বেকার ছাত্র,ছাত্রীরা যে পড়ালেখা করে বসে রইছে সেইটা কেউই খেয়াল করেনা।
কিছু কিছু নারী জাতির মত সংসারে কন্ট্রিবিউট এর টায় টায় হিসাব পুরুষ খুজে না, দায়িত্ব মনে করে মেনে নেয়।
আল্লাহর ইচ্ছায় পুরুষ দের সেক্রিফাইস এর উপরে সমাজ,পরিবার টিকে আছে।
আল্লাহ আমাদের কে বাবা, মার কস্ট টা বুঝার তৌফিক দান করুন।