https://www.facebook.com/115362677843575/

𝐃𝐨𝐠'𝐬 𝐋𝐨𝐯𝐞𝐫, Dhaka (2025)

01/03/2025

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের মাঝে কালা অ্যান্ড ধলার অতীত শেষ করে দিয়েছি। তৃতীয় পরিচ্ছেদ নিয়ে আসতে আমার অনেক দেরি হবে।
আগামী কাল থেকে রমাদান, ঈদের পর থেকে আমার এক্সাম। এক্সাম শেষ হতে হতে জুন মাস চলে আসবে। তৃতীয় পরিচ্ছেদ আমি আনুমানিক জুন থেকেই দেওয়া শুরু করবো।

এখন আপনাদেরকে একটা ছোট্ট ব্যাপার আমি বুঝিয়ে দেই। মীর আর আনাবিয়ার মাইন্ড সেট সম্পুর্ন আলাদা। দাসীদের সাথে বংশবৃদ্ধি মীরের কাছে ভেরি নরমাল, কারণ জন্মের পর থেকেই সে তার বাবা, চাচা, ভাই, দাদা, সবাইকেই দাসীদের সাথেই দেখেছে। তার মা নিজেও একজন দাসী ছিলেন। মীরের অতীতে অনেক দাসী ছিলো। এই কারণে ওর কাছে দাসীর ব্যাপারটা খুবই নরমাল।
কিন্তু আনাবিয়ার কাছে নয়, কারণ ও জন্মের পর থেকে কখনোই এমনটা দেখেনি, ওর মীর শুধু ওরই মীর থেকেছে। দাসী ব্যাপারটা ওর কাছে নরমালাইজ হয়নি।
মীর যদি শুরু থেকেই এটা নরমালাইজ করতো তবে আনাবিয়া এতটা সাফার করতোনা। আর না মীরকে এতটা ভুগতে হতো। আসলে দোষতো সব আমারই! 😞

যাই হোক, আপনারা ভালো থাকবেন। আপাতত আমি একটিভ থাকবোনা কোথাও, তবে মাঝে মাঝে এসে উঁকি দিয়ে দেখে যেতে পারি আমার পাঠিকারা জীবিত আছে কিনা! 🫠

ভালোবাসা সবাইকে 🫶

01/03/2025

সবাইকে রমজানের,
শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ❤️❤️

23/02/2025

গল্প:- অন্ধকারের অভিশাপ

রাত তখন প্রায় ২টা। ঝড়ো বাতাসের সাথে ছিটকে পড়া বৃষ্টির ফোঁটা জানালার কাঁচে আঘাত করছিল বারবার। ঢাকার উপকণ্ঠে অবস্থিত পুরনো রাজবাড়িটা এই গভীর রাতে আরও বেশি ভয়ঙ্কর লাগছিল।

রাফিন, একজন লেখক, তার নতুন বইয়ের জন্য গবেষণা করতে গিয়ে এই বাড়ির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে। বহু বছর আগে, এই বাড়িতে রমিজ চৌধুরী নামে এক জমিদার থাকতেন। গল্প ছিল, জমিদার তার কর্মচারীদের ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করতেন। একদিন তারই এক বিশ্বাসঘাতক কর্মচারী প্রতিশোধ নিতে জমিদারকে তার নিজের ঘরেই পুড়িয়ে মারে। তারপর থেকে, যেই এই বাড়িতে রাত কাটাতে গিয়েছে, সে আর ফিরে আসেনি।

সেই কাহিনি শুনেও রাফিন বাড়িটির রহস্য উন্মোচনের জন্য চলে আসে। সঙ্গে ছিল তার দুই বন্ধু—নাফিস এবং জয়।

তারা সন্ধ্যার পর বাড়িটিতে প্রবেশ করল। বাড়ির ভেতরে বাতাস ছিল অস্বাভাবিক ঠান্ডা, যেন রাতের গভীরতায় কিছু লুকিয়ে আছে। বাতাসে এক ধরনের পচা গন্ধ ভাসছিল। ধুলো জমে থাকা আসবাবপত্রগুলো থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল, বহু বছর কেউ এখানে আসেনি।

হঠাৎই একটা দরজার কড়া আপনা-আপনি নড়ে উঠল। সবাই চমকে গেল।

‘এইটা কি বাতাসের জন্য হল?’ ফিসফিস করে বলল জয়।

‘বাতাসের জন্য হলে তো অন্য দরজাগুলোও নড়ত!’ বলল নাফিস, তার কণ্ঠে আতঙ্ক স্পষ্ট।

এরপর, এক ঝলক ঠান্ডা বাতাস এসে তাদের গায়ে আঘাত হানল, আর সেই সঙ্গে শোনা গেল কান ফাটানো এক চিৎকার। রাফিনের বুকের ভেতর ধুকপুক করতে লাগল।

‘এই বাড়িতে… কেউ আছে!’ চাপা গলায় বলল নাফিস।

জয় বলল, ‘আমরা এসেছি ভূতের সন্ধানে, পালিয়ে গেলে কি হয়?’

রাফিন সাহস করে একটা পুরনো প্রদীপ জ্বালাল। প্রদীপের আলোয় সামনের দেয়ালে দেখা গেল একটা বিশাল ছায়া—একটা বিকৃত মুখের অবয়ব, চোখদুটো ছিল যেন গভীর অন্ধকারের তৈরি।

‘কে… কে তুমি?’ কাঁপা কণ্ঠে বলল রাফিন।

এক মুহূর্তের মধ্যে বাতাস ভারী হয়ে উঠল, চারপাশের আবহও যেন বদলে গেল। সেই ছায়া আস্তে আস্তে এগিয়ে এলো, আর সেই সঙ্গে শোনা গেল ফিসফিস করা কণ্ঠস্বর—

‘এখানে কেউ টিকে থাকতে পারে না…’

জয় পেছন ফিরে দৌড় দিতে গিয়ে দেখল, দরজাটা আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে গেছে।

হঠাৎ করেই বাড়ির ভেতর থেকে বিকট শব্দে দরজা-জানালা সব একসঙ্গে বন্ধ হতে লাগল। বাতাসে যেন এক ভয়ঙ্কর গানের সুর বয়ে বেড়াচ্ছিল, যা তাদের কানের ভেতর দিয়ে মনের গভীরে প্রবেশ করছিল।

রাফিন দ্রুত মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট অন করল, কিন্তু আলো আর কিছুতেই কাজ করছিল না। তারা তিনজনই একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে দাঁড়িয়ে রইল।

এমন সময় দেয়ালের ফাটলের মধ্যে থেকে কালো রক্ত গড়িয়ে নামতে লাগল। সেই রক্তের মাঝে ফুটে উঠল একটা বিকৃত মুখ।

‘আমার সাথে এসো… তোমাদের আত্মা এখানে থাকবে… চিরকাল!’

জয় আর সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করল, ‘আমরা চলে যাব! আমাদের যেতে দাও!’

অবয়বটা তীব্র হেসে উঠল, আর সঙ্গে সঙ্গে ঘরের সব কিছু কাঁপতে লাগল। হঠাৎই নাফিস মাটিতে লুটিয়ে পড়ল, তার চোখ স্থির, মুখটা বিবর্ণ। সে নিঃসাড় পড়ে আছে!

রাফিন দ্রুত নাফিসকে ধরে নাড়িয়ে দেখল, কিন্তু তার গায়ে কোনো সাড়া নেই। আতঙ্কে সে আর জয় একে অপরের দিকে তাকাল।

‘আমাদের এখান থেকে বের হতে হবে!’ চিৎকার করল রাফিন।

বাড়ির দোতলায় হঠাৎ একটা দরজা খুলে গেল, ভেতর থেকে জ্বলজ্বল করা লাল আলো বেরিয়ে আসছিল। তাদের মনে হলো, কেউ তাদের ওই ঘরের দিকে টেনে নিচ্ছে।

বাধ্য হয়ে তারা ধীরে ধীরে সেই ঘরের দিকে এগিয়ে গেল।

ভেতরে ঢুকতেই দেখতে পেল, মেঝের মাঝে একটা বিশাল পেন্টাগ্রামের চিহ্ন আঁকা, আর তার ঠিক কেন্দ্রে পড়ে আছে একটা কঙ্কাল। হঠাৎ সেই কঙ্কাল জীবন্ত হয়ে উঠল, আর তাদের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলল—

‘তোমরা মুক্তি পেতে চাও?’

‘হ্যাঁ!’ একসঙ্গে চিৎকার করে উঠল তারা।

‘তবে তার জন্য তোমাদের একজনকে দিতে হবে…’

তারা হতভম্ব হয়ে গেল।

‘না… আমরা কাউকে হারাতে চাই না!’ বলল রাফিন।

কিন্তু ঠিক তখনই, বাতাসে এক অদৃশ্য শক্তি জয়কে তুলে নিল, আর তার শরীরের চারপাশে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ল।

‘আমি বেঁচে যেতে চাই!’ জয় আতঙ্কে চিৎকার করল।

‘কিন্তু তোমরা এসেছ, তাই তোমাদের কেউ না কেউ থেকে যাবে…’

এক ঝলক অন্ধকার এসে জয়কে পুরোপুরি গ্রাস করে নিল। তার আর কোনো শব্দ শোনা গেল না।

রাফিন চোখ বন্ধ করল, আর যখন আবার চোখ খুলল, তখন সে দেখল—সে বাড়ির বাইরে পড়ে আছে, আর পাশে নাফিসও জ্ঞান ফিরে পেয়েছে। কিন্তু জয়… কোথাও নেই।

তারা বুঝতে পারল, বাড়িটি একজনকে দাবী করেই ছেড়ে দিয়েছে। আর সেই কেউ এবার জয়!

তারা তড়িঘড়ি করে গাড়িতে উঠে পালিয়ে গেল, কিন্তু পিছনে বাড়ির জানালার দিকে তাকিয়ে দেখল—সেখানে দাঁড়িয়ে আছে জয়, কিন্তু তার মুখে এক অদ্ভুত, বিকৃত হাসি… যেন সে আর মানুষ নেই, বরং ওই অন্ধকারেরই অংশ হয়ে গেছে…

আর এরপর থেকে, কেউ যদি রাতের বেলা রাজবাড়ির সামনে দিয়ে যায়, তাহলে সে শুনতে পায় জয়ের গলা—

‘এখানে এসো… আমি একা…’

(সমাপ্ত)

Address

Dhaka

Website

facebook.com

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when 𝐃𝐨𝐠'𝐬 𝐋𝐨𝐯𝐞𝐫 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

𝐃𝐨𝐠'𝐬 𝐋𝐨𝐯𝐞𝐫

01/03/2025

01/03/2025

23/02/2025

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category