06/07/2025
আল্লাহ বলছেন: চিন্তা করো আসমান ও জমিন নিয়ে — আর আমরা আটকে আছি শুধু রুটিন ইবাদতে!
আল্লাহ কুরআনে বারবার বলেছেন—
“إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَآيَاتٍ لِأُولِي الْأَلْبَابِ”
“নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের আবর্তনে বুদ্ধিমানদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।”
(সূরা আলে ইমরান ৩:১৯০)
আল্লাহ আমাদেরকে শুধু নামাজ, রোযা নয় — এই বিশাল জগৎ, তার বিজ্ঞান, প্রকৃতি, মহাকাশ, প্রাণিজগৎ, এমনকি আমাদের দেহ নিয়েও চিন্তা করতে বলেছেন।
কিন্তু বাস্তবে কি হচ্ছে?
আমাদের বেশিরভাগ মাদ্রাসায় কেবল ফিকহ, নামাজ, রোযা, হালাল-হারাম — এগুলোর গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ ধর্মচর্চা। চিন্তার গভীরতা নেই, গবেষণার আহ্বান নেই, বিজ্ঞানের চর্চা নেই।
আর সেই ফাঁকে কী হচ্ছে?
যারা কুরআনকে অস্বীকার করে — সেই ইহুদি-খ্রিস্টানরা আজ গবেষণা করে আবিষ্কার করছে:
• মহাকাশে নতুন গ্রহ
• মানবদেহের রহস্য
• জেনেটিক কোড
• কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)
• চিকিৎসা ও প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন
আমরা কেবল ওযু-গোসলের মাসআলা নিয়ে ব্যস্ত, তারা পাঠ করছে ডিএনএ।
এই বৈপরীত্য আমাদের ভাবিয়ে তোলে না কেন?
• আমরা নামাজ পড়ি, কিন্তু কেন আকাশে সূর্য উঠে সেটি জানি না।
• আমরা বলি “আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা” কিন্তু তাঁর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করতে ভয় পাই।
• কুরআন পড়ি, কিন্তু “উলুল আলবাব” হবার চেষ্টা করি না।
⸻
সমাধান কী?
👉 মাদ্রাসায় শুধু দ্বীনি শিক্ষা নয় — বিজ্ঞান, গণিত, যুক্তি, মহাকাশ, প্রযুক্তি এসবকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
👉 আমাদের সন্তানদের শেখাতে হবে যে ইবাদত শুধু সালাত নয় — চিন্তাও ইবাদত।
👉 কুরআনকে “তাবারক” নয় — গবেষণার পাথেয় হিসেবে ধরতে হবে।
👉 দীন ও দুনিয়ার জ্ঞানকে একত্রীকরণ ছাড়া উম্মাহর মুক্তি নেই।
শেষ কথা:
আমরা কুরআনের উত্তরাধিকারী হয়েও কুরআনের ভাষা বুঝি না।
আর যারা অস্বীকার করে, তারাই আজ কুরআনের নির্দেশিত পথে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে — গবেষণা, আবিষ্কার আর প্রযুক্তির মাধ্যমে।
আল্লাহ আমাদের বুদ্ধিমত্তা দিক, চিন্তা করার তৌফিক দিক — যেন আমরা শুধু মুসল্লি না হয়ে উলুল আলবাব হই।
আল্লাহ বলেছিলেন “দেখো, চিন্তা করো”, আমরা যেন সেটা শুনি, বুঝি এবং কাজে লাগাই।