04/11/2024
দোহারে বাদীর নালিশী ভূমিতে শতাধিক গাছ কর্তন
স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার দোহার উপজেলা সুতারপাড়া ইউনিয়নের সুতারপাড়া খালপাড় মৌজার নালিশী ভূমিতে শধতাধিক গাছ কর্তন করেন প্রতিপক্ষ মোন্নাফ মোল্লা গংরা । বাদী ইউনুছ ও তার স্ত্রীর অভিযোগ করেন গত মাসে তারা গোপনে নালিশী ভূমিতে জোর করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান গাছ বিক্রয় করেন বিবাদী মোন্নাফ, সুরুজ বেপারিও মোজাহার গং। খবর পেয়ে জমির মালিক শেখ ইউনুছ ও তার সহর্ধমীনি সরেজমিনে যান, এরপর দেখেন তাদের হাতে বুনা গাছগুলো কেটে ফেলছেন দেখে তারা হতবাক । গাছ কাটার কথা বলতেই বাদী-বিবাদী র্তক-বির্তক শুরু হয় । উভয় পক্ষ তাদের নিজ জমি বলে প্রতিয়মান ।
এক পর্যায়ে বাদী দোহার থানা পুলিশ প্রশাসনের নিকট বিষয়টি লিখিত অভিযোগ করিলে , ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেন । এবং সেসময় বিবাদী তাদের পক্ষে ২০১৬ সনের পিটিশন মামলা নং-৬৩/২০১৬ ফৌজদারি কার্যব্যধি আইনের ১৪৫ ধারা আদেশ বিবাদীর পক্ষে দখল প্রতিবেদন দেখে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এবং পুলিশ কর্মকর্তা জানান বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অপেক্ষা করার ক্ষমতা দোহার থানা পুলিশ সদস্যদের নেই।
উল্লেখ্য যে, এই নালিশী ভূমি বাদী ইউনুছ পিতা-মতৃ: শাকিম আলী প্রায় ৩১ বছর আগে ক্রয় করেন উমেদ তালুকদারের কাছ থেকে, এরপর থেকে তিনি দখলে গাছপালা রোপন ও শাক সবজি চাষাবাদ করে আসছেন। হঠ্যাৎ করে মাস খানেক পূর্বে ওয়ারিস দাবিদার কারীরা তাদের জায়গায় গাছ পড়েছে বলে গাছ সীমিত দামে ৬০ হাজার টাকা দামে প্রায় শতাধিক চামফল ও মেহেগুনি গাছ বিক্রয় করে । যার বাজার মূল্য ৩গুন বেশি । বাদী পক্ষ ইউনুছ বাধা দিলেও তাদেরকে প্রতিরোধ করতে পারিনি । কারন তারা সংখ্যা অনেক বেশি বলে জোর করে কর্তন করে। আমার ৩ ছেলের যারা প্রত্যেকে প্রবাসী । ছেলেরা থাকতে এমনটা করতে সাহস পায়নি । আমাকে দুর্বল পেয়ে হয়রানি করছেন প্রতিপক্ষ।
এই জমি নিয়ে ১ম যুগ্ন জেলা জজ কোটে দেওয়ানী ৭৮২/২০২৪নং মামলা চলমান রয়েছে ।
বাদীর স্ত্রী মন্জুরা বলেন ২০১৬ সনের আমরা একটি পিটিশন মামলা নং-৬৩/২০১৬ দায়ের করি । তদন্ত আসে পুলিশের কাছে ,পুলিশ তদন্ত করে আমাদের নালিশী জমি আমাদের দখল প্রতিবেদন চূড়ান্ত প্রমানিত হলে প্রতিবেদনটি র্কোটে প্রেরন করা হয় ।কিন্তুু দু:খের বিষয় মিথ্যা স্বাক্ষীর কারনে মামলাটি নথিযাত করা হয় । ফলে বিবাদী সেই সুযোগ গ্রহন করেন । আপিল করতে চাইলে স্থানীয়রা আপোষ-মীমাংসা করতে চাইলে আমার পরিবার রাজি হয় ।পরে কিছু জমি ক্রয় করি, এবং বাকিটা করতে চাই । আমারদের ৬৩ শতাংশ জমির মাঝে ২৭ শতাংশ জমি বিবাদী তার নানির বাড়ি ওয়ারিস মালিক দাবি করেন।
অপরদিকে মামলার বিবাদী আব্দুল মোন্নাফ বেপারি জানান, বাদী ইউনুছ তার বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন । তিনি বলেন ইউনুছ আমাদের নামে ফৌজদারি মামলা করেন, যাহার নং-৬৩-২০১৬ইং । এই মামলাটি হয়রানির উদ্দেম্যে করা হয় । আমার নানির বাড়ি সম্পত্তি ওয়ারিস মূলে মালিক আমরা । নালিশী সম্পত্তি আর এস দাগ নং-৬০৮ যাহার দাবি আমার নাই । আমাদেও দাবি ৬০৭ দাগে ।
উল্লেখ্যযে, ইউনুছ শেখ ৬৩ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক দাবি করেন তিনি । ২৭ শতাংশ মালিক আমরা ।
ইউনুছ জমি ক্রয় করেন উমেদ তালুকদারের অংশ। এই সম্পত্তি সুতারপাড়া মৌজায় খালপাড় গ্রামে এস এ খতিয়ান-৮০১ ও ৭৫৪, খারিজা ৪০১/১ সি এস ও এস এ দাগ নং-৫০৪,৫০৫,৫০৬ । আর এস দাগ নং-৬০৬,৬০৭,৬০৮ জমির পরিমান ১শত ৫৮ শতাংশ । এর মাঝে ৬৩ শতাংশ দাবি করেন ইউনুছ । কিন্তুু আমাদের দাবি রয়েছে তার ক্রয় করার জমিতে । আমরা তার জমিতে গাছ কাটি নাই ।
স্থানীয়সূত্রে জানাযায় ইউনুছ জমি ক্রয় করেছেন এটি সত্য ,তার দখলেও ছিল এখন ওয়ারিস দাবি করে জোর পূর্বক গাছ কর্তন করা সঠিক হয়নি । যেহেতু নালিশী জমিতে বিজ্ঞ আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলমান আদালতের আদেশ পর্যন্ত অপেক্ষা করা উভয় পক্ষের জন্য ইতিবাচক ।