30/05/2025
ধনীরা কপালে ভর করে ধনী হয়নি। তারা হঠাৎ করে টাকার ওপর পড়ে যায়নি। তারা এমন একটা খেলা খেলেছে, যা তোমাকে কেউ শেখায়নি। আর তারা তোমাকে সেটা শেখাতেও চায় না—কারণ তুমি একবার নিয়ম শিখে ফেললে, তখনই তুমি হয়ে উঠবে হুমকি।
এটা শুধুই তাদের জন্য, যারা ভাঙতে চায় শিকল, যারা নিজের জীবন পাল্টাতে চায়। তাই শুনো, শুধু নিজের জন্য নয়—তোমার বন্ধুবান্ধব, ভাইবোনদের জন্যও। এই ৭টা গোপনীয় সত্য যদি তুমি মনপ্রাণ দিয়ে কাজে লাগাও, তাহলে ১২ মাসের মধ্যেই তুমি হয়ে উঠতে পারো একজন মিলিয়নিয়ার। কারণ এটা শুধু স্বপ্ন নয় এটা তোমার বাঁচার পথ।
*ধনীরা কখনো সময়ের বিনিময়ে টাকা নেয় না, তারা “মূল্য” দিয়ে সম্পদ গড়ে। তুমি যখন সকাল-সন্ধ্যা চাকরি করো, তখন তারা এমন সিস্টেম বানায় যা ২৪/৭ কাজ করে—ইনভেস্টমেন্ট, ডিজিটাল অ্যাসেট, বিজনেস। সময় সীমিত, কিন্তু সিস্টেম সীমাহীন। পার্থক্যটা বুঝো।
*ঋণ খারাপ নয়—মূর্খতা খারাপ।
ধনীরা “ভালো ঋণ” দিয়ে সাম্রাজ্য বানায়: প্রপার্টি, যন্ত্রপাতি, বিজনেস ক্যাপিটাল। আর তুমি “খারাপ ঋণ” নিয়ে দেখাও: আইফোন, নাইটক্লাব, গাড়ি। ঋণ যদি টাকা না আনে, সেটা দাসত্ব।
*৯-৫ খেতে দেবে—কিন্তু মালিকানা তোমায় মুক্তি দেবে।
তারা চাকরির আয় দিয়ে বিজনেস শুরু করে। তুমি সেই আয় দিয়ে শো-অফ করো। একদিকে গড়ে উঠে সাম্রাজ্য, আরেকদিকে জমে দায়। নিজের কিছু তৈরি করো—যেটুকু থাকে, সেখান থেকেই শুরু করো।
*তোমার নেটওয়ার্কই তোমার সম্পদ।
তারা কখনো হতাশ, নেগেটিভ মানুষের সঙ্গে সময় কাটায় না। প্রতিটি বন্ধু দেয় কিছু না কিছু: জ্ঞান, যোগাযোগ, মূলধন। যদি তোমার আশেপাশের লোকেরা তোমায় টানছে না, তারা তোমার শক্তি খাচ্ছে। কেটে ফেলো।
*নীরবতা ধনীদের কৌশল।
তারা ঢাকঢোল বাজায় না। তারা ছায়ার মতো চলে, বজ্রের মতো আঘাত হানে। তুমি যখন সোশাল মিডিয়ায় ফেক লাইফ দেখাও, তারা তখন জমি, শেয়ার, ব্যবসা কিনে নিচ্ছে। চুপচাপ কাজ করো, ঝড় তুলে দাও।
* ধনীরা প্রতিদিন আর্থিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করে।
তারা বই পড়ে, কোর্স করে, মাস্টারমাইন্ডে যায়। আর তুমি? নাটক, ফুটবল, পর্ন দেখো। আজকের দিনে জ্ঞানই নতুন টাকা। শিখো, নইলে গরিব থাকো।
*তারা বিক্রি করে। শেষ কথা।
প্রতিটা মিলিয়নিয়ারই বিক্রেতা। কেউ পণ্য বিক্রি করে, কেউ ব্র্যান্ড, কেউ সার্ভিস, কেউ স্কিল। যদি তুমি বিক্রি করতে না পারো, তাহলে কে তোমায় কিনবে।
সংগৃহীত