ওয়াফি পাবলিকেশন

ওয়াফি পাবলিকেশন A Bangladeshi Publication House

ফিতনার উদাহরণ হলো অন্ধকারের মতো। আর সেই অন্ধকারে পথ খুঁজে বের করার একমাত্র উপায় হলো ইলম। ওয়াফি পাবলিকেশনের লক্ষ্য সেই ঘোর অন্ধকারে আলো জ্বেলে দেওয়া। পথিককে জ্ঞানের পথ দেখিয়ে দেওয়া। আমাদের এই পথচলায় আপনিও হোন আমাদের সাথী...

ঠিকানা: গিয়াস গার্ডেন মার্কেট, নিচ তলা, দোকান নং ১, বাংলাবাজার, ঢাকা।

ঘুমের ভারসাম্য: সুন্নাহ ও সালাফদের দৃষ্টিভঙ্গিসৃষ্টির মূলনীতি হলো ভারসাম্য। যারা মধ্যপন্থা অবলম্বন করে, তারাই প্রকৃত কল্...
08/10/2025

ঘুমের ভারসাম্য: সুন্নাহ ও সালাফদের দৃষ্টিভঙ্গি
সৃষ্টির মূলনীতি হলো ভারসাম্য। যারা মধ্যপন্থা অবলম্বন করে, তারাই প্রকৃত কল্যাণ অর্জন করে। ইমাম ইবনে আবিদ দুনইয়া তাঁর আল-আদাব আল-কুবরা গ্রন্থে এক হাকীমের কথা উদ্ধৃত করেছেন: "তন্দ্রা (অপর্যাপ্ত ঘুম) বুদ্ধিকে নিস্তেজ করে তোলে, কিন্তু পূর্ণ ঘুম তা শাণিত করে।"
এখানে 'তন্দ্রা' বলতে বোঝানো হয়েছে সেই হালকা ও অসম্পূর্ণ ঘুম, যা মনকে বিশ্রাম না দিয়ে বরং বিভ্রান্ত করে ফেলে। পক্ষান্তরে, 'ঘুম' বলতে বোঝানো হয়েছে পরিপূর্ণ বিশ্রাম, যা বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তিকে উজ্জ্বল করে তোলে।
তবে মনে রাখতে হবে, শরীরের প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুম ইবাদতে অলসতা সৃষ্টি করে এবং চিন্তাশক্তিকে নিস্তেজ করে দেয়। এতে ফজরের বরকতপূর্ণ সময় এবং রাতের ইবাদতের সুযোগ হাতছাড়া হয়, যা আত্মিক উন্নতির পথে বড় বাধা। সালাফদের জীবনাচরণে দেখা যায়, তাঁরা অতিরিক্ত ঘুমকে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে করতেন।
ফুদাইল ইবনে ইয়াদ রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন: "দুটি বৈশিষ্ট্য হৃদয়কে কঠিন করে তোলে-অতিরিক্ত ঘুম এবং অতিরিক্ত খাওয়া।"(তারিখে দিমাশক ৪৮/৪২২)
অনুরূপভাবে, ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন: "হৃদয়কে কলুষিত করে এমন পাঁচটি জিনিস হলো: মানুষের সাথে অতিরিক্ত মেলামেশা, অহেতুক আকাঙ্ক্ষা, আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর প্রতি আসক্তি, পেট ভরে খাওয়া এবং অতিরিক্ত ঘুম।
এই পাঁচটিই হৃদয়ের সবচেয়ে বড় কলুষতা।” এই বিষয়গুলো হৃদয়কে আধ্যাত্মিকভাবে অসুস্থ করে তোলে এবং আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, ফলে সৎকর্মের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়।
প্রকাশিতব্য ‘মুমিনের ঘুম ও জাগরণ’ বই থেকে নেয়া।

একজন অন্ধ মহিলার দোয়া কবুলের গল্পশুয়াইব বিন মুহরিজ বলেন, 'মুহাম্মাদ বিন সুলাইমান বিন আলি বিন আবদুল্লাহ বিন আব্বাসের যুগে...
07/10/2025

একজন অন্ধ মহিলার দোয়া কবুলের গল্প
শুয়াইব বিন মুহরিজ বলেন, 'মুহাম্মাদ বিন সুলাইমান বিন আলি বিন আবদুল্লাহ বিন আব্বাসের যুগে একবার আমি শুনলাম যে, এক মহিলা অন্ধ ছিল, পরে রমজানের চব্বিশতম রাতে তার চোখ সেরে গেছে। ঘটনা শুনে আমি মহিলাটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলাম।
তার ঘর ছিল বসরার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত মুসার ঘরের কাছে। সেখানে যাওয়ার পর তিনি আমাকে বাইরে বসতে বললেন। কিছুক্ষণ পর তিনি বের হলে আমি তাকে বললাম, "হে আল্লাহর বান্দী, চোখের বিষয়ে আপনার রবকে কীভাবে ডেকেছিলেন?”
তিনি বললেন, "সেদিন রাতের প্রথমভাগে আমি মহল্লার মসজিদের নামাজ পড়লাম। তারপর যখন শেষরাত এল, আমি ঘরের নামাজের স্থানে নামাজে দাঁড়ালাম এবং দুআ করলাম এই বলে-'হে আইয়ুবের বিপদ মোচনকারী।
হে ওই সত্তা-যিনি ইয়াকুবের বার্ধক্যকে দয়া করেছেন, হে ওই সত্তা-যিনি ইউসুফকে ইয়াকুবের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন, আমাকে আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিন।' তখন মনে হলো যেন একজন মানুষ আমার চোখ অবমুক্ত করে দিল এবং দেখতে শুরু করলাম”। (মুজাবুদ দাওয়াহ, ইবনু আবিদ দুনইয়া, পৃ. ৭৯-৮০)
‘মিরাকুলাস প্রেয়ারস’ বই থেকে নেয়া। বইটির অর্ডার লিংক কমেন্টে।

দুআ ইউনুসের সারকথাইউনুস নবীর দুআ (لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ) 'আপনি ছাড়া সত্য কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র' বাক্...
07/10/2025

দুআ ইউনুসের সারকথা
ইউনুস নবীর দুআ (لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ) 'আপনি ছাড়া সত্য কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র' বাক্যে চারটি কথার অর্থ রয়েছে, যে চারটি বাক্য কুরআনের পর সেরা বাক্য। আর এই চার বাক্য আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ, তাঁর মহান গুণসমূহের অর্থ বহন করে এবং প্রমাণ করে সর্বোচ্চ প্রশংসা একমাত্র তাঁর জন্যই।
দুআর দ্বিতীয় অংশ (إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِين) 'নিশ্চয়ই আমি অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি' বাক্যে নিজের বাস্তব অবস্থার স্বীকারোক্তি রয়েছে। দুনিয়ায় এমন কোনো বান্দা নেই যে পাপ থেকে মুক্ত, কারও পক্ষে সম্ভবও নয় সাক্ষ্য দেয়া-তার পাপ নেই, বিশেষ করে যখন আল্লাহর সাথে দুআয় কথা বলার মুহূর্ত আসে।
বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন: (لا يَنْبَغِي لِعَبْدٍ أَنْ يَقُولَ: أَنَا خَيْرٌ مِن يُونُسَ بنِ مَتَى )'কোনো বান্দার জন্য এটা বলার সুযোগ নেই, "আমি ইউনুস বিন মাত্তার চাইতে উত্তম।" তিনি (স.) আরও বলেছেন;(من قال: أنا خَيْرٌ مِن يُونُسَ بنِ مَتَى، فَقَدْ كَذَبَ.) 'যে বলে "আমি ইউনুস বিন মাত্তার চাইতে উত্তম", সে মিথ্যা বলেছে।
যে মনে করে সে নবী ইউনুসের চাইতে উত্তম এবং তার নিজের গুনাহের স্বীকারোক্তির প্রয়োজন নেই, সে একজন মিথ্যুক। এজন্য সৃষ্টির সরদারগণ খুলাফায়ে রাশিদীন-এই ক্ষেত্রে কখনো মনে করেননি তাঁরা ইউনুস (আ.)-এর চাইতে উত্তম; বরং তাঁরা তাঁদের বাবা আদম (আ.) এবং সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (৬)-এর মতোই দুআয় নিজেদের গুনাহ স্বীকার করে নিতেন।
‘বিপদমুক্তির হাতিয়ার দুআ ইউনুস’ বই থেকে নেয়া। বইটির অর্ডার লিংক কমেন্টে।

এই নতুন দুটো বইয়ের মধ্যে কোনটা আপনার বেশি পছন্দ?চাইলে মেলায় এসে দেখে যেতে পারেন। ওয়াফির স্টলের পাশেই রয়েছে বই পড়ার সুব্য...
07/10/2025

এই নতুন দুটো বইয়ের মধ্যে কোনটা আপনার বেশি পছন্দ?
চাইলে মেলায় এসে দেখে যেতে পারেন। ওয়াফির স্টলের পাশেই রয়েছে বই পড়ার সুব্যবস্থা।
স্থান: স্থান: বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণ (পূর্ব চত্বর)
স্টল নং: ১১৮-১১৯
স্টল: ওয়াফি

মুসলিম ভাইয়ের প্রতি কল্যাণকামিতা অবশ্য পালনীয় কর্তব্যনবীজী বলেছেন, এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের ছয়টি হক রয়েছে: হাঁচিদা...
06/10/2025

মুসলিম ভাইয়ের প্রতি কল্যাণকামিতা অবশ্য পালনীয় কর্তব্য
নবীজী বলেছেন, এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের ছয়টি হক রয়েছে: হাঁচিদাতার উত্তর দেওয়া, অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া, ব্যক্তির উপস্থিতি-অনুপস্থিতি সর্বাবস্থায় কল্যাণ কামনা করা, সাক্ষাতে সালাম দেওয়া, দাওয়াত গ্রহণ করা এবং মারা গেলে জানাযায় উপস্থিত হওয়া।'(. সহীহুত তারগীব: ৩৪৯৫)
জারির বিন আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি নবীজী এর নিকট এই মর্মে বাইয়াত নিয়েছি যে, নামাজ কায়েম করব, যাকাত প্রদান করব এবং প্রত্যেক মুসলমানের কল্যাণ কামনা করব।' (মুত্তাফাক আলাইহি)
এক হাদীসে নবীজী বলেন, “দ্বীন হলো কল্যাণ কামনার নাম।”২ অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে, প্রিয়নবী তিনবার বললেন, “দ্বীন হলো কল্যাণকামিতা। সাহাবাগণ (রা.) বললেন, কার জন্য কল্যাণকামিতা, হে আল্লাহর রাসূল?
জবাবে নবীজী বললেন, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের জন্য, তাঁর কিতাবসমূহ, রাসূলগণ এবং মুসলিম উম্মাহর ইমামগণ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য কল্যাণকামিতা।”(সহীহুল জামে: ২৩২৪-মুসলিম: ৫৫)
‘যে ভালোবাসা আল্লাহর জন্য’ বই থেকে নেয়া। বইটির অর্ডার লিংক কমেন্টে।

উমর ইবনে খাত্তাব রা.-এর বিয়ের গল্পপূর্বসূরি নেককার প্রজন্মের মধ্যে অধিকাংশ সাহাবি এবং তাবেঈ একাধিক বিয়ে করেছেন। 'বিয়ে জী...
06/10/2025

উমর ইবনে খাত্তাব রা.-এর বিয়ের গল্প
পূর্বসূরি নেককার প্রজন্মের মধ্যে অধিকাংশ সাহাবি এবং তাবেঈ একাধিক বিয়ে করেছেন। 'বিয়ে জীবনে একবার' জাতীয় বিষাক্ত ও অযৌক্তিক কোনো বক্তব্য ছিল না সেই সমাজে। তবে তাদের সেই একাধিক বিয়ে শুধু প্রবৃত্তির বাসনা পূরণকল্পে হতো না। বরং সেগুলোর পিছনে থাকত মহান কোনো উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।
উমর রা. মক্কার একজন নারীকে বিয়ে করেন। সে ছিল এমন পরিবারের অন্তর্ভুক্ত যেখানকার সকল নারীই অধিক সন্তান প্রসব করতেন। বিয়ের পর এক লোক এসে শুভেচ্ছা জানায় তাঁকে। আর বলে, আপনি তাকে বিয়ে করে ভালোই করেছেন। আসলে অধিক সন্তান প্রসবকারিণী স্ত্রীর চেয়ে উত্তম নেয়ামত আর কী হতে পারে! উমর রা. বললেন, সন্তান প্রসবের ব্যাপার না থাকলে আমি বিয়েই করতাম না।
পরবর্তীকালে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু আরও কয়েকটি বিয়ে করেন। অধিক বিয়ের কারণ জিজ্ঞেস করলে, উমর রা. বলেন, নারীদের প্রতি আমি খুব লোভী সে কারণে এত বিয়ে করি না আমি। বরং আমার আশা হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা আমার মাধ্যমে অনেক সন্তান নিয়ে আসবেন দুনিয়াতে।
যাদেরকে নিয়ে কেয়ামতের দিন অন্যান্য নবিদের সাথে সংখ্যাধিক্যের গর্ব করতে পারবেন আমাদের প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আর আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, তোমরা কুমারী মেয়েকে বিয়ে করবে। কেননা তারা মিষ্টভাষী, উত্তম চরিত্রের অধিকারী, নির্মল জরায়ুধারী। আর আমি তোমাদেরকে নিয়ে কেয়ামতের দিন অন্য জাতির সাথে সংখ্যাধিক্যের গর্ব করব।
উমর রা.-এর সর্বশেষ স্ত্রী ছিলেন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর কন্যা উম্মে কুলসুম রহ.। এই বিয়েতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য ছিল অনেক বেশি। তো বিয়ের পর তিনি মসজিদে নববিতে গিয়ে রিয়াযুল জান্নাতে বসেন। তখন মুহাজির ও আনসার সাহাবিগণ এসে বিয়ের শুভেচ্ছা জানান এবং বরকতের দুআ করেন।
সে সময় উমর রা. বলেন, বয়সের অনেক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমি আলির মেয়েকে বিয়ে করেছি একটিমাত্র কারণে। তা হচ্ছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছি, কেয়ামতের দিন সমস্ত উসিলা এবং বংশ-পরিচয় অকেজো হয়ে পড়বে। কাজে লাগবে শুধু আমার উসিলা এবং বংশ-পরিচয়। নবিজির বংশের সাথে সম্পর্ক জুড়তেই আমি এই বিয়ে করেছি।(ইমাম বায়হাকি, সুনানে কুবরা: ৭/৬৩)
‘নবি ও ওলিদের বিয়ের গল্প’ বই থেকে নেয়া। বইটির অর্ডার লিংক কমেন্টে।

05/10/2025

আদম আলাইহিস-সালাম এবং প্রথম হজ্জের প্রতিদান
আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেন, "আদম আলাইহিস-সালাম হজ্জের কার্যাবলি সম্পন্ন করে আত্বাহ নামক স্থানে ছিলেন।
ফেরেশতারা এসে তাকে সালাম জানালেন: 'আস-সালামু আলাইকুম, হে আদম! অমরা তো এই বাইতুল্লাহর হজ্জ আদায় করেছি আপনার দুই হাজার বছর পূর্বে।'
আদম আলাইহিস-সালাম আল্লাহকে বললেন, 'হে আল্লাহ, আমি যে হজ্জের কার্যাবলি সম্পন্ন করলাম এতে আমার কী প্রতিদান?'আল্লাহ বললেন, 'তুমি যা চাইবে তা-ই পাবে।'
আদম আলাইহিস-সালাম আল্লাহকে বললেন, 'আমি চাই, আমাকে এবং আমার সন্তানদের ক্ষমা করে দেওয়া হোক।'
আল্লাহ তাকে জানালেন, 'তোমাকে তো আমি জান্নাতে থাকতেই ক্ষমা করে দিয়েছি। আর তোমার সন্তানদের মধ্যে যারা আমার প্রতি ঈমান আনবে এবং কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হবে, আমি তাদের ক্ষমা করে দেব।'
`আল্লাহর প্রতি সুধারণা' বই থেকে নেয়া। বইটির অর্ডার লিংক কমেন্টে।

আয়-ব্যায়ের ব্যাখ্যা: আজকের সিদ্ধান্ত, আগামী দিনের নিশ্চয়তাবুদ্ধিমান মানুষের আয় তার ন্যূনতম প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হয়। বিপদে...
05/10/2025

আয়-ব্যায়ের ব্যাখ্যা: আজকের সিদ্ধান্ত, আগামী দিনের নিশ্চয়তা
বুদ্ধিমান মানুষের আয় তার ন্যূনতম প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হয়। বিপদে যেন কাজে লাগে এজন্য তারা কিছু টাকা সঞ্চয়ও করে। হতে পারে কখনো হয়তো কামাই রোজগারের জন্য কোনো সমস্যার কারণে কাজ করতে পারছেন না। এই সঞ্চয় তখন খুব কাজে আসবে। সন্তান হলে টাকা লাগবে।
আরেকটি বিয়ে করতে চাইলে টাকা লাগবে। চাকরবাকর প্রয়োজন হলেও টাকার দরকার। আবার সন্তানের যদি টাকাপয়সার প্রয়োজন হয়, তা হলেও তো টাকা চাই। তাই জীবিকা যথেষ্ট কি না সেটা খেয়াল রাখবেন।
মোদ্দাকথা ব্যয়ের চেয়ে আপনার আয় বেশি হতে হবে। তা হলে কিছু টাকা বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হলে টাকা সঞ্চয় হবে না। তখন বিপদে পড়লে কূলকিনারা খুঁজে পাবেন না।
পরিণামের কথা চিন্তা করে বলে বিবেক কিন্তু আপনাকে এই উপদেশই দেয়। কিন্তু খায়েশের চিন্তা শুধু আজকের জীবন নিয়ে। কাল কী হবে সেটা নিয়ে ওর কোনো মাথাব্যথা নেই।
আবূদ-দারদা' বলেছেন "গভীর বুঝদার মানুষ ভবিষ্যৎ জীবনের ভাবনা আগে থেকে ভেবে রাখে।”
‘মনের উপর লাগাম’ বই থেকে নেয়া। বইটির অর্ডার লিংক কমেন্টে।

ইস্তিগফার খুলে দেয় রিজিকের দুয়ার ইস্তিগফার, ক্ষমাপ্রার্থনা হচ্ছে গুনাহ থেকে মুক্তি ও পবিত্রতা লাভের উপায়। বুদ্ধিমান ব্যক...
04/10/2025

ইস্তিগফার খুলে দেয় রিজিকের দুয়ার
ইস্তিগফার, ক্ষমাপ্রার্থনা হচ্ছে গুনাহ থেকে মুক্তি ও পবিত্রতা লাভের উপায়। বুদ্ধিমান ব্যক্তিমাত্রই এই কথা জানে, পাপের কুফল ও বিষক্রিয়ার ফলে রিজিক ও কল্যাণ থেকে বান্দা কতটা বঞ্চিত হয়। হ্যাঁ, যখন অন্তর পবিত্র হয়ে যায় এবং পাপের বোঝা ও বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যায়, তখন সে উপার্জনের চেষ্টা এবং পরিশ্রম করার উদ্যম ফিরে পায়।
প্রশ্ন আসতে পারে ইস্তিগফার বা ক্ষমাপ্রার্থনার কেন এত ফজিলত? মূলত আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাওয়ার দ্বারা বান্দা নির্জনে হীনতা প্রাকাশের পাশাপাশি আল্লাহ তাআলার বড়ত্বের স্বীকৃতি প্রদান করে। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা হজরত নুহ আ.-এর একটি বক্তব্য কুরআনে তুলে ধরেছেন, 'আমি বলেছি, তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করো।
তিনি তো মহাক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদীনালা।' (নুহ: ১০-১২) অর্থাৎ বিরতিহীন বৃষ্টি দান করবেন, যা বিভিন্ন গিরিপথ ও নিম্নভূমিতে পানি সিঞ্চন করবে। বিভিন্ন অঞ্চল ও তথাকার অধিবাসীদের সতেজ ও সজীব করবে।
এসব গুণ যে ব্যক্তি নিজের মধ্যে ধারণ করে, আল্লাহ তার জন্য জীবিকা উপার্জন সহজ করে দেন। অন্যান্য কাজকর্মও সহজ করে দেন এবং তাকে নিরাপত্তা দান করেন।
হজরত ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ বলেছেন, 'যে ব্যক্তি ইস্তিগফারের প্রতি যত্নবান হয়, আল্লাহ তাআলা তাকে সকল সংকীর্ণতা থেকে বের হওয়ার পথ করে দেন। সকল চিন্তা থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করেন। এমন স্থান থেকে তাকে রিজিক দান করেন যা তার কল্পনায়ও ছিল না।'(আবু দাউদ, ১৫১৮। ইবনে মাজাহ, ৩৮১৯)
`রিজিক বৃদ্ধির ৩০ উপায়' বই থেকে নেয়া। বইটির অর্ডার লিংক কমেন্টে।

প্রশ্ন, ধৈর্য ও সফরের পাঠ: ইমাম গাযালীর চিঠিআহমাদ,আজকের পর থেকে তুমি আমাকে প্রশ্ন না করে নিজের অন্তরকেই জিজ্ঞেস করে নেবে...
04/10/2025

প্রশ্ন, ধৈর্য ও সফরের পাঠ: ইমাম গাযালীর চিঠি
আহমাদ,
আজকের পর থেকে তুমি আমাকে প্রশ্ন না করে নিজের অন্তরকেই জিজ্ঞেস করে নেবে। দেখো, আল্লাহ তাআলা কী বলেছেন, 'তুমি বের হয়ে তাদের নিকট আসা পর্যন্ত তারা যদি ধৈর্যধারণ করত, তাহলে তা-ই তাদের জন্য উত্তম হতো। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' (সূরা হুজুরাত, ৪৯: ৫)।
খিজির (আ.)-এর উপদেশ থেকে শিক্ষা নাও। তিনি বলেছেন, 'আচ্ছা, তুমি যদি আমার অনুসরণ কর-ই, তাহলে কোনো বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করো না, যতক্ষণ না আমি সে সম্বন্ধে তোমাকে কিছু বলি।' (সূরা কাহাফ, ১৮: ৭০)। আর হ্যাঁ, সময় হবার আগে কোনো কিছুর পেছনে পড়ো না।
আল্লাহ তাআলা বলেন, 'মানুষ সৃষ্টিগতভাবে ত্বরা-প্রবণ, শীঘ্রই আমি তোমাদেরকে আমার নিদর্শনাবলি দেখাব; সুতরাং তোমরা আমাকে তাড়াতাড়ি করতে বলো না।' (সূরা আম্বিয়া, ২১: ৩৭)।
কাজেই সময় আসার আগে আমাকে প্রশ্ন করো না। এটা তো জানো, সফর ছাড়া কখনও কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। 'ওরা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না এবং দেখে না?' (সূরা রুম, ৩০:৯)
ইতি
তোমার প্রিয় উস্তাদ,
আবু হামিদ আল-গাযালী
`ইমাম গাযালীর চিঠি' বই থেকে নেয়া। বইটির অর্ডার লিংক কমেন্টে।

03/10/2025

ঘুমের অভাবে যেসব ক্ষতি হয়ে থাকে
প্রতিদিন আমাদের শরীরের নির্দিষ্ট সময় ঘুমের প্রয়োজন হয়, যা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর 'ঘুমের ঋণ' (sleep debt)-এ বাঁধা পড়ে যায়। এই ঘাটতি ধীরে ধীরে জমতে থাকে এবং একপর্যায়ে তা আমাদের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতায় মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
আজকের দিনে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম নানা কারণে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ঘুমায়। পরীক্ষার চাপ, রাত জেগে বিনোদন দেখা, টানা ইন্টারনেট ব্যবহার, মোবাইল জ্বিনে সময় ব্যয়, কিংবা অব্যবস্থাপনার কারণে ঘুমকে তারা অবহেলা করে। এর ফলাফল হয় ভয়াবহ-চিন্তায় অসঙ্গতি দেখা দেয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠে, ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া এমনকি বিপজ্জনক দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ে।
একজন ব্যক্তি যদি ১৭ ঘণ্টা একটানা জেগে থাকেন, তবে তার প্রতিক্রিয়া এমন হয় যেন তার রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা ০.০৫%! অ্যালকোহলের এই মাত্রা অনেক দেশের ট্রাফিক আইনে সীমার বাইরে। তাই আশ্চর্যের কিছু নেই যে, অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে সৃষ্ট ক্লান্তিই বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
যদি আপনি ঘুমের ঘাটতিতে ভোগেন, তাহলে যতো দ্রুত সম্ভব তা পূরণের চেষ্টা করুন। সুযোগ পেলে দিনের বেলায় কিছুক্ষণ ঘুমিয়েও ঘাটতি সাময়িকভাবে পূরণ করা যায়। প্রিয় নবী নিজেও সাহাবীদের ক্লান্ত দেখলে বিশ্রাম নিতে বলতেন।
প্রকাশিতব্য: ‘মুমিনের ঘুম ও জাগরণ’ বই থেকে নেওয়া।

ইখলাস ও সাধনার সাথে নেক আমল করাই হলো আত্মিক ইবাদতআত্মিক ইবাদত হলো দীন ও ঈমানের ভিত। এটাই ইসলামের মৌলিক ও প্রধান স্তম্ভ। ...
03/10/2025

ইখলাস ও সাধনার সাথে নেক আমল করাই হলো আত্মিক ইবাদত
আত্মিক ইবাদত হলো দীন ও ঈমানের ভিত। এটাই ইসলামের মৌলিক ও প্রধান স্তম্ভ। বলতে গেলে বাহ্যিক ইবাদত তো আত্মিক ইবাদত ছাড়া কবুলই হয় না। কারণ, যেকোনো ইবাদত কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হলো-ইখলাস বা আল্লাহর সন্তুষ্টি। ইখলাছ হলো আত্মিক ইবাদত।
এ কারণে আত্মিক ইবাদত সবার ওপর ফরজ। ক্ষণিক মুহূর্তের জন্যও তা ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। বাহ্যিক ইবাদতের মতো আত্মিক ইবাদতের ক্ষেত্রেও মানুষ তিনটি স্তর বা শ্রেণিতে বিভক্ত :
(১) 'যালিমুন লি-নাফসিহি' তথা নিজের ওপর অত্যধিক জুলুমকারী।
(২) 'মুক্বতাসিদ' তথা মধ্যপন্থী।
(৩) 'সাবিকুন বিল-খাইরাত' তথা নেক কাজে অগ্রণী।
প্রতিটি মুমিনের প্রথম কর্তব্য হলো-অন্তরকে পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করে সুকুমারবৃত্তি বিকশিত করা। অর্থাৎ আত্মশুদ্ধির প্রতি সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেওয়া। কারণ, ভেতরটা কলুষিত থাকলে বাহ্যিক চাকচিক্যের কোনো মূল্য নেই।
অন্তরাত্মাকে যে যত পরিশুদ্ধ করবে তার শারীরিক ইবাদতগুলো ততই ঠিক হতে থাকবে। আর আত্মা পরিশুদ্ধ হয় ইখলাসের সাথে আমল করার দ্বারা, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসার দ্বারা।
`ঈমান পরিচর্যা' বই থেকে নেয়া। বইটির অর্ডার লিংক কমেন্টে।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ওয়াফি পাবলিকেশন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ওয়াফি পাবলিকেশন:

Share

Category