22/09/2024
বাংলাদেশে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করা নিয়ে কিছু যুক্তি উল্লেখ করা যেতে পারে, যা সমাজ ও অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে উপযোগী হতে পারে:
# # # ১. **বেকারত্ব হ্রাস**:
বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, কিন্তু চাকরির বাজার তুলনামূলকভাবে সংকুচিত। বর্তমানে ৩০ বছর বয়সসীমা অনেকের জন্য চাকরির সুযোগ সীমিত করে দিচ্ছে। বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হলে, অনেক শিক্ষিত ও বেকার তরুণ-তরুণীরা যারা বিভিন্ন কারণে নির্দিষ্ট সময়ে চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারেনি, তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।
# # # ২. **শিক্ষার সময়কাল বৃদ্ধি**:
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কারণে পড়াশোনা শেষ করতে বিলম্বিত হচ্ছে, যেমন সেশনজট, উচ্চশিক্ষার জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয় ইত্যাদি। চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হলে, তারা পড়াশোনা শেষ করে আরও প্রস্তুতি নিয়ে যোগ্যভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।
# # # ৩. **ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ**:
শুধু শিক্ষা নয়, একজন ব্যক্তি বিভিন্ন পেশাগত বা জীবন দক্ষতা অর্জন করতে সময় নিতে পারে। বয়সসীমা বৃদ্ধি পেলে ব্যক্তিরা আরও দক্ষ হয়ে চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারবে, যা সামগ্রিকভাবে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
# # # ৪. **বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট**:
অনেক উন্নত দেশে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মতো। বাংলাদেশেও এ ধরনের বয়সসীমা থাকলে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রতিযোগিতা সক্ষম হবে।
# # # ৫. **মানসিক চাপ হ্রাস**:
কম বয়সে চাকরি পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। ৩৫ বছর বয়সসীমা করা হলে, শিক্ষার্থীরা চাকরি পাওয়ার জন্য চাপ কম অনুভব করবে এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে গভীরভাবে মনোনিবেশ করতে পারবে।
# # # ৬. **পরিবার ও সামাজিক দায়িত্ব**:
অনেকের ক্ষেত্রে পারিবারিক দায়িত্ব বা অন্যান্য সামাজিক পরিস্থিতির কারণে ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হলে এদের জন্য কাজের সুযোগ বাড়বে এবং তাদের পরিবারও আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারবে।
এইসব যুক্তির ওপর ভিত্তি করে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করা যেতে পারে, যা ব্যক্তিগত এবং সামষ্টিক উভয় দিকেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।