15/07/2025
বাস্তবতা এক কঠিন সত্য 🤣
মৃত এএসপি পলাশ সাহার স্ত্রী গিয়েছিলেন একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। এমডি সাহেব তার সামনে বসা মহিলার CV দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, কিরকম বেতন প্রত্যাশা করেন আপনি?
জবাবে সুস্মিতা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন, কমপক্ষে এক লাখ টাকা।
এমডি সাহেব বিস্ময় গোপন করে দ্বিতীয় প্রশ্ন করলেন, আপনার কি কোনো খেলার প্রতি আগ্রহ আছে?
সুস্মিতা উত্তর দিলেন, আমি দাবা খেলতে খুব ভালোবাসি।
এমডি সাহেব হাসিমুখে বললেন, দাবা তো খুব মজার খেলা। তা দাবার কোন ঘুঁটিটি আপনার সবচেয়ে বেশি প্রিয়?
সুস্মিতা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলেন, মন্ত্রী।
এমডি সাহেব বললেন, কেন? আমার তো মনে হয় ঘোড়ার চাল সবচেয়ে ইউনিক।
সুস্মিতা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, হ্যাঁ, ঘোড়ার চলাফেরা আকর্ষণীয়, কিন্তু মন্ত্রীর মধ্যে সব গুণ আছে। সে কোণাকুণি চলতে পারে, সোজাসুজি এগোতে পারে, আবার প্রয়োজন হলে রাজার ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যায়।
এমডি সাহেব প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, তাহলে রাজাকে আপনি কীভাবে দেখেন?
সুস্মিতা বললেন, দাবার খেলায় আমি রাজাকে সবচেয়ে দুর্বল মনে করি। সে নিজেকে রক্ষা করার জন্য মাত্র একটি ঘর যেতে পারে, অন্যদিকে মন্ত্রী রাজার পাশে দাঁড়িয়ে সবদিক থেকে সুরক্ষা দেয়।
এমডি সাহেব মহিলার উত্তরে চমৎকৃত হয়ে জানতে চাইলেন, তাহলে আপনি নিজেকে দাবার কোন গুটির সঙ্গে তুলনা করবেন?
সুস্মিতা নির্দ্বিধায় বললেন, রাজা।
এমডি সাহেব কিছুটা অবাক হয়ে বললেন, কিন্তু আপনি তো রাজাকে দুর্বল মনে করেন। তাহলে নিজেকে কেন রাজা বলছেন?
সুস্মিতা মৃদু হেসে বললেন, বাস্তবেই আমি ছিলাম রাজা, আর আমার মন্ত্রী ছিল আমার স্বামী। তিনি আমাকে সারাক্ষণ আগলে রাখতেন। কিন্তু এখন তিনি আর আমাদের মাঝে নেই।
এমডি সাহেবের গলা এবার কেঁপে গেল, আপনি কেন এই চাকরি করতে চান?
ততক্ষণে মহিলা চোখের কোণ বেয়ে অশ্রু নেমেছে। কিছুটা স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করে তিনি বললেন, কারণ আমার মন্ত্রী আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর, এখন আমাকেই মন্ত্রী হয়ে আমার পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে।
মহিলার জবাবে সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলেন। কয়েক মুহূর্তের জন্য ঘরের মধ্যে পিনপতন নীরবতা নেমে এলো। কিছুক্ষণ পর এমডি সাহেব চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে বলে উঠলেন, আপনি একজন সাহসী নারী। আপনার জন্য শুভকামনা। গল্পটি কাল্পনিক হলেও বাস্তবতা এটাই।
সংগৃহীত