Smrity's diary, Dhaka (2025)

02/11/2025

খুবই হতাশাজনক একটি অভিজ্ঞতা!
গত বুধবারে মেট্রো রেলে আমার স্ত্রীসহ যাচ্ছিলাম উত্তরায়। একটি সিট খালি ছিল, কিন্তু সেটি এমনভাবে ছিল যে আমার স্ত্রীকে বসতে হলে দুজন পুরুষের মাঝে বসতে হয়। আমি তাই পাশে বসা এই ব্যক্তিকে (ছবিতে) খুব পোলাইটলি রিকুয়েস্ট করি একটু চেপে বসার জন্য, যেন আমার স্ত্রী এক সাইডে বসতে পারে।

উনি অনুরোধ রাখা তো দূরের কথা, উল্টো ছ‍্যাত করে উঠে বললেন- "মেয়েদের জন্য আলাদা বগি আছে, সেখানে যেতে বলেন। এখানে কেন আসছে?"

আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। পাশে থাকা আরেকজন লোকও তাকেই সমর্থন দিল। 'যেন মেয়েরা ভিন গ্রহের প্রাণী, তাই এখানে বসতে মানা।'

স্বামী-স্ত্রী একসাথে ভ্রমণ করলে কি আলাদা বগিতে উঠবে? এই সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানটুকুও কি মা''নু''ষ হা/রিয়ে ফেলছে? নারীদের প্রতি এই তা/চ্ছি''ল্য এবং পাবলিক প্লেসে তাদের প্রতিনিয়ত হে''য় করার এই প্রবণতা সত্যিই অ/সু/স্থ।

আজ আমার স্ত্রীর সাথে এটা হলো, কাল আমাদের মা, বোন, বউ, মেয়ে সন্তানের সাথেও তো এমনটা হতে পারে। তাহলে কি আমাদের নারীরা পরবর্তীতে এভাবেই সবখানে হে/ন''স্থার শি/কার হতে থাকবে? এভাবেই কি চলতে হবে, নাকি একটা ভালো পরিবেশের জন্য, একটু সম্মানের জন্য আমাদের দেশ ছাড়তে হবে? প্রশ্ন রইলো সমাজের কাছে।

>অন বিহাফ

02/11/2025

বাবার বাড়ি ছেড়ে যেদিন এসেছি, ঠিক তার পরের দিনই বুঝেছি "বাস্তবতা কতটা কঠিন"। বুঝেছি মানুষের মনের মতো হওয়া কতটা কঠিন

02/11/2025

এক মেয়ের শরীরে জ্বিন এসে বলছে– "আমি নিজ থেকে আসেনি বরং মেয়ে আমাকে ডেকে এনেছে।"
কিভাবে? জ্বিন বললো– সে (মেয়েটি) বাথরুমে যখন গোসল করতে যায়, সে গান গাইতো- "কাছে এসো, কাছে এসো, কাছে এসোনা..."

ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প এরকম একটা বিজ্ঞাপনে আপনারা হয়তো এ গানটা অনেকবার শুনেছেন৷ এই মেয়ে গোসল করতো আর গুনগুন করে এই গান গাইতো৷ জ্বিনের ভাষ্যমতে তার এই কাছে আসার গান শুনে আমি তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। সে যখন কাছে এসো কাছে এসো বলতো আমি থাকতে পারতাম না।

জ্বিনের আরো কিছু তথ্য শুনে আরো অবাক হবেন।
মেয়ের প্রাইভেট কাপড় সে ধৌত করত না। গোসলখানার কাপড় রাখার রেক ই রেখে আসতো। অনেকদিন পর পর সব একসাথে ধৌত করতো। তাছাড়া মেয়ের মাসিকের অসুস্থতার র*ক্তের প্যাডও বাথরুমে রেখে দিত।

জ্বিনের দাবি সেখান থেকে নাপাকির ঘ্রাণ আমাকে তার দিতে টানতো। যার কারনে আমি তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি।

এ বিষয়গুলি আমাদের অনেকের পরিবারের মেয়েরা করে। আসলে বিষয়গুলি এখানে বলাটাও লজ্জাকর। কিন্তু বলাটা জাষ্ট সতর্কতার জন্য। সাবধানতার জন্য।

আমাদের পরিবারের অনেক উঠতি বয়সের মেয়েরাও ভুলে এমন কিছু অনেক সময় করে ফেলে৷
তাই আমরা অভিভাবকরা যারা আছি, আমাদের মেয়েরা যেন এ বিষয়গুলির প্রতি খেয়াল রাখে তাদেরকে এ ব্যাপারে সতর্কতা ও তাগিদ দিতে থাকা।

বিশেষ করে গোসলখানায় যাবার আগে "দোয়া পড়া"। গোসলখানায় জরুরতের বেশি সময় না দেয়া অর্থাৎ দ্রুত কাজ শেষ করা৷ গোসলখানা থেকে বের হওয়ার দোয়া পড়া। গোসলখানায় ভেজা কাপড় বা কোন প্যাড না রাখা৷ লাইট অফ রেখে গোসল না করা৷ এ কাজগুলি খুব গুরুত্বসহকারে মনে রাখা৷ সকাল সন্ধার মাসনুন আমল গুরুত্বসহকারে করা।

মনে রাখবেন আপনার অসতর্কতার কারনে যদি জীবনে একজন এই খবিস জ্বিনের আক্রান্তে পড়ে যান। এটার মাশুল আপনাকে সারাজীবন দিয়ে যেতে হবে৷

আশ্বিক জ্বিন ভয়ানক, সে যার পিছনে লাগে, তাকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়।

লেখা : রাক্বী মোহাম্মদ বিন ইয়ামিন

#সীরাহ

02/11/2025

মেট্রোরেলের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পেছন থেকে একজন বলল- "ভাই মে/য়ে লাগবে? হাই প্রোফাইলের ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে আছে। নতুন বিয়ে হওয়াও আছে, তাছাড়া কলেজ পড়ুয়া মেয়েও আছে। অ''ল্প ব''য়''স।''

বললাম- ''ইয়েস লাগবে। তা কোথায় বলেন দেখি।'' বললেন- ''ঐতো মেট্রো রেলের (...) নম্বর পিলারের উল্টা পাশেই চারতলায়।''

বললাম- "টাকা পয়সা নিয়ে আবার ঝা''মে''লা করবেন না তো!''

জিহবায় কামড় কাটলেন। যেন এমন পা''পে''র কথা এই কালের কোনোদিন শুনেননি তিনি। বললেন- ''ভাই কী যে বলেন, আজ ১৫ বছরের ব্যবসায় আমাদের এই দু''র্না''ম নাই, একবার গিয়ে দেখেন! বার বার আসবেন।''

সুনামের সাথে ব্যবসা করা লোকটাকে বললাম- ''সময় কতক্ষণ? বললেন- ''যত মন চায়। তবে ঘণ্টা রেট কম।''

বললাম- ''তাহলে আমি একটু কাজ সেরে আসতেছি।''
এরপর দেখি লোকটা আমার পেছন পেছন আসছেন। বারবার ডাকছেন। বলছেন হি''ন্দু মু''স''লি''ম সব রকম আছে কিন্তু।

এর দিন দুয়েক পর এক ভাইকে নিয়ে গেলাম। যিনি কোনোদিন বিশ্বাস করেন না এই শহরে এসব অহরহ হচ্ছে।

আমরা দুই জন সেই বিল্ডিংয়ে উঠলাম। উঠতেই দেখি এক বো/র''কা প''রা মেয়ে। মনে হচ্ছে অল্প ব''য়''স। তার সাথে এক ছেলে। তার মুখেও দা/ড়ি।

প্রথম দিনে পরিচয় হওয়া ওই লোকটাকে বললাম- ''এরা কারা? এরা তো মনে হয় বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড।''

জবাব দিলেন- ''প্রেমিক প্রেমিকারাও আসে। রুম ভাড়া নেয়।''

তারপর চার তলায় উঠে দেখি এলাহী কারবার। রুম ভর্তি না/রী। নানান বয়সী। যেন মেলা লেগেছে। খুব অবাক হলাম সেভেন এইট পড়ুয়া এমন বয়সেরও। এদের মাঝে আরেক রুমে আবার কয়েকজন আছে যাদেরকে পরিচয় দেয়া হলো ভার্সিটি পড়ুয়া হিসেবে।

গা ছম ছম করছে।
আস্তে করে বললাম- "পুলিশ আসবে নাতো?''

সে লোক হো হো করে হেসে বললেন- "আরে কী কন? আমাগো মালিক কি কম ক্ষমতার নাকি?''

এবার আমার সাথে যাওয়া ভাই বললেন- "চল আমার বিশ্বাস হয়েছে। বাসায় চল। এখানে আর এক মুহূর্ত না।''

আমরা দুজন বের হয়ে এলাম। অনেকেই বিশ্বাস করেন না যে এই শহরে ওপেনলি এসব চলছে অনেকদিন ধরে। আমারও বিশ্বাস হলো নতুন করে।

এক দায়িত্বশীল জায়গায় যোগাযোগ করলাম। ভাই এসব হচ্ছে এখানে। তিনি বললেন- ''কী আর করার। এদেরকে ধরা হয়। আবার শুরু হয় কয়দিন পর পর। জামিনে বের হয়ে যায়।''

এক দোকানীকে বললাম- ''কেউ ধরে না এদের?'' দোকানি বললেন- ''কে ধরবে মামা? যারা এই ব্যবসা করছে, তারা কি আমার আপনার মতো গরীব? কম শক্তির মানুষ? ওগোর ম‍্যালা উপরে হাত আছে!''

রাস্তার দু ধারে পড়ে আছে অসংখ্য কার্ড আবাসিক হোটেলের । শান্ত ভাই, সবুজ ভাই, শুভ ভাই আর কতো কী নামে। তাতে জুড়ে দেয়া শুধু ফোন নম্বর। অনেক মানুষ ছেলে মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে হাঁটতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন। মিরপুর দশেতো দাঁড়ানোই দায়। একটু পর পর উপর থেকে কে বা কারা যেন কার্ড ছুড়ে মা/রে!

কেউ অন্তত দায়িত্ব নিয়ে এগুলো থামান কেউ প্লিজ!🙏

>আলি ইমরান

02/11/2025

কিছুই যায় আসে না, কত ক্ষত শুকিয়ে গেছে পরিচর্যা ছাড়াই, সময়গুলো অতীত হবে আমি এমনিই সেরে উঠব...!!

02/11/2025

এক বিদেশী জার্মানির ছেলে আমার প্রেমে পড়ে। তার সাথে আমার ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়। আমার ফেসবুক চালানোর অভ্যাস ছিলো। এমন কি আমি ফেসবুকে অনেক ছবি আপলোড দিতাম নিজের।

আমি দেখতে অনেকটা স্মার্ট এবং সুন্দর ছিলাম। তাই বাংলাদেশি অনেক ছেলেরা আমাকে মেসেঞ্জারে নক দিতো। আমি সেগুলা কেয়ার করতাম না।
যারা বেশি বেশি নক দিত বা ডিস্টার্ব করত তাদেরকে আমি ব্ল*ক করতাম এটা আমার একটা অভ্যাস ছিল।

আমি তখন অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। আমি একজন মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে । আমার এক ভাই এবং আমরা দুই বোন। আমি সবার বড় ছিলাম। আমি বাবা মায়ের আদরের মেয়ে ছিলাম আমার ব্যক্তি চলায় স্বাধীনতা ছিল।

আমি একদিন আমার মেসেঞ্জার চেক করতে গিয়ে দেখলাম একটি আইডি থেকে অনেকগুলো মেসেজ। ইংলিশে লেখা। তাই আমি একটু আগ্রহ সাথে দেখলাম।
লেখাগুলো ছিল hi এবং how are you এবং where are you । আমি তাকে হায় জানালাম। সেও আমাকে নতুন করে আবার হায় দিলো।

পরে আস্তে আস্তে আমরা দুজন দুজনের পরিচিত হয়ে গেলাম। উনি উনার দেশের নাম বললো আমি আমার দেশের নাম বললাম। আমি বললাম আমি বাংলাদেশী সে বললো তার দেশ জার্মানি।

(কথা গুলো ইংরেজি হচ্ছে আমি আপনাদের বোঝানোর জন্য বাংলাতে বলবো)

আমি যেহেতু পড়াশোনা জানা মেয়ে ছিলাম সেহেতু ইংলিশ বুঝতে অসুবিধা হয়নি। আর বিশেষ করে বাহিরে এমন উন্নত দেশের কোন ছেলে বলে আমার কথা বলার আগ্রহ বেরে ছিলো। ওর ডাক নাম ছিলো হ্যারি।
আর আমার নাম ছিলো লিনা।

তার সাথে আমার প্রতিদিন ফেইসবুকে কথা হতো। প্রথম প্রথম আমাদের দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হতো। মাঝে মাঝে ভিডিও কলে আমাদের গ্রাম ঘুরে দেখাতাম। মাঝে মাঝে রাতে আমার সাথে ভিডিও কলে কথা হতো।

প্রথম প্রথম ও আমাকে কল দিতো। আমি ওর ফোনের জন্য অপেক্ষা করতাম। কেননা জার্মানির সাথে আমাদের টাইম দিন রাত তফাৎ ছিলো। তাই ওর সাথে বেশিরভাগ সময় আমার রাতে কথা হতো।

একটা সময় আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আর একটা কথা আমি ওকে নক দিতাম বেশি। কেননা ভাবতাম বিদেশি ছেলের সাথে কথা । অন্যরকম ফিলিংস ছিলো।
এই ঘটনা আমি আমার এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সাথে শেয়ার করেছি আর কারো সাথে বলিনি।

একদিন আমার জন্মদিনের সময় এলো তখন আমি আমার কলেজে জন্মদিন পালন করেছি অনেক বান্ধবীরা অনেক কিছু গিফট করছে।

এই গিফটের বিষয়গুলো আমি আমার জার্মানির বন্ধু হ্যারির সাথে বলছিলাম । এটা শুনে ও আমাকে বলে উঠলো ব্যাংকের নম্বর দিতে। আমি বললাম কেন ও বললো টাকা পাঠাবো । আমি তোমার জন্মদিনে এখান থেকে কিছু দিতে পারবো না তাই আমি টাকা পাঠাবো তুমি মার্কেট থেকে কিনে নিবে।

আমি দুষ্টামি করে হ্যারি কে বলছিলাম কি কিনব মার্কেট থেকে। ও জানতে চেয়েছিল আমার পছন্দ কি , আমি তখন বলেছিলাম iphone । তখন iphone ১৪ চলছিল। ওইটার দাম হিসাব করে ও আমাকে টাকা পাঠিয়েছিল প্রায় দুই লাখ টাকা। ওই টাকা দিয়ে আমি iphone কিনেছি এবং অন্যান্য আরো কিছু কিনেছি।

এগুলোর বিষয়ে মায়ের সাথে শেয়ার করেছি। যে এক বিদেশী জার্মানির ছেলের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছে সে আমাকে এগুলো গিফট করছে। আমার মা শুনে বেশ খুশি হয়েছে। বলেন এত টাকার গিফট দিলে কি খুশি না হয়। আমার বাবা জানার পর এটা ভালোভাবে মেনে নেয় নেইনি।

যাইহোক,,বিশ্বাস করবেন তারপর থেকে আমার এক ধরনের লোভ কাজ করছিল।তাই এই গিফট পাওয়ার পর থেকে আমার ওর প্রতি আরো আগ্রহ বেড়ে গেল। বলা যায় আমি ওকে পছন্দ করা শুরু করলাম।

আমি একদিন ভিডিও কলে ওর সাথে কথা বলছিলাম তখন রাত ২ টা । আমি যেহেতু ওকে মনে মনে পছন্দ করা শুরু করছি তাই ওকে কিভাবে আমার প্রতি আরো আকৃষ্ট করা যায় এই জন্য ওই দিন ভিডিও কলে আমি ওড়না ছাড়াই ভিডিও কলে ওর সাথে কথা বলছি। আর ভাবতাম ওদের দেশের মেয়েরা খোলামেলা থাকে তাই আমি ওর সাথে একটু খোলামেলা শরীরে ভিডিও কলে কথা বলি।

সেদিন ও আমাকে এরকম খোলা মেলা দেখে wow Nice এবং very hot s*exy এগুলো বলছে। এগুলো শুনে আমি একটু লজ্জা বোধ করলাম।

তার পর থেকে এখন ও আগের তুলনায় এখন আমাকে বেশি বেশি ভিডিও কল দেয়।
আমি এরকম কল পেয়ে বুঝতে পারছি ও আমার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। আর আমি এটাই চাইছিলাম।

এখন আমরা দুজন আগের থেকে অনেক ক্লোজ। তাই অনেক কথাই শেয়ার করি। অনেক গোপন বিষয় কথা বলি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভিডিও কলে উল্টো পাল্টা কিছু হয়নি।

একদিন হঠাৎ আমার মোবাইল একটি মেসেজ আসলো হ্যারি লিখছে I love you and I like you. আরো কিছু এরকম লিখে মেসেজ করছে । বিশ্বাস করবেন এটা দেখে আমি অবাক হয়েছি। আমি কিছু না ভেবেই আমি উওরে হা বলে দিছি।

সেই খুশিতে হ্যারি সেদিন রাত ৩ টায় ও আমাকে হঠাৎ কল দিলো। কিছুক্ষণ কথা বলার পর আমাকে বলতাছে শরীরের কিছু দেখাতে.................. চলবে
খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্ব দেওয়া হবে।

এটি একটি সত্য ঘটনা যা ২০১৮ সালে ঘটছে বাংলাদেশি এক মেয়ের সাথে। সামনে করুন কঠিন কাহিনী আছে।
যা আপনার কল্পার বাহিরে।
সমস্ত ঘটনা জানতে আমার এই পেজটাকে যারা ফলো দেন নাই তারা ফলো দিয়ে রাখবেন। তা না হলে পরবর্তী পর্ব খুঁজে পাবেন না।
পেজ

বেশি বেশি লাইক কমেন্ট শেয়ার করলে আমি অনেক খুশি হই এবং সত্য ঘটনা বলতে উৎসাহিত হই তাই এটা করবেন আমাকে খুশি করার জন্য।
© Robin
#গল্প

02/11/2025

আমার দাদিজান নিজেই বলতেন যে জান্নাতুল বাকীর মাটি কয়জনে পাই! অথচ উনি জানতেন না যে উনার নসীবে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতুল বাকীর মাটি লিখে রেখে ছিলেন।
আমার মরহুমা দাদিজানের কী অসাধারণ নসীব!হাজার হাজার মুসল্লিদের উপস্থিতে মসজিদে নববীতে জানাযা, জান্নাতুল বাকীতে মা ফাতেমা (রাঃ) এর কবরের একেবারেই কাছাকাছি কবর পেয়েছেন।
আমার দাদিজানের নামও ফাতেমা। আল্লাহ তায়ালার কিরকম রহমত, দয়া থাকলে এইরকম ভাগ্যবান হতে পারে!কী সুন্দর পরিকল্পনা মহান রবের।
জীবনের শেষ সময়ে ওমরাহ পালন করে আজীবনের জন্য নবীর দেশে থেকে গেলেন।
এমন সুন্দর আখেরি বিদায় ক'জনার হয়? আল্লাহ তায়ালা যেনো আমাদেরও এমন সৌভাগ্যের মৃ ত্যু নসীব করুন।
আমিন ইয়া রব

(পোস্টটা কপি করা। এমন সৌভাগ্য সবার হয় না। দেখে অনেক ভাল লাগলো, তাই শেয়ার করলাম)
© Maruf

01/11/2025

প্রবাস থেকে এসে পেপে বাগান করে, ভাইয়ের সফলতা দেখে অনেকের কাছে বিষয়টা ভালো লাগলো না, পেপে বাগান কে টে দিলো রাতের আদারে।🥲

01/11/2025

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গর্ব, স্বপ্ন আর শক্তির প্রতীক, যা আমাদের জাতিকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। কিন্তু এর তলায় এমন এক গভীর রহস্য আছে, যা আমাদের বিজ্ঞান, প্রকৌশল আর বোধশক্তির সব সীমানা ভেঙে দেয়।

আমি, ইঞ্জিনিয়ার আরিফ হাসান, সেই রহস্যের সাক্ষী। আমাকে এই কথাগুলো বলতেই হতো। এ এক নীরব জবানবন্দি, কারণ আমার কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।
প্রকৌশলী হিসেবে আমার কাজ ছিল এই সেতুর সাব-স্ট্রাকচার মনিটরিং সিস্টেমে। আমরা শুধু সেতুর স্বাস্থ্য দেখতাম না, পদ্মা নদীর পানির নিচের প্রতিটি স্পন্দন, স্রোতের ধরণ, আর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক প্রতিফলন বিশ্লেষণ করতাম। আমার টিমে ছিল পাঁচজন- আমি, প্রজেক্টের প্রধান ড. মাহবুব, অপারেটর নুরুল, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার তানিয়া, আর টেকনিক্যাল সুপারভাইজর কামাল ভাই। আমরা ছিলাম পর্দার আড়ালের মানুষ, যারা জানতাম, এই সেতু শুধু কংক্রিট আর স্টিলের স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে নেই, দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন, অচেনা শক্তির নিঃশ্বাসের ওপর।
সময়টা ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিক। শীতের রাতগুলো পদ্মা অদ্ভুত শান্ত থাকত, যেন বিশাল একটা কালো মখমলের চাদর বিছানো হয়েছে দিগন্তজুড়ে। নদীর এই নীরবতা ছিল ভয়ঙ্কর -যেন এক বিশাল দানব নিঃশব্দে ঘুমাচ্ছে, শুধু চোখ খোলার অপেক্ষা। সেই নীরবতা ভেঙেছিল আমাদের সিস্টেমে আসা একটি অস্বাভাবিক সংকেত।

ডিসেম্বর ১৮ তারিখে, প্রথম অস্বাভাবিক সংকেত ধরা পড়ল। রাত তখন প্রায় আড়াইটা, কনকনে ঠান্ডা হাওয়া বইছে। আমাদের অত্যাধুনিক সোনার রিডার একটানা সিগন্যাল দিতে শুরু করল। রিডিং অনুযায়ী, সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের ঠিক নিচে একটি অতিরিক্ত ‘ছায়া কাঠামো’ আছে।
সিস্টেমে লগ হয়েছিল:
“অজানা প্রতিফলন শনাক্ত -গভীরতা: ২৩.৪ মিটার, গঠন: ধাতব নয়, অতি ঘন পদার্থ।”

পদ্মা সেতুতে ৪১টি পিলার, কোনো ‘অতিরিক্ত’ পিলার থাকার কথা নয়। আমরা প্রথমে ধরে নিয়েছিলাম, নদীর তলায় জমে থাকা বিশাল বালির স্তূপ, অথবা সোনার ওয়েভের কোনো সাধারণ ত্রুটি। কিন্তু রিডিংয়ের প্যাটার্নটা ছিল জ্যামিতিকভাবে সুনির্দিষ্ট। এবং সবচেয়ে অস্বাভাবিক, রিডিং বারবার একই জায়গায় থামছিল-১৭ নম্বর পিলার। প্রতি রাতে, একই সময়ে। এটি যদি বালি হতো, তবে স্রোতের সঙ্গে তার অবস্থান পাল্টানোর কথা।
ড. মাহবুব কিছুটা বিচলিত হলেও আমাদের শান্ত থাকার নির্দেশ দিলেন।
তিনি শুধু বললেন, "এটি কোনো পরিত্যক্ত ড্রিলিং প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। কিন্তু এর গভীরতা অনেক বেশি।"

পরদিন দুপুরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, রহস্যের গভীরে যেতে হবে। ‘নটিলাস–৪’ নামে আমাদের রোবোটিক ড্রোন নামানো হলো। এটি ছিল অত্যাধুনিক -নাইট ভিশন ক্যামেরা, প্রেসার সেন্সর এবং ডেপথ রেকর্ডারসহ সজ্জিত। আমি আর নুরুল কন্ট্রোল রুমে বসে সরাসরি ফুটেজ দেখছিলাম।
ড্রোন ধীরে ধীরে নামতে শুরু করল। মনিটরে ভেসে আসছে বাদামি রঙের ঘোলা জল। প্রথম কয়েক মিনিটে সবই স্বাভাবিক -কাদা, পাথর, ছোট মাছের আনাগোনা, এমনকি ভেসে আসা দু-একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ। ঠিক ২৩ মিটার গভীরে পৌঁছে ক্যামেরার ফোকাস যখন স্থির হলো, তখন আমরা দু'জনেই নিঃশ্বাস নিতে ভুলে গেলাম।
ধাতবের মতো একটি মসৃণ পৃষ্ঠ। নুরুল ফিসফিস করে বলল, "পুরনো ড্রিলিং মেশিনের অংশ, স্যার?"
আমি জুম করলাম। না, এটি কোনো মেশিনের অংশ নয়। মসৃণ, শীতল ধাতুর ওপরে খোদাই করা একটি মানুষের হাতের ছাপ। কাদায় পড়া ছাপ নয়, যেন শক্ত পাথর ঘষে বানানো মানুষের হাতের ছাপ। প্রাচীন, শুষ্ক, তবুও জীবন্ত। এর পাশে কয়েকটি অদ্ভুত অক্ষর -হিন্দি আর ফার্সি অক্ষরের মাঝামাঝি কিছু, যার কোনো অর্থ আমাদের জানা ছিল না।
ঠিক তখনই মনিটরে সব গোলমাল হয়ে গেল। ড্রোনটা এক তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে ঝাপসা হয়ে গেল। কন্ট্রোল প্যানেল কাঁপছে, আর মনিটরের ছবি বন্ধ। মাত্র তিন সেকেন্ডের ভিডিও সংরক্ষিত ছিল।
পরে যখন ফুটেজটা স্লো-মোশন করা হলো, আমাদের সবার গা শিউরে উঠল। শেষ ফ্রেমে ড্রোনের কাঁচে প্রতিফলিত হচ্ছিল চারটি মানুষের মুখ। আমি, মাহবুব স্যার, নুরুল আর তানিয়া। কিন্তু সেই সময় তানিয়া অফিসে ছিল না -সে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন লেকচারে। চার নম্বর মুখটা কার ছিল?

সেই রাতে নুরুল বাসায় ফেরেনি। পরদিন সকালে খবর পেলাম, ওর মরদেহ পাওয়া গেছে। নিজের ঘরের বাথরুমে, বালতির পানিতে মুখ ডুবানো অবস্থায়। ডাক্তার রিপোর্ট দিল ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ড্রাউনিং’-দুর্ঘটনাজনিত জলে ডোবা। কিন্তু ওর ল্যাপটপে পাওয়া গেল একটি ভিডিও।
ভিডিওতে দেখা যায়, নুরুল বাথরুমের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, ওর চোখদুটো অস্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল। সে নিজের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসছে আর কাঁদছে, বিড়বিড় করে বলছে,
“ওটা আমার চোখ না… ওই চোখটা নদীর নিচে রয়ে গেছে… সে এখন আমার ভেতরে দেখছে, আমার ভেতর দিয়ে...”

ভিডিওর একেবারে শেষে সে মাথা তুলতেই ক্যামেরায় এক মুহূর্তের জন্য দেখা যায় -তার পেছনের আয়নায় একটি ছায়া দাঁড়িয়ে। মানুষের মতো আকার, কিন্তু কোনো মুখ নেই। জলের মতো নড়ছে, কেবলই একটা প্রতিফলন, যার কোনো উৎস নেই। আমি জানি, ওটা ছিল ১৭ নম্বর পিলারের নিচের সেই ছায়া কাঠামো।

নুরুলের মৃত্যুর পর প্রজেক্টের সব রেকর্ড হঠাৎ ‘ক্লাসিফায়েড’ ট্যাগে চলে গেল। সরকারি সিলমোহর। আমাদের ফাইলগুলো লক করা হলো, এমনকি আমরা নিজেদের ডেটাতেও ঢুকতে পারছিলাম না। ড. মাহবুব পাথরের মতো চুপচাপ হয়ে গেলেন। তিনি শুধু একবার বললেন,
“সরকারি নির্দেশ এসেছে। এই অঞ্চলে কাজ বন্ধ। এমন কিছু পাওয়া গেছে যা জনসমক্ষে আনলে শুধু আতঙ্ক সৃষ্টি হবে, ভালো কিছু হবে না।”

তানিয়া এতটাই ভয় পেয়েছিল যে সে চাকরি ছেড়ে দিল। কিন্তু আমি যেতে পারিনি। আমি জানতাম, যা কিছু ওখানে আছে, তা শুধুমাত্র "প্রকৌশলগত অস্বাভাবিকতা" না -এটি ছিল প্রাগৈতিহাসিক, মানব-অজ্ঞাত কোনো এক সত্য।
আমি গোপনে সার্ভারের র’ ফুটেজ ডাউনলোড করলাম। এক ফ্রেমে, যা সম্ভবত ড্রোনের শেষ আলো ঝলকানি, দেখা যায় -১৭ নম্বর পিলারের নিচে একটা মুখ ভেসে উঠছে। মানুষের মুখ, কিন্তু বিকৃত, যেন পানির প্রতিফলনে গলে যাচ্ছে। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার: চোখদুটো ছিল আমার মতো। একদম হুবহু, আমার চোখের মতো দেখতে!

কামাল ভাই, যিনি বহু বছর পদ্মা দেখেছেন, একদিন বলেছিলেন, "নদী কখনও কিছু হারায় না, ভাই। শুধু নিজের মতো করে রেখে দেয়। যখন তার সময় আসে, সে ফেরত চায়।"
আমি তখন কথার মানে বুঝিনি। কিন্তু সেই রাতে, যখন অফিসে একা বসে মনিটরে সেই বিকৃত, আমার মতো দেখতে মুখের ফুটেজ দেখছিলাম, হঠাৎ স্পিকারে একটা শব্দ হলো -মৃদু, টানা শ্বাসের মতো। তারপর একটা কণ্ঠ, যা শোঁ শোঁ বাতাসের মতো আমার কানের কাছে এল:
“তুমি আমার ছায়া নিয়ে গেছ… এবার আমি তোমার সব নেব…”

আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, হেডসেটের ফিডব্যাক অথবা ক্লান্তির ফল। কিন্তু ঠিক তখনই অনুভব করলাম, রুমের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে গেল -প্রায় ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সার্ভার রুমে এসি বন্ধ ছিল। ঠান্ডায় আমার নিঃশ্বাস কাঁপছিল।
আমি যখন আতঙ্কিত হয়ে মনিটরের দিকে তাকালাম, দেখলাম, স্ক্রিনের প্রতিফলনে আমার মুখ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেই মুখ পলক ফেলছিল না। সেই মুখ হাসছিল, এক শীতল, অচেনা হাসি।

ডিসেম্বর ২৮, রাত ১টা ৪৭ মিনিট। আমাকে যেতেই হলো। এই নীরব যন্ত্রণা আর কৌতূহল আমাকে বাধ্য করল। আমি পদ্মা সেতুর মাঝ বরাবর আমার গাড়ি থামিয়ে দিলাম। জানালা নামিয়ে নিচে তাকালাম। নদী ছিল অদ্ভুতভাবে নিস্তব্ধ। কোনো ঢেউ নেই, কোনো শব্দ নেই। মনে হচ্ছিল পুরো সেতু শূন্যে ভাসছে, আর নিচের জলরাশি এক কালো আয়না।
হঠাৎ গাড়ির উইন্ডশিল্ডে জলের ফোঁটা পড়ল কিন্তু আকাশে কোনো মেঘ ছিল না। আমি হাত বাড়িয়ে মুছতেই দেখলাম, কাঁচের ওপারে আমার প্রতিফলন তাকিয়ে আছে। আমার নিজের মুখ, কিন্তু ঠোঁটে এক শীতল হাসি।
আমি জানি, আমি হাসিনি। আমার মুখ ছিল ভয়ে কুঁকড়ানো। কিন্তু সেই প্রতিফলনের ঠোঁট নড়ল, “নিচে এসো... তোমার জায়গা এখানে...”

আমি সাইড মিররে তাকিয়ে দেখি, আমার প্রতিফলন আমাকে না, বরং সেতুর শেষ প্রান্তের দিকে তাকিয়ে। যেন কারো অপেক্ষায়। একটি মুহূর্ত, এবং সেই প্রতিফলনটা মিরর থেকে মিলিয়ে গেল, যেন জলকণার মতো বাষ্পীভূত হলো।

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, ল্যাপটপ অন হয়ে আছে। স্ক্রিনে শুধু এক লাইন টেক্সট:
“তোমার ছায়া এখন আমার জলের নিচে। এবার তোমার শরীরটা আমার চাই।”

আমি আতঙ্কে ল্যাপটপ বন্ধ করে দিলাম। কিন্তু বিকেলে অফিস থেকে ফোন এল প্রজেক্টের সার্ভারে কেউ লগইন করেছে আমার আইডি দিয়ে। সময় -রাত ২টা ১৭ মিনিট।
আতঙ্কে আমি টোল প্লাজার CCTV ফুটেজ চেক করলাম। ফুটেজে দেখা গেল আমার গাড়ি আবার সেতুর মাঝখানে থেমেছিল। রাত ২টা ১৭ মিনিট। গাড়িতে কেউ ছিল না। তবুও ইঞ্জিন চলছিল। হেডলাইট জ্বলছিল। গাড়িটা ধীরে ধীরে পশ্চিম প্রান্তে গিয়ে থেমে গেল। ঠিক সেই সময়, যখন সার্ভারে কেউ লগইন করেছিল।

আমি এখন পদ্মা সেতুর প্রজেক্টে নেই। চাকরি ছেড়েছি। ঢাকায় ফিরে এসেছি, কিন্তু রাতে ঘুম আসে না। বাথরুমের আয়না, মোবাইলের কালো স্ক্রিন, ল্যাপটপ বন্ধ থাকলেও প্রতিফলনে দেখি -একটি মুখ তাকিয়ে আছে। আমার নয়, কিন্তু আমার মতো দেখতে।
তানিয়া একবার ফোন করেছিল, তার কণ্ঠ কাঁপা কাঁপা:
“আরিফ ভাই, আমি আবার স্বপ্নে দেখছি, সেতুর নিচে আপনি দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু আপনার মুখে পানি নেই... কেবল ছায়া।”

আমি কোনো উত্তর দিইনি। কারণ আমি জানি, সেই প্রতিফলনটা এখন আমার সাথেই আছে। আমি বাথরুমের আয়না ঢেকে রাখি, ল্যাপটপের স্ক্রিনে কাপড় টেনে দিই, কিন্তু রাতের নিস্তব্ধতায় আমি শুনতে পাই -নদীর নিচে কেউ ফিসফিস করে বলছে,
“তুমি তো এখনও ওপরে আছো, তাই না? বেশিদিন থাকতে পারবে না।”

আজকাল পদ্মা সেতুর দিকে তাকাতে আমার ভয় লাগে। রাত হলে সেতুর নিচের পানিতে অদ্ভুত, সবুজ-নীল আলো দেখা যায়, যেন কেউ ভেতর থেকে চুপচাপ তাকিয়ে আছে ওপরে। প্রকৌশলীরা বলে সেটি স্রোতের প্রতিফলন, অথবা নদীর গভীর গহ্বরের মিথেন গ্যাস রিফ্লেকশন, কিন্তু আমি জানি ওটা কোনো প্রতিফলন নয়। ওটা হলো আমাদের ফেলে যাওয়া ছায়া, যেগুলো এই বিশাল কাঠামো তৈরি করতে গিয়ে নদীর নিচে বন্দি হয়ে গেছে। তারা এখন তাদের মুক্তি চায়, আমাদের শরীর চায়, আমাদের চোখ চায়।

“আজ যখন আয়নায় নিজেকে দেখি, বুঝতে পারি না -আমি ওপরে থাকা মানুষ, না নদীর নিচে আটকে থাকা প্রতিফলন।”

(দ্রষ্টব্য: এই গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তব ঘটনা বা
ব্যক্তির সাথে কোনো মিল কাকতালীয়।)

|পদ্মার নিচের প্রতিফলন|
লিখেছেন> Misk Al Maruf

#বাংলা_ভৌতিক_গল্প

01/11/2025

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বলতে আমরা প্রতিদিন ঘর মোছাকে বুঝি।
আসলে কি তাই?
১. তোয়ালে প্রতি চারবার ব্যবহারের পর ওয়াস হবে।
প্রতি সদস্যের দুটি করে তোয়ালে থাকবে।
২. সপ্তাহে একবার বেডশিট চেঞ্জ হবে। আমি তিনদিন পর করে ফেলি।
বেশি চিটা ভাব দূর করতে হালকা একটু গরম পানি একটু ভিনেগার দিন।
৩. গ্লাস বা কাঁচের জিনিসগুলো ধুতে লিকুইড ব্যবহার করুন।

৪.ভিম্বার দিয়ে কখনো প্লাস্টিকের জিনিস ধুবেন না ঝাপসা হয়ে যাবে।
৫. সপ্তাহে একবার ফ্যান পরিষ্কার করতে হবে। ওই ধুলাটাই ঘুরে ঘুরে আপনার কাশি হবে।

৬. কুশণ কাভার মাসে একবার পরিষ্কার করে ফেলুন।

৭. সপ্তাহে একবার ভিজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
৮. কার্পেট মাসে একবার ওয়াশ করতে হয়।

৯.ভারী পদ্মার প্রতিদিন বা দুই তিন দিন পর পর হুবার দিয়ে টেনে দিন।
১০. সাদা পর্দা প্রতি মাসে ওয়াশ করতে হয়।
১১. ভারি পর্দা তিন মাসে একবার।

১২. জিনিসটা কিন্তু আমরা খুব হেলাফেলা করে রাখি। এটা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পাপস দুই সেট রাখবেন।

প্রতি সপ্তাহে এক সেট ধুয়ে দেবেন আরেক সেট ইউস হবে।
১৩. ডাইনিং টেবিল লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে অনেক পরিষ্কার করলে ঝকঝকে তক তকে হয়।

১৪. মাসে একবার ফার্নিচার সরিয়ে ময়লা সরিয়ে ফেলুন।

১৫. আমি বাথরুম মোটামুটি প্রতিদিনই ধুয়ে দেই। আপনারা দুই তিন দিন পর পর ধুয়ে দিবেন হারপিক অবশ্যই দিবেন। এতে কৃমি নাশ হয়।

১৬. বাথরুমে স্যান্ডেল তিন মাস পর পর পরিবর্তন করুন।

১৭. দাঁতের ব্রাশ তিন মাস পর পর পরিবর্তন করুন।

১৮. আমরা যে বালিশের শুই সেটার একটা ইনার কাভার থাকে সেটা তিন মাস পর পর তুলা বের করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে আবার তুলা ভরে রাখুন। পারলে কিছু নিমপাতা শুকনা গুড়া করে একসাথে দিয়ে দিবেন। অল্প এক চামচ মত কালোজিরাও দিয়ে দিবেন। এতে করে আপনার এলার্জি সমস্যা কমবে এবং সর্দিতে আরাম পাবেন।

১৯. আলমারির কোনায় কোনায় নিম পাতা শুকনা পুটলি করে রাখুন। ন্যাপথলিন বা সুগন্ধি দিয়ে রাখুন।

২০. জানালাগুলো সপ্তাহে একবার পরিষ্কার হোক।

২১. দরজা গুলো সপ্তাহে একবার মুছে ফেলবেন।

২২. অনেকেরই দরজার বাইরে এত মেসি করে রাখেন এটা ঠিক না। সুন্দর একটা পাপোশ দিন জুতাগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে রাখবেন। বেশিরভাগ সময় জুতা বাসায় ঢুকায় রাখবেন।

২৩. লাইট গুলো মুছে দেবেন 15 দিন পর পর।

২৪. দামি লাইট বা টিভি ওয়াইপস দিয়ে মুছলেই সবচেয়ে ভালো।

২৫. মাসে একবার আলমারি কাপড়গুলো বের করে রোদে দিয়ে তারপর আবার সুন্দর করে ভাজ করে রাখবেন।

২৬. আধা কেজি মত প্রায় সব সময় বেরবস্তা করে ফ্রিজে রেখে দিবেন।

২৭. সপ্তাহে একবার ফ্রিজটা মুছে ফেলবেন।

২৯. অনেকেই কারুকার্য বিছনা ব্যবহার করেন এগুলো প্রতি সপ্তাহে একবার ভিজা নাকড়া দিয়ে মুছবেন।

৩০. আলমারির উপরে সপ্তাহে একবার মুছে ফেলবেন।

২৮. আমার পেজ গুলো ফলো করবেন, আমাকেও ফলো করবেন।

দেখুন এত পরিষ্কার থাকার কথা বললাম শুধুমাত্র আপনার অসুস্থতা এবং এলার্জি সমস্যা দূর করার জন্য।

পরিচ্ছন্নতা শুধু দেখলেই সুন্দর লাগে তা না এটা অনুভব করা যায়।

সন্ধ্যায় ঘরে সুগন্ধি জালাবেন।

সুন্দর সুন্দর অ্যারোমার আগরবাতি পাওয়া যায়। সুপার সপগুলোতে পাবেন। এছাড়াও বাখুর জালাতে পারেন।

পকেট সুগন্ধি রুমের চিপায় লটকায় রাখতে পারেন।

টয়লেটে সুগন্ধি লটকায় রাখেন।

একটা মপ রাখেন সন্ধ্যায় বাসায় একবার টেনে দিবেন।

সবচেয়ে বড় কথা যে আপনার সাথে নকরামি করবে, ফাটায় একটা চড় মেরে একদিকে ফেলে রাখবেন, ফাইজলামি নাকামি এগুলোকে যত পাত্তা দিবেন তত মাথার উপর উঠে মুতে দিবে।

বাউন্ডারি টেনে দেন। নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন।

Be a brand, নিজের ভ্যালু আপডেট করেন।

যে আপনাকে ভ্যালু করে নাই, তার চেয়ে অনেক ভ্যালুয়েবল মানুষ আপনার পিছনে ঘুরবে।

যেখানে আপনাকে একবার দুইবার ইন্সাল্ট করা হয়েছে সেখানে আর কখনো ভিক্ষা করতে যাবেন না, ভালোবাসার কখনো ভিক্ষা হয় না।

যে আপনাকে ভালবাসবে সে আপনার জন্য সবকিছু বাদ দিবে, প্রথমত ইগো।

ঘর পরিষ্কার করার আপনাকে অনেকগুলো মন্ত্র দেয়া হলো।

মন পরিষ্কার করার ও মন্ত্র দিয়ে দিলাম।

মনে কখনো ময়লা জমা রাখতে নাই।

যে আপনাকে ছাড়া ভালো থাকতে পারে আপনিও তাকে ছাড়া ভালো থাকুন।

দুনিয়াতে অপশনের অভাব নাই সোজা অপশন চেঞ্জ করে ফেলবেন।

সোজা অন্য রাস্তায় হাঁটা শুরু করবেন।

এটা আমিও করি সর্বোচ্চ কিছু সময় আমি করার চেষ্টা করি না।

চেঞ্জ রিপ্লেসমেন্ট এ চলে আসি হোক সেটা বন্ধুত্ব, হোক সেটা বুয়া, হোক সেটা সময়।

আমি সময়কে করে ধরে রাখার চেষ্টা করি না, সময়টাকেই পাল্টে ফেলি।

প্রথম প্রথম কত নরম ছিলেন আপনি হঠাৎ করে কঠিন হয়ে গেলেন কেন?

প্রথম প্রথম আমার পারিবারিক শিক্ষা ছিল, বাকিটা সব আপনার ব্যবহারের অর্জন।

এত পরিষ্কার, এত আয়োজন কার জন্য?

আমার জন্য।

আমি মেলামাইনে বা প্লাস্টিকে খাইনা।
সবচেয়ে যে সুন্দর প্লেটটা আছে,

সবচেয়ে সুন্দর গ্লাস সেট এ আমি অভ্যস্ত।

মেহমানের জন্য কখনো আমার আয়োজন হয় না।

ভাবছেন আমার অনেক ইনকাম আছে বা আমি স্টার হয়ে গেছি সেজন্য আমি নিজেকে এরকম করে ট্রিট করছি।

নারে আমি ছোটবেলায় ও নাকি এরকম ছিলাম।
শোকেস থেকে সবচেয়ে সুন্দর প্লেট টা নিয়েই আমি ভাত খেতাম। আম্মুরা সবাই স্টিলের প্লেটে খাইতো।

বাসায় ও আমি ক্যাটালগের থ্রি পিস পরি। বাইরে যাবার জন্য বা স্বামী দেখার জন্য আমি তুলে রাখি না।

স্বামী রা এত সহজ সরল হয় ওদেরকে কোন পিস ছাড়াই খুশি করা যায়। 🫣

I treat myself as an Emperor. ❤️❤️

01/11/2025

গর্ভবতী মায়েদের কাজে লাগতে পারে টাইমলাইনে রেখে দিন।

01/11/2025

শুক্রবার বিকেলে ''আদিবা'' বাড়ির আশপাশে খেলছিল। হঠাৎ সন্ধ্যা নামার পর থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতভর শিশুটির স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও কোনো সন্ধান মেলেনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ মিয়া পুকুরপাড়ে বাঁশ কাটতে গিয়ে পানিতে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির ম'র'দে'হ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ম'র'দে'হ'টি উদ্ধার করে। পরে ম'য়'না'ত'দন্তের জন্য লা'শ'টি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম\র্গে পাঠানো হয়।

স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটিকে "ধ' 'র্ষ' ণে'র পর হ\'ত্যা করা হয়েছে।'' এরপর ঘটনাটি ধামা-চা/পা দিতে শিশুটির গ\লা''য় র\শি পেঁচিয়ে, সেই রশির সঙ্গে একটি বড় পা''থ''র বেঁ/ধে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।

শিশু আদিবার বাবা আবু হানিফ বলেন,

“আমি ঢাকায় চাকরি করি, তাই মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়িতে আসি। ঘটনাদিন আমি বাড়িতেই ছিলাম। আদিবা সবসময় আমার কাছেই থাকে; কিন্তু সেদিন শরী''র খা''রাপ থাকায় তাকে বাজারে নিয়ে যেতে পারিনি। বিকেলে শুনি, আদিবা খেলতে গিয়ে আর ঘরে ফেরেনি। এরপর থেকেই খুঁজতে থাকি। যেই পুকুর থেকে লা/শ উ''দ্ধার করা হয়েছে, সেখানেও লোকজনকে পানিতে নামিয়ে খোঁজা হয়েছিল—কিন্তু তখন কিছুই পাওয়া যায়নি। আমি চাই, আর কোনো বাবার বুক যেন খালি না হয়। 😢

Smrity's diary

02/11/2025

02/11/2025

02/11/2025

02/11/2025

02/11/2025

02/11/2025

02/11/2025

01/11/2025

01/11/2025

01/11/2025

01/11/2025

01/11/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Shortcuts

Share