19/07/2025
গণজাগরণ—নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনার পথরেখা
মাত্র এক মাসের ব্যবধানে—বাংলাদেশের রাজপথে উঠে এসেছে দুইটি বিশাল গণজাগরণ। একটি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ডাকে, অন্যটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আহ্বানে। দুইটি দল, দুইটি আলাদা অবস্থান, কিন্তু এক জায়গায় এসে মিলছে — তা হলো, মানুষকে নিয়ে পথচলার আকাঙ্ক্ষা।
রাজনীতির এই ক্লান্তিকালে যেখানে রাজনীতি মানেই ক্ষমতা দখলের খেলা, জনগণের স্বার্থ আর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করাটা প্রায় বিলুপ্তপ্রায় এক চর্চা — সেখানে এই দুই গণজাগরণ যেন সাহস জাগানিয়া এক ধাক্কা।
মানুষ আজও বেরিয়ে আসে, যদি নেতৃত্ব বিশ্বাসযোগ্য হয়। মানুষ আজও মাঠে নামে, যদি নেতৃত্ব তার কথা বলে। মানুষ আজও চোখে স্বপ্ন রাখে, যদি নেতৃত্ব তার পাশে দাঁড়ায়।
আমরা চাই—এই জাগরণ হোক একটি গুনগত পরিবর্তনের শুরু। রাজনীতির মাঠে শুধু মুখে নয়, কাজে আসুক ইসলামি মূল্যবোধ, আসুক আদর্শিক দৃঢ়তা, ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার সাহস।
আমরা চাই—সকল রাজনৈতিক দল দলীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে গণমানুষের জন্য ভাবুক, অবহেলিতের পাশে দাঁড়াক, দেশকে ভালোবাসার রাজনীতি ফিরিয়ে আনুক।
আজকের দিনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর যেভাবে সাহসের সাথে কথা বলেছেন, যেভাবে তিনি দ্বীন, দেশ ও মানুষের পক্ষে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন — তা নিঃসন্দেহে এক অনন্য নজির হয়ে থাকবে।
এতদিন যারা ভাবতেন, জামায়াত হারিয়ে গেছে — তারা নিশ্চয়ই আজ বুঝেছেন, জামায়াত আবার উঠে দাঁড়িয়েছে, তাও আগের চেয়ে আরও সুশৃঙ্খল, আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে।
এটা কেবল একটি দলের ঘুরে দাঁড়ানো নয় — এটা একটি আদর্শিক চেতনার জেগে ওঠা। এটা একটি নতুন রাজনৈতিক ধারার বার্তা — যেখানে নেতৃত্ব মানে শুধু শাসন নয়, বরং জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া।
এ পথ সহজ হবে না, কিন্তু যদি আমরা চাই — আদর্শ, একতা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করি, তাহলে একদিন বাংলাদেশ বদলাবেই ইনশাআল্লাহ।
"সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো কখনো জনপ্রিয়তা নয়, বরং দায়িত্ব। আর আজ সেই দায়িত্ব পালনের নতুন ইতিহাস লেখা হলো রাজপথে।"