BengalBooks

BengalBooks Book Publisher and Seller.

17/06/2025

Halo everyone! Welcome to a new epilogue today. I'm going to talk about a perfect western book.

‎আমার মতে 'বুলেট কিংবা ভালোবাসায়' A perfect western. কেন A perfect western বলছি? তা নিয়ে আলাপ করতে গেলে আগে বলতে হবে উপন্যাসের ধরণ নিয়ে। ওয়েস্টার্ন জনরা মূলত আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলের রুক্ষ মরুভূমির ১৮ ও ১৯ শতকের জীবনাচরণের গল্প বলে। আমরা ওয়েস্টার্ন মানে শুধুই বন্দুকবাজি ভাবলেও এই জনরায় রোমান্টিক, সামাজিক এই জাতীয় গল্পও আছে বা লেখা সম্ভব। কিন্তু মানুষ সাসপেন্স বেশি পছন্দ করে দেখেই সম্ভবত ওয়েস্টার্ন থ্রিলারই বেশি পরিচিত পাঠককূলের মাঝে। তবে ওয়েস্টার্ন থ্রিলারকে পাঠককূল শুধুই বন্দুকবাজি, গান মাজল থেকে ফুলকি উড়া, বুলেটের সংখ্যা, স্পার ওয়ালা বুট দাবিয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ে কাউবয়দের দৌড়ের মাঝে সীমাবদ্ধ ভেবে ফেললেও ওয়েস্টার্ন আসলে তা নয়।

‎ওয়েস্টার্ন আমাদের জীবনের গল্প বলে, ওয়েস্টার্ন আমাদের একটা সময় ও অঞ্চলের জীবনপ্রবাহের ধারণা দেয়। বিজ্ঞানের আগের রূপ থেকে বর্তমান প্রযুক্তিগত রূপে ট্রান্সফরমেশনের মাঝামাঝি সময়কালের প্রেক্ষাপট থাকে বেশিরভাগ ওয়েস্টার্ন গল্পের উপজীব্য হিসেবে। নতুন নতুন চিন্তাধারার বিকাশে মানুষের জীবনাচরণ কীভাবে পালটে যাচ্ছে, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় রুক্ষ মরুভূমিতে কীভাবে পুঁজিবাদ এর ছাপ বসছে এবং কীভাবে সহজ সরল র‍্যাঞ্চারদের জীবনে আসছে জটিলতা, রাজনীতি ও আধুনিকতার জোয়ার সেই চিত্র আমরা এই জনরায় ফুটে উঠতে দেখি। গল্প মোটাদাগে থ্রিলার হলেও আমরা ওয়েস্টার্ন এর মাঝ দিয়ে ওয়েস্টের প্রকৃতির পালাবদলের গল্প দেখতে পাই। আর সহজ সরল সেই মানুষগুলো যখন তাদের শহর বা ছোট অঞ্চলে আসা শিল্পপতি ও বুর্জোয়া পুঁজিপতিদের হাত থেকে শহরকে রক্ষা করতে চায়, চায় শহরটা থাকুক আগের মতোই শান্ত তখন সেই গল্প আর শুধু থ্রিলার থাকে না। গল্পটা হয়ে যায় আদিম থেকে চলে আসা শাসকের সাথে শোষিতের লড়াইয়ের গল্প। যেই গল্পে শোষিত মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই শেষ হবে না।

‎বুলেট কিংবা ভালোবাসায় বইটি তেমন একটি শহরের গল্প। রোডস নামের একটি শহরে বহিরাগত শত্রুরা হানা দেয় দখল করার জন্য। যার সাথে সম্পর্কিত থাকে আমেরিকান গৃহযুদ্ধের পরবর্তী পরিস্থিতি, কুটিল রাজনীতি আর ঔপনিবেশিক শোষণের প্রতিবিম্ব। এমনকি গল্পের কিছু চরিত্রের মাঝ দিয়ে তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে চলমান ব্রিটিশ শাসন ও সিপাহি বিদ্রোহের সাথেও যোগসূত্র স্থাপন করেছেন লেখক। শোষকদের হাত থেকে নিজেদের শহরকে রক্ষা করতে প্রৌঢ় কর্নেল এবারডিন ফিনিগান রুখে দাঁড়ান আরেকবার। তার হাতে গড়া শহরকে বারবার তিনিই ছায়া দেন শত্রুর কাছ থেকে বটগাছের মতো। এই যে বুনো পশ্চিমের ফ্লেভার ধরে রেখে, বইয়ের থিম অক্ষুণ্ণ রেখে, গল্পকে একটুও ঝুলে যেতে না দিয়ে প্রায় ৬০০ পেজের বেশি কলেবরের উপন্যাসে সাসপেন্স ধরে রাখতে পেরেছেন ফাহাদ আল আব্দুল্লাহ, তাও আবার একেবারে মৌলিক গল্প দিয়ে সম্পূর্ণ বাংলা শব্দে- সেজন্যই আমি বইটিকে বাংলা ভাষায় লেখা Perfect Western বই হিসেবে অভিহিত করবো।

‎বাংলায় মৌলিক ওয়েস্টার্ন লেখা কিন্তু মোটেও সহজ বিষয় নয়। আমরা যা পড়ে এসেছি আগে তার বেশিরভাগই রূপান্তর বিদেশি গল্প থেকে বা এডাপ্টেশন বাইরের কাহিনীর। সেই জায়গায় প্রথম ওয়েস্টার্ন লিখতে বসেই কাসা দিয়াবলো ও বুলেট এর মতো চমৎকার দুইটি মৌলিক গল্প দিয়ে ফেলেছেন ফাহাদ আল আব্দুল্লাহ। ফাহাদ ভাই প্রায়শই বলেন কিংবদন্তী ওয়েস্টার্ন লেখক রওশন জামিলের শিষ্য তিনি। গুরুর কাছ থেকে নিয়েছেন সাহিত্যচর্চা ও ওয়েস্টার্ন জনরায় তামিল, আর সেই শিক্ষার প্রয়োগ ঘটাতে যেয়ে তিনি দ্বিতীয় বইতেই গুরুকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন অনেকাংশে এমনটাই বলবো আমি।

‎তবে এক্ষেত্রে প্রকাশনীর ভূমিকাও উল্লেখ করতে হবে। তারা চমৎকার সম্পাদনার কাজ দেখিয়েছেন বইটিতে যার ফলে প্রাথমিক ড্রাফট এর মেদ ঝরে গিয়ে বইয়ের শব্দসংখ্যা ১ লাখ শব্দ থেকে একটু কম হয়েছে। তবুও বুলেট কিংবা ভালোবাসায় বাংলা ভাষায় লেখা ওয়েস্টার্ন এর মাঝে সবচেয়ে বড়। এর চেয়ে বড় ওয়েস্টার্ন আপাতত বাংলায় লেখা হয়নি।

‎তবে সম্ভবত সম্পাদনা ও কাটছাটে মেদ ঝরাতে গিয়েই কিছু চরিত্র ঠিকঠাক প্লাটফর্ম পায়নি। অসংখ্য ছোট বড় চরিত্রে ভরা এই বইতে আসলে সবাইকে ঠিকঠাক সময় দিতে গেলে বইয়ের আকার আরও অনেক বড় হয়ে যেত। কিন্তু পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে বড় হলে মন্দ হতো না একেবারে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুখ আরও বেশি স্পেস ডিজার্ভ করে এই উপাখ্যানে।

‎মৌলিক বই হিসেবে লিখতে গিয়ে আসলে পশ্চিমের ইতিহাস নিয়ে অনেক ঘাটাঘাটি করতে হয়েছে লেখককে। আমেরিকান গৃহযুদ্ধের পরবর্তী অবস্থা ও তৎকালীন ব্রিটিশ শাসন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকলে শুধু ভাসা ভাসা জ্ঞানে এত বড় কলেবর তৈরি করা অসম্ভব। এই সব ইতিহাস ও রাজনীতির সাথে আবেগ, বুনো ফ্লেভার, রোমান্স ও ভালোবাসা মিলেমিশে উপন্যাসটি শেক্সপিয়রের ট্র‍্যাজিক থিমের মতোই থিম নিয়ে শেষ হয়েছে। আবেগি পাঠক যারা তারা বই শেষ করার সময় চোখের কোণায় এক ফোঁটা পানি খুঁজে পেলে অবাক হবেন না।

‎বইয়ের ভাষাশৈলী ও বর্ণনারীতিতেও চমক পাবেন যারা অনেক দিন পর ওয়েস্টার্ন পড়তে বসবেন তারা। কেননা বাংলায় লেখা ওয়েস্টার্নের প্রচলিত স্টাইলের সাথে ফাহাদ ভাইয়ের লেখার অমিলই বেশি। তিনি সম্পূর্ণ বাংলা শব্দ ব্যবহার করেই পশ্চিমের কথার টোন ও ফ্লেভারে হিউমার ব্যবহার করেছেন সংলাপে, এদিকে বর্ণনায় ব্যবহার করেছেন সাহিত্যিক অলংকার। উপমা, রূপক ও অলংকারের ব্যবহার অনেক জায়গায়ই বর্ণনাকে পাঠকের চোখে কাব্যিক করে তুলতে পারে যা রুক্ষতার গল্পে হয়তো অনেকে আশা করবেন না।

‎এত সবের মিশেলে তৈরি হওয়া বুলেট কিংবা ভালোবাসার গল্পে শেষ পর্যন্ত ভালো লাগার বিষয় ছিল গল্প স্কিপ করার ইচ্ছা করেনি কোথাও। ঝুলে গেলে হয়তো বিরক্তিতে বই বন্ধ করে উঠতে হতো বা কিছু পৃষ্ঠা স্কিপ করে এগোতে হতো, যা করা লাগেনি এত বড় উপন্যাসে। আর এই সাসপেন্স ধরে রেখে গল্পের পারফেক্ট সমাপ্তি দেয়ার জন্য ফাহাদ ভাইয়ের প্রতি প্রত্যাশার পারদ উঁচু হয়ে গেল অনেকটাই।

‎বইটায় টুকটাক শাব্দিক যা ভুল ছিল, তা আশা করি পরবর্তী সংস্করণে ঠিক করে নেয়া হবে। শুভ কামনা রইলো বাংলা ওয়েস্টার্নের নতুন নক্ষত্র ফাহাদ আল আব্দুল্লাহ এর জন্য। আশা করি শোষিতর লড়াইয়ের গল্প আপনার হাতের ওয়েস্টার্নে উঠে আসবে বারবার।

পরবর্তীতে বইটি নিয়ে পেজে এপিলগ আসবে ভিডিও আকারে। সেখানে থাকবে আরও আলোচনা। পাঠকেরা পেজের সাথেই থাকুন।

বই: বুলেট কিংবা ভালোবাসায়
লেখক: ফাহাদ আল আব্দুল্লাহ
প্রকাশনী: BengalBooks
প্রথম প্রকাশ: মে, ২০২৫
প্রচ্ছদ: আজহার ফরহাদ
মুদ্রিত মূল্য: ৩৮০ টাকা







বিখ্যাত আমেরিকান ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার লুই লা’মরের জনপ্রিয় ওয়েস্টার্ন উপন্যাস ‘The Iron Marshal’-এর অবলম্বনে বাংলাদেশের...
16/06/2025

বিখ্যাত আমেরিকান ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার লুই লা’মরের জনপ্রিয় ওয়েস্টার্ন উপন্যাস ‘The Iron Marshal’-এর অবলম্বনে বাংলাদেশের সুপরিচিত অনুবাদক ও ওয়েস্টার্ন উপন্যাস লেখক শওকত হোসেন রচনা করেছেন ‘প্রহরী’। বে-ওয়েস্টার্ন সিরিজের নতুন বই ‘প্রহরী’। বইটির প্রচ্ছদের রঙের বিন্যাসটি সুন্দর—হলুদ ও নীলের চমৎকার সংমিশ্রণ। এরকম ছোট সাইজের বই পড়তে চোখে যেরকম কষ্ট হবার কথা, বেঙ্গলবুকসের প্রোডাকশন কোয়ালিটির জন্য সেই কষ্টটা হয় না। চোখে সয়ে যায়।
টমাস রলিংস—এই ওয়েস্টার্ন উপন্যাসের নায়ক, পশ্চিমের এক শহরের মার্শাল। জাতে সে আইরিশ।
বলিষ্ঠ গড়নের শরীর। মাথাভর্তি কালো চুল। নীল রঙের চোখ। নাকের ডগায় কয়েকটা তিল। মানুষ হিসেবে টমাসকে নিরীহ বা গোবেচারা কোনোটাই বলা যায় না। শৈশব থেকেই মারপিটে সিদ্ধহস্ত সে। মাত্র ছয় বছর বয়সে বাবার কামারশালায় ঘোড়ার খুরের নাল বানানো, গাড়ি মেরামত ইত্যাদি কাজ শিখেছে। ওর বাবা সেনাবাহিনীর ফেরিয়ারের কাজ নিয়ে একদিন ব্রিটিশ ভারতে চলে যায়। আর কোনো হদিস তার মেলে না। তাই একান্ত বাধ্য হয়েই আয়ারল্যান্ড ছেড়ে আমেরিকার পথে পাড়ি জমায় টমাস। কিন্তু সাগরের বুকেই মাকে হারায় সে। পৌঁছালো নিউ ইয়র্কে, তখন টমাসের বয়স এগারো। তার নেই কোনো পরিবার, কিংবা কোনো বন্ধু। বাবা-মাকে হারানো টমাস এখন নিজ দেশ থেকে বহু দূরে—আমেরিকাতে। কিন্তু বিশাল এই দেশের নিউ ইয়র্ক ছাড়া আর কিছুই চেনে না সে। এমনকি দেশটির মানচিত্রও দেখেনি। তবে শুনেছে এ শহরের পশ্চিমে আছে অনেক স্বপ্ন, জমি-জমা এবং জীবন গড়ার বিভিন্ন সব সুযোগ।
ঝামেলা ও টমাস একে অপরের বন্ধু। ঝামেলা কখনোই টমাসের পিছু ছাড়ে না। জাহাজ থেকে নিউ ইয়র্কের মাটিতে নামতে দেরি, ঝামেলায় পড়তে দেরি নেই। সমবয়সি একদল ছেলেদের সাথে জড়িয়ে পড়লো মারামারিতে। সাত-আটজন ছেলে ওকে দেখেই গালাগালি শুরু করল। একাই মার খাচ্ছিল। কিন্তু সে সময়েই ওই জাহাজে থাকা আরেকটা ছেলে ওর সাহায্যে এগিয়ে এল। ছিপছিপে গড়নের শরীর, হালকা বাদামি রঙের চুল, টমাসের থেকে একটু লম্বা। নাম তার উইলিয়াম পেনডেলটন। কিন্তু দুজনে মিলেও ওদের সাথে পেরে উঠল না। ওদের বাঁচাতে এগিয়ে আসল ছয় ফুট লম্বা, সুঠাম দেহের অধিকারী একজন লোক। নাম তার জ্যাকব ফ্রিম্যান। পেনডেলটন চলে গেল। আর টমাসকে একটা কাজ জুগিয়ে দিল ফ্রিম্যান।
ম্যাককোলিনসের কামারশালায় কাজ পেল টমাস। ভালোই কাজ করছিল। কামারশালায় কাজের পাশাপাশি, ফ্রিম্যানের সংবাদবাহক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিল সে। একদিন এক আস্তাবলে দেখা পেয় গেল ‘মেইড অব কিলারনি’র। যেই ঘোড়াটাকে জন্মাতে দেখেছে সে, যার পিঠে চড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছে, এবং রেসেও অংশ নিয়েছে—এটা সেই ঘোড়াটাই। শতভাগ নিশ্চিত সে। ঘোড়াটাও তাকে চিনতে পেরেছে। এই ঘোড়ার কারণেই পরবর্তীতে বিবাদে জড়ালো সে। বিবাদ বাড়ল। এক বিবাদ থেকে অন্য বিবাদ। শত্রুরা তার পিছে পড়ে গেল। সে পালিয়ে এসে পড়ল সেই পশ্চিমে।
ক্যানসাসের ছোট এক শহর। যে শহরটার গোড়াপত্তন হয়েছে হ্যামিল্টন, ক্রেইটন আর বোম্যানের হাতে। এই শহর নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন। কিন্তু এই মুহূর্তে শহরটাতে রহস্যের শেষ নেই। প্রায় আড়াই লক্ষ ডলারের চালান, যা ছিনিয়ে নিতে চায় একদল দুর্বৃত্ত। শহরের মার্শাল রড মরগানও নিখোঁজ।
ওদিকে নিউ ইয়র্ক থেকে পালিয়ে এই শহরেই এসে পড়ল টমাস। এসেছিল এক ট্রেনে। সেখানেই পেয়েছিল একটা হ্যাভারস্যাক। যার মধ্যে ছিল একটি শটগান, জামা-কাপড় ও কিছু চিঠিপত্র এবং কিছু মানুষের সংক্ষিপ্ত পরিচয়। এই শর্টগানটাই টমাসকে বিপদে ফেলল। কারণ, শহরে এসে পড়তেই, অভিবাসীরা বুঝে গেল এটা রড মরগানের শর্টগান। তাহলে টমাসই কি সে-ই, যে কিনা মরগানকে মেরেছে? মরগান কি আসলেই খুন হয়েছে, নাকি নিখোঁজ? শহরের অনেকে সাহায্য করছিল টমাসকে। কিন্তু একদিন ক্রেইটন খুন হলো। সবাই টমাসকে দায়ী ভাবল। অবিশ্বাস করতে শুরু করল। শত্রুর কবলে পড়ে পালিয়ে এসেছে এখানে। কিন্তু পরিবর্তন তো কিছুই হলো না, বরং শত্রু আরও বাড়ল, বাড়ল দায়িত্বও। মারিয়াকে লেখা মরগানের একটি চিঠি ধাঁধায় ফেলে দিল টমাসকে।

“প্রিয়,
কোথায় আছি আর কোথায় যাচ্ছি জানাতেই চিঠি লিখছি তোমাকে। একটা ছোট শহরে মাত্র দু’মাসের জন্য একটা কাজ পেয়েছি, তাই আর তোমাকে আনলাম না। মার্ক ব্রিউয়ার শহরটায় পৌঁছুনোর আগেই তার সঙ্গে দেখা করতে যাব আমি। হয়তো একটা সমঝোতায় পৌঁছুনো যাবে।
যদিও ওর কাছ থেকে তেমন কোনো বিপদের আশঙ্কা করছি না আমি। আরও কিছু ব্যাপার রয়েছে এর মধ্যে, ক্যানসাস সিটিতে আসাটা সে জন্য দরকার ছিলো। হাতের কাজ শেষ হলেই তোমার কাছে ফিরে আসব আমি।
ও, হ্যাঁ, ভালো কথা, পেনডলটনের কথা মনে আছে তোমার? সেই যে, একবার ট্রেনে তোমাকে রুমাল ধার দিয়েছিল এক ভদ্রলোক? এখন এই বিপদাপন্ন শহরেই আছে সে।
আজ এ পর্যন্তই, পরে আবার লিখব। কেমন?”

কীসের আশংকা করছিল মরগান? সে এখন কোথায়? কে মারল ক্রেইটনকে? কতশত প্রশ্ন। উত্তর খুঁজতে শুরু করল টমাস। নিজে হয়ে উঠল শহরের মার্শাল। এর মধ্যে পেল আরেকটি চিঠি।

“টমাস,
খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারলাম তুমি এ শহরে; তাই চিঠি লিখছি। আপাতত জরুরি কাজ নেই এখানে, যতদিন ইচ্ছা থাকতে পারো। এখানে তোমার কৌশলটা দারুণ কাজ দিয়েছে। কেটে পড়েছে কাররা…হাওয়া হয়ে গেছে। যাক গে, তবুও তোমার সাবধান থাকা উচিত। বলা যায় না…ওরা তোমাকেই হয়তো খুঁজছে—তোমার ওপর মহাখাপ্পা ব্যাটারা! সাবধান, হঠাৎ হাজির হয়ে যেতে পারে যেকোনো সময়।
হেনরি এখন ভালোই আছে, তোমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে সে।
ও-হ্যাঁ, আরেকটা কথা, পশ্চিমের এ শহরে থেকে গেলেই বোধ হয় ভালো করবে তুমি। সব ভুলে নতুন জীবন শুরু করতে পারবে। শুভেচ্ছা রইলো।— জ্যাকব ফ্রিম্যান”

পুরোনো শত্রুরাও কি তাকে খুঁজতে খুঁজতে এখানে চলে এসেছে? এতকিছু কীভাবে সামলাবে সে? চারিদিকে শত্রু। কাকেই বা বিশ্বাস করবে—টানটান উত্তেজনার একটি অ্যাকশনধর্মী ওয়েস্টার্ন উপন্যাস। অনেকগুলো চরিত্র। মূল চরিত্র টমাস হলেও অবহেলা করা যায় না কাউকে। সবাইকে নিয়েই এই বই। কিছু চরিত্র আছে অল্প সময়ের জন্য। তবে সে চরিত্রগুলোও ইমপ্যাক্টফুল, টমের জন্যও এবং প্লটের জন্যও। যারা খুব রোমাঞ্চকর বই পছন্দ করেন, এই বই তাদের জন্য। একটানা পড়ে ফেলতে পারলে, ভালো একটা সময় কাটবে।

— নীলিমা রশীদ
ঢাকা

#বইমেলা২০২৫ #বুকরিভিউ #বেঙ্গলবুকস

“আমি জানি তুমি আমাকে হত্যা করতে এসেছো; গুলি করো কাপুরুষ, তুমি শুধু একজন মানুষকেই হত্যা করবে, তার বিপ্লবী চেতনাকে নয়”“সর্...
14/06/2025

“আমি জানি তুমি আমাকে হত্যা করতে এসেছো; গুলি করো কাপুরুষ, তুমি শুধু একজন মানুষকেই হত্যা করবে, তার বিপ্লবী চেতনাকে নয়”

“সর্বোপরি, একজন বিপ্লবীকে সবসময় দৃঢ়ভাবে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে সংঘটিত যেকোনো অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে”

“মনুষ্যজাতির অভ্যুত্থান বিপ্লবের মাধ্যমে, শুধু ব্যক্তিপর্যায়ে সময়ের আবর্তে বিপ্লবের শক্তি ক্ষয়ে যায়”

“আমরা কীসের জন্য বাঁচব সেটা আমরা নিশ্চিত হতে পারি না, যতক্ষণ না আমরা তার জন্য মরতে প্রস্তুত থাকি”

“জঘন্য বিপদ জানার পরেও আমায় বিপ্লবের রহস্য বলতে দাও; বিপ্লব সবসময়ই গভীর আবেগ আর ভালোবাসা দ্বারা পরিচালিত হয়। সত্যিকার আবেগ আর ভালোবাসা ছাড়া বিপ্লব অসম্ভব”

প্রিয় কথাসাহিত্যিকের জন্মদিনে অজস্র শুভেচ্ছা!
14/06/2025

প্রিয় কথাসাহিত্যিকের জন্মদিনে অজস্র শুভেচ্ছা!

"ওরে হত্যা নয়, আজ সত্যাগ্রহ শক্তির উদ্বোধন"
06/06/2025

"ওরে হত্যা নয়, আজ সত্যাগ্রহ শক্তির উদ্বোধন"

ধূলি-ধূসর আর রক্তমাখা জমিনে, একটুখানি সুখের স্বপ্ন দেখার দুঃসাহস করেছিলেন একজন। রোডস শহরকে একেবারে ধূলিকণা থেকে গড়ে তুলে...
06/06/2025

ধূলি-ধূসর আর রক্তমাখা জমিনে, একটুখানি সুখের স্বপ্ন দেখার দুঃসাহস করেছিলেন একজন। রোডস শহরকে একেবারে ধূলিকণা থেকে গড়ে তুলেছেন কর্নেল এবারডিন এ ফিনিগান। অ্যারিজোনার গভীরে, রুক্ষ এই বিরানভূমিতে শহর গড়তে ঝরেছে ঘাম, বয়েছে রক্ত।
নিজ হাতে গড়া এ শহরে একদিন হানা দিল বহিরাগত শত্রুর দল। বিশ্বাসঘাতকতা, টাকা ও বন্দুকের নল কেড়ে নিল শান্তি। ফিনিগানকে রুখে দাঁড়াতে হবে, বিশ্বস্ত কিছু সঙ্গীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে অন্তিম লড়াই। এ লড়াই গৌরব অর্জনের—এ লড়াই রোডসের মুক্তির।

পাঠকের সানন্দ সংগ্রহ...
05/06/2025

পাঠকের সানন্দ সংগ্রহ...

04/06/2025
পাঠকের সংগ্রহ থেকে
04/06/2025

পাঠকের সংগ্রহ থেকে

Address

Nova Tower, 2/1 Naya Paltan
Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BengalBooks posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category