19/09/2025
‘উমরাহ সফরের গল্প’ বইটি আমার খুব স্বপ্নের একটা কাজ ছিল। যে সফর ছিল আদ্যোপান্ত স্বপ্নময়, সেই সফরকে ঘিরে লেখা বইটিও স্বপ্ন-মোড়ানো হবে সেটাই স্বাভাবিক।
এই বইটি নিছক কোনো সফরনামা ধরণের বই নয়৷ বইটিকে বলা যেতে পারে একটুকরো সীরাহ—যেখানে পাঠক কল্পনার ডানায় ভর করে চলে যাবে সাড়ে চৌদ্দ’শ বছরের সুদূর অতীতে।
বইটি নিয়ে কয়েকজন পাঠকের মন্তব্য:
হালিমাতুস সাদিয়া নামের একজন আপু লিখেছেন,
‘অসম্ভব সুন্দর একটা বই। যেটা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। বইটা পড়ার সময় মনে হয়েছে যেন মদিনার অলিগলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। মাঝে মাঝে চোখ ঝাপসা হয়ে আসত। কখনও রওজা আর নবীর মসজিদের সেই সুন্দর অনুভূতির গল্পগুলো পড়ে হৃদয়ে আনন্দের জোয়ার বয়ে যেত। কী যে ভালো লাগত পড়তে! এ পর্যন্ত দু’বার পড়েছি। আরও পড়তে ইচ্ছে করে, কেননা পড়ার সময় কল্পনায় সেই মদিনায় চলে যাই। মনে হয় যেন কল্পনাটা তখন বাস্তবে রূপ নেয়।
তাই আমার সাজেস্ট থাকবে—যারা বইটা পড়েননি, দ্রুত সংগ্রহ করে পড়ে নিন। আশা করি, আমার মতো সবারই ভালো লাগবে।
মিশকাতুল আযিয মাহিমা নামের একজন পাঠিকা বলেছেন,
‘উমরাহতে যাওয়ার কয়েকদিন আগেই একজনের পরামর্শে বইটি পড়েছিলাম। যখন পড়ছিলাম, লেখক ঘটনাগুলোকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে, একটার পর একটা ইতিহাস জানতে জানতে মনে হচ্ছিল আমি যেন সাক্ষাৎ সেই ঘটনারই একটা অংশ। কী সুন্দর! আমার চোখে সবকিছু ফুটে উঠছিল, জীবন্ত মনে হচ্ছিল যেন কিছুদিন আগেই ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনা।
তারপর, যখন উমরাহ সফর শুরু হলো—বইটি পড়ার কারণে আমার সফরটি আরও সুন্দর ও সহজ হয়ে গিয়েছিল, আলহামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ।
তাওহিদুল ইসলাম জিহাদ নামের একজন ভাই বলেছেন,
‘উমরাহ সফরের গল্প’ বইটা যতবারই খুলে পড়ি ততবারই কান্নায় ভেসে যাই। আমার ছোট ছোট মাদ্রাসার স্টুডেন্টেরা আমাকে দেখে প্রশ্ন করে, “হুজুর, কি হয়েছে আপনার?” আমি বলি, বাবা, আমি আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া জানাই—এমন একজন লেখকের লেখা বই পড়ার সুযোগ পেয়েছি বলে।
আপনার এই বইটি পড়ে আমার হৃদয়ে নবীর দেশ, আল্লাহর ঘর দেখবার আকাঙ্ক্ষা এতদূর বেড়ে গেছে যে ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল—আল্লাহর ঘর নিজের চোখে দেখব, নবীর রওজায় দাঁড়িয়ে সালাম জানাব। আপনার বইটা সেই চাহিদাকে আরও জ্বালায়। জানিনা আল্লাহ কখন কবুল করবেন, কিন্তু দোয়া করবেন ভাই—আল্লাহ যেন আমাকে সামর্থ্য দান করেন এবং সর্বপ্রথমই নবীর দেশে যেতে পারি।
Candle's Doll নামের আইডি থেকে একজন লিখেছেন,
‘বইটা তিনবার পড়ার চেষ্টা করলাম! তিনবারই বইটা ছুঁলেই কান্না আসে! কেঁদে ফেলি! পড়তে পারিনা!’
Mst Raseda নামের একজন পাঠিকা লিখেছেন,
‘আমি যখন বইটি হাতে পাই, তখন মনে হয়েছিল—আমি যেন “উমরাহ সফরের গল্প” বই হাতে পাইনি, বরং উমরাহ যাওয়ার টিকিটই হাতে পেয়ে গেছি। এতো ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম যে, বই পড়তে পড়তে চোখে শ্রাবণের ধারা বয়ে গেছে।
মদীনা যাওয়ার ইচ্ছা হাজার গুণ বেড়ে গেছে। এত আবেগমিশ্রিত গল্প আমি আগে কখনো পড়িনি।’
©আরিফ আজাদ ভাইয়ের ওয়াল থেকে