Law motivation

Law motivation সবার জন্য আইন বিষয়ে জিজ্ঞাসা ও আলোচনা এবং সমাধান।(Law is the Actionable system for protect Humanity)...

বার কাউন্সিল লিখিত পরীক্ষা-২০২৫ইং এর প্রশ্নপত্র।
28/06/2025

বার কাউন্সিল লিখিত পরীক্ষা-২০২৫ইং এর প্রশ্নপত্র।

26/06/2025

বার কাউন্সিল - লিখিত পরীক্ষা-২০২৫ইং, পরিক্ষার্থীদের করণীয়।

বার কাউন্সিল MCQ-2025.
25/04/2025

বার কাউন্সিল MCQ-2025.

সিট প্লান।
23/04/2025

সিট প্লান।

06/04/2025
 #জমি কেনার আগে যে বিষয় জানা প্রয়োজন:বাংলাদেশে জমি কেনা বেচা বিষয়টি সতর্কতার সাথে না করা হলে বিপত্তি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা...
31/08/2024

#জমি কেনার আগে যে বিষয় জানা প্রয়োজন:

বাংলাদেশে জমি কেনা বেচা বিষয়টি সতর্কতার সাথে না করা হলে বিপত্তি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। #মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা যেমন একটি ইস্যু, আবার নানা ধরণের জালিয়াতির শিকার হওয়ার ঘটনাও ঘটে প্রায়শই। #বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, তাড়াহুড়ো না করে জমি কেনার আগে কিছু বিষয় যাচাই করে নিতে পারলে প্রতারণার শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

Law motivation কী কী কাগজপ্ত্র যাচাই করতে হবে?

১. #জরিপের মাধ্যমে প্রণীত রেকর্ড অর্থাৎ খতিয়ান ও নকশা যাচাই করতে হবে।
২. জমির তফসিল অর্থাৎ জমির মৌজা, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর উক্ত দাগে জমির মোট পরিমাণ জানতে হবে।
৩. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিএস খতিয়ান; এসএ খতিয়ান; আরএস খতিয়ান ও পরচা দেখাতে হবে।
৪. #বিক্রেতা ক্রয়সূত্রে ভূমির মালিক হয়ে থাকলে তার ক্রয় দলিল বা ভায়া দলিল রেকর্ডের সঙ্গে মিল করে বিক্রেতার মালিকানা নিশ্চিত হতে হবে।
৫. বিক্রেতা #উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হলে সর্বশেষ জরিপের খতিয়ান বিক্রেতা বা তিনি যাঁর মাধ্যমে প্রাপ্ত তাঁর নামে অস্তিত্ব (যোগসূত্র) মিলিয়ে দেখতে হবে।
৬. #জরিপ চলমান এলাকায় বিক্রেতার কাছে রক্ষিত মাঠ পরচা যাচাই করে দেখতে হবে।
৭. উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি বিক্রেতার #শরিকদের সঙ্গে বিক্রেতার সম্পত্তি ভাগাভাগির বণ্টননামা (ফরায়েজ) দেখে নিতে হবে।
৮. বিক্রেতার কাছ থেকে সংগৃহীত #দলিল, #খতিয়ান/পরচা ইত্যাদি কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট #ভূমিঅফিসে গিয়ে তলবকারী /স্বত্বলিপি #রেজিস্টারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে।
৯. সর্বশেষ #নামজারি পরচা ডিসিআর #খাজনাদাখিল (রসিদ) যাচাই করে দেখতে হবে। জমির #খাজনা বকেয়া থাকলে এবং বকেয়া খাজনাসহ জমি ক্রয় করলে বকেয়া খাজনা পরিশোধের দায় ক্রেতার।
১০. বিবেচ্য #জমিটি #সার্টিফিকেট #মোকদ্দমা ভুক্ত কি না, কখনো নিলাম হয়েছে কি না, তা #তহশিলঅফিস / #উপজেলাভূমি অফিস থেকে জেনে নিতে হবে। সার্টিফিকেট মামলাভুক্ত সম্পত্তি বিক্রয়যোগ্য নয়।
১১. বিবেচ্য #ভূমিখাস, পরিত্যক্ত/অর্পিত, #অধিগ্রহণকৃত বা অধিগ্রহণের জন্য নোটিশকৃত কি না, তা তহশিল, উপজেলা ভূমি অফিস বা #জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এল এ শাখা থেকে জেনে নিতে হবে।
১২. বিবেচ্য ভূমি কোনো আদালতে মামলা–মোকদ্দমাভুক্ত কি না, তা জেনে নিতে হবে। মামলাভুক্ত জমি কেনা উচিত নয়।
১৩. বিবেচ্য জমিটি সরেজমিনে যাচাই করে এর অবস্থান নকশার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে এবং দখল সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে বিক্রেতার মালিকানা ও দখল নিশ্চিত হতে হবে।
১৪. #সাব–রেজিস্ট্রারের অফিসে তল্লাশি দিয়ে জমির সর্বশেষ বেচাকেনার তথ্য জেনে নেওয়া যেতে পারে।
১৫. প্রস্তাবিত জমিটি ঋণের দায়ে কোনো ব্যাংক /সংস্থার কাছে দায়বদ্ধ কি না।
১৬. প্রস্তাবিত জমিতে যাতায়াতের রাস্তা আছে কি না, তা–ও দেখা প্রয়োজন।

জমির সব কাগজপ্ত্রের বিষয়ে সন্তুষ্ট থাকলে কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া গেলে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিল প্রস্তুত করতে হবে। দলিল লেখার সময় অনেক ক্ষেত্রে ভুল হয়, তাই দলিল চূড়ান্ত করার আগে ড্রাফটে যা যা বলা হয়েছে সেসব তথ্য সঠিকভাবে এসেছে কিনা সেগুলো যাচাই করে দলিল চূড়ান্ত হলে এর পরপরই #মিউটেশন বা #নামজারির জন্য আবেদন করতে হবে। এখন নামজারির বিষয়টি অনলাইনে করে নেয়া সম্ভব। জমির দলিলের স্ট্যাম্প এবং দলিল রেজিষ্ট্রির রশিদ ক্রেতার নামে নিশ্চিত করে কিনে রশিদ যত্নসহকারে রাখতে হবে, জমি রেজিট্রির সময় ক্রেতা ও বিক্রেতা উপস্থিত থেকে স্বাক্ষর করা, বিক্রেতার নামে নামজরিপ কপি এবং আরএস পর্চা উপস্থাপন করার দিকে নজর রাখতে হবে।

 #যৌতুক কী?যুগ যুগ ধরে আমাদের সমাজে যৌতুক দেওয়া ও নেওয়ার নিয়ম চলমান। বাংলাদেশে ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮ তে যৌতুকের সংজ্ঞায় ...
29/08/2024

#যৌতুক কী?

যুগ যুগ ধরে আমাদের সমাজে যৌতুক দেওয়া ও নেওয়ার নিয়ম চলমান। বাংলাদেশে ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮ তে যৌতুকের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যৌতুক হচ্ছে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বশর্ত হিসেবে এক পক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষের কাছে দাবি করা অর্থসামগ্রী বা অন্য কোনো সম্পদ। এ দাবি বিয়ের আগে, বা পরে—যখনই হোক না কেন, তা যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে। তবে মুসলমানদের ক্ষেত্রে দেনমোহর যৌতুক বলে গণ্য হবে না। আবার বিয়ের আসরে অতিথিরা নিজের ইচ্ছায় উপহার প্রদান করলেও তা যৌতুক নয়।

#যৌতুকের মামলায় বিবাহ বলবৎ থাকতে
হবে

অনেক সময় বিবাহবিচ্ছেদের পর দেনমোহর মামলা করার পাশাপাশি যৌতুকের মামলা করার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু যৌতুকের মামলা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিবাহ বলবৎ থাকতে হবে। বিচ্ছেদের পর অন্যান্য মামলা করার ক্ষেত্রে বাধা না থাকলেও যৌতুকের মামলা করার জন্য বিবাহ বলবৎ থাকা জরুরি।

#একটি মামলার রায় আলোচনা করা যাক:-

মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(খ) ধারার অধীনে করা হয়; অর্থাৎ যৌতুকের জন্য মারাত্মক জখম করা হয়েছে বলে মামলাটি করা হয়। আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়, মামলাটি করার আগে পক্ষগনের বিবাহবিচ্ছেদ হয় এবং বিচ্ছেদ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সম্পন্ন হয়েছে।

মামলায় সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়, বিচ্ছেদের পর যৌতুকের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

#যৌতুকের মামলা কি শুধু বরপক্ষের বিরুদ্ধে হয়?

যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮-এর ২(খ) ধারায় যৌতুকের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা থেকে প্রতীয়মান হয় যে যৌতুক সর্বদা বরপক্ষ দাবি করবে, তা নয়। কনেপক্ষ বিয়ের শর্ত হিসেবে দেনমোহর ব্যতীত অন্যান্য অর্থসম্পদ দাবি করলেও তা যৌতুক।

এবং এর জন্য প্রচলিত আইনের অধীন আদালতে মামলা করা যায়।

#যৌতুক দাবী প্রমাণিত হলে সাজা?

২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ও ৪ ধারা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে যৌতুক দাবি, প্রদান ও গ্রহণ করার সাজা হচ্ছে অনধিক পাঁচ (৫) বছর; কিন্তু অন্যূন এক (১) বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় সাজা হতে পারে। যে ব্যক্তি যৌতুক দেওয়া বা গ্রহণ করার ব্যাপারে সহায়তা করবেন, তিনিও একই সাজাপ্রাপ্ত হবেন।

#যৌতুকের কারণে নির্যাতন ও মৃত্যু ঘটানোর শাস্তি

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত-২০০৩)-এর ১১ ধারায় বলা হয়েছে যে যদি যৌতুকের কারণে কোনো নারীর মৃত্যু ঘটানো হয়, তাহলে তার জন্য সাজা হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করা হলে তার জন্য শাস্তি হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। একই ধারায় বলা হয়েছে, যৌতুকের জন্য মারাত্মক জখম হলে দোষী ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১২ বছর; কিন্তু অন্যূন ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং উক্ত দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। ১১ ধারাতে আরও বলা হয়েছে যে যৌতুকের জন্য সাধারণ জখম হলে দোষী ব্যক্তি অনধিক তিন বছর, কিন্তু অন্যূন এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং উক্ত সাজার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ ধারার অধীনে সাজার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রমাণিত হতে হবে যে মৃত্যু, সাধারণ জখম ও মারাত্মক জখম যৌতুক প্রদানে অস্বীকৃতির কারণে ঘটানো হয়েছে।

#একটি মামলার উদাহরণ

মামলাটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়। পরবর্তী সময়ে তা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ঘটনাটি এমন যে, মামলার প্রধান আসামি ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ভুক্তভোগী নারী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। বিয়ের পর থেকেই আসামি যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে আসছিলেন, যা ভুক্তভোগীর পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছিল না। এ জন্য ভুক্তভোগী প্রতিনিয়ত আসামির দ্বারা অত্যাচারের শিকার হতেন। একদিন প্রচণ্ড রকম বিবাদের একপর্যায়ে মামলার প্রধান আসামি ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মিলে ভুক্তভোগীকে মারাত্মক জখম করেন। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য যে, প্রধান আসামি ও ভুক্তভোগীর সংসারে চার সন্তান ছিল এবং ঘটনার সময় ভুক্তভোগী সন্তানসম্ভবা ছিলেন। সেই অবস্থায়ই তাঁকে নির্যাতন করে মৃত্যু ঘটানো হয়। ঘটনার পর মৃত ভুক্তভোগীর আত্মীয়রা জিডি করেন এবং তাঁর ছোট ভাই আদালতে অভিযোগ করেন।

মামলার উভয় পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ট্রাইব্যুনাল আসামিদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক) ও ৩০ ধারার অধীনে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক তা উচ্চ আদালতে পাঠানো হলে, উচ্চ ওই আইনের ধারা থেকে পরিবর্তন করে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অধীনে সাজা ঘোষণা করেন। ফলে আসামিরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে এবং সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন। পরবর্তী সময়ে মামলাকারী কর্তৃক আপিল করা হলে আপিল বিভাগ মত দেন যে বিশেষ আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে সাধারণ আইনের অধীনে নিয়ে এসে সাজা পরিবর্তন করার জন্য উচ্চ আদালত অধিকারভুক্ত নন।

#যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার সাজা

অনেক ক্ষেত্রে যৌতুক নিরোধ আইনটিকে প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলে কিছু ব্যক্তি মিথ্যা মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন, যা ব্যাপক হয়রানির কারণ। ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৬ ধারায়, বলা হয় কোনো আইনানুগ কারণ নেই জেনেও যদি কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে সেই ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আবার ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির অধীনেও মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। দণ্ডবিধি আইনের ২১১ ধারা অনুযায়ী, মিথ্যা মামলা করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এ ধরনের মামলা করলে তার জন্য শাস্তি হবে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। তবে মামলার ধরন যদি এমন হয়, যার জন্য মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সাত বছরের অধিক কারাদণ্ড হওয়ার আশঙ্কা ছিল, তাহলে মিথ্যা মামলাকারীর সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড হবে। যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে এ ধারার অধীনে মামলা করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করতে পারবেন।

29/08/2024

চার্জশিট ও ফাইনাল রিপোর্ট কী?What is Charge Sheet and Final Report? Report

🎉 Just completed level 3 and I'm so excited to continue growing as a creator on Facebook!
25/08/2024

🎉 Just completed level 3 and I'm so excited to continue growing as a creator on Facebook!

 #জামিনযোগ্য ও  #জামিনঅযোগ্য  #অপরাধ। ফৌজদারী কার্যবিধি ৪ (বি) ধারায় জামিনযোগ্য অপরাধের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এখানে বলা ...
24/08/2024

#জামিনযোগ্য ও #জামিনঅযোগ্য #অপরাধ। ফৌজদারী কার্যবিধি ৪ (বি) ধারায় জামিনযোগ্য অপরাধের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এখানে বলা হয়েছে যে জামিনযোগ্য অপরাধ বলতে সে সকল অপরাধকে বুঝায় যা ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের দ্বিতীয় তফশীলে জামিনযোগ্য বলে দেখানো হয়েছে।
অথবা বর্তমানে বলবৎ অন্য কোন আইনে জামিনযোগ্য করা হয়েছে।

একই ধারায় জামিন অযোগ্য অপরাধের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে যে, জামিনযোগ্য অপরাধ ব্যতীত অন্য সকল অপরাধকে জামিনঅযোগ্য অপরাধ বলে গন্য করা হয়।

১. জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে আসামী আইনগত অধিকার হিসেবে জামিনে মুক্তি পাবার দাবী করতে পারে।
তবে শর্ত হচ্ছে যে, উপযুক্ত জামিনদার দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। জামিনের অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে আসামী আইনগত অধিকার হিসেবে জামিনে মুক্তি পাবার আবেদন করতে পারে না। এক্ষেত্রে আদালতের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বা সুবিবেচনার উপর জামিন মঞ্জুরের বিষয়টি নির্ভর করে। তবে এই স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা আইনানুগভাবে প্রয়োগ করতে হয়, ইচ্ছামাফিক প্রয়োগ করার নিয়ম নেই।

২. জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে আদালত সাধারণত জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারেন না, তবে হাইকোর্ট বিভাগ জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে ও অপরাধীকে আটক রাখার নির্দেশ এবং জামিন না মঞ্জুরের নির্দেশ দিতে পারেন।

জামিন অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে ও সাধারণত মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মত অপরাধ ব্যতীত অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে আদালত আসামীকে জামিনে মুক্তি দিয়ে থাকেন। কতিপয় বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন মহিলা, কিশোর ইত্যাদির ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মত অপরাধের ক্ষেত্রে ও আসামীকে জামিনে মুক্তি দেয়া যায়।

৩. জামিনযোগ্য অপরাধ তুলনামূলকভাবে লঘুতর, কিন্তু জামিন অযোগ্য অপরাধ তুলনামূলকভাবে গুরুতর। কোন অপরাধ জামিনযোগ্য এবং কোন্ অপরাধ জামিন অযোগ্য তার বিবরণ ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির দ্বিতীয় তফশীলে দেয়া আছে।

বিয়ে নিয়ে প্রতারণা, আইন কি বলে? #দণ্ডবিধির ৪৯৩ ধারা থেকে ৪৯৬ ধারা পর্যন্ত বিয়ে-সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের শাস্তির বিধান আ...
19/08/2024

বিয়ে নিয়ে প্রতারণা, আইন কি বলে?

#দণ্ডবিধির ৪৯৩ ধারা থেকে ৪৯৬ ধারা পর্যন্ত বিয়ে-সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের শাস্তির বিধান আছে, যার অধিকাংশ অপরাধই জামিন অযোগ্য।
ধারা ৪৯৩ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীকে প্রতারণামূলকভাবে আইনসম্মত বিবাহিত বলে বিশ্বাস করান, কিন্তু আদৌ ওই বিয়ে আইনসম্মতভাবে না হয় এবং ওই নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, তবে অপরাধী ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ৪৯৪ ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনো ব্যক্তি এক স্বামী বা এক স্ত্রী জীবিত থাকা সত্ত্বেও পুনরায় বিয়ে করেন, তাহলে দায়ী ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।
৪৯৫ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয় বা পরবর্তী বিয়ে করার সময় প্রথম বা আগের বিয়ের তথ্য গোপন রাখেন, তা যদি দ্বিতীয় বিবাহিত ব্যক্তি জানতে পারেন, তাহলে অপরাধী ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন। ৪৯৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি আইনসম্মত বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ব্যতীত প্রতারণামূলকভাবে বিয়ে সম্পন্ন করেন, তাহলে অপরাধী সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া কোনো মুসলমান ব্যক্তি ১ম স্ত্রী থাকলে সালিসি পরিষদের অনুমতি ছাড়া এবং প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া আরেকটি বিয়ে করেন, তিনি ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৬ (৫) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করবেন। অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যক্তিকে এক বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
#কোথায় কীভাবে আইনের আশ্রয় নিতে হবেঃ-
বিয়ে-সংক্রান্ত অপরাধের জন্য অভিযোগ থানা বা আদালতে গিয়ে চাওয়া যাবে। থানায় এজাহার হিসেবে মামলা দায়ের করতে হবে। যদি মামলা না নিতে চায় তাহলে সরাসরি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে সরাসরি মামলা দায়ের করা যাবে। কেউ কেউ থানায় না গিয়ে সরাসরি আদালতে মামলা করে থাকেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। আদালতে মামলা করার সময় যথাযথ প্রমাণসহ অভিযোগের স্পষ্ট বর্ণনা দিতে হবে এবং সাক্ষীদের নাম-ঠিকানাও দিতে হবে। আদালত অভিযোগকারীর জবানবন্দি গ্রহণ করে যেকোনো আদেশ দিতে পারেন। অনেক সময় অভিযোগ আমলে না নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের জন্য নির্দেশ দিতে পারেন। কেউ যদি স্বামী বা স্ত্রীর পরিচয়ে নিজেদের অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে অথচ আদৌ কোনো বিয়ে সম্পন্ন হয়নি তাহলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করার সুযোগ আছে এবং এ মামলা থানায় করতে হবে। এ ছাড়া ভুয়া কাবিননামা তৈরি করলে জালিয়াতির অভিযোগও আনা যাবে।

Legal notice
17/08/2024

Legal notice

Address

Dhaka

Telephone

+8801812794385

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Law motivation posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Law motivation:

Share