24/07/2025
মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনা: এটি শুধু দুর্ঘটনা নয়, দীর্ঘদিনের গাফিলতির ফল। কেনো সেটা বলি শোনেন।
দুর্ঘটনার পেছনে শুধু আকাশপথের বিপর্যয় নয়, রয়েছে ভূমিপথের অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার দীর্ঘ ইতিহাস।
এই কলেজটি মূলত রানওয়ের একেবারে সামনের দিকে গড়ে তোলা হয়েছে—যা নিয়মিত উড়োজাহাজ চলাচলের দৃষ্টিকোণ থেকে নিরাপদ নয় এবং প্রকৃতপক্ষে এটি অবৈধভাবে নির্মিত বলেই অভিযোগ রয়েছে।
এত বড় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় হাইড্রেন্ট বা অগ্নি নির্বাপক ড্রেনেজ সিস্টেম ছিল না। বরং ফায়ার সার্ভিসকে বাধ্য হয়ে পাশের নোংরা ড্রেনের পানি ব্যবহার করতে হয়েছে আগুন নেভাতে—যা এই প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত দায়িত্বহীনতার স্পষ্ট প্রমাণ।
দুর্ঘটনার সময় স্কুল ছুটির পরেও অনেক শিশু সেখানে ছিল, যাদের জোর করে কোচিং করানো হচ্ছিল। প্রশ্ন হলো, যদি শিক্ষার্থীদের ক্লাসেই সঠিকভাবে পাঠদান না হয়, তাহলে একই শিক্ষক পরে কোচিং সেন্টারে কীভাবে পড়ান? একই বিল্ডিং, একই শিক্ষক—ক্লাসে দায়সারা পড়ানো, পরে কোচিং-এ অতিরিক্ত ফি নিয়ে 'বিশেষ ক্লাস'—এটি কি শিক্ষার নামে আর্থিক প্রতারণা নয়?
এই দুর্ঘটনা প্লেন ক্রাশ হওয়ার কারণেই ঘটেছে—এমনটা বললে আসল সমস্যা আড়াল হয়। প্লেন না ভেঙেও এই প্রতিষ্ঠানে যে কোনো দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এখানে শিশুদের শুধু পড়ালেখার নামে চাপ দেওয়া হয়, তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের বিষয়টি কেউ ভাবেন না। কিন্তু এত অর্থ উপার্জন করেও তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, অবকাঠামো বা আগুন নির্বাপক ব্যবস্থার উন্নয়নে কোনো বিনিয়োগ করে না।
শিক্ষা যেন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে—যেখানে মানবতা নয়, টাকার অঙ্কই মুখ্য। এমন প্রাতিষ্ঠানিক লোভ, অব্যবস্থাপনা ও নিষ্ঠুর শিক্ষানীতি আমাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে—এই ধরনের স্কুল কি আমাদের আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলছে, না ধ্বংস করছে?
❌
এতক্ষন ভদ্র ভাষায় কথা বললাম। জানি এই কথা কেউ শুনবে না। তাই এইবার আসল কথাটা বলি। স্কুল ম্যানেজমেন্ট এর সবাইকে স্কুলে আটকে, প্রপার এয়ার স্টাইক করা হোক। একদম মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হোক। একটা শিক্ষা প্রতিষ্টান গড়ে উঠেছে দুর্নিতির মাধ্যমে, এরা বার কিসের শিক্ষা দেবে? শয়তানের বাচ্চা একেকটা।