22/10/2025
বিষয়টা খুব কষ্টের! নিশ্চয়ই বিবেচনার দাবি রাখে!
তবে পাঙাশ মাছও যথেষ্ট উপকারী।
০১।
বাঙালিরা যেসব মাছ খেয়ে থাকে, তার মধ্যে পাঙাশ মাছে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড বেশি পাওয়া যায়। এরপর তেলাপিয়া ও রুই মাছ। এক গ্রাম আমিষে ২৭৭ মিলিগ্রাম অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকা উচিত। সেখানে পাঙাশে আছে ৪৩০ মিলিগ্রাম। তাই পাঙাশ মাছ গ্রহণ করার মাধ্যমে দেহে আমিষের চাহিদা অনেকাংশেই পূরণ করা সম্ভব।
০২।
পাংগাস মাছ প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা শরীরের কোষ গঠন ও মেরামতে সাহায্য করে।
০৩।
এই মাছের চর্বির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম, তাই হার্টের জন্য ভালো এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়
০৪।
পাংগাস মাছেও কিছু পরিমাণে ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্ক ও চোখের জন্য উপকারী এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
০৫।
এতে ভিটামিন A, D, B12, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন থাকে, যা হাড় মজবুত রাখতে ও রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
০৬।
পাংগাস মাছের মাংস নরম, তাই শিশু ও বয়স্কদের জন্য সহজে হজমযোগ্য।
০৭।
এতে থাকা প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
সাবধানতা
----------
বাজারে কিছু পাংগাস মাছ খামারে রাসায়নিক বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাইয়ে বড় করা হয়। তাই বিশ্বস্ত উৎসের মাছই কেনা উচিত।
অতিরিক্ত ভাজা বা তেলে রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ কমে যায়।
বেশির ভাগ পাঙাশ মাছ এখন কৃত্রিমভাবে পুকুরে চাষ করা হয়। চাষের সময় যে খাবার দেওয়া হয়, সেগুলোর কারণে পাঙাশ মাছ ক্ষতিকর হতে পারে।
পাঙাশ মাছ সংরক্ষণের জন্য প্রচুর প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। কীটনাশক বা রাসায়নিক যেসব পদার্থ ব্যবহার করা হয়, তা দেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই তাজা মাছের বদলে সংরক্ষিত পাঙাশ মাছ গ্রহণের ফলে দেখা দিতে পারে শারীরিক জটিলতা।