14/01/2018
মওলানা সাদ বলেছেন, “পারিশ্রমিক নিয়ে দীন শেখানো দীন বিক্রির নামান্তর। কোর’আনে কারীম শিখিয়ে পারিশ্রমিক গ্রহণকারীর আগে ব্যভিচারীরা জান্নাতে যাবে।”
যে কোনো মাদ্রাসার লোকেরা এই ফতোয়া মেনে নেবে না সেটাই তো স্বাভাবিক। কারণ ওয়াজ করে, কোরা’আন খতম দিয়ে, নামাজ পড়িয়ে অর্থ গ্রহণ করাটাই তো তাদের পেশা। ধর্মের উপর আঘাত সহ্য করা যায় কিন্তু জীবিকার উপর আঘাত? কক্ষনো নয়!
আমার ধারণা, ইসলাম সম্পর্কে আল্লাহ আর রসুলের বক্তব্য মাদ্রাসাওয়ালাদের তুলনায় অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য। আল্লাহ কী বলেছেন এ বিষয়ে?
আল্লাহ বলেন, যারা আমার নাজিলকৃত আয়াত গোপন করে, তার বিনিময়ে পার্থিব মূল্য হাসিল করে তারা তাদের পেটে আগুন ছাড়া কিছুই পুরে না। (সুরা বাকারা ১৭৪)
আল্লাহর রসুল বলেন, ‘তোমরা কোরআন পড়ো এবং তার ওপর আমল করো। আর তাতে সীমালংঘন করো না, তার ব্যাপারে শৈথিল্য করো না, তার বিনিময় খেয়ো না এবং তাকে নিয়ে রিয়া করো না।’ -হজরত আবদুর রহমান ইবনে শিবল (রা.) হতে মুসনাদে আহমাদ: ১৫৫৬৮, সুনানে বায়হাকি: ২৬২৪, মুজামে তাবরানি আওসাত: ২৫৭৪
তেমনি অপর হাদিসে এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি জনৈক পাঠকারীর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলেন- যে কোরআন পড়ছিলো। অতঃপর সে (মানুষের নিকট) চাইলো। তখন তিনি ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পড়লেন। অতঃপর তাকে বললেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি কোরআন পড়ে, তার উচিত আল্লাহর কাছে তার বিনিময় চাওয়া। বস্তুত এমন কিছু দল আসবে যারা কোরআন পড়বে; যার বিনিময় মানুষের নিকট চাবে (তাদের একাজ অবাঞ্ছিত)।’ –জামে তিরমিজি: ২৯১৭, মুসনাদে আহমাদ: ১৯৯৫৮
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘অচিরেই মানুষের ওপর এমন কাল আসবে; যে সময় কোরআন শোনানোর বিনিময় চাওয়া হবে। সুতরাং যখন তোমাদের কাছে তারা চাইবে, তখন তোমরা তাদেরকে দেবে না।’ –আত তাওজিহ লি-শরহিল জামিইস সহিহ: ১৭৪ পৃ.
যারাই ধর্মব্যবসার গোমর ফাঁক করে দেবে মাদ্রাসাওয়ালারা তাদের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠবে-