দৈনিক বাংলা সমাচার

দৈনিক বাংলা সমাচার সত্যের পথে সর্বদা নিবেদিত
(1)

নিউইয়র্কে একসঙ্গে  শাকিব খান ও বুবলী
03/08/2025

নিউইয়র্কে একসঙ্গে শাকিব খান ও বুবলী

শাহবাগ Vs শহীদ মিনারছাত্রদল Vs এনসিপি
03/08/2025

শাহবাগ Vs শহীদ মিনার
ছাত্রদল Vs এনসিপি

আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি তোমার নিজের দুই সন্তানের কথা একবারও ভাবলে না? সে বলেছিল, 'ওরাও তো আমার সন্তান। ওদের একা র...
26/07/2025

আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি তোমার নিজের দুই সন্তানের কথা একবারও ভাবলে না? সে বলেছিল, 'ওরাও তো আমার সন্তান। ওদের একা রেখে আমি কী করে চলে আসি'

মনসুর হেলাল, নি-হ-ত শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী

দৌড়াও, ভয় পেয়ো না। আমি আছি।
মাইলস্টোনের টিচার মেহরিন চৌধুরী নিজে ৮০% দগ্ধ হয়েছেন। কিন্তু নিজের ছাত্রছাত্রীদের ফেলে বেরিয়ে যাবার মতো বুদ্ধিমতী ছিলেন না। শুধু বলছিলেন, দৌড়াও, ভয় পেয়ো না। আমি আছি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষিকা মেহরিনের সাহসিকতায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীর প্রাণ রক্ষা সম্ভব হয়েছে।

উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া এক সেনা সদস্য বলেন, “ম্যাডাম ভিতরে ঢুকে গিয়ে বাচ্চাগুলারে বের করে দিছেন, তারপর উনিই বের হতে পারেন নাই।”

নিজের জীবন উৎসর্গ করে ২০টি তাজা প্রাণ বাঁচালেন এই মহীয়সী নারী।

বাংলাদেশ ধন্য সকল বাংলাদেশি ধন্য এমন একজন শিক্ষিকা তাদের দেশে জন্মেছে।

শত শত সালাম সেই মায়ের প্রতি যার গর্ভে মেহরীন চৌধুরী নামক রত্নটি জন্মেছে।

মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।

‘আইসিইউতে মাহতাব আমার হাত ধরে বলেছিল- বাবা আমি ম র বো না। কিন্তু আমার মাহতাবকে আল্লাহ নিয়ে গেলেন।’
26/07/2025

‘আইসিইউতে মাহতাব আমার হাত ধরে বলেছিল- বাবা আমি ম র বো না। কিন্তু আমার মাহতাবকে আল্লাহ নিয়ে গেলেন।’

প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম উচ্চারিত হবে একটি নাম। আপনার ঋণ কখনও শোধ হবার নয়। ইতিহাস মনে রাখবে।
26/07/2025

প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম উচ্চারিত হবে একটি নাম। আপনার ঋণ কখনও শোধ হবার নয়।
ইতিহাস মনে রাখবে।

স্কুলের ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছিল এই তিন বন্ধু। আরমান,নাফি এবং প্রলয় ওরা সবাই ক্লাস সিক্সের স্টুডেন্ট। আড্ডার মাঝখানে...
26/07/2025

স্কুলের ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছিল এই তিন বন্ধু। আরমান,নাফি এবং প্রলয় ওরা সবাই ক্লাস সিক্সের স্টুডেন্ট।

আড্ডার মাঝখানে হঠাৎ তারা দেখতে পায় বিকট শব্দে একটা বিমান এসে পড়েছে ক্লাসরুমের উপর। তারা তিনজনই আড্ডা বাদ দিয়ে দৌড়ে চলে যায় ক্লাসরুমের দিকে।

আরমান গিয়ে দেখে অনেকগুলো বাচ্চার শরীর পুড়ে ঝ/ল/সে গিয়েছে, শরীর থেকে মাংস গলে গলে পড়ছে। পু/ড়ে যাওয়া একটা ছেলেকে নিজের স্কুল ব্যাগ দিয়ে চেপে ধরে আরমান,

তাতে শরীরের আ/গু/নটা নিভে যায়। এরপর তাকে ফাঁকা জায়গায় পাঠিয়ে দেয় আরমান।

নাফি তখন দেখতে পায় ৪-৫ জন বাচ্চা পো/ড়া শরীর নিয়ে দিক্বিদিক হয়ে দৌড়াচ্ছে। একটা বাচ্চা মেয়ের ব্যাগ পু/ড়ে পিঠের সাথে লেগে গিয়েছে। মেয়েটা ব্যাগটা খুলতে পারছিল না, কথাও বলতে পারছিল না।

পরে নাফি মেয়েটার ব্যাগটা পিঠ থেকে আস্তে আস্তে সরিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিক ভ্যানে তুলে নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়ে দেয় সবাইকে।

প্রলয় তখন উ/দ্ধা/র করছিল অন্যদিকে। সে দেখতে পায় তাদেরই কিছু বন্ধু পো/ড়া শরীরে ক্লাসের পাশে পড়ে আছে, আর মা মা বলে চিৎকার করছে।

তখন এই তিন বন্ধু মিলে টেনেহিঁচড়ে বের করে বাকি বন্ধুদেরকে। বন্ধুদের বের করতে গিয়ে পিঠে আ/গু/ন লেগে যায় একজনের, প্রচন্ড আঘাতও পায় হাতে।

তবুও নিজ শরীরের আ/ঘা/ত আর আ/গু/ন নিয়েই একে একে বের করতে থাকে বাকি বন্ধুদেরকে। কিছু বন্ধুর শরীর পু/ড়ে গিয়েছিল, কারো ফুসফুস পু/ড়ে গিয়েছিল, কেউ মা মা বলে চিৎকার করছিল।

এভাবেই তীব্র সাহসিকতা নিয়ে তিন বন্ধু মিলে উ/দ্ধা/র করেছিল বাকি বন্ধুদেরকে। উ/দ্ধা/র করার পর ওদের কিছু বন্ধু মা/রা গিয়েছে, কিছু এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

আমি জানতাম তুমি আসবে- এই উক্তির মতো তিন বন্ধু মিলে উ/দ্ধা/র করেছিল বাকি ১৮-২০ জন বন্ধুকে।

সাংবাদিকরা যখন এই তিনজনকে জিজ্ঞেস করেছিল - বন্ধুদেরকে বাঁ/চাতে গিয়ে তোমাদের যদি কিছু হয়ে যেত? তোমাদেরও যদি পুরো শরীরে আ/গু/ন লেগে যেত?

ওরা তিনজন উত্তর দিয়েছে- তখন এসব মাথায় আসে নাই, বারবার শুধু মনে হচ্ছিল ছোট বাচ্চাগুলোকে বাঁ/চাতে হবে, আমাদের বন্ধুদেরকে বাঁ/চাতে হবে। আমরা কাঁদছিলাম আর বন্ধুদের পো/ড়া শরীর ভ্যানে তুলছিলাম।

এই তিনজনের বয়স আর কত হবে, খুব বেশি হলে ১২ কিংবা ১৩। ওদের বয়স হয়তো কম কিন্তু যে অসীম সাহসিকতার কাজ করেছে সেটা পাহাড়ের উচ্চতার চেয়েও বেশি।

সাহসী তো হবেই, ওরা যে মাহরীন, মাসুকাদের মতো সাহসী ম্যাডামদের স্টুডেন্ট। ম্যাডামদের কাছ থেকেই সাহস সঞ্চারিত হয়েছে স্টুডেন্টদের বুকে।

এই তিনজন সাহসী হিরোর জন্যেই বেঁ'চে গিয়েছে অনেকগুলো বাচ্চা এবং বন্ধুর প্রাণ। বন্ধুত্ব শব্দটা মহিমান্বিত হয়েছে তাদেরই কারণে।

এই তিনজনের যে বন্ধুগুলো বা'র্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছে তারা যখন সুস্থ হবে তখন হয়তো আবারও বন্ধুদের সাথে খেলবে, গান গাইবে।

খেলার কোন এক ফাঁকে হয়তো এই তিনজনকে উদ্দেশ্য করে বাকি বন্ধুরা বলবে- আমরা জানতাম তোরা আসবি, আমাদেরকে উ/দ্ধা/র করবি

লেখা- Ibrahim Khalil Shawon

আমাদের ছেলে সূর্য সময়ের একটা ভিডিও দেখলাম। সেখানে সূর্য ওর স্কুল ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে। এই ভিডিওটা অনেকে হয়তো দেখেছ...
26/07/2025

আমাদের ছেলে সূর্য সময়ের একটা ভিডিও দেখলাম। সেখানে সূর্য ওর স্কুল ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে।

এই ভিডিওটা অনেকে হয়তো দেখেছেন। সূর্য কীভাবে বেঁচে গেলো সে কথা বলি। সূর্য রবিবারে ক্লাসে না যাওয়ায় হোমওয়ার্ক ছাড়াই পরের দিন ২১ জুলাই সোমবার ক্লাসে গিয়েছে। সেজন্য ডিটেনশন ক্লাসে ওর ক্লাস টিচার যেতে বলে। ডিটেনশন ক্লাস বলতে যারা হোমওয়ার্ক করে না বা ক্লাসে পড়া দিতে পারে না তাদেরকে ছুটির পরে এক্সট্রা টাইম স্কুলে রেখে পড়া আদায় করে বাসায় পাঠানো হয়।

সূর্যের ক্লাস টিচার বাপ্পি স্যার সূর্যসহ পাঁচজনকে বলে, তোমরা ওই কর্নারের ক্লাস রুমে যাও। আমি একটু পরে আসছি। সূর্যসহ পাঁচজন একেবারে ভবনের শেষ রুমের আগের রুমে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে বিকট আওয়াজ শুনে সূর্য পেছন দিকে তাকিয়ে দেখে ওরই ক্লাসরুমের সামনে দাউদাউ করে আ'গু'ন জ্ব'লছে। একজন ক্লাস রুম থেকে বের হতে গিয়ে মূহুর্তের মধ্যে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। ওরা ঘাবড়ে গিয়ে দ্রুত কর্নারের ক্লাস রুমে ঢুকে গেলো।

ওদের ডিটেনশন রুম পর্যন্ত আ'গু'ন পৌঁছোতে পারেনি। রুমের ভেতর আ'গু'নে'র তাপ এসে তাপমাত্রা ৭০° সেন্টিগ্রেডের মতো ছিল (সূর্যের কথা অনুযায়ী)। সূর্যের মনে হচ্ছিল শরীর তাপে পু'ড়ে যাচ্ছে। ওরা পাঁচজন জানালার কাছে গিয়ে শ্বাস নেবার চেষ্টা করছিল। কারণ তখন রুমের ভেতর কালো ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলো না। শ্বাস নিতে গেলে মনে হচ্ছিল ভেতরটা পু'ড়ে যাচ্ছে।

পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হবার পর সূর্য ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াতেই কয়েকজন ছাত্র ভীড়ের ভেতর থেকে হাত দিয়ে ইশারা করছে ডান দিকে যাবার জন্য। সূর্য ডান দিকে তাকাতেই দেখে ওখানে গ্রিল কেটে একটা বের হবার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ও দেখে এগিয়ে গিয়ে বলে, আপনারা দাঁড়ান। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে আসছি। সূর্য তাড়াতাড়ি ওর বন্ধুদের ডেকে বাইরে নিয়ে আসলো। এরপর কার্নিশের ওপরে দাঁড়িয়ে থেকে আগে বন্ধুদের নামার সুযোগ করে দিলো।

আমাদের ছেলেকে আমরা যে শিক্ষা দিয়ে বড় করেছি তার যথাযথ ব্যবহার ও করে দেখালো জাতিকে। ছেলেকে নিয়ে আমাদের আর কোনো চিন্তা নেই। আমি কখনো ওকে বলিনি, বাবা, তোমাকে এ প্লাস পেতে হবে। কখনো বলিনি তোমাকে ফার্স্ট হতে হবে। আমি সব সময় চেয়েছিলাম আমার ছেলে সূর্য যেন একজন মানবিক মানুষ হয়।

মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে যু'দ্ধবিমান  বি'ধ্ব'স্তের ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচ জনের পরিবারের ১১ জন সদস্যের  ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ক...
24/07/2025

মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে যু'দ্ধবিমান বি'ধ্ব'স্তের ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচ জনের পরিবারের ১১ জন সদস্যের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। বৃহস্পতিবার পাঁচ জনকেই শনাক্ত করতে সক্ষম হয় তারা।

সিআইডি-তে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া তিন শিশু ও দুই জন অভিভাবকের নামসহ ছবি

নতুন সংসার পেতেছে আকসা আর সাগর। তাদের সংসার টা কেবল গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে। দুজন কতোটা খুশি ছিল। কিন্তু সব সুখ এক নিসিষে...
24/07/2025

নতুন সংসার পেতেছে আকসা আর সাগর। তাদের সংসার টা কেবল গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে। দুজন কতোটা খুশি ছিল। কিন্তু সব সুখ এক নিসিষেই শেষ হয়ে গেল।

ছোট্ট শিশু মরিয়মের ম'র'দেহ এখনো শনাক্ত করতে পারেনি তার পরিবার। আজ মাইলস্টোন স্কুল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হচ্ছেন মরিয়মের ...
24/07/2025

ছোট্ট শিশু মরিয়মের ম'র'দেহ এখনো শনাক্ত করতে পারেনি তার পরিবার। আজ মাইলস্টোন স্কুল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হচ্ছেন মরিয়মের মা উম্মে আফিয়া। সঙ্গে শুধু মেয়ের পোড়া ব্যাগ।

ছবি : জাগোনিউজ

তাদের প্রতি শ্রদ্ধা!
24/07/2025

তাদের প্রতি শ্রদ্ধা!

গতকালের মাইলস্টোনের বিমান দু র্ঘ টনায় সবচেয়ে আলোচিত নাম 'মাহেরীন চৌধুরী' ম্যাম! উনার সাথে উনার স্বামীর শেষ কি কথা হয়েছিল...
23/07/2025

গতকালের মাইলস্টোনের বিমান দু র্ঘ টনায় সবচেয়ে আলোচিত নাম 'মাহেরীন চৌধুরী' ম্যাম! উনার সাথে উনার স্বামীর শেষ কি কথা হয়েছিলো জানেন?

উনার স্বামী উনাকে বলেছিলো 'আমাদের দুটো ছোট ছোট বাচ্চা আছে। তুমি তো তাদের এতিম করে দিলা!'
জবাবে ম্যাম বলেছিলো 'ওরাও তো আমার বাচ্চা! আমি কি করবো বলো?'
উনার শরীরের ১০০ ভাগ ই আ"* ক্রান্ত হয়েছিলো! উনি তাও উনার স্বামীকে বলেছিলো 'আমার ডান হাত টা একটু শক্ত করে ধরো তো!' অথচ উনার হাত ধরার মতো অবস্থা ছিলোই না!

তারপর উনি উনার স্বামীকে বলেছিলেন ''তোমার সাথে আমার আর দেখা হবেনা!''
এই লাইন টা এত বাজে ভাবে আঘাত করলো আমাকে!!
আপনার নিজের মানুষ টা দুনিয়া থেকে চলে যাচ্ছে, আপনার ও কিছুই করার নেই। সে শুধু আপনাকে একটা কথাই বললো 'তোমার সাথে আমার আর দেখা হবেনা!''

শেষ বিদায়! আর দেখা হবেনা! কখনো না!
এমন কষ্টের বিদায় কারো না আসুক!!💔🤲🤲

Address

Dhaka
1212

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দৈনিক বাংলা সমাচার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share