https://www.facebook.com/1559017601067657/

Mehedi Hasif, Dhaka (2025)

20/09/2025

প্রশ্ন রাখতে চাই বাংলাদেশের জনগঠিত সরকারের নিকট।
প্রশ্ন রাখতে চাই প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিকট
এই প্রশ্ন খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষের কন্ঠের।

সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে চলা মধ্যপ্রাচ্যে ও বাংলাদেশী সকল ঘনবসতিপুর্ন দেশ গুলো থেকে বিশেষ করে বাংলাদেশীদের অপ্রত্যাশিত ঘরে ফেরার বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?

সারা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যেখানে মাথা প্রতি সস্তায় অদক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায়। এটা দেশের জন্য অতি সাধারণ বিষয়।

উদ্যেশ্য যখন মাথা বেচা-কেনা তখন দক্ষতা সময়ের খর্চা বলে গন্য হবে এটাই হবার কথা।

বিষয়বস্তু নিয়ে একটু সংক্ষেপে আলোচনা করতে চাই।

বাংলাদেশে মোট কতগুলো কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে, তার সঠিক সংখ্যা এই মুহূর্তে নিশ্চিতভাবে দেওয়া কঠিন, তবে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (BMET)-এর অধীনে বর্তমানে দেশে ১১০টি সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) রয়েছে। এছাড়া, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ২১১টি সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত।

তবে জনসচেতনতার অভাবে কতিপয় অল্পসংখ্যক মানুষ এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। বেশিরভাগ মানুষ কোন নুন্যতম প্রশিক্ষণ বা দক্ষতা ছাড়াই বিদেশে পাড়ি জমিয়ে থাকেন। ফলে দেশের তুলনায় ভয়ংকর বেকারত্ব তৈরী হয় প্রবাসে।

সরকারি দায়বদ্ধতার পাশাপাশি নাগরিক দায়বদ্ধতা বেশি থাকার প্রয়োজন ছিল এখানে। যেহেতু যুদ্ধটা নিজের।
সরকারের করনীয় হতে পারতো,
নিদৃষ্ট কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা ব্যতীত, অদক্ষ কোন সাদা মাথা বিদেশে যেতে পারবে না।

❝যদিও কিছু অতিলোভী বাংলাদেশীদের খপ্পরে এই শ্রমবাজার। এর হালচাল বোঝা দায়। নামে বেনামে কথিত কম্পানি খুলে অথবা ইউরোপ আমেরিকায় চাকুরী র লোভ দেখিয়ে এই মাথা বেচাকেনার ভয়ংকর এক ফাদ তৈরি করে রাখে। কর্মের ব্যবস্থা আছে বলেও পরে আর কর্মের দেখা পাওয়া যায় না। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, অনেকে আবার এই সর্বজ্ঞাত সত্যি জেনেই ফাদে ঝাপ দিয়ে থাকেন❞।

তবে এমনটা হতেই পারতো যেমন, প্রবাসে যেতে হলে প্রয়োজন হবে, ভিন্ন ভিন্ন প্রশিক্ষণের সনদ ও সরকারি পরিক্ষার বৈধ সত্যায়িত সনদ। পরিক্ষার ব্যবস্থা করবে প্রশিক্ষণ দাতা প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানে হতে পারে এই পরিক্ষা।

এ-র ফলে, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ইতিবাচক হারে বৃদ্ধি পেতে পারতো, সাথে সাথে শ্রমবাজারের বাংলাদেশের দক্ষ শ্রমিকরা অধিক অগ্রাধিকার পেতে পারতো।

দেশে হাটে বাজারে যেমন ছোটা কাজের শ্রম বেচাকেনা হয়, তাতে অবিশ্বাস, ও অ-আস্থা ও রয়ে যায়।

ঠিক তেমনই, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ও অন্যান্য দেশে একই অবস্থা এই অসতর্ক জনসাধারণের।

তবে আপনি কি মনে করেন? এখানেই শেষ?

না; আমি মনে করছি, সরকারের কিছু দায়িত্ব থেকেই যায়।
যেমন, দূতাবাসের কড়া নজরদারি ও বাৎসরিক সেমিনার থাকতে পারে তাদের শ্রমবাজার মজবুত ও ন্যায় নিষ্ঠা এবং আইন কানুন বিষয়ে। তা নেই।

সরকার ও এই সকল দেশগুলোর মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও ভালো সম্পর্ক স্থাপন করা, যেন, যে কোন সিদ্ধান্তের আগেই বিষয় বস্তু যেনে নাগরিক দের সতর্ক করতে পারে।

এমনটাও দেখি না।

অনেক অদেখা অপূর্ণ প্রত্যাশা আজকের পৃথিবী খুব কঠিন করে তুলেছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, মিডিয়া প্রপাগাণ্ডা ও ভুল তথ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফুলে ফেপে ওঠার কারনে বাংলাদেশীদের বিশ্বাসের পরিমাণ তলানিতে ঠেকেছে।

প্রাধান্য পাচ্ছে, আফগানিস্তানের তালেবান শাসিত সরকারের জনগণ, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, আফ্রিকা, নেপাল, কেরালা রাজ্য (ভারত)।

স্বল্প অর্থে শমিক মিললেও চাহিদা কমেছে বংলাদেশের নাগরিকদের।