আলোর মিনার

আলোর মিনার সময়োচিত সত্যের সাহসী উচ্চারণে নির্ভীক

26/07/2025

ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করা অত্যন্ত জটিল। একান্ত বাধ্য না হলে আমি ব্যক্তি বিশেষ সম্পর্কে মন্তব্য থেকে বিরত থাকি। এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। অথবা কাজ বা চিন্তার সমালোচনা করি। বিশেষত যে ব্যক্তির সাথে আমার সরাসরি কোন যোগাযোগ নেই তার সম্পর্কে মন্তব্য করা আমার কাছে বেইনসাফি মনেহয়। কারণ এ ক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।

শরিফ আবু হায়াত অপু সাহেবের ব্যাপারে একাধিক ভাইয়ের থেকে একাধিক অভিযোগ শুনেছি। তার ফোবের বিষয়বস্তু ও চিন্তাধারা সম্পর্কে অনেকে আমাকে অবগত করেছেন। তার সঙ্গে বিভিন্ন সংলাপ ও কমেন্টের স্ক্রীনশর্ট পাঠিয়েছেন। আমি সবাইকে বলেছি, এমন মানুষের সঙ্গে এড়িয়ে চলতে। দূরত্ব বজায় রাখতে। সমস্যা হলো, খুব কম ভাইই এমনটা করেছেন।

দ্বীন ও ইসলামের জন্য আমাদের উচিত বিজ্ঞ আলিমদের দারস্থ হওয়া। আপনি যেই মাসলাককে সঠিক মনে করেন সেই মাসলাকের আলিমদের সঙ্গে সুসর্ম্পক রাখবেন। সেই মাসলাকের একজন আলিমের আনুগত্য করবেন। নিজের অবস্থা তার সম্মুখে পেশ করবেন। নিজের কাজের ক্ষেত্রে তার সঙ্গে দায়বদ্ধ থাকবেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি আপনার থেকে কম যোগ্যতা সম্পন্নও হতে পারেন। কিন্তু আহলে ইলম হিসেবে তার পেছনে চলাই আপনার কর্তব্য। এটাই ইসলামের মুতাওয়ারাস পদ্ধতি।

কিন্তু আমাদের ভাইয়েরা চটকদার বক্তব্য দেয়া সেলিব্রেটিদের পছন্দ করেন। আলিমদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পশনেস দেখানো সেলিব্রেটিদের পিছু ছুটেন। তাদের সাথে নিয়মিত সম্পর্ক রাখেন। আলিমদেরকে তাদের কাছে অচ্ছুত লাগে। আনস্মার্ট আর অযোগ্য মনেহয়। এভাবেই অপু সাহেবদের মত লোকজন দোকান খুলে বসে। সেই দোকানে গিয়ে পুঁজি হারায় অসংখ্য অবুঝ তরুন।

- মাওলানা নাজমুল হক সাকীব

বিগত ইরান, হিজরা'য়েল যুদ্ধের সময় দাম বেড়ে কিছুদিন পর আবার কমেছে। এখন অনেকটাই কম, সামনে হয়তো বাড়বে। তাই ২২ ক্যারেট স্বর্ণ...
18/07/2025

বিগত ইরান, হিজরা'য়েল যুদ্ধের সময় দাম বেড়ে কিছুদিন পর আবার কমেছে। এখন অনেকটাই কম, সামনে হয়তো বাড়বে। তাই ২২ ক্যারেট স্বর্ণের কানের দুল, আংটি, ব্রেসলেট কিনতে
চাইলে এখনই সর্বোত্তম সময়।

বর্তমানে অনলাইনে আপনাদের জন্য মার্কেট প্রাইস থেকে সর্বোচ্চ ছাড়ে অরিজিনাল ২২ ক্যারেট সউদী প্রডাক্ট সেল করছি আমাদের Rizque জুয়েলার্স থেকে। শেষবার সউদী থেকে আনা অধিকাংশ অলংকারই বিক্রি হয়ে গেছে। তবে অল্প কিছু এখনও আছে।

যাদের নূতন স্বর্ণালংকার প্রয়োজন শতভাগ আস্থা ও নির্ভরতায় আমাদের থেকে কিনতে পারেন।

জাজাকাল্লাহ খাইরান।
বারাকাল্লাহু ফিকুম।

হযরত মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক সাহেবের বয়ানের ভ্রান্তিগুলোর সংক্ষিপ্ত জবাবপর্ব-১প্রথমে তার ভ্রান্তিগুলোর পয়েন্ট উল্লে...
09/07/2025

হযরত মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক সাহেবের বয়ানের ভ্রান্তিগুলোর সংক্ষিপ্ত জবাব
পর্ব-১

প্রথমে তার ভ্রান্তিগুলোর পয়েন্ট উল্লেখ করছি। এরপর ধারাবাহিকভাবে অতি সংক্ষেপে দালীলিক জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

ভ্রান্তিসমূহঃ

১। খিলাফত শুধু মাওঊদ তথা প্রতিশ্রুত। এটা মা'মুর তথা আদিষ্ট না। ইমান আর নেক আমল থাকলে আল্লাহ তা'আলা খিলাফত এমনিতেই দিয়ে দিবেন। এর আলাদা কোনো বিশেষ মেহনত নেই। (তার এই মতটা একেবারে প্রসিদ্ধ। এই বয়ানে সংক্ষেপে বললেও এ ব্যাপারে তার বিস্তারিত আলোচনা আছে)

২। ফাতহে মক্কার পর রাসুল সাঃ এর ওফাতের আগ পর্যন্ত আর কোন যুদ্ধ হয়নি আর এই যুদ্ধ ছাড়াই পুরো জাজিরাতুল আরব ইসলাম গ্রহণ করেছে! এর আগ পর্যন্ত শুধু যুদ্ধই হয়েছে।

৩। "আগে জিহাদ ছিলো ইসলাম ছিলো, এখন জিহাদ নেই যার কারণে ইসলামও নেই" এই স্লোগানকে ভুল বলা এবং সেটাকে ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদের ভাষ্য বলা।

৪। "মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক যোদ্ধা জাতি পাওয়ার কারণে খুব কম দিনে তার রাজত্ব অনেক জায়গা জুড়ে কায়েম হয়েছে" শুধু এতোটুকু কথাকে খ্রিস্টানদের কথা বলে দাবী করে "যে যত বেশি মাস্তানি করতে পারে তার দীন তত বেশি কায়েম হবে, হক না হকের কোন মাসালা নাই"

৫। এটা কাফেরদের কথা "জিহাদের মাধ্যমে দীন হওয়া"
কোন জিহাদের দ্বারা কোন জায়গায় কখনো দীন হয়নি। বদরে কোথায় কে দীন পাইছে? বদরের যুদ্ধে কে মুসলমান হইছে? আমাদের যুদ্ধে কে মুসলমান হইছে?

৬। যুদ্ধ মুসলমান বানানোর জন্য নয়। যুদ্ধ ইসলামের দাওয়াত দিতে যে বাধা দেয় বাধা দেনেওয়ালা শক্তি ফিনিশ করা এবং রাস্তা থেকে প্রতিবন্ধকতা উঠানোর নাম হইলো জিহাদ।

৭। জিহাদের গায়ের উপর অস্ত্র চালায়। মানুষকে মারে তাহলে এই জেহাদে কলবের সাফায়ী আনবে ক্যামনে?করবের সাফাইয়ের জন্য দাওয়াত ইলাল্লাহর দরকার। আল্লাহ তায়ালার নাজ ও নিয়ামত আর ইহসানাতের আলোচনা দরকার....কুওয়াতে দলীলের কারণে আর আল্লাহ তা'আলার নেয়ামত আর ইহসানাতের আলোচনার দ্বারা মানুষ মুসলমান হয়। জিহাদে কোনো মানুষ মুসলমান হয় না। বেত্রাঘাত করলে আবার কলবে ইসলাম ঢুকবে নাকি?! আর জোরপূর্বক কাউকে মুসলমান বানানো لا إكراه في الدين জোরপূর্বক কোনো ইসলাম মানুষকে নাজাত দিতে পারে না।

৮। জিহাদ ঐ শক্তির বিরুদ্ধে যেই শক্তি আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দিনের দাওয়াত, আল্লাহর গুণগান গাইতে বাধা দেয়। এদের দুনিয়াতে থাকার কোন অধিকার নেই। এটার নাম হল জিহাদ।

৯। আমেরিকা ইংল্যান্ড সহ বিভিন্ন কাফের রাত্রে বিভিন্ন মুসলমান হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক নির্বিঘ্নে শান্তির সাথে ইসলাম পালন করছে, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করছে ইত্যাদি। আর তামাম মুসলমান উলামায়ে কেরামের চারো মাযহাবের মুত্তাফাকা ঐক্যমত শায়ায়িরে দীন যে কাফেরের দেশে সংরক্ষিত এখানে কোন যুদ্ধ জিহাদ নাই!!!!!

১০। বর্তমান যমানা যুক্তির যমানা, কথা বলার যমানা। খ্রিস্টান কাদিয়ানী সহ অন্যরা মুসলিমদেরকে ধর্মচ্যুত করছে শুধুমাত্র যুক্তির দ্বারা, মারামারির দ্বারা না। তাই আমাদেরও শুধু যুক্তি ধারাই সেগুলো প্রতিহত করতে হবে। এগুলো জিহাদ দিয়ে করা যাবে না।

১১। জিহাদ করতে চাইলে নির্দিষ্ট তারিখে ঘোষণা জিহাদ করতে হবে! জিহাদ করতে না পারলে জিহাদের ওয়াজ করা যাবে না।

১২। জিহাদের আলোচনার বিপরীতে দাওয়াতি আলোচনা, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয়ে তুলে এনে মানুষকে এটা খাওয়ানো যে দুইটা পরস্পর বিরোধী।

১৩। খ্রিস্টানদের সাথে বিভিন্ন ধর্ম এবং ইসলাম ধর্মের তুলনামূলক আলোচনা করলেই এই ফেতনা দূর হয়ে যাবে। কোনো জিহাদ লাগবে না।

১৪‌। ইসলাম কি মস্তানির ধর্ম‌? ইসলামকে যুক্তি ও দালায়েলের ধর্ম। (পুরো আলোচনার মধ্যে মস্তানি বলতে জিহাদকেই বোঝানো হয়েছে)

এই পর্বে শুধু এতোটুকুই থাক। আগামী পর্ব থেকে প্রতিটি পয়েন্ট নিয়ে সংক্ষিপ্ত দালীলিক আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

বিঃদ্রঃ এর বাইরেও যদি হযরতের বিশেষ বিশেষ বক্তব্য থেকে থাকে তাহলে সেগুলো কমেন্টে প্রমাণসহ উল্লেখ করতে পারি। সেগুলোও খণ্ডন করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
আর এই ধরনের বক্তব্য শুধু তার একার নয় বরং গণতান্ত্রিক রাজনীতির সাথে জড়িত অনেকের অবস্থান এমনই। যেহেতু উনারটা সামনে এসেছে তাই সেটাকেই সামনে রাখা হচ্ছে। এর মানে শুধু তিনি একা উদ্দেশ্য নন। বরং এমন মতবাদে বিশ্বাসী সকলের জন্যই এই লেখা।

চলবে ইনশাআল্লাহ...

-আবু উসামা জাফর হাফিজাহুল্লাহ

মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক ও আমার দেখা কারগুজারী-------------------------------------------------------------------------...
09/07/2025

মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক ও আমার দেখা কারগুজারী
-------------------------------------------------------------------------
তিনি একজন মাওলানা, আল্লামা, একজন শায়খুল হাদিস।
এক সময়কার ফেরাকে বাতেলা বিরোধী বলিষ্ঠ কন্ঠের অধিকারী।
কিন্তু তার জি*হাদ বিদ্বেষী বক্তব্য শুনলে একজন মুসলমান হিসাবে হতবাক হতে হয়।

তার তাহরীফ ও জি*হাদ বিদ্বেষ নতুন কিছু নয়।
তিনি বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও মজলিসে বহুকাল আগে থেকেই জি*হাদ বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে আসছেন

২০০৩/৪ সন।
এমনই এক ঘটনা ঘটে ঢাকার চৌধুরী পাড়া মাদ্রাসায়।
হঠাৎ এলান হয় মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক সাহেব আসছেন। তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তারবিয়াতী বয়ান করবেন।

বাদ জোহর বয়ান শুরু হয়। তিনি মওদুদীবাদ ও ইসলামী সিয়াসাত নিয়ে আলোচনা করেন।
একপর্যায়ে তিনি বলে উঠেন- কিছু লোক আছে যারা শুধু জি*হাদ জি*হাদ করে! আরে তোমরা কার নেতৃত্বে জি*হাদ করবে? ওসা*মার নেতৃত্বে? মোল্লা ও*মরের নেতৃত্বে? তারা তো গর্তের লোক। তারা 'র'এর এজেন্ট, সিআই এর এজেন্ট। আরো বহু কুটুক্তিপূর্ণ মন্তব্য করতে থাকেন।

একপর্যায়ে ছাত্ররা লিখিত আকারে তার প্রতিবাদ করে ও বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায়। তিনি তার ব্যাখ্যা না করে আরো রাগান্বিত হয়ে উঠেন ছাত্রদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, আমার কথার উপর এশকাল হয়! নিশ্চয় এখানে এখানে জামাত-শিবিরের লোক আছে। এভাবেই তিনি তার রাগ ক্ষোভ সবকিছু ছাত্রদের উপর উগড়ে দেন।
এই যদি হয় একজন শায়খুল হাদিস ও লিডারের অবস্থা তাহলে উনি জাতিকে কী রাহবরী করবেন? জাতিকে কোন পথে পরিচালিত করবেন? আফসোস শত আফসোস।

- আবূ সাঈদ মুহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ

30/06/2025

নোয়াখালীর শুভজিৎ মণ্ডল নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
সুযোগ বুঝে মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
২০ দিন ধরে তাকে জোরপূর্বক ধ'র্ষ'ণ করার পর, অবশেষে বিক্রি করে দেয় পতিতালয়ে।

কুমিল্লার পরকীয়ার ঘটনায় যারা তিলকে তাল বানিয়ে অনেক হৈ-চৈ করেছিল, তারা নোয়াখালীর এই নৃশংস ঘটনার কথা নিয়ে কেন চুপ?

নিচের যে মেয়েটি লাশ দেখতে পাচ্ছেন তার নাম সুলতানা পারভীন ..!!মাত্র ৮ মাস আগে ভিন্ন ধর্মের প্রীতম নন্দীকে বিয়ে করেছিলেন...
30/06/2025

নিচের যে মেয়েটি লাশ দেখতে পাচ্ছেন তার নাম সুলতানা পারভীন ..!!

মাত্র ৮ মাস আগে ভিন্ন ধর্মের প্রীতম নন্দীকে বিয়ে করেছিলেন। কয়েক মাসের মধ্যেই বুঝেছিলেন ভুলটা।
ফিরে যেতে চেয়েছিলেন — মায়ের, বাবার, নিজের ঘরে।

গত ২৭ জুন সুলতানা ফোন করে বলেছিলেন —
👉 “বাবা, আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে চলো!”
বাবা-মা যখন শ্বশুরবাড়ি গেলেন, ওরা তাদের মারধর করল, গাড়ি ভেঙে দিল, তাড়িয়ে দিল।
পরের দিন সুলতানার দেহ ঝুলতে দেখা গেল — আত্মহত্যার নাম করে হত্যার নোংরা নাটক!

❗ এটা নিছক খুন। ঠান্ডা মাথায়, নির্মম খুন।

এখন ভাবুন — যদি ছেলেটা মুসলিম হতো, মেয়েটা হিন্দু — মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ চ্যানেল সব আগুন জ্বালিয়ে দিত।
ব্রেকিং নিউজ চলত দিনরাত! পুরো মুসলিম সমাজকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হতো!
কিন্তু এখন কোথায় তারা? এত চুপ কেন?

যারা কথায় কথায় “ফ্রিজ, ফ্রিজ” বলেন — এবার কি বলবেন?
একটা মেয়ের জীবন শেষ করে দিলেন !🙂©

আমাদের বাড়িতে নিচ তলায় একজন ভাড়াটিয়া আছে যারা নাকি হাসবেন্ড ওয়াইফ দুজনেই চাকরি করে। তাদের দুজন বাচ্চা একজন ছেলে আরেকজন ম...
23/06/2025

আমাদের বাড়িতে নিচ তলায় একজন ভাড়াটিয়া আছে যারা নাকি হাসবেন্ড ওয়াইফ দুজনেই চাকরি করে। তাদের দুজন বাচ্চা একজন ছেলে আরেকজন মেয়ে। ওরা দুই ভাই বোন বাসায় একা থাকে সারাদিন।আমি প্রতিদিন ক্যামেরায় ওদের দেখি মূলত ওদের আমি ফলো করি। গেইট দিয়ে আবার বের হয়ে যায় নাকি। ওরা সারাদিন আমাদের বাসার এই গ্যারেজেই বেশিরভাগ সময় থাকে। দুই ভাইবোন খেলে আবার গেইট ধরে অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকে ,আবার সিড়িতে বসে থাকে আবার রুমে যায় আবার আসে। এমন করে ওদের সারাটা দিন কাটে। আমি সারাদিন কাজ করি আর একটু পর পর ওদের দেখি মনিটরে। আমার খুব খারাপ লাগে ওদের জন্য সারাটাদিন কিভাবে একা পাড় করে দুটো বাচ্চা। বোনটা ছোট মাঝে মধ্যে কান্না করে তখন আবার ভাইটা কোলে নেয় বোনকে। হয়তো এই শহরে টিকে থাকার জন্য বাবা মায়ের দুজনের কাজ করতে হয়। এই শহরে আসলে টিকে থাকাও একটা লড়াই।এই জন্য চাইলেও হয়তো মা টা বাসায় বাচ্চা নিয়ে থাকতে পারছে না।

ঠিক এই কারনের জন্য নিজের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা না করে আমি ফুল টাইম মাদার হওয়ার ডিসিশন নিয়েছিলাম। পড়াশোনা শেষ করে যখন দেখলাম আমার সাথের প্রায় সব বান্ধবীরা চাকরি ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবছে।ঠিক তখন আমি হয়ে গেলাম একজন ফুল টাইম মাদার। আমার মনে হয়েছিল ক্যারিয়ারের চাইতে আমার জীবনে এখন আমার বাচ্চা বেশি জরুরি।সবাই আমাকে বলেছে এত পড়াশোনা করলা এখন কিছু একটা করো। হাসবেন্ড এর থেকে টাকা চেয়ে নিয়ে শখ পুরন করার চাইতে নিজে কিছু করা ভালো না। আমি সবাইকে একটাই উত্তর দিয়েছি না আমি মা হতে চাই আমার ক্যারিয়ার লাগবে না। এই যে আমার বাচ্চার ছোটবেলার সময়টা আর জীবনে ফিরে আসবে না। বড় হলে ওর আলাদা জগৎ হবে তখন ওর এতটা মায়ের দরকার হবে না। কিন্তু এখন ও এক সেকেন্ড মা ছাড়া থাকতে পারবে না। কয়েক মাস আগেও আমার শ্বশুর বেশ অপমান জনক ভাবে আমাকে বলেছিল পড়াশোনা করে জীবনে কি করছো কয়েক টাকাতো ইনকাম করতে পারো নাই। আমি চুপ হয়ে কোনো উত্তর দেইনি কারন সে আমার স্বামীর বাবা আর আমার শিক্ষায় তাকে উওর দেয়া চলে না। হয়তো অন্য মানুষ হলে আমি দারুন একটি উত্তর দিয়ে দিতাম। যাইহোক এমন আরও হাজার হাজার বার আমি শুনেছি একটা জব করতে পারলাম না কি করলাম জীবনে আমি। আমি যা করেছি তা শুধু আমি জানি। আমি না খেয়ে বাচ্চা সামলেছি ,রাতে না ঘুমিয়ে বাচ্চা পেলেছি ,কুলে নিয়ে রান্না করেছি ,খেতে বসে বার বার উঠেছি পটি ক্লিন করার জন্য ,দু হাত পেতে বমি ধরেছি বাচ্চার। এই যে ছোট ছোট হাত দুটো আমায় এসে জড়িয়ে ধরে সারাদিন আমার সাথে লেপটে থাকে এটাই আমার জীবনের প্রাপ্তি। আমি যদি অফিস করতাম এই বাচ্চাটাই অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকতো কখন আমি আসবো ,সঠিক টাইম গোসল করতো না, হয়তো ময়লা জামা পড়তো বিনিময়ে আমি মাস শেষে কিছু টাকা পেতাম এইতো! যে সব মায়েরা বাচ্চা রেখে জব করে তাদের আমি অনেক সম্মান করি ,নিজের বাচ্চা বুক থেকে রেখে যেয়ে জব করা মুখের কথা না। হ্যাঁ আমার বাচ্চা একদিন বড় হবে আলাদা জগৎ, বিয়ে করবে সংসার করবে হয়তো এই গুলো মনেও থাকবে না ওর কিন্তু আমি যে ওকে আমার জীবনের পুরোটা সময় দিয়ে বড় করে তুলেছি এটাই আমার জীবনের এচিভমেন্ট।তার জন্য হয়তো দিন শেষে ইনকাম করিনা স্বামীর থেকে চেয়ে নিতে হয়। আমি এটা স্বেচ্ছায় বেছে নিয়েছি। কারন আমি মা হতে চেয়েছিলাম ক্যারিয়ার চাইনি 🙂

- collected

"ও এখন কোথায় আছে, তার সম্পর্কে সমস্ত ইনফরমেশন লাগবে! "মেজবাহ উদ্দিন, ইন্সপেক্টর, সিটিটিসি, এণ্টি ইলিগ্যাল আর্মস টিম।প্র...
19/06/2025

"ও এখন কোথায় আছে, তার সম্পর্কে সমস্ত ইনফরমেশন লাগবে! "

মেজবাহ উদ্দিন, ইন্সপেক্টর, সিটিটিসি, এণ্টি ইলিগ্যাল আর্মস টিম।
প্রচণ্ড ইসলাম বিদ্বেষী। কথায় কথায় হাদিস, সাহাবা ও সালাফদের উপর আক্রমণ করে। ইজরাইল ও ইয়াহুদিদের অন্ধ ভক্ত। মোসাদ থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত। তার রুমে একটা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট আছে যেটায় "I S R A E L" লেখা।

এই মেসবাহ এর অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে, আল্লাহর রাসুল (স) সাহাবাদের উপর আক্রমন। চেয়ারের হাতে হান্ডকাপ লাগিয়ে, জম টুপি পড়িয়ে সে হুমকি দিত!!
কিরে কু** বাচ্চা তোর আবাবিল পাখি কই?
এমন কি সে বলত তোদের চাইতে ইয়াহুদিরা বেশী কোর'আন মানে। কোর'আনে তিন ওয়াক্ত নামায। জান্নাতে সবার আগে যাইব ইয়াহুদিরা।
অনলাইন থেকে শিয়াদের বিভিন্ন যুক্তি পড়ে, সেগুলো দিয়ে হাদিস, সাহাবাদের উপর আক্রমণ করত। বলত, হাদিস মানুষের বানানো। সুন্নিরা বানাইছে। আলি (রাঃ) এর থেকে খিলাফত জোর করে নেওয়া হয়েছে। তোরা যে কোরআন পড়স, সেটা ভুয়া।
হাসিনার অতন্ত কাছের এই অফিসার হাসিনার থেকে একাধিকবার বি এম পদক পেয়েছে। তার পুরো দেয়াল সাজানো ছিল হাসিনার থেকে পদক নেওয়ার ছবিতে। এমন কি সে যেসব পোষাক পড়ত সেখানেও পদক, নৌকার ছোট ব্যাজ পড়ে থাকত।

এই পদকগুলো সে পেয়েছিল, হাসিনার কথায় ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে। গর্ব করে বিভিন্ন ক্রসফায়ারের ভিক্টিমদের নাম বলত। তার ব্যাপারে তার ডিপার্টমেন্টের কনস্টেবলদের অভিযোগ হচ্ছে, মেসবাহ স্যার শুধু ক্রস দেয় না। ক্রসফায়ার দেওয়ার পর লাশের সাথেও বিকৃত অত্যাচার করে। পা দিয়ে মাড়ায়।
এর অন্যতম কাজ হচ্ছে, কল রেকর্ড শোনা। গুমের আগে ও পরে গুমের ভিক্টিম ও আত্মীয়স্বজনের কল রেকর্ড শোনে সে। এছাড়া বিভিন্ন সময় কল রেকর্ড শুনে নারীদের কল দেয়। আমার সামনে সে কোনো নেতার বউকে কল দিয়ে, তার গোপন কথা প্রকাশের হুমকি দেয়।

সিটিটিসির এই কসাই মেসবাহকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। হাসিনার ভাড়াটে এই সাইকো কিলার এখনো খোলা আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

©Topu

রাত ৩:০০ টায় রোগীটা মা*রা গেল। বয়স প্রায় ৮০, সাথে শুধু স্ত্রী।জিজ্ঞেস করলাম, বাড়িতে খবর দিয়েছেন? রোগী তো সন্ধ্যা থেকেই খ...
14/06/2025

রাত ৩:০০ টায় রোগীটা মা*রা গেল। বয়স প্রায় ৮০, সাথে শুধু স্ত্রী।

জিজ্ঞেস করলাম, বাড়িতে খবর দিয়েছেন? রোগী তো সন্ধ্যা থেকেই খারাপ ছিলো। কেউ আসেনি?

এরপর এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি হলাম যার জন্য আমার কোন মানসিক প্রস্তুতি ছিল না--

রোগীর দুই ছেলে, বড় জন সৌদি আরব, ছোট ছেলে বাড়িতে। বড় ছেলের জোরাজুরিতেই হাসপাতালে আসা। ছোট ছেলের আপত্তি অগ্রাহ্য করে কেন হাসপাতালে আনা হলো, এই অপরাধে বৃদ্ধ বাবাকে একবারও দেখতে আসেনি সে। উল্টো তাকে বাবার খারাপ অবস্থা জানানো হলে তার ভাষ্য ছিলো-
" আমি তো হাসপাতালে নিতে বলিনাই, সৌদি থিকা আইসা বাপেরে দেইখা যাইতে কও"!

জিজ্ঞেস করলাম, আত্মীয় স্বজন?

জানালো কেউ আসবে না, যখন তাদের প্রয়োজন ছিল তখন এসেছে। এখন লা*শ নিতে আসলে যদি দুই পয়সা খরচ করতে হয়!
রাত ৩:০০ টায় ষাটোর্ধ্ব নারী তার সদ্য প্রয়াত স্বামীকে নিয়ে একটি উপজেলা হাসপাতালের ওয়ার্ডে, সাথে নেই কোন চেনা মুখ! কল্পনা করতেও বোধহয় কষ্ট হয়!
আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কয়টা বাজে? আজান দিতে আর কতক্ষণ?
আমি বললাম বেশিক্ষণ না, দুই-আড়াই ঘণ্টা!

ভদ্রমহিলা আমার হাত ধরে ফেললেন-
"আমারে হাসপাতাল থেকে বাইর করে দিয়েন না, সকাল হইলেই ভ্যান নিয়া চইলা যামু"!

শোকার্ত নারীটি যেন ঠিকমতো শোক প্রকাশ করারও সুযোগ পাচ্ছে না। একবার লাশের কাপড় ঠিক করছে, কিছুক্ষণ দোয়া পড়ছে, কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে কান্না করছে, আবার একা একা এই লাশ বাড়ি পর্যন্ত কিভাবে নিয়ে যাবে সেটাও বোধহয় আনমনে ভাবছে।

আমি শুধু তার মাথায় হাত রেখে আস্তে করে বলতে পারলাম, "থাকেন। কোন সমস্যা নাই"।

ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে ৮০ বছরের বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম জীবন ঠিক কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে। শেষ পরিণতি হিসেবে মৃত্যুর পর লাশটা নেওয়ার মানুষটাও নেই।
আহারে জীবন!

এই জীবন নিয়ে আবার কত বড়াই!
অথচ ঠিকমতো দাফন-কাফন পাবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই!
-সংগৃহীত-

গ্রেটা থুনবার্গের মতন সাহস বা শক্তি সব মুসলমান এক করলেও হবে না - কথাটা আপনার কাছে খিউল লাগতে পারে। বাট আমার কাছে কলোনিয়া...
09/06/2025

গ্রেটা থুনবার্গের মতন সাহস বা শক্তি সব মুসলমান এক করলেও হবে না - কথাটা আপনার কাছে খিউল লাগতে পারে। বাট আমার কাছে কলোনিয়াল রেটেরিক ছাড়া কিছু না। এসব কলোনিয়াল হ্যাংওভার বুঝার মতন মেজাজ আমাদের তৈরি হয় নাই। দেখেন ‘মানবতাবাদ’ — যে ইউরোপ আবিষ্কার করেছিল, তারা এই মানবতাবাদের দোহাই দিয়াই দুনিয়াজুড়ে মানুষ গণহ* ও লুণ্ঠনের মধ্য দিয়ে ‘আলো’ রপ্তানি করতেছিল সভ্যতার নামে। মানবতাবাদ হইল আদর্শিক পর্দা, যার মাধ্যমে ইউরোপীয় আধিপত্যের নৈতিক ভিত্তি দাড় করানো হয়।

আজ যখন গ্রেটা থুনবার্গ ও রিমা হাসানরা ত্রাণবাহী জাহাজে মানবতার পক্ষে দাঁড়ান, তখন তারা অজান্তেই এই ‘সভ্য’ ইউরোপের মানবিকতার খোয়াবকে পুনর্নির্মাণ করেন। তারা এক ধরনের পথনাটক বানান — যেখানে ‘উন্নত বিশ্ব’ আবারও মানবতা দেখাচ্ছে, আর আমরা যেন ভুলে যাই, এই উন্নত বিশ্বই আধুনিক কালের গণহত্যার সহায়ক।

তাদের কার্যক্রমে নিঃসন্দেহে সাহসি, কিন্তু এই সাহস ক্ষমতার কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ করে না; বরং সাদাপ্রভুর রাজসিংসাহনের চারপাশে নৈতিকতার বাতি জ্বালায়। এইসব কর্মকাণ্ড তাই হয়ে দাঁড়ায় একধরনের “humanitarian aesthetic” — যা Fanon-এর ভাষায় উপনিবেশবাদের নয়া সংস্করণ। Gayatri Spivak-এর কথা চুরি কইরা বললে, “White girls are saving brown people to reassure white audiences of their moral worth.”

এভাবে মানবতাবাদ একটি পর্দা হইয়া ওঠে, যা ইউরোপের নৈতিক আত্মপরিচয় রক্ষা করে। আমরা জানি, থুনবার্গদের জাহাজ নীল সমুদ্রে ভেসে থাকবেই, কিন্তু পশ্চিমা রাজধানীগুলোতে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হবে না। আর নাইবা ছ্যাড়াইল তার জাহাজে হাম* করবে। কারণ এইসব মানবিক তৎপরতা আসলে ক্ষমতার কেন্দ্র নয়, প্রান্তিকতাকে দৃশ্যমান করার জন্য নির্মিত। যেই কাঠামো ভায়োলেন্সরে জিন্দা রাখছে সেটারে না ছুইয়া একটু আকটু নাটক করার আরেক ফায়দা হইল মোসলমানের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি করা।

হলোকাস্টের শিকার জাতির অংশ, যুগ যুগ ধরে আরেকটি জাতিকে নিধনে ব্যস্ত। এই নতুন নিধনযজ্ঞের নেপথ্য পৃষ্ঠপোষক আবার সেই পুরনো ইউরোপ, যারা উপনিবেশ বানিয়েছিল আফ্রিকা ও এশিয়াকে। যারা প্রথম আলো ছড়ায়া দিসে কাতারে কাতারে প্রাণ ডিনার টেবিলে খাইয়া।

মানবতাবাদের নামে এই প্রতীকী দৃষ্টিনন্দনতা (symbolic aestheticism) আসলে নির্যাতনের কাঠামোগত বাস্তবতাকে আড়াল করে। আমাদের প্রয়োজন এই নান্দনিক মানবতাবাদের মুখোশ ছিঁড়ে ফেলে ঔপনিবেশিক কাঠামোর বিরুদ্ধে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া। সেটা না কইরা আপনে মুসলমানরে দোষ দিতাছেন। হাসিনা ছাড়া আপনার বোন হওয়ার মতন উপযুক্ত আর কেউ নাই।

- রাফান আহমেদ

এই মহান হস্তিকে নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলতেছেন। আমি আজ কিছু কথা লিখি এরে নিয়ে। কওমী মাদরাসা নিয়ে এই লোকের চুলকানির পরি...
09/06/2025

এই মহান হস্তিকে নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলতেছেন। আমি আজ কিছু কথা লিখি এরে নিয়ে। কওমী মাদরাসা নিয়ে এই লোকের চুলকানির পরিমাণ হলো শাহবাগীদের ইসলাম নিয়ে চুলকানির সমান বা তারচেয়েও কয়েকগুণ বেশি।

'আহমাদ শাওকি আফিফি' বা মুফতি হওয়া অথবা আযহারী হওয়ার সবটাই ফেইক। ওর আসল নাম উবায়দুল্লাহ। ফিকহে ওর কোনো যোগ্যতাই নাই। প্রাথমিক লেভেলের মাসয়ালাও জানে না। সে ছাত্রজীবন থেকেই ফিকহে বা ইসলামী আইনে সর্বোচ্চ লেভেলের গা'ধা। মিশরে ঘুরতে গিয়েছিল। আল-আযহার ইউনিভার্সিটিতে চান্স পায়নি।

এবার এই লোকের কিছু ছলচাতুরি ও ছোটলোকি কার্যকলাপ শুনাই আপনাদের। সে এই বছর যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল এলাকায় যেই মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছিল আমি সেখানে শিক্ষক হিসেবে ছিলাম। আমার নাম বিক্রি করে সে তার প্রতিষ্ঠানে ছাত্র পাইছে পর্যাপ্ত। আমি ওখানে পড়াব এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকব সেটা জেনে প্রায় ১৬ জন ছাত্র তার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। আমাকে মহব্বত করা অনেক গার্ডিয়ান তাঁদের ভাই/ভাতিজা/সন্তান ভর্তি করিয়ে আসেন। মাদরাসায় বছরের শুরুতে ছাত্র ছিল প্রায় ৬০ জন। সেখানে এখন একজন শিক্ষার্থীও নেই বলা চলে। উস্তায ছিল প্রায় ৫ জন। সব উস্তাযের সাথেই সে অসদাচরণ করে। এক উস্তাজকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ছাত্রদের সামনেই নাকি বহিষ্কার করে দেয়। এটা শিক্ষার্থীদের জবানবন্দি।

ছাত্রদের সঙ্গে তার ছোটলোকি আচরণের কয়েকটা বিবরণ দিই। মাসিক বেতন না দিতে পারলে শিক্ষার্থীদেরকে গালিগালাজ করত সে। বলত, 'এই ফকিন্নি। এই ফকিন্নির বাচ্চা। খাবারের টাকা দেস না কেন? তোর খাবার বন্ধ।' যেমন কথা তেমন কাজ। মাসিক প্রদেয় পরিশোধ করা শিক্ষার্থীদের খাবার দিত। আর যে ছাত্রটি টাকা দিতে পারত না তাকে খাবারের সময় দাঁড় করিয়ে রাখত। এক ছাত্রের পকেটে পর্যন্ত টাকার জন্য হাত দিয়েছিল। তাও শিক্ষার্থীটি আসরের পর দোকানে নাস্তা করতে গিয়েছিল। দোকানে মানুষের সামনেই একজন মুহতামিমের এহেন আচরণ আপনি একবার কল্পনা করুন তো! উক্ত শিক্ষার্থীও পকেটে হাত দিলে মানুষের সামনেই ওর হাত ধরে ফেলে। ও তখন মানুষদেরকে হেসে হেসে বলে যে, আমার ছাত্র সে। ওর কাছে টাকা পাই। সেজন্যে পকেটে হাত দিছি।

তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের থেকে চলতি বছরে উচ্চতর আরবী সাহিত্যের কোর্স তিন হাজার করে টাকা হাতায়। তাও কীসের কোর্স জানেন? আবু তাহের মিসবাহ সাহেবের বৈবাহিক জীবনে পদার্পণ করতে যাওয়া এক শিক্ষার্থীকে কিছু নসিহত করেছিলেন। সেটার আরবী করেছে সে। 'আলহায়াতুয যাওজিইয়্যাহ্' নামে। ঐ অনুবাদ করা কাজটি নাকি উচ্চতর আরবী সাহিত্যের একমাত্র সিলেবাস। এটা শুনে আমি এত পরিমাণ হাসছি যা বলার বাইরে। আরো হাসি আসছে এই ভেবে যে, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওর রানিং ছাত্র। রানিং ছাত্রদেরকে ক্লাস বাদ দিয়ে কেউ উচ্চতর আরবী সাহিত্যের কোর্স করায়? পাগলেও এমন কথা বলতে পারে?

কিছু শিক্ষার্থী ওর খারাপ আচরণ ও কথায় কথায় ফকিন্নি বলে গালিগালাজ করবার কারণে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যায়। সে এলাকার কিছু লোকজন নিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানে পর্যন্ত যায়। এবং শিক্ষার্থীদেরকে মারধর করতে চায়। এক শিক্ষার্থীকে রাস্তায় একা পেয়ে মারেও। এবং পরবর্তী সময়ে কিছু ছেলেরা ওর প্রতিষ্ঠানে বেডিং/সামানা নিতে আসলে সে ওদের সঙ্গে ঝগড়া বাধায়। কয়েকজনের গায়ে হাত তুললে ঐ ছাত্ররা উপায় না পেয়ে ওর আক্রমণ থাকে বাঁচতে চেষ্টা করলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। এবং একজন শিক্ষার্থী ওর গায়ে পর্যন্ত হাত তোলে।

আমি শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো সপ্তাহ দুয়েক আগে শুনেছি। এরপর তখন আমি যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল আফিফির প্রতিষ্ঠানে যাই। যেহেতু আমি ওখানকার শিক্ষক। এবং আমার মাধ্যমে ছাত্র গেছে প্রায় ১৬ জন। সেহেতু উক্ত বিষয়টির দায়ভার আমার দিকে আসে এমনটা ভেবে তৎক্ষণাৎ যাত্রাবাড়ী যাই। ওইদিন ছাত্রদের অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকও এসেছিল ওখানে অনেক। সারাদিন সে পালিয়ে থাকে সাংবাদিক থাকে বাঁচতে। ফোন করলেও মাদরাসায় আসে না। রাত নয়টার পর বাসায় আসলে আমি সেখানে গিয়ে ওর সঙ্গে আলাপে লিপ্ত হয়। তর্ক হয় অনেক।

জিজ্ঞেস করি, আপনার আপনার ব্যাপারে ছাত্রদের এত অভিযোগ। আপনি নাকি এদেরকে অশ্লীল ভাষায় পর্যন্ত গালিগালাজ করেন। এদেরকে ফকিন্নি বলেন। মাসিক টাকা এক মাসেই এক হাজার বাড়িয়েছেন। ভর্তির সময় বলেছেন তিন হাজার করে মাসিক প্রদেয়। প্রথম মাসেই সেটা চার হাজার করেছেন। আবাসিক শিক্ষকদের সঙ্গেও নাকি উগ্র আচরণ করেন। একজনকে নাকি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছেন টাইপ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। সে এগুলোকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। আমি বলি, তাহলে ছাত্রদেরকে নিয়ে আপনার সাথে বসি? উত্তর দেয় যে, এরা সবাই বেআদব। এরা তো আমার বিরুদ্ধেই বলবে। আমি কোর্সের কথা বলে ছাত্রদের থেকে টাকা হাতানোর বিষয়টি জানিয়ে বলি যে, ছাত্ররা সেই টাকাটা দাবি করছে। ওদের টাকা ফেরত দিয়ে দিন। আপনি তো কোর্স এখনো করান নি। তখন টাকা নেয়নি মর্মে আমাকে জানায়। বলি ছাত্রদের সামনে এই কথাটি বলতে পারবেন? ছাত্ররা নাকি ওরে মারধর করেছে এইজন্যে ছাত্রদের সঙ্গে বসতে নারাজ। ছাত্রদের তিনজনের নামে মামলাও করে সে।

আমাকেও মামলার হুমকি দেয়। ছাত্রদের পক্ষ নিলে নাকি আমাকেও দেখে নিবে। ওরে তখন বলে আসি, কী চুল ছিঁড়বেন আমার চেষ্টা করে দেখেন। জামায়াত অনেক কিছুতে তাঁকে অর্থায়ন করে বা সাপোর্ট দেয় জামায়াতের বিভিন্ন কাজে এক্টিভিটি দেখানোর কারণে। সেজন্যে অহংকারে ওর পা মাটিতে পড়ে না। আব্দুল মালেক সাহেবের মতন আলেমকে সে গুণে না। কওমি আলেমদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। আমাদের কাউকেই নাকি পাত্তা দেয়না। আমার হিতাকাঙ্খী একজন ওর প্রতিষ্ঠানে বেতন দিতে গেলে বলে যে, আমি নাকি ওর ছাত্রের ছাত্র। ওর নাকি অনেক যোগ্যতা। আমাদের নাকি ওর সামনে দাঁড়ানোরও ক্ষমতা নাই। ক্লাসে বসে শিক্ষার্থীদেরকে কিতাব না পড়িয়ে বিভিন্ন আলাপে মত্ত হতো। এবং কওমি আলেমদেরকে গালিগালাজ করত ও ছোট করে কথা বলতো।

কওমি আলেমরা নাকি কিছুই জানে না। কিছুই পারে না। সবাই নাকি মাথামোটা। এই টাইপ আক্রমণ করে ছাত্রদেরকে নিজের বড়ত্ব শুনাতো। মিজানুর রহমান আজহারীর সমালোচনা করা কওমি আলেমদের এক হাত নিয়ে বলতো যে, কে কার সমালোচনা করে। আজহারির পায়ের সমান ওরা? ওর ব্যাপারে আমার বা আমাদের অভিযোগ অনেক। আমি ওরে ভালো হয়ে গেছে ভেবে সবচে বড় ভুলের সাক্ষী হলাম। ১৬ জন ছাত্র যারা শুধুমাত্র আমা কথায় ঐ প্রতিষ্ঠানে গেছে তাদের একটা ক্ষুদ্র অংশ হলেও পড়ালেখা ছেড়ে দিবে। অথবা লাগামহীন চলাফেরা শুরু করবে। এর দায়ভারও আমার উপর আসবে। কারণ আমি ভুল জায়গায় ভর্তি হওয়ার জন্য এদেরকে উৎসাহিত করেছিলাম। আমার আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার জায়গাটা ঠিক সেখানেই।

সামনে আবার সময় পেলে এই বাটপারকে নিয়ে লিখব। আপনি আমি লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে যাব। কিন্তু এই বাটপার বাটপারি করে ক্লান্ত হবে না কোনোদিন। নিত্যনতুন ফাঁদ পেতে প্রতিষ্ঠান শুরু করে। মাস দুয়েকের মধ্যেই সেই প্রতিষ্ঠানকে আবার বরবাদ করে ফেলে। নিজের কর্মগুণেই ধ্বংস করে প্রতিটা প্রতিষ্ঠানকে। আল্লাহ এই হায়াওয়ান থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে হেফাজত করুন।

-সাইফুল ইসলাম

ময়দানের এক মুজাহিদ ফকিহদের নিকট ফতওয়া চাইছেন:আসসালামু আলাইকুম...আমার পা ক্লান্তি ও কষ্টের তীব্রতায় ফুলে গেছে, এবং এত বে...
31/05/2025

ময়দানের এক মুজাহিদ ফকিহদের নিকট ফতওয়া চাইছেন:

আসসালামু আলাইকুম...
আমার পা ক্লান্তি ও কষ্টের তীব্রতায় ফুলে গেছে, এবং এত বেশি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে আমার পায়ের তলায় পেরেকের মতো ক্ষত তৈরি হয়েছে, যা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক। আমি যন্ত্রণার কারণে আমার জুতা খুলতে পারি না, আর খুললেও আবার পরতে পারি না, কারণ ক্ষত থেকে রক্ত বের হতে থাকে। অনেক সময় যন্ত্রণা এত বেশি হয় যে আমার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে, আমি কেঁদে ফেলি। রাতে ঠান্ডার কারণে আমার হাতও ফেটে গেছে।

আমার প্রশ্ন হলো—আমি কীভাবে নামাজ, বিশেষ করে ফজরের নামাজ আদায় করব? আমি কি অজুর বদলে তায়াম্মুম করতে পারি? কারণ পানি ব্যবহার করলে ক্ষত আরও বেশি যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। আর যদি কখনো পানি পাওয়াও যায়, সেটা মূলত পান করার জন্য সংরক্ষিত থাকে।

---

ফকিহের জবাব:

আমার প্রাণ কোরবানি হোক তোমার পায়ের নিচে, হে আমার ভাই!
আমরা তো রাতভর নরম বিছানায়, আরামদায়ক ও উষ্ণ পায়ে ঘুমাই, আর ফজরের নামাজে উঠতেও কষ্ট হয়। এমনকি অনেক সময় ফজর কাযা হয়ে যায়। আর তুমি, অবরুদ্ধ, ক্লান্ত, ও যুদ্ধরত এক মুজাহিদ—তুমি যদি এমন প্রশ্ন করো, তবে আমাদের অবস্থা কী?

আল্লাহই আমাদের সহায়—তাঁর ছাড়া আর কোনো শক্তি ও ক্ষমতা নেই।

তুমি তায়াম্মুম করো, হে উম্মতের চোখের শীতলতা!
হে আলেম ও ইমামদের মুকুট, হে আমার প্রিয় ভাই! তায়াম্মুম করো!
Copy
☝️
আমার মতামত আমার কলিজা টা ছিঁড়ে ঐ সব মুজাহিদদের কদমে রাখতে মন চাই!

আহ সারা জীন্দেগি যদি তাদের কদম তলে কাটাতে পারতাম!!

Address

Islami Tower, 11 Banglabazar
Dhaka
1100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আলোর মিনার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আলোর মিনার:

Share