আলোর মিনার

আলোর মিনার সময়োচিত সত্যের সাহসী উচ্চারণে নির্ভীক

 #উমার_ইবনুল_খাত্তাব #রাদ্বিয়াল্লাহু_আনহুতিনি সাইয়্যেদ ছিলেন, বীর ছিলেন, যোদ্ধা ছিলেন, প্রচন্ড সাহসী ছিলেন! তার ভেতর বাহ...
16/08/2025

#উমার_ইবনুল_খাত্তাব
#রাদ্বিয়াল্লাহু_আনহু

তিনি সাইয়্যেদ ছিলেন, বীর ছিলেন, যোদ্ধা ছিলেন, প্রচন্ড সাহসী ছিলেন! তার ভেতর বাহির পরিচ্ছন্ন ছিল! বানু আদি গোত্রের নেতা ছিলেন ইবনুল খাত্তাব।

তিনি (নাউযুবিল্লাহ) কস্মিনকালেও নিকৃষ্ট ছিলেন না, কস্মিনকালেও পশুর মত ছিলেন না! (নাউজুবিল্লাহ) কোন নারী তার সামনে সম্ভ্রম সপে দেয়নি! এগুলো চুড়ান্ত জাহালাত ও সাহাবা বিদ্বেষী আকিদার প্রতিফলন।

নাবী কারীম (ﷺ) উমার (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণের জন্য আল্লাহর সমীপে প্রার্থনা করেছিলেন।

আনাস (রা) বর্ণনা করেছেন যে নাবী (ﷺ) বলতেন :

اللَّهُمَّ أَعِزَّ الْإِسْلَامَ بِأَحَبِّ هَذَيْنِ الرَّجُلَيْنِ إِلَيْكَ بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَوْ بِأَبِيْ جَهْلٍ بن هشام

‘হে আল্লাহ! উমার বিন খাত্তাব অথবা আবূ জাহল বিন হিশাম এর মধ্য হতে যে তোমার নিকট অধিক প্রিয় তার দ্বারা ইসলামকে শক্তিশালী করে দাও।

উমার (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কিত বিবরণাদির সমন্বিত সার সংক্ষেপ হচ্ছে এক রাত্রি তাঁকে বাড়ির বাইরে অবস্থানের মধ্য দিয়ে রাত্রি যাপন করতে হয়। তিনি হারামে আগমন করেন এবং ক্বাবা’হ গৃহেরপর্দার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। নাবী কারীম (ﷺ) সেই সময় নামাযে লিপ্ত ছিলেন। নামাযে তিনি সূরাহ ‘আলহাক্কা’’ তিলাওয়াত করছিলেন। উমার (রাঃ) নীরবে গভীর মনোযোগের সঙ্গে তিলাওয়াত শ্রবণ করলেন এবং এর ঝংকার, বাক্য বিন্যাস ও সুর-মাধূর্যে মুগ্ধ, চমৎকৃত ও হতবাক হয়ে গেলেন।

তিনি বলেছেনঃ আমি মনে মনে করলাম, আল্লাহর কসম, কুরাইশরা যেমনটি বলে থাকেন তিনি হচ্ছেন একজন কবি। কিন্তু এ সময় নাবী (ﷺ) এ আয়াত পাঠ করেনঃ

‏(‏إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُوْلٍ كَرِيْمٍ وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَاعِرٍ قَلِيْلاً مَا تُؤْمِنُوْنَ‏)‏ ‏[‏الحاقة‏:‏40، 41‏]‏

‘‘যে, অবশ্যই এ কুরআন এক মহা সম্মানিত রসূল [জিবরীল (‘আ.)]-এর (বহন করে আনা) বাণী। ৪১. তা কোন কবির কথা নয়, (কবির কথা তো) তোমরা বিশ্বাস করো না।’ (আল-হাক্কাহ ৬৯ : ৪০-৪১)

উমার (রাঃ) বললেন, ‘আমি মনে মনে বললাম, আর এ তো হচ্ছে আমারই মনের কথা, সে কী করে তা জানল। নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (ﷺ) হচ্ছেন একজন মন্ত্রতন্ত্রধারী গনৎকার। আমার মনে এ ভাবের উদয় হওয়ার পর-পরই মুহাম্মাদ (ﷺ) তিলাওয়াত করলেনঃ

‏‏‏(وَلَا بِقَوْلِ كَاهِنٍ قَلِيْلًا مَا تَذَكَّرُوْنَ تَنزِيْلٌ مِّن رَّبِّ الْعَالَمِيْنَ‏)‏ إلى آخر السورة ‏[‏الحاقة‏:42، 43‏]‏

‘‘ এটা কোন গণকের কথাও নয়, (গণকের কথায় তো) তোমরা নাসীহাত লাভ করো না। ৪৩. এটা বিশ্ব জগতের প্রতিপালকের নিকট থেকে অবতীর্ণ।’ (আল-হাক্কাহ ৬৯ : ৪২-৪৩)

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাতে সূরাহর শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেন এবং উমার (রাঃ) তা শ্রবণ করলেন। এ প্রসঙ্গে উমার (রাঃ) বলেছেন যে, ‘সেই সময় ইসলাম আমার অন্তর রাজ্যে স্থান অধিকার করে বসল।

তিনি ছিলেন অত্যন্ত কঠোর প্রকৃতির লোক। তাঁর স্বভাবগত কঠোরতার কারণেই তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং মুসলিমদের অন্যতম বিপজ্জনক শত্রু। তিনি এতই বিপজ্জনক ছিলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে এক দিবসে তিনি উলঙ্গ তরবারি হাতে বহির্গত হন। রুদ্র মেজাজে তাঁর পথচলার এক পর্যায়ে আকস্মিকভাবে নঈম বিন আব্দুল্লাহ নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তাঁর ভ্রূ-যুগল কুঞ্চিত অবস্থায় দেখে সেই ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ‘হে উমার! কী উদ্দেশ্যে কোথায় চলেছ? তিনি বললেন, ‘মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে চলেছি।’

লোকটি বলল, ‘মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে হত্যা করে বনু হাশিম ও বনু যুহরা থেকে কিভাবে রক্ষা পাবে? উমার বললেন, ‘মনে হচ্ছে তোমরাও পূর্ব পুরুষগণের ধর্ম পরিত্যাগ করে বেদ্বীন হয়ে গিয়েছ।

লোকটি বলল, ‘উমার! একটি আজব কথা তোমাকে শোনাব না কি? তোমার বোন ও ভগ্নিপতিও তোমাদের ধর্ম পরিত্যাগ করে বেদ্বীন হয়ে গিয়েছে।’

এ কথা শুনে উমার প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুন্ডে ঘৃতাহুতি দেয়ার মতো ক্রোধাগ্নিতে দপ করে জ্বলে উঠলেন এবং সোজা ভগ্নীপতির গৃহাভিমুখে যাত্রা করলেন। সেখানে খাব্বাব বিন আরাত্ত একটি সহীফার সাহায্যে সূরাহ ত্ব-হা’র অংশ বিশেষ স্বামী-স্ত্রীকে তালীম দিচ্ছিলেন। খাব্বাব তাঁদের তালীম দেয়ার জন্য নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করতেন। খাব্বাব (রাঃ) যখন উমার (রাঃ)-এর সেখানে গমনের শব্দ শ্রবণ করলেন তখন তিনি ঘরের মধ্যে গিয়ে আত্মগোপন করলেন এবং উমারের বোন ফাত্বিমাহ সহীফা খানা লুকিয়ে রাখলেন। কিন্তু উমার বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে খাববাবের কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়েছিলেন। তাই তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কার কণ্ঠে মৃদু মৃদু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম যেন।’

তাঁর বোন উত্তর করলেন, ‘না তেমন কিছুই না। আমরাই পরস্পর কথাবার্তা বলছিলাম।

উমার (রাঃ) বললেন, ‘সম্ভবতঃ তোমরা উভয়েই বেদ্বীন হয়ে গিয়েছ?

ভগ্নিপতি সাঈদ বললেন, আচ্ছা উমার! বলত, তোমাদের ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্মে যদি সত্য থাকে তবে করণীয় কী হবে?

এ কথা শোনা মাত্র উমার তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে ভগ্নীপতিকে নির্মমভাবে প্রহার করতে শুরু করলেন। নিরুপায় ভগ্নী জোর করে ভ্রাতাকে স্বামী থেকে পৃথক করে দিলেন। এতে আরও ক্রুব্ধ হয়ে উমার (রাঃ) তাঁর বোনের গন্ডদেশে এমন এক চপেটাঘাত করলেন যে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয়ে গেল। ইবনে ইসহাক্বের বর্ণনায় আছে যে, তিনি মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছিলেন। ভগ্নী ক্রোধ ও আবেগ জড়িত কণ্ঠে বললেন,

يَا عُمَرُ، إِنْ كَانَ الْحَقُّ فِيْ غَيْرِ دِيْنِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ

‘‘উমার! তোমার ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্ম যদি সত্য হয়, এ কথা বলে তিনি কালেমা শাহাদত পাঠ করলেন, ‘আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল।’

শাহাদতের এ বাণী শ্রবণ করা মাত্র উমার (রাঃ)-এর ভাবান্তর শুরু হয়ে গেল। তিনি তাঁর বোনের রক্তাক্ত মুখমণ্ডল দেখে লজ্জিত হলেন। তারপর তিনি বোনকে সম্বোধন করে দয়ার্দ্র কণ্ঠে বললেন, ‘তোমাদের নিকট যে বইখানা আছে তা আমাকে একবার পড়তে দাওনা দেখি।

বোন বললেন, ‘তুমি অপবিত্র রয়েছ। অপবিত্র লোকের এটা স্পর্শ করা চলে না। শুধু মাত্র পবিত্র লোকেরাই এ বই স্পর্শ করতে পারবে। তুমি গোসল করে এসো তবেই বই স্পর্শ করতে পারবে। উমার গোসল করে পাক-সাফ হলেন তার পর সহীফা খানা হাতে নিলেন এবং বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম পড়লেন। বলতে লাগলেন এ তো বড়ই পবিত্র নাম! তারপর সূরাহ ত্ব-হা হতে পাঠ করলেন :

طه (1) مَا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْقُرْآنَ لِتَشْقٰى (2) إِلاَّ تَذْكِرَةً لِمَنْ يَخْشٰى (3) تَنْزِيْلاً مِمَّنْ خَلَقَ الْأَرْضَ وَالسَّمَاوَاتِ الْعُلٰى (4) الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوٰى (5) لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَمَا تَحْتَ الثَّرٰى (6) وَإِنْ تَجْهَرْ بِالْقَوْلِ فَإِنَّهُ يَعْلَمُ السِّرَّ وَأَخْفٰى (7) اللَّهُ لا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنٰى (8) وَهَلْ أَتَاكَ حَدِيْثُ مُوْسٰى (9) إِذْ رَأى نَاراً فَقَالَ لِأَهْلِهِ امْكُثُوْا إِنِّي آنَسْتُ نَاراً لَعَلِّي آتِيْكُمْ مِنْهَا بِقَبَسٍ أَوْ أَجِدُ عَلَى النَّارِ هُدىً (10) فَلَمَّا أَتَاهَا نُوْدِيَ يَا مُوْسٰى (11) إِنِّي أَنَا رَبُّكَ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ إِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوىً (12) وَأَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوْحٰى (13) إِنَّنِيْ أَنَا اللهُ لا إِلٰهَ إِلاَّ أَنَا فَاعْبُدْنِيْ وَأَقِمِ الصَّلاةَ لِذِكْرِيْ (14) (سورة طه 1-14)

‘‘১. ত্ব-হা-। ২. তোমাকে ক্লেশ দেয়ার জন্য আমি তোমার প্রতি কুরআন নাযিল করিনি। ৩. বরং তা (নাযিল করেছি) কেবল সতর্কবাণী হিসেবে যে ভয় করে (আল্লাহকে)। ৪. যিনি পৃথিবী ও সুউচ্চ আকাশ সৃষ্টি করেছেন তাঁর নিকট হতে তা নাযিল হয়েছে। ৫. ‘আরশে দয়াময় সুপ্রতিষ্ঠিত আছেন। ৬. যা আকাশে আছে, যা যমীনে আছে, যা এ দু’য়ের মাঝে আছে আর যা ভূগর্ভে আছে সব তাঁরই। ৭. যদি তুমি উচ্চকণ্ঠে কথা বল (তাহলে জেনে রেখ) তিনি গুপ্ত ও তদপেক্ষাও গুপ্ত বিষয় জানেন। ৮. আল্লাহ, তিনি ব্যতীত সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, সুন্দর নামসমূহ তাঁরই। ৯. মূসার কাহিনী তোমার কাছে পৌঁছেছে কি? ১০. যখন সে আগুন দেখল (মাদ্ইয়ান থেকে মিসর যাওয়ার পথে), তখন সে তার পরিবারবর্গকে বলল, ‘তোমরা এখানে অবস্থান কর, আমি আগুন দেখেছি, সম্ভবতঃ আমি তাত্থেকে তোমাদের জন্য কিছু জ্বলন্ত আগুন আনতে পারব কিংবা আগুনের নিকট পথের সন্ধান পাব। ১১. তারপর যখন যে আগুনের কাছে আসল, তাকে ডাক দেয়া হল, ‘হে মূসা! ১২. বাস্তবিকই আমি তোমার প্রতিপালক, কাজেই তোমার জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র তুওয়া উপত্যকায় আছ। ১৩. আমি তোমাকে বেছে নিয়েছি, কাজেই তুমি মনোযোগ দিয়ে শুন যা তোমার প্রতি ওয়াহী করা হচ্ছে। ১৪. প্রকৃতই আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, কাজেই আমার ‘ইবাদাত কর, আর আমাকে স্মরণ করার উদ্দেশে সলাত কায়িম কর’।’ (ত্ব-হা ২০ : ১-১৪)

বললেন, ‘এটা তো বড়ই উত্তম এবং বড়ই সম্মানিত কথা। আমাকে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সন্ধান বল।’

উমারের এ কথা শুনে খাব্বাব (রাঃ) তাঁর গোপনীয় অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে বললেন, ‘উমার! সন্তুষ্ট হয়ে যাও। আমার আশা যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিগত বৃহস্পতিবার রাত্রে তোমার সম্পর্কে যে প্রার্থনা করেছিলেন (হে আল্লাহ! উমার বিন খাত্তাব অথবা আবূ জাহল বিন হিশাম এর দ্বারা ইসলামকে শক্তিশালী করে দিন) তা কবুল হয়েছে। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাফা পর্বতের নিকটস্থ গৃহে অবস্থান করছিলেন।’

খাব্বাব (রাঃ)-এর মুখ থেকে এ কথা শ্রবণের পর উমার (রাঃ) তাঁর তরবারিখানা কোষে প্রবেশ করিয়ে নিয়ে সেই বাড়ির বহিরাঙ্গনে উপস্থিত হয়ে দরজায় করাঘাত করলেন। দরজার ফাঁক দিয়ে এক ব্যক্তি উঁকি দিয়ে দেখতে পেলেন যে, কোষবদ্ধ তলোয়ারসহ উমার দন্ডায়মান রয়েছেন। ঝটপট রাসূলুল্লাহ (রাঃ)-কে তা অবগত করানো হল। উপস্থিত লোকজন যাঁরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন সকলেই সঙ্গে সঙ্গে কাছাকাছি অবস্থায় সংঘবদ্ধ হয়ে গেলেন। সকলের মধ্যে এ সন্ত্রস্ত ভাব লক্ষ করে হামযাহ (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, কী এমন হয়েছে?’

লোকজনেরা উত্তর দিলেন, ‘উমার বহিরাঙ্গনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।’

হামযাহ বললেন, ‘ঠিক আছে। উমার এসেছে, দরজা খুলে দাও। যদি সে সদিচ্ছা নিয়ে আগমন করে থাকে তাহলে আমাদের তরফ থেকেও ইন-শা-আল্লাহ সদিচ্ছার কোনই অভাব হবে না। আর যদি সে কোন খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে আগমন করে থাকে তাহলে আমরা তাকে তার তলোয়ার দ্বারাই খতম করব। এ দিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করছিলেন এবং তাঁর উপর ওহী নাযিল হচ্ছিল। ওহী নাযিল সমাপ্ত হলে তিনি উমারের নিকট আগমন করলেন বৈঠক ঘরে। তিনি তাঁর কাপড় এবং তরবারির কোষ ধরে শক্তভাবে টান দিয়ে বললেন,

‏(‏أَمَا أَنْتَ مُنْتَهِيًا يَا عُمَرُ حَتّٰى يَنْزِلَ اللهُ بِكَ مِنْ الْخَزِى وَالنِّكَالِ مَا نَزَلَ بِالْوَلِيْدِ بْنِ الْمُغِيْرَةِ‏؟‏‏)‏

‘‘উমার! যেমনটি ওয়ালীদ বিন মুগীরার উপর অবতীর্ণ হয়েছিল সেইরূপ আল্লাহর তরফ থেকে যতক্ষণ না তোমার উপর লাঞ্ছনা, অবমাননা এবং শিক্ষামূলক শাস্তি অবতীর্ণ না হচ্ছে ততক্ষণ কি তুমি পাপাচার থেকে বিরত হবে না?’

তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর সমীপে দু‘আ করলেন,

اللهم هٰذَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، اللهم أَعِزِّ الْإِسْلاَمَ بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ

‘‘হে সর্বশক্তিমান প্রভূ! তোমার ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছাই হচ্ছে চূড়ান্ত। এ উমার বিন খাত্তাবের দ্বারা ইসলামের শক্তি এবং সম্মান বৃদ্ধি করুন।’ নাবী (ﷺ)-এর প্রার্থনা শ্রবণের পর উমার (রাঃ)-এর অন্তরে এমন এক স্পন্দনের সৃষ্টি হতে থাকল যে, তিনি অস্থির হয়ে পড়লেন এবং পাঠ করলেন,

أَشْهَدُ أَن لاَّ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ ، وَأَنَّكَ رَسُوْلُ اللهِ

অর্থঃ ‘আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই এবং সত্যই আপনি আল্লাহর রাসূল।’

উমার (রাঃ)-এর মুখ থেকে তাওহীদের এ বাণী শ্রবণ মাত্র গৃহাভ্যন্তরস্থিত লোকজনেরা এত জোরে ‘আল্লাহ আকবর’ ধ্বনি উচ্চারণ করলেন যে, মসজিদুলু হারামে অবস্থানকারী লোকেরাও তা স্পষ্টভাবে শুনতে পেলেন।

আরব মুলুকে এটা সর্বজন বিদিত বিষয় ছিল যে, উমার বিন খাত্তাব ছিলেন অত্যন্ত প্রতাপশালী এবং প্রভাবশালী। তিনি এতই প্রতাপশালী ছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো সাহস সেই সমাজে কারোই ছিল না। এ কারণে তাঁর মুসলিম হয়ে যাওয়ার কথা প্রচার হওয়া মাত্র মুশরিক মহলে ক্রন্দন এবং বিলাপ সৃষ্টি হয়ে গেল এবং তারা বড়ই লাঞ্ছিত ও অপমানিত বোধ করতে থাকল। পক্ষান্তরে তাঁর ইসলাম গ্রহণ করার ফলে মুসলিমদের শক্তি সাহস ও মান মর্যাদা উল্লে­খযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়ে গেল এবং তাঁদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার প্রবাহিত হতে থাকল। ইবনে ইসহাক্ব নিজ সূত্রের বরাতে উমারের বর্ণনায় উদ্ধৃত করেছেন যে, ‘যখন আমি মুসলিম হয়ে গেলাম তখন চিন্তা-ভাবনা করতে থাকলাম যে, মক্কায়, কোন কোন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সব চাইতে প্রভাবশালী শত্রু হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। তারপর মনে মনে বললাম এ আবূ জাহলই হচ্ছে তাঁর সব চাইতে বড় শত্রু। ততক্ষণাৎ তার গৃহে গমন করে দরজায় করাঘাত করলাম। সে বাহির হয়ে এসে (খুশি আমদেদ, খুশ আমদেদ) বলে আমাকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাগত জানাল এবং বলল, ‘কিভাবে এ অভাগার কথাটা আজ মনে পড়ে গেল?’ প্রত্যুত্তরে কোন ভূমিকা না করেই আমি সরাসরি বললাম, ‘তোমাকে আমি এ কথা বলতে এলাম যে, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর দ্বীনে আমি বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং যা কিছু আল্লাহর তরফ থেকে তাঁর উপর অবতীর্ণ হয়েছে তার উপরও বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমার কথা শ্রবণ করা মাত্র সে সশব্দে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বলল, ‘আল্লাহ তোমার মন্দ করুন এবং যা কিছু আমার নিকট নিয়ে এসেছ সে সবেরও মন্দ করুন।

ইমাম ইবনে জাওযী উমার (রাঃ)-এর বর্ণনা উদ্ধৃত করে বলেছেন যে, যখনই কোন ব্যক্তি মুসলিম হয়ে যেত তখনই লোক তার পিছু ধাওয়া করত এবং তাকে মারধর করত। সেও তাদের পাল্টা মারধর করত। এ জন্য যখন আমি মুসলিম হয়ে গেলাম তখন আমার মামা আসী বিন হাশিমের নিকটে গেলাম এবং তাঁকে আমার মুসলিম হয়ে যাওয়ার খবর জানালাম। আমার কথা শোনামাত্রই সে গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করল। তারপর কুরাইশের একজন বড় প্রধানের বাড়িতে গেলাম (সম্ভবতঃ আবূ জাহলের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে) এবং তাকেও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করলাম কিন্তু সেও গিয়ে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করল।

ইবনে ইসহাক্ব বর্ণনা করেছেন যে, ইবনে উমার বলেন, যখন ‘উমার (রাঃ) মুসলমান হলেন তখন তিনি বললেন কে এমন আছে যে কোন কথাকে খুব প্রচার কিংবা ঢোল শোহরত করতে পারে? লোকেরা বলল, জামীল বিন মা’মার জুমাহী। একথা শোনার পর তিনিস জামীল বিন মা’মার জুমাহীর নিকট গেলেন, আমি তার সাথেই ছিলাম। ‘উমার তাকে বললেন যে, তিনি মুসলিম হয়ে গিয়েছেন। আল্লাহর শপথ এ কথা শোনামাত্র অত্যন্ত উচ্চ কণ্ঠে সে ঘোষণা করতে থাকল যে, খাত্তাবের পুত্র উমার বেদ্বীন হয়ে গিয়েছে। উমার তাঁর পিছনেই ছিলেন, তৎক্ষণাৎ তিনি এ বলে উত্তর দিলেন যে, ‘এ মিথ্যা বলছে। আমি বেদ্বীন হই নি বরং মুসলিম হয়েছি।’

যাহোক, লোকজনেরা তাঁর উপর চড়াও হল এবং মারপিট শুরু হয়ে গেল। এক পক্ষে জনতা এবং অন্য পক্ষে উমার; মারপিট চলতে থাকল। এত সময় ধরে মারপিট চলতে থাকল যে, সেই অবস্থায় সূর্য প্রায় মাথার উপর এসে পড়ল। উমার ক্লান্ত হয়ে বসে পড়লেন। লোকজন তাঁকে ঘিরেই দাঁড়িয়ে ছিল। উমার বললেন, ‘যা খুশী করো। আল্লাহর শপথ! আমরা যদি সংখ্যায় তিন শত হতাম তাহলে মক্কায় তোমরা অবস্থান করতে, না আমরা করতাম তা দেখাদেখি হয়ে যেত।

এ ঘটনার পর মুশরিকগণ আরও ক্রোধান্বিত এবং সংঘবদ্ধ হয়ে উঠল এবং উমার (রাঃ)-এর বাড়ি আক্রমণ করে তাঁকে হত্যা করার এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হল। যেমনটি সহীহুল বুখারীর মধ্যে ইবনে উমার হতে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন যে, উমার ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যেই অবস্থান করছিলেন এমন সময় আবূ ‘আমর আস বিন ওয়ায়েল সাহমী সেখানে আগমন করল। সে ইয়ামান দেশের তৈরী নকশাদার জোড়া চাদর এবং রেশম দ্বারা সুসজ্জিত চমকদার জামা পরিহিত অবস্থায় ছিল। তার সম্পর্ক ছিল সাহম গোত্রের সাথে এবং জাহেলিয়াত যুগে এ গোত্র বিপদ-আপদে আমাদের সাহায্য করবে বরে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল।

সে জিজ্ঞেস করল, ‘কী ব্যাপার’?

উমার (রাঃ) বললেন, ‘আমি মুসলিম হয়ে গিয়েছি এবং এ জন্যই আপনার জাতি আমাকে হত্যা করতে ইচ্ছুক।

আস বলল, ‘তা সম্ভব নয়।’

আসের এ কথা শুনে আমি মনে কিছুটা শান্তি পেলাম, কিছুটা তৃপ্তি অনুভব করলাম।

তারপর আস সেখান থেকে ফিরে গিয়ে লোকজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার উদ্যোগ গ্রহণ করল। তখন জনতার ভিড়ে সমগ্র উপত্যকা গিজ গিজ করছিল।

আমজনতার অগ্রভাগে অবস্থিত লোকজনকে জিজ্ঞেস করল, ‘তোমরা কোথায় চলেছ?’

উত্তরে তারা বলল, ‘আমরা চলেছি খাত্তাবের ছেলের একটা কিছু হেস্তনেস্ত করতে। কারণ, সে বেদ্বীন (বিধর্মী) হয়ে গিয়েছে।’

আস বলল, ‘না সে দিকে যাবার কোন পথ নেই।’

এ কথা শুনা মাত্রই জনতা আর অগ্রসর না হয়ে তাদের পূর্বের স্থান অভিমুখে ফিরে গেল।

উমারের ইসলাম গ্রহণের কারণে মুশরিকগণের এমন এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল যা ইতোপূর্বে আলোচিত হল। অপর পক্ষে মুসলিমদের অবস্থা সম্পর্কে অাঁচ-অনুমান কিংবা কিছুটা ধারণা লাভ করা সম্ভব হবে এর পাশাপাশি আলোচিত পরের ঘটনাটি থেকে। মুজাহিদ ইবনে আব্বাস হতে বর্ণনা করেছেন, আমি উমার বিন খাত্তাব (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, কী কারণে লকব বা উপাধি ‘ফারূক’ হয়েছে। তখন তিনি আমাকে বললেন, ‘আমার তিনদিন পূর্বে হামযাহ (রাঃ) মুসলিম হয়েছিলেন, তারপর তিনি তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা বর্ণনা করে শেষে বললেন যে, ‘আমি যখন মুসলিম হলাম তখন আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমরা কি সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত নই, যদি জীবিত থাকি কিংবা মরে যাই?

নাবী (ﷺ) ইরশাদ করলেন, ‘অবশ্যই! সেই সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতে আমার জীবন, তোমরা যদি জীবিত থাক কিংবা মৃত্যুমুখে পতিত হও হক বা সত্যের উপরেই তোমরা রয়েছ।’

উমারের বর্ণনা : ‘তখন আমি সকলকে লক্ষ্য করে বললাম যে, গোপনীয়তার আর কী প্রয়োজন? সেই সত্তার শপথ যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন, আমরা অবশ্যই গোপনীয়তা পরিহার করে বাইরে যাব।

তারপর আমরা দু’টি সারি বেঁধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দু্’সারির মধ্যে নিয়ে বাইরে এলাম। এক সারির শিরোভাগে ছিলেন হামযাহ (রাঃ) আর অন্য সারির শিরোভাগে ছিলাম আমি। আমাদের চলার কারণে রাস্তায় যাঁতার আটার মতো হালকা ধূলি কণা উড়ে যাচ্ছিল। এভাবে যেতে যেতে আমরা মসজিদুল হারামে গিয়ে প্রবেশ করলাম।

উমার (রাঃ) বলেছেন, ‘কুরাইশগণ যখন আমাকে এবং হামযাহকে মুসলিমদের সঙ্গে দেখল তখন মনে মনে তারা এত আঘাতপ্রাপ্ত হল যে, এমন আঘাত ইতোপূর্বে আর কখনো পায়নি। সেই দিনই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার উপাধি দিয়েছিলেন ‘ফারূক’’

ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেন যে, যতদিন পর্যন্ত উমার (রাঃ) ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেননি ততদিন পর্যন্ত আমরা ক্বাবা’হগৃহের নিকট নামায আদায় করতে সাহস করিনি।

সুহাইব বিন সিনান রুমী বর্ণনা করেছেন যে, উমার (রাঃ) যে দিন ইসলাম গ্রহণ করলেন সে দিন থেকে ইসলাম তার গোপন প্রকোষ্ঠ থেকে বেরিয়ে এল বাইরের জগতে। সে দিন থেকে প্রকাশ্যে প্রচার এবং মানুষকে প্রকাশ্যে দ্বীনের আহবান জানানো সম্ভব হল।

পূর্বের সূত্র ধরেই বলা হয়েছে, ‘আমরা গোলাকার হয়ে আল্লাহর ঘরের পাশে বৈঠক করলাম এবং আল্লাহর ঘর প্রদক্ষিণ করলাম। যারা আমাদের উপর অন্যায় অত্যাচার করত আমরা তার প্রতিশোধ গ্রহণ করলাম এবং তাদের কোন কোন অন্যায়ের প্রতিবাদও করলাম।

ইবনে মাসউদের বর্ণনাঃ ‘যখন হতে উমার (রাঃ) মুসলিম হয়েছিলেন তখন থেকে আমরা সমানভাবে শক্তিশালী হয়েছিলাম এবং মান-সম্মানের সঙ্গে বসবাস করতে পেরেছিলাম।

রেফারেন্স : আর রাহিকুল মাখতুম
আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী (রহ)

Taw Haa Zin Nurain Islamic Center
Abu Taw Haa Muhammad Adnan

পরিবারের ৭জন হারানো এই প্রবাসী ভাইয়ের যেসব অভিযোগ। ১মাইক্রোবাসটি যখন খালে পড়ে যায়, তখন নৌকার মতো ভাসছিল। ড্রাইভার সামা...
08/08/2025

পরিবারের ৭জন হারানো এই প্রবাসী ভাইয়ের যেসব অভিযোগ।


মাইক্রোবাসটি যখন খালে পড়ে যায়, তখন নৌকার মতো ভাসছিল। ড্রাইভার সামান্য বুদ্ধি খাটালে সবাইকে বাঁচানো যেত। তা না করে ড্রাইভার নিজে পালিয়ে গেল নিজের জান বাঁচাতে।


মাইক্রোবাস খালে পড়ার পর বহু মানুষ উপস্থিত হয়ে গেছে, আমি কেঁদে কেঁদে সবাইকে হাতে পায়ে ধরে বলতেছি, ভাই আপনারা আমার একটু হেল্প করেন, কেউ খেলে নমেনি? সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল ধরে তাদের মোবাইলে ভিডিও করছে। ভিডিও করার জন্য সবাই ঠেলাঠেলি করতেছে, উদ্ধার করতে কেউ এগিয়ে আসেনি? ২ বছর সাত মাস পর দেশে এসে মানুষের মধ্যে এই কি পরিবর্তন দেখল? ঘটনা যত বেশি বিষাদময় হবে, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য তত বেশি উল্লাসের উপলক্ষে হবে। আনন্দের কারণ হবে।


২ ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিরা ক্রেন দিয়ে মাইক্রো টেনে তোলে, তারপর একে একে সাতজনকে মাইক্রোর ভিতর থেকে বের করে। তখনো তার স্ত্রী বেচে ছিল, তার স্ত্রীকে নেওয়া হয় পাশের ন্যাশনাল হসপিটালে। অক্সিজেন দিয়েছিল, মহিলা বেঁচে আছে। তারা পরামর্শ দিল আইসিইউ লাগবে, রোগীকে আপনারা প্রাইম হসপিটালে নিয়ে যান। ১০ কিলো দূরে প্রাইম হসপিটালে নেয়ার পর ডাক্তাররা বলছে দুর্ঘটনার রোগী, পুলিশ না আইলে তারা রোগী ধরবে না? আই সি ইউ নেওয়ার তো দূরের কথা, তারা রোগীকে ধরেই নাই? পুলিশ আসতে আসতে বৌটা মারা গেল?


বিয়ের পর মাত্র ৪০ দিন সংসার করে বিদেশ চলে গেছে, মেয়েকে গর্ভে রেখে গেছে। ফিরে আসার পর এয়ারপোর্টে মাত্র একবার মেয়েকে কোলে নিয়েছিল। এরপর বাড়ি ফিরলে লাশ নিয়ে।

কি নিয়ে বাঁচবে এই প্রবাসী ভাইটি? অ্যাক্সিডেন্টে পরিবারের সাতজনকে হারিয়েছে। আমার বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক কিলো দূরে প্রবাসী ভাইটির বাড়ি। একদম পাশের ইউনিয়ন। আমার বাসস্ট্যান্ড চন্দ্রগঞ্জে পশ্চিম বাজার, তার বাড়ি হাজিরপাড়া চৌপল্লী । এই স্মৃতি কি করে সারা জীবন ভুলবে এই মানুষটি? এই প্রবাসী ভাইটি বাঁচবে তো?

26/07/2025

ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করা অত্যন্ত জটিল। একান্ত বাধ্য না হলে আমি ব্যক্তি বিশেষ সম্পর্কে মন্তব্য থেকে বিরত থাকি। এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। অথবা কাজ বা চিন্তার সমালোচনা করি। বিশেষত যে ব্যক্তির সাথে আমার সরাসরি কোন যোগাযোগ নেই তার সম্পর্কে মন্তব্য করা আমার কাছে বেইনসাফি মনেহয়। কারণ এ ক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।

শরিফ আবু হায়াত অপু সাহেবের ব্যাপারে একাধিক ভাইয়ের থেকে একাধিক অভিযোগ শুনেছি। তার ফোবের বিষয়বস্তু ও চিন্তাধারা সম্পর্কে অনেকে আমাকে অবগত করেছেন। তার সঙ্গে বিভিন্ন সংলাপ ও কমেন্টের স্ক্রীনশর্ট পাঠিয়েছেন। আমি সবাইকে বলেছি, এমন মানুষের সঙ্গে এড়িয়ে চলতে। দূরত্ব বজায় রাখতে। সমস্যা হলো, খুব কম ভাইই এমনটা করেছেন।

দ্বীন ও ইসলামের জন্য আমাদের উচিত বিজ্ঞ আলিমদের দারস্থ হওয়া। আপনি যেই মাসলাককে সঠিক মনে করেন সেই মাসলাকের আলিমদের সঙ্গে সুসর্ম্পক রাখবেন। সেই মাসলাকের একজন আলিমের আনুগত্য করবেন। নিজের অবস্থা তার সম্মুখে পেশ করবেন। নিজের কাজের ক্ষেত্রে তার সঙ্গে দায়বদ্ধ থাকবেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি আপনার থেকে কম যোগ্যতা সম্পন্নও হতে পারেন। কিন্তু আহলে ইলম হিসেবে তার পেছনে চলাই আপনার কর্তব্য। এটাই ইসলামের মুতাওয়ারাস পদ্ধতি।

কিন্তু আমাদের ভাইয়েরা চটকদার বক্তব্য দেয়া সেলিব্রেটিদের পছন্দ করেন। আলিমদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পশনেস দেখানো সেলিব্রেটিদের পিছু ছুটেন। তাদের সাথে নিয়মিত সম্পর্ক রাখেন। আলিমদেরকে তাদের কাছে অচ্ছুত লাগে। আনস্মার্ট আর অযোগ্য মনেহয়। এভাবেই অপু সাহেবদের মত লোকজন দোকান খুলে বসে। সেই দোকানে গিয়ে পুঁজি হারায় অসংখ্য অবুঝ তরুন।

- মাওলানা নাজমুল হক সাকীব

বিগত ইরান, হিজরা'য়েল যুদ্ধের সময় দাম বেড়ে কিছুদিন পর আবার কমেছে। এখন অনেকটাই কম, সামনে হয়তো বাড়বে। তাই ২২ ক্যারেট স্বর্ণ...
18/07/2025

বিগত ইরান, হিজরা'য়েল যুদ্ধের সময় দাম বেড়ে কিছুদিন পর আবার কমেছে। এখন অনেকটাই কম, সামনে হয়তো বাড়বে। তাই ২২ ক্যারেট স্বর্ণের কানের দুল, আংটি, ব্রেসলেট কিনতে
চাইলে এখনই সর্বোত্তম সময়।

বর্তমানে অনলাইনে আপনাদের জন্য মার্কেট প্রাইস থেকে সর্বোচ্চ ছাড়ে অরিজিনাল ২২ ক্যারেট সউদী প্রডাক্ট সেল করছি আমাদের Rizque জুয়েলার্স থেকে। শেষবার সউদী থেকে আনা অধিকাংশ অলংকারই বিক্রি হয়ে গেছে। তবে অল্প কিছু এখনও আছে।

যাদের নূতন স্বর্ণালংকার প্রয়োজন শতভাগ আস্থা ও নির্ভরতায় আমাদের থেকে কিনতে পারেন।

জাজাকাল্লাহ খাইরান।
বারাকাল্লাহু ফিকুম।

হযরত মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক সাহেবের বয়ানের ভ্রান্তিগুলোর সংক্ষিপ্ত জবাবপর্ব-১প্রথমে তার ভ্রান্তিগুলোর পয়েন্ট উল্লে...
09/07/2025

হযরত মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক সাহেবের বয়ানের ভ্রান্তিগুলোর সংক্ষিপ্ত জবাব
পর্ব-১

প্রথমে তার ভ্রান্তিগুলোর পয়েন্ট উল্লেখ করছি। এরপর ধারাবাহিকভাবে অতি সংক্ষেপে দালীলিক জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

ভ্রান্তিসমূহঃ

১। খিলাফত শুধু মাওঊদ তথা প্রতিশ্রুত। এটা মা'মুর তথা আদিষ্ট না। ইমান আর নেক আমল থাকলে আল্লাহ তা'আলা খিলাফত এমনিতেই দিয়ে দিবেন। এর আলাদা কোনো বিশেষ মেহনত নেই। (তার এই মতটা একেবারে প্রসিদ্ধ। এই বয়ানে সংক্ষেপে বললেও এ ব্যাপারে তার বিস্তারিত আলোচনা আছে)

২। ফাতহে মক্কার পর রাসুল সাঃ এর ওফাতের আগ পর্যন্ত আর কোন যুদ্ধ হয়নি আর এই যুদ্ধ ছাড়াই পুরো জাজিরাতুল আরব ইসলাম গ্রহণ করেছে! এর আগ পর্যন্ত শুধু যুদ্ধই হয়েছে।

৩। "আগে জিহাদ ছিলো ইসলাম ছিলো, এখন জিহাদ নেই যার কারণে ইসলামও নেই" এই স্লোগানকে ভুল বলা এবং সেটাকে ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদের ভাষ্য বলা।

৪। "মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক যোদ্ধা জাতি পাওয়ার কারণে খুব কম দিনে তার রাজত্ব অনেক জায়গা জুড়ে কায়েম হয়েছে" শুধু এতোটুকু কথাকে খ্রিস্টানদের কথা বলে দাবী করে "যে যত বেশি মাস্তানি করতে পারে তার দীন তত বেশি কায়েম হবে, হক না হকের কোন মাসালা নাই"

৫। এটা কাফেরদের কথা "জিহাদের মাধ্যমে দীন হওয়া"
কোন জিহাদের দ্বারা কোন জায়গায় কখনো দীন হয়নি। বদরে কোথায় কে দীন পাইছে? বদরের যুদ্ধে কে মুসলমান হইছে? আমাদের যুদ্ধে কে মুসলমান হইছে?

৬। যুদ্ধ মুসলমান বানানোর জন্য নয়। যুদ্ধ ইসলামের দাওয়াত দিতে যে বাধা দেয় বাধা দেনেওয়ালা শক্তি ফিনিশ করা এবং রাস্তা থেকে প্রতিবন্ধকতা উঠানোর নাম হইলো জিহাদ।

৭। জিহাদের গায়ের উপর অস্ত্র চালায়। মানুষকে মারে তাহলে এই জেহাদে কলবের সাফায়ী আনবে ক্যামনে?করবের সাফাইয়ের জন্য দাওয়াত ইলাল্লাহর দরকার। আল্লাহ তায়ালার নাজ ও নিয়ামত আর ইহসানাতের আলোচনা দরকার....কুওয়াতে দলীলের কারণে আর আল্লাহ তা'আলার নেয়ামত আর ইহসানাতের আলোচনার দ্বারা মানুষ মুসলমান হয়। জিহাদে কোনো মানুষ মুসলমান হয় না। বেত্রাঘাত করলে আবার কলবে ইসলাম ঢুকবে নাকি?! আর জোরপূর্বক কাউকে মুসলমান বানানো لا إكراه في الدين জোরপূর্বক কোনো ইসলাম মানুষকে নাজাত দিতে পারে না।

৮। জিহাদ ঐ শক্তির বিরুদ্ধে যেই শক্তি আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দিনের দাওয়াত, আল্লাহর গুণগান গাইতে বাধা দেয়। এদের দুনিয়াতে থাকার কোন অধিকার নেই। এটার নাম হল জিহাদ।

৯। আমেরিকা ইংল্যান্ড সহ বিভিন্ন কাফের রাত্রে বিভিন্ন মুসলমান হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক নির্বিঘ্নে শান্তির সাথে ইসলাম পালন করছে, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করছে ইত্যাদি। আর তামাম মুসলমান উলামায়ে কেরামের চারো মাযহাবের মুত্তাফাকা ঐক্যমত শায়ায়িরে দীন যে কাফেরের দেশে সংরক্ষিত এখানে কোন যুদ্ধ জিহাদ নাই!!!!!

১০। বর্তমান যমানা যুক্তির যমানা, কথা বলার যমানা। খ্রিস্টান কাদিয়ানী সহ অন্যরা মুসলিমদেরকে ধর্মচ্যুত করছে শুধুমাত্র যুক্তির দ্বারা, মারামারির দ্বারা না। তাই আমাদেরও শুধু যুক্তি ধারাই সেগুলো প্রতিহত করতে হবে। এগুলো জিহাদ দিয়ে করা যাবে না।

১১। জিহাদ করতে চাইলে নির্দিষ্ট তারিখে ঘোষণা জিহাদ করতে হবে! জিহাদ করতে না পারলে জিহাদের ওয়াজ করা যাবে না।

১২। জিহাদের আলোচনার বিপরীতে দাওয়াতি আলোচনা, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয়ে তুলে এনে মানুষকে এটা খাওয়ানো যে দুইটা পরস্পর বিরোধী।

১৩। খ্রিস্টানদের সাথে বিভিন্ন ধর্ম এবং ইসলাম ধর্মের তুলনামূলক আলোচনা করলেই এই ফেতনা দূর হয়ে যাবে। কোনো জিহাদ লাগবে না।

১৪‌। ইসলাম কি মস্তানির ধর্ম‌? ইসলামকে যুক্তি ও দালায়েলের ধর্ম। (পুরো আলোচনার মধ্যে মস্তানি বলতে জিহাদকেই বোঝানো হয়েছে)

এই পর্বে শুধু এতোটুকুই থাক। আগামী পর্ব থেকে প্রতিটি পয়েন্ট নিয়ে সংক্ষিপ্ত দালীলিক আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

বিঃদ্রঃ এর বাইরেও যদি হযরতের বিশেষ বিশেষ বক্তব্য থেকে থাকে তাহলে সেগুলো কমেন্টে প্রমাণসহ উল্লেখ করতে পারি। সেগুলোও খণ্ডন করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
আর এই ধরনের বক্তব্য শুধু তার একার নয় বরং গণতান্ত্রিক রাজনীতির সাথে জড়িত অনেকের অবস্থান এমনই। যেহেতু উনারটা সামনে এসেছে তাই সেটাকেই সামনে রাখা হচ্ছে। এর মানে শুধু তিনি একা উদ্দেশ্য নন। বরং এমন মতবাদে বিশ্বাসী সকলের জন্যই এই লেখা।

চলবে ইনশাআল্লাহ...

-আবু উসামা জাফর হাফিজাহুল্লাহ

মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক ও আমার দেখা কারগুজারী-------------------------------------------------------------------------...
09/07/2025

মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক ও আমার দেখা কারগুজারী
-------------------------------------------------------------------------
তিনি একজন মাওলানা, আল্লামা, একজন শায়খুল হাদিস।
এক সময়কার ফেরাকে বাতেলা বিরোধী বলিষ্ঠ কন্ঠের অধিকারী।
কিন্তু তার জি*হাদ বিদ্বেষী বক্তব্য শুনলে একজন মুসলমান হিসাবে হতবাক হতে হয়।

তার তাহরীফ ও জি*হাদ বিদ্বেষ নতুন কিছু নয়।
তিনি বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও মজলিসে বহুকাল আগে থেকেই জি*হাদ বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে আসছেন

২০০৩/৪ সন।
এমনই এক ঘটনা ঘটে ঢাকার চৌধুরী পাড়া মাদ্রাসায়।
হঠাৎ এলান হয় মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক সাহেব আসছেন। তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তারবিয়াতী বয়ান করবেন।

বাদ জোহর বয়ান শুরু হয়। তিনি মওদুদীবাদ ও ইসলামী সিয়াসাত নিয়ে আলোচনা করেন।
একপর্যায়ে তিনি বলে উঠেন- কিছু লোক আছে যারা শুধু জি*হাদ জি*হাদ করে! আরে তোমরা কার নেতৃত্বে জি*হাদ করবে? ওসা*মার নেতৃত্বে? মোল্লা ও*মরের নেতৃত্বে? তারা তো গর্তের লোক। তারা 'র'এর এজেন্ট, সিআই এর এজেন্ট। আরো বহু কুটুক্তিপূর্ণ মন্তব্য করতে থাকেন।

একপর্যায়ে ছাত্ররা লিখিত আকারে তার প্রতিবাদ করে ও বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায়। তিনি তার ব্যাখ্যা না করে আরো রাগান্বিত হয়ে উঠেন ছাত্রদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, আমার কথার উপর এশকাল হয়! নিশ্চয় এখানে এখানে জামাত-শিবিরের লোক আছে। এভাবেই তিনি তার রাগ ক্ষোভ সবকিছু ছাত্রদের উপর উগড়ে দেন।
এই যদি হয় একজন শায়খুল হাদিস ও লিডারের অবস্থা তাহলে উনি জাতিকে কী রাহবরী করবেন? জাতিকে কোন পথে পরিচালিত করবেন? আফসোস শত আফসোস।

- আবূ সাঈদ মুহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ

30/06/2025

নোয়াখালীর শুভজিৎ মণ্ডল নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
সুযোগ বুঝে মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
২০ দিন ধরে তাকে জোরপূর্বক ধ'র্ষ'ণ করার পর, অবশেষে বিক্রি করে দেয় পতিতালয়ে।

কুমিল্লার পরকীয়ার ঘটনায় যারা তিলকে তাল বানিয়ে অনেক হৈ-চৈ করেছিল, তারা নোয়াখালীর এই নৃশংস ঘটনার কথা নিয়ে কেন চুপ?

নিচের যে মেয়েটি লাশ দেখতে পাচ্ছেন তার নাম সুলতানা পারভীন ..!!মাত্র ৮ মাস আগে ভিন্ন ধর্মের প্রীতম নন্দীকে বিয়ে করেছিলেন...
30/06/2025

নিচের যে মেয়েটি লাশ দেখতে পাচ্ছেন তার নাম সুলতানা পারভীন ..!!

মাত্র ৮ মাস আগে ভিন্ন ধর্মের প্রীতম নন্দীকে বিয়ে করেছিলেন। কয়েক মাসের মধ্যেই বুঝেছিলেন ভুলটা।
ফিরে যেতে চেয়েছিলেন — মায়ের, বাবার, নিজের ঘরে।

গত ২৭ জুন সুলতানা ফোন করে বলেছিলেন —
👉 “বাবা, আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে চলো!”
বাবা-মা যখন শ্বশুরবাড়ি গেলেন, ওরা তাদের মারধর করল, গাড়ি ভেঙে দিল, তাড়িয়ে দিল।
পরের দিন সুলতানার দেহ ঝুলতে দেখা গেল — আত্মহত্যার নাম করে হত্যার নোংরা নাটক!

❗ এটা নিছক খুন। ঠান্ডা মাথায়, নির্মম খুন।

এখন ভাবুন — যদি ছেলেটা মুসলিম হতো, মেয়েটা হিন্দু — মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ চ্যানেল সব আগুন জ্বালিয়ে দিত।
ব্রেকিং নিউজ চলত দিনরাত! পুরো মুসলিম সমাজকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হতো!
কিন্তু এখন কোথায় তারা? এত চুপ কেন?

যারা কথায় কথায় “ফ্রিজ, ফ্রিজ” বলেন — এবার কি বলবেন?
একটা মেয়ের জীবন শেষ করে দিলেন !🙂©

আমাদের বাড়িতে নিচ তলায় একজন ভাড়াটিয়া আছে যারা নাকি হাসবেন্ড ওয়াইফ দুজনেই চাকরি করে। তাদের দুজন বাচ্চা একজন ছেলে আরেকজন ম...
23/06/2025

আমাদের বাড়িতে নিচ তলায় একজন ভাড়াটিয়া আছে যারা নাকি হাসবেন্ড ওয়াইফ দুজনেই চাকরি করে। তাদের দুজন বাচ্চা একজন ছেলে আরেকজন মেয়ে। ওরা দুই ভাই বোন বাসায় একা থাকে সারাদিন।আমি প্রতিদিন ক্যামেরায় ওদের দেখি মূলত ওদের আমি ফলো করি। গেইট দিয়ে আবার বের হয়ে যায় নাকি। ওরা সারাদিন আমাদের বাসার এই গ্যারেজেই বেশিরভাগ সময় থাকে। দুই ভাইবোন খেলে আবার গেইট ধরে অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকে ,আবার সিড়িতে বসে থাকে আবার রুমে যায় আবার আসে। এমন করে ওদের সারাটা দিন কাটে। আমি সারাদিন কাজ করি আর একটু পর পর ওদের দেখি মনিটরে। আমার খুব খারাপ লাগে ওদের জন্য সারাটাদিন কিভাবে একা পাড় করে দুটো বাচ্চা। বোনটা ছোট মাঝে মধ্যে কান্না করে তখন আবার ভাইটা কোলে নেয় বোনকে। হয়তো এই শহরে টিকে থাকার জন্য বাবা মায়ের দুজনের কাজ করতে হয়। এই শহরে আসলে টিকে থাকাও একটা লড়াই।এই জন্য চাইলেও হয়তো মা টা বাসায় বাচ্চা নিয়ে থাকতে পারছে না।

ঠিক এই কারনের জন্য নিজের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা না করে আমি ফুল টাইম মাদার হওয়ার ডিসিশন নিয়েছিলাম। পড়াশোনা শেষ করে যখন দেখলাম আমার সাথের প্রায় সব বান্ধবীরা চাকরি ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবছে।ঠিক তখন আমি হয়ে গেলাম একজন ফুল টাইম মাদার। আমার মনে হয়েছিল ক্যারিয়ারের চাইতে আমার জীবনে এখন আমার বাচ্চা বেশি জরুরি।সবাই আমাকে বলেছে এত পড়াশোনা করলা এখন কিছু একটা করো। হাসবেন্ড এর থেকে টাকা চেয়ে নিয়ে শখ পুরন করার চাইতে নিজে কিছু করা ভালো না। আমি সবাইকে একটাই উত্তর দিয়েছি না আমি মা হতে চাই আমার ক্যারিয়ার লাগবে না। এই যে আমার বাচ্চার ছোটবেলার সময়টা আর জীবনে ফিরে আসবে না। বড় হলে ওর আলাদা জগৎ হবে তখন ওর এতটা মায়ের দরকার হবে না। কিন্তু এখন ও এক সেকেন্ড মা ছাড়া থাকতে পারবে না। কয়েক মাস আগেও আমার শ্বশুর বেশ অপমান জনক ভাবে আমাকে বলেছিল পড়াশোনা করে জীবনে কি করছো কয়েক টাকাতো ইনকাম করতে পারো নাই। আমি চুপ হয়ে কোনো উত্তর দেইনি কারন সে আমার স্বামীর বাবা আর আমার শিক্ষায় তাকে উওর দেয়া চলে না। হয়তো অন্য মানুষ হলে আমি দারুন একটি উত্তর দিয়ে দিতাম। যাইহোক এমন আরও হাজার হাজার বার আমি শুনেছি একটা জব করতে পারলাম না কি করলাম জীবনে আমি। আমি যা করেছি তা শুধু আমি জানি। আমি না খেয়ে বাচ্চা সামলেছি ,রাতে না ঘুমিয়ে বাচ্চা পেলেছি ,কুলে নিয়ে রান্না করেছি ,খেতে বসে বার বার উঠেছি পটি ক্লিন করার জন্য ,দু হাত পেতে বমি ধরেছি বাচ্চার। এই যে ছোট ছোট হাত দুটো আমায় এসে জড়িয়ে ধরে সারাদিন আমার সাথে লেপটে থাকে এটাই আমার জীবনের প্রাপ্তি। আমি যদি অফিস করতাম এই বাচ্চাটাই অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকতো কখন আমি আসবো ,সঠিক টাইম গোসল করতো না, হয়তো ময়লা জামা পড়তো বিনিময়ে আমি মাস শেষে কিছু টাকা পেতাম এইতো! যে সব মায়েরা বাচ্চা রেখে জব করে তাদের আমি অনেক সম্মান করি ,নিজের বাচ্চা বুক থেকে রেখে যেয়ে জব করা মুখের কথা না। হ্যাঁ আমার বাচ্চা একদিন বড় হবে আলাদা জগৎ, বিয়ে করবে সংসার করবে হয়তো এই গুলো মনেও থাকবে না ওর কিন্তু আমি যে ওকে আমার জীবনের পুরোটা সময় দিয়ে বড় করে তুলেছি এটাই আমার জীবনের এচিভমেন্ট।তার জন্য হয়তো দিন শেষে ইনকাম করিনা স্বামীর থেকে চেয়ে নিতে হয়। আমি এটা স্বেচ্ছায় বেছে নিয়েছি। কারন আমি মা হতে চেয়েছিলাম ক্যারিয়ার চাইনি 🙂

- collected

"ও এখন কোথায় আছে, তার সম্পর্কে সমস্ত ইনফরমেশন লাগবে! "মেজবাহ উদ্দিন, ইন্সপেক্টর, সিটিটিসি, এণ্টি ইলিগ্যাল আর্মস টিম।প্র...
19/06/2025

"ও এখন কোথায় আছে, তার সম্পর্কে সমস্ত ইনফরমেশন লাগবে! "

মেজবাহ উদ্দিন, ইন্সপেক্টর, সিটিটিসি, এণ্টি ইলিগ্যাল আর্মস টিম।
প্রচণ্ড ইসলাম বিদ্বেষী। কথায় কথায় হাদিস, সাহাবা ও সালাফদের উপর আক্রমণ করে। ইজরাইল ও ইয়াহুদিদের অন্ধ ভক্ত। মোসাদ থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত। তার রুমে একটা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট আছে যেটায় "I S R A E L" লেখা।

এই মেসবাহ এর অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে, আল্লাহর রাসুল (স) সাহাবাদের উপর আক্রমন। চেয়ারের হাতে হান্ডকাপ লাগিয়ে, জম টুপি পড়িয়ে সে হুমকি দিত!!
কিরে কু** বাচ্চা তোর আবাবিল পাখি কই?
এমন কি সে বলত তোদের চাইতে ইয়াহুদিরা বেশী কোর'আন মানে। কোর'আনে তিন ওয়াক্ত নামায। জান্নাতে সবার আগে যাইব ইয়াহুদিরা।
অনলাইন থেকে শিয়াদের বিভিন্ন যুক্তি পড়ে, সেগুলো দিয়ে হাদিস, সাহাবাদের উপর আক্রমণ করত। বলত, হাদিস মানুষের বানানো। সুন্নিরা বানাইছে। আলি (রাঃ) এর থেকে খিলাফত জোর করে নেওয়া হয়েছে। তোরা যে কোরআন পড়স, সেটা ভুয়া।
হাসিনার অতন্ত কাছের এই অফিসার হাসিনার থেকে একাধিকবার বি এম পদক পেয়েছে। তার পুরো দেয়াল সাজানো ছিল হাসিনার থেকে পদক নেওয়ার ছবিতে। এমন কি সে যেসব পোষাক পড়ত সেখানেও পদক, নৌকার ছোট ব্যাজ পড়ে থাকত।

এই পদকগুলো সে পেয়েছিল, হাসিনার কথায় ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে। গর্ব করে বিভিন্ন ক্রসফায়ারের ভিক্টিমদের নাম বলত। তার ব্যাপারে তার ডিপার্টমেন্টের কনস্টেবলদের অভিযোগ হচ্ছে, মেসবাহ স্যার শুধু ক্রস দেয় না। ক্রসফায়ার দেওয়ার পর লাশের সাথেও বিকৃত অত্যাচার করে। পা দিয়ে মাড়ায়।
এর অন্যতম কাজ হচ্ছে, কল রেকর্ড শোনা। গুমের আগে ও পরে গুমের ভিক্টিম ও আত্মীয়স্বজনের কল রেকর্ড শোনে সে। এছাড়া বিভিন্ন সময় কল রেকর্ড শুনে নারীদের কল দেয়। আমার সামনে সে কোনো নেতার বউকে কল দিয়ে, তার গোপন কথা প্রকাশের হুমকি দেয়।

সিটিটিসির এই কসাই মেসবাহকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। হাসিনার ভাড়াটে এই সাইকো কিলার এখনো খোলা আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

©Topu

রাত ৩:০০ টায় রোগীটা মা*রা গেল। বয়স প্রায় ৮০, সাথে শুধু স্ত্রী।জিজ্ঞেস করলাম, বাড়িতে খবর দিয়েছেন? রোগী তো সন্ধ্যা থেকেই খ...
14/06/2025

রাত ৩:০০ টায় রোগীটা মা*রা গেল। বয়স প্রায় ৮০, সাথে শুধু স্ত্রী।

জিজ্ঞেস করলাম, বাড়িতে খবর দিয়েছেন? রোগী তো সন্ধ্যা থেকেই খারাপ ছিলো। কেউ আসেনি?

এরপর এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি হলাম যার জন্য আমার কোন মানসিক প্রস্তুতি ছিল না--

রোগীর দুই ছেলে, বড় জন সৌদি আরব, ছোট ছেলে বাড়িতে। বড় ছেলের জোরাজুরিতেই হাসপাতালে আসা। ছোট ছেলের আপত্তি অগ্রাহ্য করে কেন হাসপাতালে আনা হলো, এই অপরাধে বৃদ্ধ বাবাকে একবারও দেখতে আসেনি সে। উল্টো তাকে বাবার খারাপ অবস্থা জানানো হলে তার ভাষ্য ছিলো-
" আমি তো হাসপাতালে নিতে বলিনাই, সৌদি থিকা আইসা বাপেরে দেইখা যাইতে কও"!

জিজ্ঞেস করলাম, আত্মীয় স্বজন?

জানালো কেউ আসবে না, যখন তাদের প্রয়োজন ছিল তখন এসেছে। এখন লা*শ নিতে আসলে যদি দুই পয়সা খরচ করতে হয়!
রাত ৩:০০ টায় ষাটোর্ধ্ব নারী তার সদ্য প্রয়াত স্বামীকে নিয়ে একটি উপজেলা হাসপাতালের ওয়ার্ডে, সাথে নেই কোন চেনা মুখ! কল্পনা করতেও বোধহয় কষ্ট হয়!
আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কয়টা বাজে? আজান দিতে আর কতক্ষণ?
আমি বললাম বেশিক্ষণ না, দুই-আড়াই ঘণ্টা!

ভদ্রমহিলা আমার হাত ধরে ফেললেন-
"আমারে হাসপাতাল থেকে বাইর করে দিয়েন না, সকাল হইলেই ভ্যান নিয়া চইলা যামু"!

শোকার্ত নারীটি যেন ঠিকমতো শোক প্রকাশ করারও সুযোগ পাচ্ছে না। একবার লাশের কাপড় ঠিক করছে, কিছুক্ষণ দোয়া পড়ছে, কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে কান্না করছে, আবার একা একা এই লাশ বাড়ি পর্যন্ত কিভাবে নিয়ে যাবে সেটাও বোধহয় আনমনে ভাবছে।

আমি শুধু তার মাথায় হাত রেখে আস্তে করে বলতে পারলাম, "থাকেন। কোন সমস্যা নাই"।

ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে ৮০ বছরের বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম জীবন ঠিক কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে। শেষ পরিণতি হিসেবে মৃত্যুর পর লাশটা নেওয়ার মানুষটাও নেই।
আহারে জীবন!

এই জীবন নিয়ে আবার কত বড়াই!
অথচ ঠিকমতো দাফন-কাফন পাবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই!
-সংগৃহীত-

Address

Islami Tower, 11 Banglabazar
Dhaka
1100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আলোর মিনার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আলোর মিনার:

Share