12/06/2025
বাংলাদেশের বহু মানুষ টাকা দিয়ে ভোট দেয়, এটা তো জানা কথাই।
আমাদের এদিকে ভোটের আগের রাতকে বলে চাঁদ রাত।
এই চাদ রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পয়সা বিলানো হয়।
এই পয়সার ওজনের উপর ভোট নির্ভর করে।
গতবার আমাদের এলাকা সহ আশেপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ ভোট পাইছিল এক মাদক ব্যবসায়ী।
এখন বলেন, ঠিক কোন গুনটা দেখে মানুষ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে ভোট দিতে পারে?
গুণ একটাই। টাকা।
আপনার এলাকায় কবে আপনি কোন টেন্ডারবাজ, চান্দাবাজ বা মাফিয়া ছাড়া কোন ভদ্র ভালো মানুষকে কাউন্সিলর হতে দেখেছেন?
আমি অন্তত দেখি নাই।
এই জন্যই আসলে আমাদের কপালে ভালোমানুষ জুটেও না।
যেমন ধরেন ফজলু, বা মুতে ভাসিয়ে দেওয়া দুদু। এদের মুখের ভাষা তো দেখেছেনই। ফেসবুকে যত যাই বলি, এরা প্রচুর ভোট পাবে।বাট মুতে ভাসিয়ে দেওয়া একটা লোক আপনাকে ঠিক কী শাসনটা করবে? যাদের নিজেদের ভালো মন্দের হিসাব নাই, এরা আমার আপনার ভালো মন্দ কেমনে বুঝবে?
এই যে ওবায়দুল কাদের ওরফে কাউয়া, আমু, শাজাহান এরাও কিন্তু লাখ ভোট পাইয়া ইলেকশন জিতসে। অথচ এই শাজাহান খানের যোগ্যতা কী ছিল? সে চান্দাবাজ। লেখাপড়া নাই।গুন্ডাগিরি করে বড় হইসে।
এই লোককে মানুষ ভোট দিসে কেমনে?
ঐ যে, ভোটের আগের রাতে বাড়ি বাড়ি যাইয়া মাথা গুনে টাকা দিয়ে আসছে। ব্যস। মাফিয়া থেকে এমপি। বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আর রাজনৈতিক নেতারা তাই অধিকাংশই বাটপার।যে যত বড় বাটপার, সে তত বড় নেতা।
এই সত্যকে যারা অস্বীকার করে, এই বাটপারির ভাগ তারাও পায়। তারা চায়, এই ভোট কেনার চল অব্যাহত থাকুক।
যে কোন সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ হল, সমস্যাটাকে স্বীকার করে নেওয়া।
বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ টাকা নিয়ে ভোট দেয়, এই সত্য মেনে নিয়েই এটাকে প্রতিরোধ করতে হবে।মানুষের মধ্যে ম্যাসিভ ক্যাম্পেইন চালাতে হবে, মানুষকে বোঝাতে হবে।
না হলে বাটপারদের নেতা হওয়ার এই প্রসেস বন্ধ করা যাবে না। মাফিয়াদের হাতে দেশ জিম্মি হয়ে পড়বে, গত ৫৪ বছর যেমন জিম্মি ছিল।
© Sadiqur Rahman Khan