15/08/2025
১৫ আগস্ট এলে এখনো অনেকের বুক ভার হয়। এদের কাছে হিংস্র একনায়কের পতন হলো শতাব্দীর করুণতম ট্র্যাজেডি।
বাকশাল নয়, দুর্ভিক্ষ নয়, নৈরাজ্য-লুটপাট-খুনোখুনি নয়, ১৫ আগস্ট এদের চোখে ভাসে কেবল শেখ মুজিবের 'দেবতাসুলভ' মুখ, নারী ও শিশুর 'নিষ্পাপ' মৃত দেহ। মাইর ও মামলার ভয়ে এরা হাসিনাকে ভালোবাসতে পারে না, আজকে এদের ঘোমটা খুলে মুজিবকে ভালোবাসার দিন।
এরা আম্লীগের সাংস্কৃতিক বরকন্দাজ; এদের ইতিহাস, অভিজ্ঞান, নন্দন ও বোঝাপড়া মুজিবে গিয়ে থেমে গেছে।
'বঙ্গবন্ধু' ছাড়া এই কালচারাল আম্লীগের আর কোনো আশ্রয় বা গন্তব্য নাই, এরা মুজিব নামক অন্ধকূপের চিরস্থায়ী বাসিন্দা।
কিন্তু যারা আম্লীগ ও হাসিনার বিরোধী? তাদেরও তো ব্যথা জাগে, 'বঙ্গবন্ধু' স্মরণে বুকের পশম খাড়া হয়। ছুপা আম্লীগ বলতে যা বোঝায়, এরা তা নয়। কেও কেও তো জুলাইয়ের 'গর্বিত' যোদ্ধা।
তদুপরি ৭১ ও মুজিবের অভেদ মিথে এদের ইমান যথেষ্ট তরতাজা। প্রথমে এরা বাপকে বেটির থেকে আলাদা করে, এরপর ইতিহাস ছেঁকে তুলে আনে বঙ্গবন্ধুর নিষ্পাপ ও বিশুদ্ধ রূপ—যে মুজিব জনতার, সে মুজিব মরে না! কিন্তু আদতে প্রক্রিয়াটি প্রথম পক্ষের আবিষ্কার, মুজিববাদী জুলাই যোদ্ধারা তার বেকুব খদ্দের মাত্র। এরা হাসিনা প্রযোজিত ও কালচার আম্লীগ নির্মিত আখ্যান-কল্পের প্রথম সার্থক প্রজন্ম। ফলে হাসিনাবিরোধী হয়েও এরা হাসিনার ভাবাদর্শিক সহচর, আনকনসাস সার্ভেন্ট। এরা জানে না, মুজিব হলো সেই অভিশপ্ত জাদুর চেরাগ, যার মধ্যে ঘষা দিলে হাসিনার জন্ম হয়। এরা বোঝে না, মুজিব নামে লেখা সবগুলো শোকগাথার প্রথম ও প্রধান মালিক হাসিনা।