Fun Unlimited Bangla

Fun Unlimited Bangla হাঁসুন বেশী বাচুন বেশী......

কেল্টু থানায় ফোন করে...✆ 🙂কেল্টু :হ্যালো...এটা কি থানা .!🤔-ওসি:হ্যাঁ..এটা থানা! 😎কেল্টু :আপনি কে বলছেন? ওসি: আমি ওসি বল...
15/08/2025

কেল্টু থানায় ফোন করে...✆ 🙂

কেল্টু :হ্যালো...এটা কি থানা .!🤔

-ওসি:হ্যাঁ..এটা থানা! 😎

কেল্টু :আপনি কে বলছেন?

ওসি: আমি ওসি বলছি! 😏

কেল্টু :আপনার হাতে ডান্ডা আছে? 🙄।

ওসি :হ্যাঁ, আছে! 😇

কেল্টু :তাহলে ওটা নিজের পাছায় ঢুকিয়ে নিন..!??

#ফোন কেটে গেল। ওসি সাহেব চুপ করে রইলেন!??

#একটু পরে আবার ফোন। তুলতেই প্রশ্ন...

কেল্টু : হ্যালো, এটা কি থানা?

ওসি :হ্যাঁ..এটা থানা ।

কেল্টু:আপনি কে বলছেন? 😊

#ওসি বুঝলেন সেই বিচ্ছুটাই। ওসি সাহেব সাবধানে জবাব দিলেন...😉

ওসি:ওসি বলছি। 😔

কেল্টু:আপনার হাতে ডান্ডা আছে? 🙃

ওসি: না, নেই। 🤢🤢

কেল্টু:বাহ্ একবার বলতেই ঢুকিয়ে নিয়েছেন? সাবাশ ! 😳

# ফোনটি কেটে গেল🙂

একটু পরে ওসি সাহেব ওই নাম্বারে ফোন করলেন। 🤨

ধরলেন এক ভদ্রমহিলা কেল্টুর মা)।

#ওসি সাহেব বললেন... 😈

ওসি: থানা থেকে ওসি বলছি। এই নাম্বার থেকে একটি বাচ্চা ছেলে আমাকেফোন করেছিল।

#বলেছে, হাতের ডান্ডাটা নিজের পেছনে ঢুকিয়ে নিতে। 😔

কেল্টুর (মা):এ মা ! কখন ? 😳

ওসি :মিনিট দশেক আগে। 😰

কেল্টুর (মা): ছিছি, বের করে ফেলুন। বাচ্চাদের কথা কেউ সিরিয়াসলি নেয়? শুধু শুধু দশ মিনিট কষ্ট পেলেন! বাড়ি গিয়ে একটু মলম লাগিয়ে নেবেন কিন্তু... ☹️

ওসি বেহুঁশ......🥴🥴🥴

আমি সিওর গল্পটা পড়ে আপনি হাসতে হাসতে শেষ 😁🤣গ্রামের ফুপি শ্বাশুড়ি যতবার উনার ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে আসে ততোবার লাউ ছাড়া কিছ...
08/08/2025

আমি সিওর গল্পটা পড়ে আপনি হাসতে হাসতে শেষ 😁🤣

গ্রামের ফুপি শ্বাশুড়ি যতবার উনার ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে আসে ততোবার লাউ ছাড়া কিছুই আনে না। উনি ১০০ কি.মি. দূর থেকে গাড়িতে চড়িয়ে লাউ নিয়ে বেড়াতে আসে।

আমার বিয়ে হয়েছে একমাস হলো। এই এক মাসে উনি সাতবার আমার শ্বশুর মশাই কে দেখতে এসেছেন। আর প্রতিবার হাতে করে নাস্তার বদলে লাউয়ের থলে নিয়ে এসেছেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের চেহারা দেখে বুঝতে পারি তারা ফুপি জানের লাউয়ের উপর সবাই বেশ বিরক্ত। উনি অনেক সচেতন মানুষ। শাক সবজি খেলে নাকি স্বাস্থ্য ভালো থাকে তাই ফরমালিন মুক্ত লাউ নিয়ে ভাইকে দেখতে আসে। কেউ খেতে না চাইলে তার প্লেটে জোর করে অল্প হলেও লাউ তুলে দেয়। উনার কথা হচ্ছে, শহরের মানুষ শাক-সবজি কম খায় বলে বেশি অসুস্থ হয়। আর যা খায় সবগুলোতে ফরমালিন যুক্ত। তাই উনি সবাইকে ফরমালিন মুক্ত গ্রামের তাজা লাউ খাওয়ায়। আমার শ্বাশুড়ির লাউ রান্না উনার অনেক পছন্দের। তাই উনি লাউ এনে আমার শ্বাশুড়ির হাতে দেন। কারণ শ্বাশুিড় আম্মার লাউ রান্না নাকি অনেক মজা হয়। একথালা ভাত কখন যে শেষ হয়ে যায় টেরই পায় না। তবে আজ লাউ রান্নার ভারটা আমার ঘাড়ে চাপালেন শ্বাশুড়ি। আমি কোনদিন লাউ যেমন খাইনি তেমন রান্নাও করেনি। লাউ কেমনে কুটে তাও জানি না। শ্বাশুড়ি আম্মা বেশ ঝামেলায় ফেলে দিলেন। কোন উপায়ান্তর না দেখে ইউটিউবে ভিডিও সার্চ দিলাম, লাউ কুটে কেমনে?অনেকগুলো ভিডিও চলে এসেছে। সবচেয়ে বেশি ভিউ পাওয়া এক রাধুনি আপার ভিডিও দেখা শুরু করেছি। প্রায় তিন মিলিয়ন ভিউ, লাইক ষাট হাজারের উপরে।আত্মবিশ্বাসের সাথে ওনার ভিডিও ফলো করে লাউ গুলো প্রথমে ছোট ছোট করে কেটে নিলাম। তারপর রান্নার ভিডিও দেখা সার্চ দিলাম। অনেক গুলো ভিডিও চলে আসলো। মশুর ডাল আর আলু দিয়ে লাউ রেসিপি যা একবার খেলে বারবার খেতে মন চাইবে। ইলিশ মাছ দিয়ে লাউ রান্নার রেসিপি, খেলে বুঝবেন কখন যে একথালা ভাত নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে বুঝতেই পারবেন না। চিংড়ি দিয়ে লাউ রেসিপি, খেলে মনে হবে রেস্টুরেন্টের খাবার খাচ্ছেন।
এরকম অনেকগুলো ভিডিও থেকে চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ রেসিপি অনুযায়ী রান্না শুরু করলাম। শ্বাশুড়ির এদিকে আসার নাম গন্ধও নাই। তাই নিজ থেকে ভিডিও দেখে দেখে রান্নাটা করছি। মাঝখানে একবার ফুপি শ্বাশুড়ি এসে রান্নার গন্ধটা নিয়ে গেলেন। তখন শুধু চিংড়ি মাছ আর আর লাউ গুলো চুলায় বসিয়েছি মাত্র। উনি আসাতে পরবর্তী স্টেপ দেখতে পারিনি। চলে যাওয়ার পর আবার দেখা শুরু করলাম। রাধুনি আপা তখন এক কেজি চিনি গুঁড়া চাল লাউয়ে মেশাচ্ছে। জীবনে লাউ না রাধলেও মিষ্টি কুমড়া রেধেছি। কিন্তু এতে কিছু মিশাতে দেখিনি। আজ প্রথম লাউ রাধতে এসে আমিও রাধুনি আপার মতো চাল, টক দই এবং বিরিয়ানির মশালা লাউয়ে মিশালাম। সব ভালো করে মিক্সড হয়ে গেলে পানি দিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে বললেন। আমিও ১৫ মিনিট অপেক্ষা করলাম। অল্প আঁচে রান্না শেষে ঢাকনাটা তুলতে কি রকম একটা গন্ধ এলো।ফুপিজানের ঘ্রাণ শক্তি আবার অনেক বেশি। উনি ড্রয়িংরুম থেকে গল্পগুজব ছেড়ে রান্না ঘরে ছুটে আসলেন। আমি তখন ভাবছি লাউ রান্না কি দেখতে বিরিয়ানির মতো হয়? আবার টু মারলাম ইউটিউবের হিস্টোরিতে। দেখলাম, প্রথম যে দুইটা ভিডিও দেখেছি প্রথমটা বিরিয়ানি রান্নার আর দ্বিতীয়টা লাউ রান্নার। মানে আমি অর্ধেক লাউ রান্নার ভিডিও দেখেছি কিন্তু ফুপি যখন এসেছিলেন তখন তাড়াহুড়া করে স্টপ দিতে গিয়ে বিরিয়ানি রান্নার ভিডিওতে ক্লিক করে ফেললাম। আর সাউন্ড মিউট করে দিলাম। তাই আবার বাকি অর্ধেক বিরিয়ানির ভিডিও দেখে লাউকে লাউ বিরিয়ানি বানিয়ে ফেললাম।
নতুন বউ হিসেবে আমি অনেক ভয়ে আছি। ফুপির ঠোঁটে কোন কথা আটকায় না। একবার চা য়ে রং কম হয়েছিলো বলে সবার সামনে বলেছিল, এ যুগের মেয়েরা নাকি শুধু জামাই চিনে, রান্নাঘরের কোন পাতিলে কি রান্না হয় তা কিন্তু চিনে না।
ফুপিজান ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে এক চামচ লাউ বিরিয়ানি টেস্ট করে বললেন, বউমা এবার থেকে তোমার শ্বশুড়ি বাদ।তোমার হাতের রান্না ভাবির রান্নার চেয়ে ভালো। তোমার হাতে রান্না লাউ বিরিয়ানি খেতে অনেক টেস্ট হয়েছে। ফুপি এক প্লেট লাউ বিরিয়ানি নিয়ে ড্রয়িংরুমে সবার মাঝখানে রাখলেন। সবাই এক চামচ এক চামচ বিরিয়ানি খেতে খেতে সিদ্ধান্ত নিলেন, এবার থেকে প্রতি শুক্রবারে খাসির মাংস বাদ, এবার থেকে লাউ বিরিয়ানি খাবে। যে মানুষগুলা লাউ দেখলে বলত পেটে গ্যাস জমেছে, তারা লাউ খেতে পারবে না। আজ তারাও সিদ্ধান্ত নিলো সপ্তাহে একবার আমার ভুলে ভালে করা লাউ বিরিয়ানি খাবে।

সংগৃহীত :লাউ বিরিয়ানি
সর্ণালি রহমান

কাউকে মানসিক কষ্ট দিচ্ছেন?খুব যত্ন করে দিন, যাতে কেউ টের না পায়!তবে নিজেকেও একটু তৈরী রাখবেন ভবিষ্যতের জন্য।যে কষ্টগুলো ...
07/08/2025

কাউকে মানসিক কষ্ট দিচ্ছেন?
খুব যত্ন করে দিন, যাতে কেউ টের না পায়!
তবে নিজেকেও একটু তৈরী রাখবেন ভবিষ্যতের জন্য।
যে কষ্টগুলো আপনি দিচ্ছেন, দুনিয়াতেই তার পুরোটা না হলেও মিনিমাম এক তৃতীয়াংশ ভোগ করে যেতে হবে যে!
গোলাকার এই পৃথিবীতে আপনার দেওয়া কষ্টগুলো ঘুরেফিরে কিন্তু আপনার কাছেই ফেরত আসবে একদিন না একদিন। আপনি অনুশোচনা আর আত্মগ্লানিতে ভুগতে ভুগতে একটা সময় শেষ করে দেবেন নিজেকে, হয়তোবা আপনার সো কল্ড ইগোর জন্য ওই মানুষটার কাছে মাফও চাইতে পারবেন না!

সবারই মনে রাখা উচিত, মানুষের দীর্ঘশ্বাস খুব খারাপ জিনিস — সামনে এগোতে গেলে শিকলের মত পা জড়িয়ে টেনে ধরে। কেউ অভিশাপ না দিলেও "রুহের হায়" বলে একটা কথা আছে, ইংরেজিতে যাকে "Revenge of Nature" বলে। মানুষ ভুলে গেলেও প্রকৃতি কিছুই ভুলে না! সময়ের ব্যবধান মাত্র!!

কেউ নিজে দোষ করে উল্টা আপনাকে অপবাদ দিয়েছে, নিজের দুর্বলতা প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে আপনার অর্জনকে ছোট দেখাল, আপনার শ্রম-সফলতার স্বীকৃতি দিল না, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ন্যায্য হিস্যা থেকে আপনাকে বঞ্চিত করেছে, কথার বাণে আপনাকে করেছে ক্ষত-বিক্ষত! করুক না!! জরুরি না যে সবকিছুর উত্তর আপনাকে এখনই দিতে হবে! কিছু উত্তর সময়ের উপর ছেড়ে দেন না! দেখেনই না কি হয়?

সবসময় আমরা বুঝে উঠতে পারি না, ঠিক কোন অপরাধের শাস্তি আমরা পাচ্ছি৷ কাউকে কষ্ট দিয়ে, অপমান করে, কাঁদিয়ে, কথা দিয়ে বেমালুম ভুলে যাই আমরা, কিন্তু প্রকৃতি ভোলে না, প্রকৃতি ক্ষমা করে না!

এই মুহূর্তে আপনি যার সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যায় করে নিজেকে জয়ী ভেবে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন, মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সে হয়তো প্রতিবাদ করবে না, কিন্তু তার নীরবতা, কষ্ট থেকে আসা দীর্ঘশ্বাস আপনার সাথে বোঝাপড়াটা সঠিক সময়ে করে নিবে। কারণ মহান সৃষ্টিকর্তা কাউকে ঠকান না। তিনি কারোর একার না। তিনি সবার।

06/08/2025

সাগর পাড়ে মাছের নিলাম!!!!

এটা কোনো কথা?বউ হঠাৎ করে বললো, আপনার সাথে আর সংসার করতে ভাল লাগছেনা... ডিভোর্স দিবো...আমি শুনে হাসলাম, জবাব দিলাম না...ব...
06/08/2025

এটা কোনো কথা?
বউ হঠাৎ করে বললো, আপনার সাথে আর সংসার করতে ভাল লাগছেনা... ডিভোর্স দিবো...

আমি শুনে হাসলাম, জবাব দিলাম না...

বউ কয়দিন যাবৎ এই একই কথা বলতেসে... শেষে বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কেন?

বউ বলে, "আমার একটা এক্স বিদেশ থেকে চলে আসতেসে, তার সাথে পালিয়ে যাবো...

আমি বললাম আচ্ছা যাও...
- আমাকে কিছু টাকা দিতে পারবেন?
- কেন?
- পালিয়ে যেতে টাকা লাগবেনা? সেজন্য...
- আচ্ছা নিয়ো...

একদিন হুট করে বাসায় এসে দেখি বউ বাসায় নেই... নরমালি মন মেজাজ খারাপ হবার কথা... আমার কিছুই হচ্ছেনা...

সন্ধ্যা হয়ে গেছে, বউয়ের খোঁজখবর নেই... এবার ভয় লাগার কথা... তাও লাগছেনা... কারণ আমেরিকা বাংলাদেশের উপর পারমানবিক বোমা ফেললে সবাই মরে যাওয়ার পর যে একটা মানুষ বেঁচে থাকবে সেটা হল আমার বউ...

সে নিজেকে এতটাই সেইভ করতে জানে...

রাতে দশটার দিকে বউ ক্লান্ত হয়ে ব্যাগ ট্যাগ নিয়ে বাসায় ফিরেছে... আমি তাকিয়ে শুধু একবার দেখলাম, কিছু বললাম না...

বউ এসে আমার হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বললো, সবটা টাকা খরচ হয়নি, কি এক হারামীর সাথে পালাবো ভাবলাম, সারাদিন অপেক্ষা করিয়ে, শেষে রাতেও এলোনা...

অযথাই কিছু টাকা পয়সা নষ্ট করলাম...

আমি কিছুই বললাম না... বউ নিজের মত বলে নিজেই চলে গেল...

আমার এসবে তেমন কিছু যায় আসেনা, তারপরও অকারণে সারাটাদিন নষ্ট হল আমার... সারাদিন কোন কাজ করতে পারলাম না...

হুট করে খুব মন খারাপ হলো... অভিমানে পৃথিবী মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা...

পড়ার ঘরে টেবিলের উপর হাত ঘড়িটা খুলে রেখে, ঘুরতে থাকা চেয়ারটার উপর গাঁ এলিয়ে দিলাম...

জাগতিক কিছু ভাবতে ইচ্ছা করছিলো না... কারো সাথে কথা বলতেও ইচ্ছা করছিলোনা... শুধু ঝিম ধরে পড়ে থাকতে ভাল লাগছিলো...

আমি ফোন বন্ধ করে দিয়েছি, ভিতর থেকে দড়জায় খিল দিয়ে দিয়েছি... খাবারের জন্য বউ বাহির থেকে অনেকবার ডেকেছে, কিন্তু আমার খেতে ইচ্ছা করছেনা... তাই ভিতর থেকে কোন জবাব আমি দেইনি...

সারারাত ঝিম ধরে থেকে ভোরে একটা বই পড়তে শুরু করেছি... বইয়ের নাম হচ্ছে "সুখ" এটা মুলত একটা ইংরেজী বইয়ের বাংলা অনুবাদ...

ব্রাটাণ্ড রাসেলের বিখ্যাত বই "কনকুয়েস্ট অব হেপিনেস" কে মোতাহার হোসেন চৌধুরী "সুখ" নামে অনুবাদ করেছেন...

লেখক বইটাকে দুইটা অংশে ভাগ করেছেন একবার প্রমাণ করার চেষ্টা করছে আমরা আসলে মানবজীবনে অনেক সুখী, আবার প্রমাণ করার চেষ্টা করছে, আসলে সুখী না, আমাদের মানব জীবন শুধু দুঃখের... এখানে দুঃখ ছাড়া কিছুই নেই...

খুবই ইন্টারেস্টিং একটা বই... আমি সারাদিন ধরে এটাই পড়ে যাচ্ছি...

এরমধ্যে বউ কয়েকবার এসে ডেকেছে... আমি কোন জবাব দেইনি... বউ ব্যর্থ হয়ে ডাকা বন্ধ করে দিয়েছে...

সারারাত সারাদিন না খেয়ে একটা রুমে পড়ে থাকায় শরীরটা একটু দুর্বল হয়ে আসছিলো... চোখের পাতা ভারি হয়ে এলো... আমি বইটা বুকের উপর রেখে একটু চোখটা বন্ধ করলাম...

এরমধ্যে বউ নানান কাণ্ড ঘটিয়েছে... আত্মীয় স্বজন সবাইকে ফোন দিয়ে বলেছে আমি আত্মহত্যা করেছি...

আত্মীয় স্বজনরা বাসায় এসে কান্নাকাটির ধুম লাগিয়েছে... বাসার কাজের মেয়েটাও প্রচুর কান্না করছে... আমার বউ কান্নাকাটি তেমন করছেনা, সে ঘুরে ঘুরে সবার কান্না দেখছে...

একটুপর কাজের মেয়েকে এসে জোড়ে একটা ধমক দিলো, ধমক দিয়ে বললো, জামাই মরেছে আমার, তর এত দুঃখ কেন? তুই হাউমাউ করে কাঁদতেছিস কেন?

ধমক শুনেই কাজের মেয়ে চুপ, এবার সে কান্নাকাটি রেখে চুপ করে বসে আছে...

এরমধ্যে অতি উৎসাহী কিছু সাংবাদিক বাসায় ডুকার চেষ্টা করছে, বাহিরে ভীড় লেগে গেছে... কোর্ট শেষে আমার কলিগরাও প্রায় সবাই চলে এসেছে...

এলাকার মানুষ নানান কানাঘুষা শুরু করেছে... তারা ইতিমধ্যে অপরাধী খুঁজে বের করে তার শাস্তিও দাবি করছে... আমার আত্মহত্যার পিছনে তারা প্রধান আসামী বানিয়েছে আমার বউকে, তারপর যথারীতি কাজের মেয়ে এবং বউয়ের বন্ধুদেরকে...

আমার মৃত্যুর চেয়ে এখন তাদের কাছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়েছে, স্বামী মরেছে কিন্তু বউ কেন কান্না করতেসে না?

বিষয়টা বউয়ের কান পর্যন্ত এসেছে, কিন্তু বউ এসবে পাত্তা দিচ্ছেনা... সে দুপুর থেকে সবকিছু ম্যানেজ করে চলেছে...

কেউ ভয়ে দড়জা ভাঙছেনা, সবাই পুলিশের জন্য অপেক্ষা করতেসে... এসব সেন্সিটিব ব্যাপারে পুলিশ ছাড়া কারো হাত দেয়াও উচিৎ না...

পুলিশ এখনো আসতে পারছেনা কারণ রাস্তায় প্রচুর জ্যাম... আর আমি খুব বেশি বিশেষ ব্যক্তি নই যে পুলিশ হেলিকপ্টারে চড়ে চলে আসবে...

পুলিশ আসলো আরো আধা ঘণ্টা পর... পুলিশ এসে ভীড় কমাতে সাংবাদিকদের বাসার ভিতর ডুকতে দিলো...

পুলিশের ওসি সাহেবের মধ্যে আমার মৃত্যু নিয়ে তেমন ভাবোধয় হতে কিছু দেখলাম না... উনি বাসার দাড়োয়ান কে ধমক দিয়ে বললো চায়ের ব্যবস্থা করতে...

দাড়োয়ান চা নিয়ে আসেনি, সে কোন ঝামেলায় জড়াতে চায়না তাই এখন পর্যন্ত সে পলাতক...

পুলিশ এসে একবার পড়ার ঘরের দড়জায় উকি দিয়ে গেছে কিন্তু দড়জা ভাঙ্গার ব্যাপারে কোন আদেশ নির্দেশ দেয়নি...

সোফার রুমে পুলিশ এবং সাংবাদিকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে...

পুলিশ সাংবাদিকদের ইন্টার্ভিউ দিয়ে যাচ্ছেন, অনেকটা প্রেস ব্রিফিং টাইপও বলা যায়...

পুলিশ আমার মৃত্যুর জন্য অনেকদিনের পারিবারিক কলহ, ব্যাংক ভর্তি অবৈধ টাকার ব্যাপারে দুদকের চাপ, বিবাহিত অবস্থায় পুরোনো প্রেমিকার বিরহে মানুষিক যন্ত্রণা এসব তথ্য সাংবাদিকদের দিয়ে যাচ্ছেন...

এরপর সাংবাদিকরা বউকে নানান কোশ্চেন করছেন, বউ খুব সিরিয়াস হয়ে সাংবাদিকদের খোঁচা মারা টাইপ প্রশ্নের কঠিন জবাব দিচ্ছে...

সাংবাদিক: এই যে আপনার স্বামী কোটি কোটি অবৈধ টাকা ব্যাংকে এবং বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছে, এসব কি আপনি জানতেন?
বউ: জানতাম না মানে? অবশ্যই জানতাম... সেই টাকা দিয়েই তো মঙ্গল গ্রহে ডুপ্লেক্স বাড়ি বানানোর প্ল্যান করছি...

সাংবাদিক২: আপনার স্বামীর পুরোনো প্রেমিকার জন্য মনে যে এত হতাশা এসব কি আপনি বুঝতেন? অথবা এসব নিয়ে আপনাদের মধ্যে রোজ ঝগড়াঝাঁটি হতো?
বউ: আমার স্বামীর তো পুরোনো প্রেমিকা একটা না, একাধিক... কার জন্য ঝগড়া করবো সেটাই বুঝতে পারতাম না... সেজন্য প্রায় প্রতিদিনই দুজন মারামারি করতাম, এক একদিন এক প্রেমিকা নিয়ে মারামারি করতাম...

সাংবাদিক৩: আপনি কি বুঝতে পারছেন, উকিল সাহেবের এই মৃত্যুর জন্য পুলিশের আঙুল প্রথমে আপনার দিকেই উঠবে?
বউ: অবশ্যই বুঝতে পারছি.. স্বামী মারা যাওয়ার সময় বাসায় একমাত্র আমিই ছিলাম, এবং আমার এর সাথে যুক্ত থাকার একটা বিশাল সম্ভাবনাও রয়েছে... কিন্তু স্বামীকে মেরে ভিতর থেকে দড়জা লক করে আমি কিভাবে বাহিরে এলাম সেটা আমার মাথাতেই আসছেনা... তবে পুলিশ অবশ্যই এই রহস্যটা উদঘাটন করবে... স্বামীকে মেরে তো কোন না কোনভাবে আমি বের হয়েছিই...

সাংবাদিকরা বউকে প্রশ্ন করে তেমন মজা পাচ্ছেনা... কিন্তু মনে হল বউ সাংবাদিকদের উত্তর দিয়ে মজা পাচ্ছিলো, অনেকটা সেলিব্রেটি টকশো টাইপ...

পুলিশ দুই ঘন্টা রেস্ট নিয়ে পড়ার ঘরের দড়জা ভাঙার চেষ্টা করছে... দড়জায় ধুরুম ধুরুম শব্দ হচ্ছে... দড়জার শব্দ শুনে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল...

বাহিরে এসে এমন হুলুস্থুলু কান্ড আমি কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম...

কেউ কেউ ভয়ে ভুত বলে দৌড়েও পালালো...

পুলিশ প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আর সাংবাদিকরা আমার ঘুম ভাঙা চেহারার ছবি তুলছে...

এদিকে বউ এগিয়ে এসে আমাকে দিলো ঝাড়ি, মরার মত ঘুমাচ্ছেন যেহেতু, আরেকটু ঘুমাতে পারলেন না? মজাই তো হচ্ছিলো...

সাংবাদিকরা ছবি তোলা রেখে আমার বউয়ের দিকে তাকিয়ে আছে, আর আমিও অবাক হয়ে বউয়ের কাণ্ড দেখে যাচ্ছি...

লেখাঃ Shahriar Himu

নেকাব খুলতে বলায় এয়ারপোর্ট থেকেই ফিরে গেলেন এক মুসলিম নারী!এই মুসলিম নারী তিউনিসিয়া থেকে বেলজিয়ামে এসে এয়ারপোর্ট থেকে ফে...
04/08/2025

নেকাব খুলতে বলায় এয়ারপোর্ট থেকেই ফিরে গেলেন এক মুসলিম নারী!

এই মুসলিম নারী তিউনিসিয়া থেকে বেলজিয়ামে এসে এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত গিয়েছেন। কারন এয়ারপোর্টে তাঁকে নেকাব খুলার জন্যে বলা হয়, আর এই পর্দাশীল নারী নেকাব খুলতে অস্বীকৃত জানান। শুধু তাই নয়, ব্রাসেলস এয়ারপোর্ট কতৃপক্ষ এই নারীকে আলাদা কোন রুমে নিয়ে নারী কর্মকর্তা দিয়ে চেক করতে অস্বী'কৃতি জানান।

পর্দাশিল এই নারীও জনস'ম্মুখে এবং কোন পুরুষের সামনে নেকাব খুলতে ইচ্ছুক নন, তাই উনি বেলজিয়ামে প্রবেশ না করে ব্রাসেলস এয়ারপোর্ট থেকেই আবার তিউনিসিয়ায় ফিরে যান। সংখ্যাগ'রিষ্ট খৃস্টান দেশের একজন সংখ্যাল'ঘু মুসলিম নারী হওয়ার পরও পর্দার প্রতি তাঁর সম্মান ও ধর্মভীরুতায় সত্যি মুগ্ধ।

সুত্র - আল জাজিরা

02/08/2025
21/07/2025

কবর জিয়ারত করার সূন্না পদ্ধতি কি?

18/07/2025

কবরে মাটি দেয়ার সুন্নত নিয়ম কি?

আপনার এলাকায় কি নামে পরিচিত۔۔۔!!হাইড্গা /খোলা/ তক্তা ধান উঠানো হয় ۔۔۔
13/07/2025

আপনার এলাকায় কি নামে পরিচিত۔۔۔!!
হাইড্গা /খোলা/ তক্তা ধান উঠানো হয় ۔۔۔

Address

Motijhil
Dhaka
1000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Fun Unlimited Bangla posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category