28/05/2025
সাম্প্রতিক টালমাটাল অবস্থায়ও ইউনূস সরকার যুগান্তকারী দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে সিদ্ধান্তে দেশের দূর্নীতিবাজদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
🔴 প্রথম সিদ্ধান্ত:
এনবিআরকে দুই ভাগে ভেঙে ফেলা!
1️⃣ রাজস্ব নীতি
2️⃣ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা
আগে কী হতো জানেন?
যে কর্মকর্তা আপনার ট্যাক্স কত হবে ঠিক করত,
সে-ই আবার সেটা আদায়ও করত।
মানে?
এক হাতে ধার, আরেক হাতে ঘুষ।
১০০ টাকা ট্যাক্স ধার্য হলে, ২০ টাকা ঘুষ দিলেই ৩০ টাকায় দায়মুক্তি!
বাকি ৭০ টাকা কোথায়?
গেল রাষ্ট্রের পকেট থেকে!
কিন্তু এখন?
নীতিনির্ধারক আর আদায়কারী — এক না।
এরা কেউই একে অপরের নাগালে নেই।
ফাঁকি দেওয়া যাবে না। দালালি চলবে না। ঘুষেও হবে না কাজ।
রাজস্ব আসবে, সোজা কোষাগারে।
আর এতেই গায়ে আগুন ধরেছে...
এনবিআরে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু দূর্নীতিবাজদের!
শুরু করেছে কর্মবিরতি, আন্দোলন।
🔴 দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত:
সরকারী চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য কোনো কর্মচারীদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কাজে বাধা তৈরি করে তাহলে সেটি হবে একটি অসদাচরণ।
এমন অপরাধের জন্য পদ বা বেতন গ্রেড অবনমিতকরণ, চাকরি হতে অপসারণ এবং এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে।
অনানুগত্য দেখানো ও কাজে বাধা দেয়া, একক বা সমবেতভাবে কাজে অনুপস্থিত থাকা, কাউকে কাজ থেকে বিরত থাকতে উস্কানি দেয়া এবং কাউকে কাজ করতে বাধা দেয়া।
সরকারি কাজের নামে কেউ যদি বিদ্রোহ করে,
৮ দিনের মধ্যে বহিষ্কার!
নতুন অধ্যাদেশে এটাই স্পষ্ট।
চাকরি মানে দায়িত্ব। দলবাজি অথবা দম্ভ নয়।
এনবিআর ও নতুন সরকারী চাকরি অধ্যাদেশ এ যদি এই সরকার সফল হয়,
আশা করা যায় বাংলাদেশে সামনে বাজেট ঘাটতি থাকবে না।
বরং প্রতিবছর থাকবে বিলিয়ন ডলারের উদ্বৃত্ত।
তবে দুঃখজনক হলো—
এই সাহসী উদ্যোগগুলোকে থামাতে উঠে-পড়ে লেগেছে কিছু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের দোসররা।
তাদের মুখে এখন একটাই বুলি:
"সরকার কিছু করছে না!"
সরকার আসলে এমন কিছু করে ফেলছে যা তাদের নিজেদের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলছে! — in Dhaka.