Bangladesh on Record

  • Home
  • Bangladesh on Record
উনিশ শতকে ঢাকাবাসীর বিনোদনউনিশ শতকে ঢাকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে বিনোদনের ছিল নানা আয়োজন। ইংরেজ আমলে রচিত Principal...
13/09/2025

উনিশ শতকে ঢাকাবাসীর বিনোদন

উনিশ শতকে ঢাকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে বিনোদনের ছিল নানা আয়োজন। ইংরেজ আমলে রচিত Principal Heads of the History and Statistics of The Dacca Division (১৮৬৮) বইতে তৎকালীন ঢাকাবাসীর অবসরের রূপ-রস আস্বাদনের এক বিস্তৃত চিত্র পাওয়া যায়।

⛵ নৌ-বিহার ও চাঁদের আলোয় নৌকাবাইচ

ঢাকার প্রাচীনতম আনন্দের অন্যতম মাধ্যম ছিল নৌকাবিহার। ধারণা করা হয়, এ অভ্যাস শুরু হয় নবাবদের আমল থেকে। তারা নিজেদের মনোরম রুচি অনুযায়ী জমকালো রাজকীয় নৌকা রাখতেন। নবাবদের অনুকরণে বণিক, তাঁতি ও শহরের অন্যান্য ধনী ব্যক্তিরাও সাজসজ্জায় ভরপুর নৌকা রাখতেন। নৌকার মাঝিদের পোশাক হতো বিচিত্র, আর নদী ভরে উঠত বর্ণিল আনন্দে। বিশেষত পূর্ণিমার রাতে “মুনলাইট রেগাটা” বা চাঁদের আলোয় নৌকাবাইচ ছিল ঢাকাবাসীর অন্যতম প্রধান বিনোদন। তবে ১৯শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এ প্রথা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়, এবং কেবল বিশেষ অনুষ্ঠান বা বিদেশি অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্যই আয়োজন করা হতো।

🪁 ঘুড়ি ও খেলার আসর

শীত ও বসন্তকালে ঢাকায় ঘুড়ি ওড়ানো ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। রঙিন কাগজ আর হালকা বাঁশের কাঠামোয় তৈরি ঘুড়িতে লেজ বা ঝালর থাকত না। সুতো কেটে অন্যের ঘুড়ি নামিয়ে দেওয়া ছিল প্রধান কৌশল। তরুণ থেকে প্রৌঢ়, সবারই এতে সমান উৎসাহ থাকত। তবে রাস্তাঘাটে ঘুড়ি ওড়ানো অনেক সময় গাড়ি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাত, ফলে প্রশাসন মাঝে মাঝে এ খেলা নিষিদ্ধ করত।

ছেলেদের আরেক জনপ্রিয় খেলা ছিল কাদামাটি দিয়ে বানানো গুলি বা কাঁচগোলার মতো খেলনা ছুঁড়ে খেলা। এছাড়া “ফ্রেঞ্চ অ্যান্ড ইংলিশ” নামে আরেক ধরনের খেলাও চলত, যেখানে হাত ধরাধরি করে প্রতিপক্ষকে একটি নির্দিষ্ট রেখার ওপারে টেনে নেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য।

🐓 🐑 🐦 পশুপাখির লড়াই ও বাজি

হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভেড়ার লড়াই, বুলবুলি, দোয়েল বা মুনিয়া পাখির লড়াই জনপ্রিয় ছিল। এসব খেলায় মোটা অঙ্কের টাকা-পয়সা বাজি ধরা হতো। মুসলমানদের মধ্যেও মোরগের লড়াই ব্যাপক প্রচলিত ছিল।

💃 নাট্য ও নৃত্য

বৈষ্ণব সম্প্রদায় নাচ-গান, বিশেষ করে লীলা বা কৃষ্ণলীলা নাটকের আসর বসাত। নবাবি আমল থেকে আসা নৃত্যানুষ্ঠান বা নাচ ছিল হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সাধারণ আনন্দের মাধ্যম। আতশবাজি, গান-বাজনা আর রঙিন আলোকসজ্জায় এমন আসর জমে উঠত।

🎶 বাদ্যযন্ত্র ও সংগীত

হিন্দুদের মধ্যে “ভেলা” নামক এক ধরনের বেহালা ছিল সাধারণ বাদ্যযন্ত্র, যদিও ইউরোপীয় বেহালা বাজারে সহজলভ্য হয়ে উঠেছিল। মুসলমানরা বেশি পছন্দ করত সেতার বা তিন তারবিশিষ্ট গিটার সদৃশ বাদ্যযন্ত্র।

🦌 🎣 🐟 শিকার, মাছ ধরা ও অন্য আনন্দ

মুসলমানদের মধ্যে শিকার প্রিয় ছিল, যদিও বইয়ের লেখকের ভাষায় তা ছিল “অপটু শিকার”—জঙ্গলে হঠাৎ সুযোগ পেলেই পশুপাখি হত্যা। মাছ ধরা ছিল সর্বজনীন বিনোদন, যদিও তা দক্ষতার অভাবে সীমিত আনন্দ দিত।

🎲 🃏 🥥 পাশা, তাস ও ভাগ্যের খেলা

অন্দরমহলে বা আড্ডায় তাস, পাশা, কৌড়ি, এমনকি ডিম বা নারিকেল দিয়ে ভাগ্যের খেলা চলত। এগুলো ছিল একধরনের জুয়ার মতো বিনোদন।

🏏ইউরোপীয় খেলাধুলার আগমন

১৯শ শতকের শেষ ভাগে ইংরেজ বাসিন্দাদের প্রভাবে কিছু তরুণ ক্রিকেট খেলার চেষ্টা শুরু করলেও ঢাকার মানুষ তখনও ইউরোপীয় ক্রীড়া-সংস্কৃতিকে পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারেনি। খেলার উৎসাহ থাকলেও তা ছিল সীমিত ও প্রায় অনাড়ম্বর।

উপসংহার

ঢাকার ১৯শ শতকের বিনোদনচর্চা থেকে স্পষ্ট হয় যে, নবাবি ঐতিহ্য, বৈষ্ণব ভক্তি, স্থানীয় আচার এবং ইউরোপীয় প্রভাব মিলেমিশে গড়ে উঠেছিল এক বিচিত্র রূপ। নদীমাতৃক ঢাকার সাংস্কৃতিক আনন্দে নৌবিহার ও চাঁদের আলোয় রেগাটার মহিমা আজ আর নেই, কিন্তু ইতিহাসের পাতায় তা আজও অম্লান।

তবে ঔপনিবেশিক লেখক ঢাকাবাসীর বিনোদনকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে শুধু ঘুড়ি ওড়ানো, পাখির লড়াই বা নৌ-বিহারের মতো আমোদপ্রমোদকে হালকা চোখেই দেখেননি; তিনি বাঙালিদের জাতিগতভাবে অপমান করতেও কুণ্ঠিত হননি। বইটিতে বলা হয়েছে—

“এ সকল খেলাধুলা ও আমোদ-প্রমোদ যেহেতু সাহস বা ধৈর্যের প্রয়োজন করে না, কিংবা শারীরিক পরিশ্রমও সামান্য, তাই এগুলো এই জেলার অধিবাসীদের আলস্যপ্রবণ ও উদ্যমহীন স্বভাবের প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। সমগ্রভাবে তারা মানবজাতির সবচেয়ে অধঃপতিত অংশ, অর্থাৎ ‘বাঙালি এশিয়াটিক’-এর গড় প্রতিনিধি।”

এই মন্তব্য আসলে ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক শাসনের নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার কৌশলের অংশ। বাঙালিদের নিকৃষ্ট, দুর্বল ও শাসনযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করে ইউরোপীয়রা নিজেদের আধিপত্যকে স্বাভাবিক ও অপরিহার্য করে তুলতে চেয়েছিল। এমনকি ক্রিকেটের প্রসঙ্গে লেখক বলেন, ঢাকার তরুণেরা ইউরোপীয় খেলার আসল “স্পিরিট” ধরতে পারছে না—এটিও সেই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন।

Badruddin Umar, Integrity Beyond Awards (two historical clippings)This collage captures Badruddin Umar’s lifelong consis...
07/09/2025

Badruddin Umar, Integrity Beyond Awards (two historical clippings)
This collage captures Badruddin Umar’s lifelong consistency and uncompromising integrity. The first clipping, from Holiday, February 25, 1973, carries his press statement rejecting the Bengali Academy Award. Umar wrote: “During the Pakistani period I had always been opposed in principle to the system of conferring literary awards on writers and to their accepting such awards. I am still opposed to it because the practice of providing this type of material incentive to writers adversely affects their creativeness and undermines their freedom.” Over fifty years later, he echoed the same principle by refusing the Swadhinata Padak in 2025. In his statement published in The Daily Star on March 7, 2025, Umar reaffirmed: “Since 1973, I have been offered awards from various government and non-government organisations. However, I have never accepted any of them.”

মব সন্ত্রাসের একটি পুরাতন নজির। খবরটি ১৯৬৬ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি পূর্বদেশ পত্রিকায় ছাপা হয়।মূল বিষয় মোটামুটি একই: স্বার্থ...
30/08/2025

মব সন্ত্রাসের একটি পুরাতন নজির। খবরটি ১৯৬৬ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি পূর্বদেশ পত্রিকায় ছাপা হয়।মূল বিষয় মোটামুটি একই: স্বার্থসিদ্ধির জন্য মব লেলিয়ে দেওয়া। বর্তমান সময়ের সাথে পার্থক্য হল, তখন তাও পুলিশি তদন্ত ও ধরপাকড় হয়েছিল মব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে । আর এখন তাদের প্রেশারগ্রুপ, জুলাই জনতা বলে আরও উৎসাহ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এই বিজ্ঞাপনটি। ১৮৫৭ সালের ১৭ই এপ্রিল সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় ছাপা হয়। ১৮৩৭ স...
17/08/2025

বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এই বিজ্ঞাপনটি। ১৮৫৭ সালের ১৭ই এপ্রিল সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় ছাপা হয়। ১৮৩৭ সালে আদালত থেকে ফার্সি ভাষা উঠিয়ে দেওয়া হয় এবং ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ও অন্যান্য স্থানীয় ভাষাকে প্রমোট করা হয়। কিন্তু বিজ্ঞাপনটি সাক্ষ্য দিচ্ছে প্রায় ২০ বছর পরেও ফার্সির প্রভাব রয়েছে। তাই ত্রিপুরার মোক্তারি পদের জন্য জমিদার শ্রীরাজকৃষ্ণ রায় ‘বাঙ্গলা ও পারস্য ভাষা’ উত্তমরুপে জানা লোক খুঁজছেন।

১৯৭১ সালের ২২ মার্চ ফোরাম পত্রিকার প্রচ্ছদে রফিকুন নবীর আঁকা একটি রাজনৈতিক কার্টুন যা দারুণভাবে ঐ সময়ের বাস্তবতা ও টেনশন...
13/08/2025

১৯৭১ সালের ২২ মার্চ ফোরাম পত্রিকার প্রচ্ছদে রফিকুন নবীর আঁকা একটি রাজনৈতিক কার্টুন যা দারুণভাবে ঐ সময়ের বাস্তবতা ও টেনশনকে তুলে ধরেছে।

A political cartoon by Rafiqun Nabi, published on the cover of Forum on 22 March 1971, which brilliantly captured the reality and tension of the time. Tanks and guns on one side, Sheikh Mujibur Rahman and a sea of determined Bengalis on the other. A table stood in between — a symbol of talks that were already collapsing.

ঢাকার কুখ্যাত পকেটমার আবদুল সোভান ... ১৯৩৬ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর ঢাকা প্রকাশে খবরটি প্রকাশিত হয়।  অবাক করার বিষয় রুমালসহ ...
12/08/2025

ঢাকার কুখ্যাত পকেটমার আবদুল সোভান ...
১৯৩৬ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর ঢাকা প্রকাশে খবরটি প্রকাশিত হয়। অবাক করার বিষয় রুমালসহ আট আনা চুরির দায়ে তাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় । আবদুল সোভান যে ঘাঘু পকেটমার ছিল তার অতীত দেখলেই বোঝা যায়। এর আগে সে ১৮ বার কারাদন্ড ভোগ করে যার মধ্যে ১২ বারই ছিল পকেটমারার জন্য। জেলের ভয় যে নাই তার আরও প্রমাণ বিচারের রায় শুনে বিচারককে কুৎসিত ভাষায় গালাগালি। তার বিচারের সাক্ষ্য শোনার জন্য লোকের বিশেষ ভীড় হয়েছিল তাতে বোঝা যায় সে রীতিমত ক্রাইম সেলিব্রেটি ছিল। অবশ্য সাক্ষীদের একজন ছিল অর্দ্ধবোবা মমতাজ ও তার সঙ্গী বোবা নন্দলাল। মামলা মোকদ্দমা যে ঢাকাবাসীর অন্যতম বিনোদনের খোরাক ছিল তা এইসব ঘটনায় যেমন বোঝা যায় তেমনি তখনকার পত্রিকা ঘাটলে বিভিন্ন মামলার বিস্তারিত বিবরণীর প্রকাশ থেকেও জানা যায়।

A Saint Among Survivors: When Mother Teresa Stood with Bangladesh’s War HeroinesThe Bangladesh Observer reported on Dece...
13/07/2025

A Saint Among Survivors: When Mother Teresa Stood with Bangladesh’s War Heroines

The Bangladesh Observer reported on December 31, 1971, that Mother Teresa had visited Acting President Syed Nazrul Islam to offer support for the “occupation heroines”—women who endured sexual violence during the Liberation War.
Recognising their suffering and dignity, Mother Teresa proposed setting up a home for these war-affected women and undernourished children. She pledged to send six Sisters from Calcutta to begin the work and urged college and university girls in Bangladesh to join as volunteers.

Her commitment brought international attention, moral weight, and compassion to one of the most painful legacies of 1971.

🕊️ A powerful reminder of how one humanitarian figure stood beside Bangladesh in its earliest days of healing.

Full text:
MOTHER TERESA TO AID OCCUPATION HEROINES

Mother Teresa of Calcutta yesterday paid a visit to the Acting President of the People’s Republic of Bangladesh, Syed Nazrul Islam, to discuss her plan for setting up a home for the war-widowed mothers, who have been termed heroines of the occupation. The project has received an enthusiastic blessing of the Acting President, who has witnessed the work of Mother Teresa in the Refugee Camps in India. Mother Teresa is world famous for her work with destitutes in India and is a recipient of the Magsaysay Award for outstanding social service. She founded a community of religious Sisters in India for work with the poor and disadvantaged, which has now spread throughout India. Mother Teresa will shortly send six Sisters from Calcutta to begin work with the ravaged women and with undernourished children. She has appealed to college and university girls to come forward as volunteers for helping the work in progress, even temporarily or in setting up the buildings for her project. The work will be carried out in collaboration with the Christian Organisation for Relief and Rehabilitation at 67, Kakrail Road, Phone No.88679.

 July 12, 1949The Azad
12/07/2025


July 12, 1949
The Azad

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কিভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল?ভাবলে অবাক হবেন, কিভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ...
03/06/2025

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কিভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল?
ভাবলে অবাক হবেন, কিভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান কর্তৃক আমেরিকার পার্ল হারবারে আক্রমণের ধাক্কা চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এসে লেগেছিল। কিছু পুরাতন নথির সূত্রে এই মিসিং লিংক জোড়া লাগল। সংক্ষেপে গল্পটি হল, পার্ল হারবারের জাপানের আক্রমণের পরপরই চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় যুদ্ধ বিমানের ল্যান্ডিংয়ের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয় ১৯৪১ সালের ডিসেম্বরে। পুরো প্রক্রিয়া অস্বাভাবিক দ্রত গতিতে সম্পন্ন হয় ( নথির সাক্ষ্য অনুযায়ী)। ধীরে ধীরে বিস্তীর্ণ কৃষিভূমিতে এয়ারফিল্ড গড়ে উঠে। পতেঙ্গা এয়ারফিল্ড বা চট্টগ্রাম এয়ারফিল্ড হয়ে উঠে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম এক ব্যাটলফিল্ড। সেই এয়ারফিল্ড আজকের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। বিস্তারিত জানতে পারবেন কমেন্টে দেওয়া লেখাটিতে। করিডোর নিয়ে আলাপ বুঝতেও হয়তো কিছুটা সুবিধা হবে

১৮৫৯ সালের ঢাকা। এখনকার ধানমণ্ডি, আজিমপুর, মিরপুর তখন বিরাণভূমি। প্রায় ১৬৬ বছর আগের এই ম্যাপে পাওয়া যায় সিপাহী বিদ্রোহ (...
02/06/2025

১৮৫৯ সালের ঢাকা। এখনকার ধানমণ্ডি, আজিমপুর, মিরপুর তখন বিরাণভূমি। প্রায় ১৬৬ বছর আগের এই ম্যাপে পাওয়া যায় সিপাহী বিদ্রোহ (১৮৫৭) পরবর্তী মুঘল ঢাকার ক্ষয়িষ্ণু রুপটি। শহরের আয়তন ১২.৯ বর্গ কিলোমিটার থেকে ৫.৪ বর্গ কিলোমিটারে নেমে এসেছিল। একই সাথে এই ম্যাপ এক যুগ সন্ধিক্ষণের। কারণ এর পরপরই ব্রিটিশ সরকারের অধীনে ঢাকার এক্সপানশন শুরু হবে ধীরে ধীরে যা অব্যাহত আছে আজও। ম্যাপের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাবে কমেন্টের লিংকে।

কবি ইকবালকে নিয়ে প্রখ্যাত মাসিক মাহে নওয়ের বিশেষ আয়োজন। এপ্রিল, ১৯৫৪। বাংলাদেশ অন রেকর্ড ডিজিটাল লাইব্রেরিতে নতুন সংযোজন...
01/06/2025

কবি ইকবালকে নিয়ে প্রখ্যাত মাসিক মাহে নওয়ের বিশেষ আয়োজন। এপ্রিল, ১৯৫৪।
বাংলাদেশ অন রেকর্ড ডিজিটাল লাইব্রেরিতে নতুন সংযোজন।

২০০৭ সালের ১৬ই এপ্রিল ঢাকা থেকে পাঠানো এই মার্কিন টেলিগ্রামে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম, তাঁর রাজনীত...
24/05/2025

২০০৭ সালের ১৬ই এপ্রিল ঢাকা থেকে পাঠানো এই মার্কিন টেলিগ্রামে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম, তাঁর রাজনীতিতে আসা এবং সেনা হস্তক্ষেপ নিয়ে বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং মন্তব্য করেছেন। বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় পুরো টেলিগ্রামটি হুবহু অনুবাদ করে দেওয়া হল:

১. (গোপনীয়) নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৮ এপ্রিল মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, রাজনৈতিক কর্মকর্তা (POLOFF), এবং মার্কিন কংগ্রেসের হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির স্টাফ অ্যাডভাইজার মানপ্রীত সিং আনন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশংসা করেন। ইউনূস স্বীকার করেন যে, কিছু ভুল হয়েছে—যেমন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যাপক অভিযান চালানো, যা অনেক গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে—তবে সরকার এসব ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। সামগ্রিকভাবে, তিনি মনে করেন সরকার ভালো কাজ করছে এবং তাদের সংস্কার ও দুর্নীতিবিরোধী কর্মসূচি উচ্চাশামূলক। তিনি বলেন, “এই সরকারকে সময় দিন। তাদের কর্মসূচি খুবই সুন্দর।”

২. (গোপনীয়) ইউনূস বলেন, এই সরকার জনগণের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছে এবং জনগণ যথেষ্ট ধৈর্য ধরে আছে—“যতদিনই লাগুক, তারা অপেক্ষা করবে” রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য। তিনি বলেন, “দুই নেত্রী”—সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা—কে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে হবে (“হয়তো তাদের জাতিসংঘে কাজ করতে পাঠানো উচিত,” বলে রসিকতা করেন)। ইউনূস মনে করেন, এই দুই নেত্রীর রাজনীতিতে ফিরে আসাই কেবল সরকারের জনপ্রিয়তা ধ্বংস করতে পারে।

নতুন দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা
৩. (গোপনীয়) ইউনূস জানান, সরকার যখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে তখন তিনি তাঁর নতুন রাজনৈতিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। তিনি দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে গড়ে তুলতে চান এবং সম্ভাব্য রাজনৈতিক মিত্রদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর বিশ্বাস, নারীরা ও তরুণরা তাঁর দলের বার্তায় সাড়া দেবে। যদিও রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না (“তারা ইতোমধ্যেই আমাকে আক্রমণ করছে,” তিনি বলেন—গ্রামীণ ব্যাংক ও তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারকে ইঙ্গিত করে), তবুও তিনি মনে করেন, দেশের কল্যাণে নিজের সম্মান ও প্রভাব কাজে লাগানো তাঁর দায়িত্ব।

জাতীয় ঐক্য সরকারে না
৪. (গোপনীয়) সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন-এর ৩ এপ্রিলের ভাষণের বিষয়ে ইউনূস বলেন, এটি একটি ভুল ছিল এবং খারাপ পরামর্শের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছিল। যদি সেনাবাহিনী সরকারে আরও বেশি হস্তক্ষেপ করতে চায়, তাহলে কূটনৈতিক মহলকে তিনি আহ্বান জানান, “তাদের যতটা সম্ভব কঠোরভাবে সতর্ক করুন।” তিনি বলেন, মঈনের এ ধরনের ভাষণ আগেভাগে দেওয়া ভালো হয়েছে, কারণ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সেনাবাহিনীকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, রাজনীতিতে জড়ানো ভুল হবে। ইউনূস জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনে তাঁর অংশগ্রহণের গুজবও নাকচ করেন। তিনি বলেন, “আমি জনগণের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাই।” তিনি জাতীয় ঐক্য সরকারকে এক ধরনের অভ্যুত্থান (coup) হিসেবে দেখেন এবং বলেন, “আমি তাতে অংশ নেব না।”

৫. (SBU) স্টাফ অ্যাডভাইজার আনন্দ এই টেলিগ্রাম প্রস্তুত হওয়ার আগেই মিশন ত্যাগ করেন।
বুটেনিস

বি.দ্র.:

(C) = Classified (গোপনীয়)

(SBU) = Sensitive But Unclassified (সংবেদনশীল তবে শ্রেণিবদ্ধ নয়)

ConGen / POLOFF = কনসাল জেনারেল / রাজনৈতিক কর্মকর্তা

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangladesh on Record posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bangladesh on Record:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share

We need volunteers for...

Archiving, digitizing and disseminating historical content related to Bangladesh, the Bengali-speaking regions of India and associated parts of South Asia. We have various opportunities for you to get involved. If interested please contact: [email protected]